somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশেষজ্ঞ = বিশেষ ভাবে অজ্ঞ । ভুল নাকি প্রতারনা ?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




তিন মাস আগের ঘটনা। ঢাকায় গিয়েছিলাম অফিসিয়াল কাজে। কাজের ফাকে একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের এপয়েন্টমেন্ট নিলাম। তেমন কিছু নয়, হাতে সামান্য এলার্জি। জেলা শহরের সাধারন ডাক্তারের কাছেই গেলেই চলত। তবুও কি মনে করে বিশেষজ্ঞের শরনাপন্ন হলাম।

সময়মতো ডাক্তারের চেম্বারে হাজির হলাম। ডাক্তার বাবু যেই-সেই ডাক্তার নয়। ঢাকার একটি মেডিক্যাল কলেজের চর্ম বিভাগের প্রধান। সালাম দিয়ে রোগীর চেয়ারে বসলাম। ডাক্তার বাবু (প্রফেসারদেরকে বাবু বলা যায় কি?) ভ্রু কুচকে আমার এলার্জি দেখলেন। তারপর একগাদা টেস্ট দিলেন। জিজ্ঞেস করলাম, অসুখটা কি? বললেন, টেস্টের রিপোর্ট দেখে নিশ্চিত হবেন। আমি বললাম, খারাপ কিছু কি? ডাক্তার বাবু কিছু বললেন না। তবে তার ভাব ভঙ্গিতে খারাপ কিছুই মনে হলো। দেরি না করে দ্রুত টেস্টগুলো করতে দিলাম।

ভেবেছিলাম সন্ধায় ডাক্তার দেখিয়ে রাতের বাসে ঢাকা ছাড়ব। কর্মস্থলে স্ত্রী ও ছোট বাচ্চা রেখে এসেছি। অফিসেও অনেক কাজ । তাছাড়া ঢাকা শহর আমার মোটেও ভাল লাগে না। মানুষ বসবাসের অযোগ্য একটি শহর। কিন্তু এখন দেখছি বাধ্য হয়ে আরো দুইএক দিন ঢাকায় থাকতে হবে।

পরের দিনেই টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেলাম। সকল রিপোর্ট স্বাভাবিক। শুধু ব্লাডে কলেস্টেরলের পরিমান সামান্য বেশি। ডাক্তার রিপোর্ট দেখলেন। তারপর একগাদা ঔষধ লিখে দিলেন। প্রায় সাড়ে তিনহাজার টাকার ঔষধ কিনলাম। একটি বিদেশি মলমের দামই দুহাজার টাকা।
কর্মস্থলে ফিরে মাস দু-এক ডাক্তারের ঔষধ ব্যবহার করলাম। ফলাফল শুন্য। দুই মাসে হাতের এলার্জি সামান্য বেড়ে গেছে। ঢাকায় যাওয়ার সময় করতে পারছিলাম না। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে স্থানীয় একজন এমবিবিএস ডাক্তার দেখালাম। সরকারী হাসপাতালের ডাক্তার। আমার ব্যক্তিগত পরিচিত তাই ভিজিট রাখলেন না। তিনি আমাকে একটি মলম ব্যবহার করতে বললেন। দাম তেমন বেশি নয়, মাত্র পঞ্চাশ টাকা। মলম ব্যবহারের ৪/৫ দিনেই ইম্প্রুভমেন্ট লক্ষ্য করলাম। দুই সপ্তাহের মধ্যে এলার্জি সম্পূর্ণ ভাল হয়ে গেল।
আর কিছু বলার নেই, আমার গল্প এখানেই শেষ। আপনাদের কিছু বলার আছে কি?



৫টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×