somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিয়ের পরে প্রবাস জীবন এর দুই বছর অভিজ্ঞতা লিখতে বসেছি।ধারাবাহিক ভাবে চলবে। পর্ব-১

১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম'।
প্রথমে নিজের একটু সমালোচনা করেনি।পড়াশোনা করেছি খুব কম-তাই হয়ত কাওকে বুঝানোর ক্ষমতা ও কম।
প্রত্যেকেই প্রবাসে বেশী ইনকাম করতে চায়
কিন্তু সবাই কি পারে।

যে বুকভরা আসা নিয়ে গিয়েছিলাম দেশে
সে আসা হয়নি পুরণ-পেয়েছি উল্টো ব্যাথা।



ব্লগার ভাইদের মত গুছিয়ে লিখতে জানিনা।তাই পুরোটা সময় আমার সাথে না থাকলে হয়তো বুঝা ও যাবেনা।
প্রথমে দেশে যাওয়ার কিছু কথা বলেনি।

দেশে যেতে মন ছোট-ছিল কিন্তু হাতে কোন টাকা নেই দুই লাখ টাকা ছিল,ছোট ভাই সৌদি আসবে তাই দিয়েদিছি।
আমি একটা সমিতি করেছি করেছিলাম ৩মাস এর সময় আমি পেয়ে যাই।১৫হাজার রিয়াল মার্কেট আর টিকেট
কিনে চলে যাই মায়ের কাছে, সাড়ে চার বছর পর।সমিতি চালানোর জন্য ছোট ভাই কে দায়িত্ব দিয়ে যাই।

যাওয়ার সময় আমার মানিবেগে ছিল মাত্র তিন শত সৌদি রিয়াল যা বাংলায় মাত্র ৬হাজার টাকা।এই কথা কেও বিশ্বাস
করবে না জানি-তাই কাওকে বলেনি-যাদের বলছি তারাও বিশ্বাস কিরেনি।

যাওয়ার কয়েক দিন পর খাওয়ার টেবিলে বসে বড় ভাই কে বিস্তারিত খুলে বললাম।আমার চলার টেনশন ছিল না,যাওয়ার
পরে আমার টাকা আসতে থাকে,তিন জন এ আমাকে দেড় লক্ষ টাকা হাওলাত দে।তবে পুড়া কপাল আমার তার মধ্য ৫০ হাজার
আমার হাতে বাকি ১লাখ বড় ভাইর হাতে চলে যায়।

আমিও আর চাইনি মনে মনে তো একটা উদ্দেশ্য ছিল।বিয়ে করলে অনুষ্ঠান হলে তো অনেক খরচ হবে। দেশে যাওয়ার কয়েক পর
মেয়ে দেখতে যাই মা বোন সহ।মেয়ে আমাদের পছন্দ হয়ে যায়।বড় ভাই সাথে টেলিফোন এ কথা হয়-সব ঠিক আছে কিনা আমি বলছি
ঠিক আছে।এই কথা কেন জিজ্ঞসা করেছিল সল্প ঞান তখন মাথায় ডুকেনি।কলমার আয়োজন কে করছে আজ পর্যন্ত জানিনা বাবা
নাকি বড় ভাই।

আমার জীবন একটি অংশ কে সাদামাঠা করে দিল।শ্বশুর বাড়িতে যখন মেহেদী লাগাচ্ছিল মেজ আপা পাশে বসা।মন চাইছিল মেজ আপা
কে বলে উঠে চলে যাই।কিন্তু সাথে সাথে আমার মন আমাকে বলে তোর কাছে তো টাকা নেই,অনুষ্ঠান করতে তো টাকা লাগবে।
১লাখ টাকা দিয়ে হবে!এই ভেবে চুপ করে বসে ছিলাম।তবুও আসা ছাড়িনি মন কে বুঝ দিলাম বড় ভাইর সন্তান আসবে কিছু দিন
পর হয়তো তখন করবে।কর্য যা হবে বিদেশ যখন থাকি দিয়ে দিতে পারবো।

চলবে
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কথা: দাদার কাছে—একজন বাবার কিছু প্রশ্ন

লিখেছেন সুম১৪৩২, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৫



দাদা,
কেমন আছেন? আশা করি খুবই ভালো আছেন। দিন দিন আপনার ভাই–ব্রাদারের সংখ্যা বাড়ছে—ভালো তো থাকারই কথা।
আমি একজন খুবই সাধারণ নাগরিক। ছোটখাটো একটা চাকরি করি, আর নিজের ছেলে–মেয়ে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×