
১. স্কুলে পড়াকালীন লেফট-রাইট (এসেম্বলী) করতে করতে না 'লেফট' হলাম না 'রাইট' হলাম! বরং কেমন জানি সেন্টারাইজড্ (আমজনতার ক্ষুদ্র একক) হিসেবেই গড়ে উঠলাম!!!
২. ভেজাল খেতে খেতে আমরা মরে যাচ্ছি, তাতে আমাদের হুশ নাই। দুধওয়ালার দুধে পানি-ফরমালিন, ফল-মুলেও তাই, চালে-ডালে পাথর-কাকর, চিনিতে কাচঁতো মরিচে ইটের গুড়া। ভেজাল-ভেজাল আর ভেজাল!!!
৩. এক বন্ধুর ২০ বয়সী কাজিনের হঠাত্ কিডনী-লিভার ফেইলিওর, ২০ বয়সী কাজিনের বাবার ক্যানসারের ট্রিটমেন্টের ৩তম কেমোথেরাপী দেয়া হয়েছে, ৪তম টার অপেক্ষায়। ভয়াবহ অবস্থা। বন্ধুর কাজিনের ১৫-২০ ব্যাগ রক্ত লাগবে। রক্ত খুজছি যেকোন গ্রুপ, আমি দিতে পারি নাই কারন ৯ম রোজায় দিয়েছি অন্য একজনকে। ডোনার খুজে পেলাম কয়েকজন। বন্ধুদের ভাই, কাজিন বা বন্ধু। একজন আসবে ইফতারের পরে, ইফতারের আগ মুহুর্তে খবর পেলাম ডোনার আর বেচে নেই। সুস্থ সবল একজন যুবক যে রক্ত দিতে আসবে ঘন্টাখানেক পরে একজন মুমুর্ষু মানুষকে, আর সেই নেই!?? এর পরের দিন একজনের ঐদিনই ক্যানসার ধরা পড়লো, নিজেই হাসপাতালের বিছানায় জীবনের দোলা চালে ব্যস্ত!!!! এটা কোন মহামারী!! সৃষ্টিকর্তা আমাদের উপর রাগ করেছেন কেন? আমরা কিসের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হচ্ছি, যেখানে বলা নেই কওয়া নেই 'তারুন্য' প্রানঘাতি রোগে মুহুর্তের মধ্যে ঝরে পড়ছে!!!
৪. ৩নং এর কারন অনুসন্ধানে ২নং পয়েন্ট কে আপনারা উল্লেখ করবেন একটি কারন হিসেবে। না। আপনারা লেফট-রাইট ভাবনা থেকেই এটা ভাবছেন। আমার মতো সেন্টারাইজড্ চিন্তা করে দেখুন তো, হায়াত-মউতের মালিক সৃষ্টিকর্তা! ২নং কারন হতে পারেনা। আমি আশাবাদীদের দলে। অনেক ভাবলাম, ভেবে পেলাম আমরা উন্নতির পথে হাটছি। অর্থনীতির রেখা উর্ধমুখী হয় উত্পাদনে। আর আমরা একেকজনতো একেকটি গ্যাসক্ষেত্র, পৃথিবীর সকল দেশের চেয়ে এগিয়ে আছি। এটা আমাদের জাতীয় 'ঘর্ব'।
৫. আমরা উতপাদনমুখী জাতি। ২নং এর ফলাফল হলো ৪নং। আমরা গ্যাসের উপরে ভাসছি, আমরা গ্যাসের গতিতে গ্যাস উতপাদনে ব্যস্ত। আপনার এখন মনে হচ্ছে না, মধ্যপন্হিদের চিন্তাভাবনা কত প্রগতিশীল!! আপনাদের 'লেফট-রাইট' ভাবনাই প্রগতির ধ্বজ্বাধারী নয়, আমরাও প্রগতিতে কন্ট্রিবিউট করে থাকি!
৬. গ্যাস-গ্যাস-গ্যাস??!! এটাকি আমাদের জন্য কোনো বিতর্ক করার বিষয় হলো নাকি? আর সাগরের পানির নিচে যা আছে রেখে দেন না। আমরা নিজেরাই একেকটি উতপাদন যন্র, টাল্লো-ফাল্লো-কাল্লো সবাইকেই ডেকে নেন, এই জাতির 'অনেক ক্ষমতা', 'অনেক গ্যাস'। আর যদি গ্যাস থেকে ফায়দা পায় তবে ২নং এর প্রসার হবে, কৃষক উতসাহী হবে, গ্যাস (ভেজাল) বিশেষজ্ঞরা আরো নিত্য নতুন উপায় বের করবে, গ্যাসের 'ফলন' বৃদ্ধি হবে। কোনো 'লেফট-রাইট' বিভ্রাট ছাড়া সরকার সরাসরি ১০০% রপ্তানীমুখী চুক্তি করতে পারবে। জনগনও দুটি ইউরো-ডলারের মুখ দেখবে!!
একটি ছবি অনেক কথা বলে -
http://www.totallyabsurd.com/gas grabber2.jpg
৭. গ্যাস (ভেজাল) বিশেষজ্ঞরা তাদের কলা সম্পর্কে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্লাস নিয়ে জ্ঞানকে ছড়িয়ে দেবে। তখন বেনিয়াদের ভাড়া করা বিশেষজ্ঞরা (বিদেশী তেল কমপানীর ৩ অফিসের কেরানীরা) আর গ্যাস নিয়ে মিডিয়াতে বলতে পারবে না, 'আপনারা আসলে বুঝতেছেন না। আমরা বুঝি যে এই চুক্তিতে ১০০ ভাগ দেশীয় স্বার্থ রক্ষা হবে'। তখন আমাদের গ্যাস (ভেজাল) বিশেষজ্ঞরা তাদের দাত ভাংগা জবাব দিয়ে দেবে -দাবড়ানী সহকারে।
[ ইহা একটি আমজনতা পোস্ট - 'লেফট-রাইট' মতবাদপুস্ট নহে ]
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




