যে ছেলেটা পড়ালেখা শেষে স্ট্রাগল করছে... অথবা চাকরীর
খোঁজে জুতা'র তলা ক্ষয় করে ফেলছে প্রতিদিন... তোমার
ফ্যামিলী এবং তুমি হয়তো তাঁর মধ্যে ভালো কিছুই খুঁজে পাবে না।
তুমি তোমার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাববে... জগতে নিজের জায়গা নিয়ে
সবাইকে স্বার্থপর হতে হয়। তুমিও হবে.... তুমিও চাইবে তোমার বাবা-
মা খুশি হোক... তোমার অনাগত সন্তানেরা একটা সিকিউরড ফিউচার পাক।
এক মুহূর্তের খারাপ লাগা... তোমার হয়তো কিছুক্ষণের জন্যে
মনে পড়বে ছেলেটা ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে প্রথম তোমার
প্রেমে পড়ে বলেছিলো, "কলেজের করিডোরে দেখা তুমি'ই
আমার প্রথম প্রেম... ভালোবেসে কাছে আসা, তুমি'ই আমার প্রথম
প্রেম...!"
তারপর জোর করে সময় তোমাকে সব ভুলতে বাধ্য করবে... তুমি
হাসিমুখে বিয়ের স্টেজে বসতে বাধ্য হবে... বাধ্য হবে লাখপতি কিংবা
কোটিপতি স্বামীকে শাড়ির প্রত্যেকটা ভাঁজ খুলে দিতে... তুমি বাধ্য
হবে।
'সুখ' শব্দটা তুমি শুনবে বারবার চারপাশে... কিন্তু দেখবে কোনদিন...
কোন মুহূর্তের জন্য। একসাথে বিছানা শেয়ার করতে পারবে...
ভালোবাসা নয়।
তার চেয়ে ঢের ভালো ছিলো স্ট্রাগল করতে থাকা ছেলেটার হাত
ধরে ফেলা.... সে নিত্যনতুন চাকরীর ইন্টারভিউ'র জন্যে
যেতো... তুমি তাঁর গলায় টাই'টা পরিয়ে দিয়ে বলতে, "দেখবে...
আজ ঠিক'ই চাকরীটা হয়ে যাবে...!"
সে তোমার কপালে চুমু খেয়ে চলে যেতো।
বাড়িতে কাজের লোক থাকতো না... তোমরা দু'জন হাত পুড়ে, লবণ
কম-ঝাল বেশি দিয়ে আনাড়ির মতো কষ্ট করে রান্না করতে... কিন্তু
ঐ কষ্টে সুখ ছিলো। ক্লজেট ভর্তি নতুন কাপড়, দামী পারফিউম
থাকতো না... কিন্তু দেখতে একটা শাড়ি বারবার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে
পড়তেও তোমার খারাপ লাগতো না।
তুমি হয়তো ব্যাঙ্ক একাউন্ট ভর্তি টাকা অথবা মার্সিডিজটার চাবি বিয়ের
রাতে পেতে না.... কিন্তু আস্তে আস্তে ঠিক'ই 'A Millionaire in
Making' দেখতে পারতে... জীবনের কোন না কোন এক
পয়েন্টে গিয়ে মার্সিডিজে সে তোমাকে চড়াতো'ই।
কারণ ভালোবাসা একটা ফ্যাক্ট... ভালোবাসা তোমাকে মাঝেমাঝে
অসম্ভব কোন কিছুকে সম্ভব করে ফেলার জন্যে সমস্ত
ইনফ্লুয়েন্স দিবে.... আবার কখনো সে'ই ভালোবাসা'ই তোমার
সমস্ত ইনফ্লুয়েন্স কেড়ে নিয়ে তোমার ভেতরের 'তুমি' টাকেই
মেরে ফেলবে।
এখন... সিদ্বান্ত তোমার এবং তোমাদের।