কয়েকদিন ধরেই ভাছিলাম মোটরসাইকেলের মবিল পাল্টানোর কথা। আজকে সুযোগ পেয়ে গেলাম। চলে গেলাম পরিচিত মেকানিক পল্টু ভাইয়ের গ্যারেজে। মবিল পাল্টাতে দিয়ে আশে পাশে হাটাহাটি করছি এমন সময় এক নম্বর থেকে কল আসলো-
অপরপ্রান্ত: ভাই আপনার নাম্বারে ভুল বশত ৫০০০ টাকা বিকাশ গেছে চলে গেছে।
আমি: না তো ভাই। বিকাশ আসলে তো মেসেজ আসবে। আমার কাছে ২/১ ঘন্টার মধ্যে কোনো মেসেজ আসে নাই।
অপরপ্রান্ত: তাই? কিন্তু দোকানে বললো তো পাঠিয়ে দিয়েছে।
আমি: হয়তো ভুল করে অন্য কোন নাম্বারে পাঠিয়েছে।
অপরপ্রান্ত: হতে পারে। (মন খারাপ করে ফোন রেখে দিলো)
প্রায় ৩০ সেকেন্ড পরেই মেসেজ আসলো। পড়ে দেখি ঠিকই ৫০০০ টাকার বিকাশ এসে হাজির। আমি সাথে সাথে সেই ভদ্রলোককে ফোন দিয়ে জানালাম যে ভাই বিকাশটি এখন আসলো। উনি বললেন তাহলে কিভাবে আমি এটি ফেরত পেতে পারি? আপনি কি আমার নাম্বারে পাঠিয়ে দিবেন?
আমি বললাম তার থেকে বরং যে নম্বর থেকে এসেছে আমি সেই নম্বরে পাঠিয়ে দিচ্ছি আপনি সেখান থেকে সংগ্রহ করে নেন। উনি তাতে রাজি হলেন।
কিছুক্ষন পরে দোকানদার ফোন দিয়ে বলে ভাই ভুল করে আপনার নম্বরে ৫০০০ টাকা বিকাশ করে দিয়েছি
বিকাশ একটি শুন্য নিরাপত্তার টাকা পাঠানোর মাধ্যম।
এখানে ভুলের সুযোগ নেই। ভুল করলেই অন্য কারো কাছে টাকা চলে যাবে। টাকা পাঠানোর সময় নিরাপত্তা সিস্টেম নেই, ফোন নম্বর ডাবল চেকের সুযোগ নেই। এক স্টেপ থেকে আরেক স্টেপ এ যেতে একটু দেরী হলেই সেশন টাইম আউট হয়ে যায় ফলে নতুন থেকে আবার শুরু করতে হয়।
বিকাশ নম্বরটি ২বার চেক অথবা ফোন নম্বরের শেষে নিরাপত্তা নম্বর সংযোগ করা যেতে পারে। এটি ফ্লেক্সীলোড নয় যে মানুষ সর্বোচ্চ ৫০০-১০০০ টাকা করবে। ভুল হলে ১০০০ টাকা লস যেতে পারে। সেদিন একজন বিকাশ এজেন্ট বলছে একজনকে ৫০,০০০ হাজা টাকা বিকাশ করার সময় আমার হাত কাপছে, ভুল হলে আমার একবছরের বিকাশের লাভ শেষ হবে।
বিকাশ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ আপনারা নিরাপত্তা বাড়ান। সাধারনের প্রতি অনুরোধ সাবধানে লেনদেন করুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




