ওয়ান ফাইন মর্নিং আমি ঠিক করলাম আমার চেনা শহরটাকে অচেনা ভেবে ঘুরবো। নতুন করে দেখব।
তারজন্য প্রথমেই মস্তিষ্কের যে সেলে শহর সম্পর্কে ডেটা আছে তা ইনেক্টিভ করে দিলাম।
গলিতে পা রেখেই দেখলাম লাল ইটের রাস্তা সোজা গিয়ে মিশেছে প্রধান সড়কে। কিছুদূর এগোবার পর দেখলাম, রাস্তার ফুটপাথে এক অন্ধ গায়ে পুরনো ছেঁড়া কাঁথা গায়ে জড়িয়ে ভিক্ষা চাইছে। কই এতদিন তো লোকটাকে খেয়ালই করলাম না!
আরো কিছুদূর হাঁটার পর দেখলাম লোকজনে ভর্তি বাস স্ট্যান্ডে স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরী মেয়ে কোনভাবেই বাসে উঠতে পারছে না। কারণ বাস আসছে প্যাসেঞ্জার ভর্তি। থামবার সাথে সাথে ঠিক যেন প্রতিযোগিতার মত কে আগে উঠবে সে চেষ্টা করছে।
তারপর গেলাম রেস্টুরেন্টে। সকালের নাস্তাটা সেরে ফেলা দরকার। আট/নয় বছরের মিন্টু মিয়া আসলো আমার খাবারের অর্ডার নিতে। ওকে জিজ্ঞাসা করলাম স্কুলে যায় কিনা। ও উত্তর দিল স্কুলে গেলে উপোস থাকতে হবে।
রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে মনটা উদাস উদাস লাগছে। সামনের দিকে আত্মভোলা হয়ে হাঁটতে গিয়ে এক লোকের সাথে ধাক্কা খেয়ে বসলাম।
শহরের এক প্রান্তে বিশাল পুকুর আছে। পুকুরের আশপাশে বড় বড় গাছ। গিয়ে বসলাম এক গাছের নিচে। পুকুরে কয়েকটা হাঁস সাঁতার কাটছে ও মাঝেমাঝে ডিগবাজিও দিচ্ছে। ভালই লাগছিল দেখতে। এই দৃশ্য এতদিন চোখে পড়ল না।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে বাদামওয়ালা দেখে মানিব্যাগ বের করতে গিয়ে দেখি মানিব্যাগটাই উধাও হয়ে গেছে! :-D
শহরকে চেনা মস্তিষ্কের সেলটা এক্টিভ থাকলে হয়ত মানিব্যাগটা বেচে যেত কিন্তু শহরটাকে নতুনভাবে চেনা হত না।