নতুন চাইনিজ রাইফেলগুলোর নিশানা, ব্যবহারকারীর নৈপুণ্য দেখাবার একটি জায়গার নাম চাদমারি। দ্বিতীয়টির নাম গার্মেন্ট কারখানা। সেখানে ওই ব্যাবহারিক পরীক্ষা চলছে বিপুল বিক্রমে। ফায়ার ব্রিগেডেরও নতুন গাড়িগুলোর অকুস্থলে পৌঁছানোর ক্ষমতা, নতুন রিক্রুটদের নৈপুণ্য প্রদর্শন আর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের কার্যকারিতা পীরক্ষার মোক্ষম জায়গা গার্মেন্ট সেক্টর।
ইয়ংওয়ান-এ ৪ জন “বেয়াদপ” শ্রমিককে ফেলে দেয়ার পর (মতান্তরে ১০ বা আরো বেশি হতে পারে) যথারীতি চিরাচরিত নিয়ম মত খুঁজে পাওয়া গেল ষড়যন্ত্র, নাশকতা। রাত ২টায় গ্রেপ্তার করা হল গার্মেন্ট নেত্রী মিশুকে। ঠিক তার পর পরই আর এক “নাশকতা”, “বিদেশি ষড়যন্ত্র” এবং “অর্থনীতির চাকা পেছনে টেনে ধরার অপচেষ্টাকারিদের দুরভিসন্ধী” তে এখন পর্যন্ত “কোটি কোটি টাকার মালামাল ধ্বংস” হয়েছে। “কোটি কোটি টাকার রপ্তানিযোগ্য গার্মেন্ট পুড়ে ছাই” হয়ে গেছে। এটা জাতির জন্য “অপুরণীয় ক্ষতি”। এর পাশাপাশি বেখেয়ালে সামান্য ক’জন শ্রমিক পুড়ে মারা গেছে! হয়ত ওই মৃতের সংখ্যা বেয়াক্কেলের মত আরো বাড়বে। “আবালগুলো” কেন যে কাজ করতে এসে পুড়ে মরে! ছিঃ শালাদের বাঁচার কৌশলটাও জানা নেই। পারে শুধু দেশের অমূল্য সম্পদ ধ্বংস করতে! ছিঃ!!
কাগজওলারা সন্ধ্যেই টের পেয়ে গেছে, আজ কী লিড! এখন একটু একটু করে সংখ্যা বাড়ছে আর লিডের জায়গা বাড়ছে। থ্রী-সি থেকে বেড়ে এখন ফাইভ-সি। একটু পর হয়ত ব্যানার লিড হয়ে যাবে।
ইন্স্যুরেন্স ক্লেইম, স্টক লট ক্লিয়ার, আরো তিন-চার ধরণের “কার্যকারণে” এই আগুন লাগে। লেগে যায়! লাগতে থাকবে। জয় গার্মেন্টে আগুনের জয়!!!
কোনটি মৃত্যু, কোনটি ' হত্যা '?
একটি দুটি দুর্ঘটনা, একটি দুটি মৃত্যুকে কেউ হত্যা বলবে না। কিন্তু দিনের পর দিন একই ধরণের দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের করুণ মৃত্যুকে আর দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়া যায়না। সেই ‘দুর্ঘটনা’ আবার যদি বিশেষ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পরই নির্দিষ্ট কারখানাগুলোতে হয় তখন কোনোভাবেই তাকে দুর্ঘটনা বলা যায় না। জন্মের পর থেকে এযাবত এই সেক্টরে কত শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। গড়পড়তা যেটা জানা যায়:
দুই দশকে সাত শতাধিক মৃত্যু হয়েছে এই সেক্টরে। তবুও প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা হয়নি। নব্বইয়ের দশক থেকে একের পর এক ভয়াবহ আগুনে সাত শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বড় দুর্ঘটনার পর ত্বরিতগতিতে তদন্ত কমিটি হয়েছে, নানা ধরনের সুপারিশ ও সিদ্ধান্ত হয়েছে; কিন্তু এর কোনোটিই বাস্তবায়িত হয়নি। এরই মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার আশুলিয়ার নরসিংহপুরে হা-মীম গ্রুপের কারখানায় ভয়াবহ আগুনে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং গার্মেন্ট মালিক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯০ সাল থেকে এ শিল্পে আগুনে সাত শতাধিক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের গরীব অ্যান্ড গরীব কারখানায় আগুনে ২১ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর বেশ তৎপর হয়ে ওঠে কর্তৃপক্ষ। সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি কয়েক দিনের মাথায় মালিককে দায়ী করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিজিএমইএর গঠন করা তদন্ত কমিটি কোনো প্রতিবেদন দেয়নি (সূত্র: কালের কণ্ঠ)
আমরা আশঙ্কা করি এবারো ঠিক একই ধরণের তদন্ত এবং তার রিপোর্টের বিলাসীতা হবে। যথারীতি তদন্ত কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে। বিজিএমইএ-এর তদন্ত প্রকাশ হতেও পারে আবার নাও পারে। আর প্রকাশ হলেই বা কী? কর্তৃপক্ষ যদি দেখে যে তদন্তে তাদের বিপদের সম্ভবনা আছে তাহলে ধরে নেয়া যায় ওই তদন্ত আর আলোর মুখ দেখবে না।
কেন এই মৃত্যু, কেন এই হত্যা?
আমরা দেখেছি বার বার একইভাবে সাবধানতার কথা, যথাযথ নিরাপত্তার কথা, প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর কথা, শ্রমিকের জান মালের নিরাপত্তার কথা বলা হলেও তার কোনো কিছুই বাস্তাবায়ন হয়নি। কার্যকর হয়নি। আমরা হা করে চেয়ে চেয়ে দেখেছি মাত্র দিন সাতেক পার হলেই আত্মবিস্মৃত জাতি সব ভুলে গেছে। আবারো একেকটা নতুন দিন শুরু হয়েছে। আবারো গার্মেন্ট শ্রমিকরা পেটের টানে সেই সব কারখানায় গিয়ে নাকমুখ গুঁজে কাজে লেগেছে।
কারখানায় দরজা খোলা রাখার ব্যাপারে সরকারের তরফে, বায়ারদের তরফে এবং বিভিন্ন তদন্তকারী দলের পক্ষে বার বার সাবধান করার পরও কেন সে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়না? কেন সামান্য কিছু সুতো-বোতাম চুরি ভয়ে কারখানার সব দরজা শেকল দিয়ে তালা মারা থাকবে? কেন দুর্ঘটনার সময় সেই তালার চাবিধারী দারোয়ান পালিয়ে যাবে? কেন আগুন লাগলে বা অন্য কোন দুর্ঘটনা ঘটলে জীবন বাঁচানোর জন্য শ্রমিকরা কারখানা থেকে বেরুতে পারবে না? কেন এক ফ্লোর থেকে অন্য ফ্লোরে যাওয়ার গেট বন্ধ থাকবে? কেন ভবনের বাইরে দিয়ে ফায়ার স্কেপ সিঁড়ি থাকবে না? কেন বিভিন্ন ব্যাসায়িক জালিয়াতি এবং জোচ্চুরির মাশুল গুণবে অসহায় নিরুপায় দরিদ্র শ্রমিক?
আমরা জানি, এই সব ‘কেন’র কোনো উত্তর দেবেন না মালিকপক্ষ। উত্তর দেবেন না সরকার এবং সরকারের কোনো দপ্তরও। আমরা এটাও জানি এই ‘কেন’ র মধ্যেই নিহীত আছে প্রতি বছর শত শত শ্রমিকরে করুণ মৃত্যুর আসল কারণ।
গরীব এন্ড গরীব ফ্যাক্টরিতে ২১ জন শ্রমিকের মৃত্যু হওয়ার পর সেবারই সরকার একটু নড়েচড়ে বসেছিল। সেসময় বেশ কিছু ‘কার্যকর ব্যবস্থা’ নেয়ার সুপারিশও করা হয়েছিল। দেখলে মনে হবে এইসব ‘চমৎকার চমৎকার’ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে অনেকাংশেই দুর্ঘটনার হার কমে আসবে।
মালিকপক্ষের ফুৎকারে উড়িয়ে দেয়া সরকারের সিদ্ধন্তসমূহ:
গত ৪ এপ্রিল তৈরি পোশাক শিল্পে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপক বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকে বসে। সেখানে ২০০৩ সালে ফায়ার ইন্সপেকশনের জন্য সরকার গঠিত ১২টি কমিটিকে আবারও সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত হয়। এসব কমিটি নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন করবে বলে তখন বলা হয়। পোশাক কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ না করলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। আইন অমান্য করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করার কথাও বলেন তিনি। তবে সেসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই বৈঠকে যে সব সিদ্ধান্ত হয়েছিলঃ
১. সব কারখানার ছাদ সম্পূর্ণ খোলা থাকবে। নিচ থেকে ছাদে ওঠার ব্যবস্থা থাকতে হবে। ছাদে ওঠার দরজা সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে হবে।
২. কারখানার ভেতরে যাতায়াতের পথ, বিকল্প সিঁড়ি ও জরুরি গেট খোলা রাখতে হবে।
৩. দুটি মেশিনের মাঝখানে চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৪. কারখানার ফ্লোরে কাপড়সহ সব ধরনের দাহ্যসামগ্রী বড় লটে স্তূপ করা
যাবে না।
৫. শর্টসার্কিট এড়ানোর জন্য কারখানাগুলো নিয়মিত নিজেদের পানি, সুয়্যারেজ লাইন ও বৈদ্যুতিক লাইন পরীক্ষা করবে।
৬. কারখানাগুলোকে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করে শ্রমিকদের নিয়ে নিয়মিত মহড়া চালাতে হবে। যতক্ষণ কারখানা চালু থাকবে, ততক্ষণ কারখানার অগ্নি মহড়া কর্মীরা ফ্লোরে টহল দেবেন।
বিভিন্ন গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডের পর হতাহতের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনগুলোতে আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনে কারখানা তৈরি করা, দুর্ঘটনার সময় জরুরি অবতরণের জন্য পর্যাপ্ত বিকল্প সিঁড়ি না রাখা, সিঁড়ির মুখে লোহার গেটে তালা লাগানো থাকায় অগ্নিকাণ্ডের সময় শ্রমিকরা বের হতে না পারা, এবং বস্তা, পোশাক ও আবর্জনা রেখে সিঁড়ির প্রবেশপথ বন্ধ করে রাখা ও অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকাকে কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়। গাজীপুরের গরীব অ্যান্ড গরীব সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে আগুন লাগলে সিঁড়ির মুখে গেট বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা বের হতে পারেনি।
ফায়ার সার্ভিস আইন কি বলে?
১. ১৯৬৫ সালের কারখানা আইন অনুযায়ী, কারখানার ভেতরে যতক্ষণ পর্যন্ত একজন শ্রমিক কর্মরত থাকবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কারখানায় ঢোকা ও বেরোনোর গেটসহ রুমের সব দরজা খোলা রাখতে হবে। এ বিধানটি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
২. কারখানা আইনে সব তলায় দুটি জরুরি নির্গমন পথ রাখার বিধান থাকবে। এসব সিঁড়ি কমপেক্ষ ৩২ ফুট চওড়া ও সাড়ে ৬ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন হতে হবে।
৩. কোনো কারখানায় ২০ জনের বেশি শ্রমিক নিয়োজিত থাকলে সেখানে জরুরি নির্গমনের জন্য কমপক্ষে একটি চলন্ত সিঁড়ি থাকতে হবে। সিঁড়িগুলো কমপক্ষে ৪৫ ইঞ্চি প্রশস্ত হতে হবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বিধান অনুযায়ী, কারখানার প্রতি তলায় কার্বন ডাই-অক্সাইডসমৃদ্ধ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ও শুকনা রাসায়নিক গুঁড়া রাখার কথা রয়েছে। বিকল্প সিঁড়িপথ কমপক্ষে ৪২ ইঞ্চি প্রশস্ত ও সর্বোচ্চ ৪৫ ডিগ্রি কোণে রাখতে হবে। প্রতি তলায় কমপক্ষে দুটি অগ্নিনিরোধক পয়েন্ট থাকতে হবে এবং প্রতি পয়েন্টে ৪৫ গ্যালন পানি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন ড্রাম ও চারটি বালতি রাখতে হবে। ধোঁয়া নির্ণায়ক যন্ত্র ও হোস রিল থাকতে হবে। (সূত্র: কালের কণ্ঠ)।
মালিকপক্ষ এসব আইন না মানলেও কোন ব্যবস্থা নেই!
এই যে মালিকপক্ষ সরকারের নির্দেশনার এটি শর্তও পালন করল না, প্রকারন্তরে সকল নির্দেশরাই অগ্রাহ্য করল। শেষ পর্যন্ত গায়েই মাখল না, তার জন্য কি সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে, না নেয়ার কথা ভেবেছে? কিছুই না। ঘটনার রেশ মিটে যেতে না যেতেই নোংরা বুড়িগঙ্গার একটু উত্তাল হওয়া জল আবার থিতু হয়ে গেছে। আকাশে বাতাসে পোড়া লাশের যে গন্ধুটুকু ছিল তাও দখিনা বাতাসে উড়ে গেছে অচেনায়। কিছুদিনের মধ্যেই আর সেই মৃত মানুষদের কথা কেউ মনে রাখেনি।
তিন টাকার সুতো, পাঁচ টাকার বোতাম, দশ টাকার পলি, কুড়ি টাকার কাট পিস যদি ওরা চুরি করে শাড়ির ভেতর গুজে নিয়ে যায়! সেই ভয়ে বিলিওনিয়র মালিকেরা (সবাই, অধ্যাপক মালিক থেকে সেলিব্রেটি, ফুটবলার, অব:সেনা কর্মকর্তা সবাই) মেইন গেটে শিকল দিয়ে পেচিয়ে তালা মেরে রাখে। বাইরে একটা খাকি পোশাক পরা দারোয়ার দাঁড়িয়ে থাকে, সে কার্ড দেখে ভেতরে ঢোকায় আবার কার্ডে টাইম দেখে বের করে। এই দারোয়ান আগুন লাগলে বা আগুনের গুজব শুনলেই দৌড়ে পালায়। চাবি থাকে তার তার কাছে। ডুপ্লিকেট চাবি স্টোর কিপারের কাছে, আর এক পিস মহামান্য মালিকের কাছে।
অসহায় কর্মীরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পোড়ে। একসময় বাইরের কেউ যেয়ে তালা ভাঙ্গে, ততক্ষণে ডজনখানেক পুড়ে শেষ।
এটা অসাবধানতা বা নিরাপত্তা নয়। স্রেফ হত্যা। ঠান্ডামাথায় খুন। এই খুনের কোন বিচার এদেশের আদালত করে না। সরকার করে না। তথাকথিত বক্তৃতা বিবৃতিবাজ বুদ্ধিব্যাপারিরা করে না।
আমরা এটাকে কোনোওভাবে দুর্ঘটনা বলতে রাজি নই। এটা নির্বিচারে হত্যা। এই হত্যার সাথে জড়িয়ে আছে ইন্স্যুরেন্স ক্লেইম, স্টক লট ক্লিয়ার করা, ইনসেন্টিভ আদায় করা, বন্ডেড ওয়্যারহাউসের লিমিটের বাইরের মাল গাপ করে দেয়া। এটা তাই প্রকাশ্য ক্রাইম। এই ক্রাইমটা ধরার মত হ্যাডম আদালত বা সরকারের নেই, কেননা সব সরকারই ওই বিদেশি ডলার-পাউন্ডের চামড়াগন্ধে নেশাগ্রস্ত হয়ে বসে আছে।
এর প্রতিকার করতে হবে গার্মেন্ট কর্মীদেরই। আর সেটা প্রবল বল প্রয়োগের মাধ্যমে। নো বডি ক্যান সেভ য়্যু, নট ইভেন গড! সো ট্রাই টু সারভাইভ। নিজেকে বাঁচাও হে মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাণ!!!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৪