প্রিয় সহব্লগার বৃন্দ, সামুতে তিনি নতুন হলেও বাংলা ব্লগে তার বিচরণ অনেক আগে থেকেই। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তার গল্প প্রকাশ করে। ‘স্বপ্নবাসর’ তার একটি চমৎকার সামাজিক উপন্যাস (প্রকাশিত), যাতে লেখকেরই জীবনের বিচিত্র প্রেমের কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ উভয় সময়ের পটভূমি নিয়ে রচিত একটি অসাধারণ গল্পগ্রন্থ এটি। স্বাধীনতাপূর্ব সমাজ এবং অর্থনৈতিক জীবনের একটি বিশ্বস্ত রেফারেন্স বুক হিসেবেও ‘স্বপ্নবাসরকে’ বিবেচনা করা যায়। এমন গল্পকারের সাথে পরিচিত হতে পারা নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়।
বিগত জীবনের বিভিন্ন ঘটনা-উপঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবলীলভাবে তিনি গল্প লিখে যেতে পারেন। অধিকাংশ গল্পই রসে টইটুম্বুর । প্রাকৃতিকভাবেই তিনি রসিক একজন মানুষ। তিনি আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম । প্রথম আলো ব্লগ থেকে তার সাথে আমার পরিচয়। ২০১২ সালের বইমেলায় তার সাথে আমার প্রথম দেখা হলেও সেটিকে প্রথম বলা যায় না, লেখায় লেখায় তার সাথে আরও গভীর একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সরকারি চাকুরি থেকে অবসর জীবন যাপন করছেন রাজশাহীর এই সিনিয়র ব্লগার। সামহোয়ারইন ব্লগে অনেক লেখা ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। সামুর গল্প সংকলক মামুন রশিদ নিশ্চয়ই তাকে ভালো জানেন। সামুতে তার সর্বশেষ গল্পটি প্রকাশিত হয়েছে গত ১৩ মে তারিখে । অতীব সজ্জন ব্যক্তি। বয়স হয়তো প্রৌঢ়ত্বকে অতিক্রম করবে, কিন্তু মনটি তার চিরতরুন। স্বভাবে সজীব, মানসিকতায় আধুনিক এবং সর্বোপরী একজন স্বদেশপ্রেমী লেখক। বর্তমানে সামুতে নিয়মিতভাবে তিনি লিখে যাচ্ছিলেন।
এতসবই বলছি, তাকে বর্তমান সময়ে ব্লগারদের সাথে পরিচিত করানো জন্য, যদিও আরও অনেক কিছু তার সম্পর্কে বলা যায়। গত কিছুদিন আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে তিনি এখন সজ্জাগত । রাজশাহীর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ আছেন। আমার প্রথম অনুরোধ হলো, রাজশাহীর কোন ব্লগার থাকলে, তিনি যদি আমাদের পক্ষ হয়ে উপযুক্ত সময়ে সেখানে যোগাযোগ করেন, তাহলে অনেক বড় কাজ হয়। আমরা সকলে তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা এবং শুভ কামনা করতে পারি।
আমার কাছে তার ব্যক্তিগত ফোন নম্বর থাকলেও এসময়ে যোগাযোগ করতে বারণ আছে। কোনভাবে তার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে পারলে অবশ্যই সহব্লগারদেরকে হালনাগাদ করতে চেষ্টা করবো। সকলের কাছ থেকে দোয়া কাম্য।
*** আপডেট ১৭ মে ২০১৪।
============================================
সহব্লগার আবুহেনা ভাইয়ের ছেলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন। তার বুকের ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট আগের চেয়ে কমেছে। হাসপাতালেই তার চিকিৎসা চলছে। সহব্লগারদের সহবেদনার জন্য তিনি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।