somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ড. জাকির নায়েক ও তাবলীগ জামাআত

৩০ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

(অনেক সময় নিয়ে কষ্ট করে লেখা, দয়া করে পড়বেন এবং পুরোটা পড়বেন)
ড. জাকির নায়েক, খুব অল্প সময়ে দাঈ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ইসলামিক ব্যক্তিত্ব । কুরআন- হাদীসে দাওয়াত এর যে ফাযীলাত বলা আছে তা সম্পর্কে মুটামুটি সবাই জানে, তাই নতুন করে রফোরেন্স দিয়ে আর ধৈর্যচ্যুতি ঘটাব না।
একজন মুসলিম হিসেবে ইসলামের দাওয়াত দেয়া প্রত্যেকের কর্তব্য এবং অধিকারও। তিনিও তার এই দায়িত্ব পালন করছেন এবং তার দাওয়াতকে মুটামুটিভাবে কার্যকরও বলা যায়। । মুসলমানদের বর্তমান এই অধঃপতনের যুগে যে কেউ যেকোনভাবে দাওয়াত দিলেই তা সাদরে গ্রহণযোগ্য, যদি তাতে সরাসরি কুরআন- হাদীস বিরুদ্ধ কোন কিছু না পাওয়া যায়। সেই হিসেবে ডক্টরের দাওয়াত বা দাওয়াত এর পন্থা নিয়ে সমালোচনার দৃষ্টিতে কখনো ভাবিনি এবং ভাবতে চাইও না।
আজকে ফেইসবুকে একটি লিঙ্ক পেলাম তাবলীগ জামাআতের ব্যাপারে ডক্টরের দৃষ্টিভঙ্গির একটি ভিডিওর (Click This Link)। এখানে তিনি মুটামুটি ভদ্রভাবেই তাবলীগের ব্যাপারে কিছু মন্তব্য করেছেন। তার এই কথাগুলো শুনে মনে চাইল কয়েকটা বিষয় লেখার। তার কিছু কথা আংশিক সত্য, কিছু কথাকে মিথ্যা বলা না গেলেও ভুল অবশ্যই।
তার মন্তব্য ভিডিওটা থেকে দেখে নিতে অনুরোধ করলাম। আর আমি এখানে তার সব মন্তব্য উল্লেখ ছাড়া তাবলিগের ব্যাপারে স্বাভাবিক কিছু আপত্তি এবং অন্য কিছু ব্যাপারেও লিখলাম।

১. ড. জাকির নায়েক বলেন শিয়া- সুন্নি, হানাফি- শাফিঈ এসব মতভেদ ঠিক না।
- কথা সত্যি। তবে প্রকৃত ব্যাপার হল কাউকে কাফের ফতোয়া দেয়া হয়, তাকে হেয় করার জন্য না, তার আকীদা থেকে সাধারণ মানুষদেরকে সতর্ক করার জন্য। তেমনি শিয়াদের ইমান অথবা মুসলমানিত্ব না থাকার ব্যাপারে হানাফী, শাফিঈ, মালিকী, হাম্বালী এবং আহলে হাদীস আলীমগণ সবাই একমত। তাদের আকীদা- বিশ্বাস আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের পরিপন্থী। সুতরাং তাদের আকীদা থেকে সতর্ক করার জন্য যদি তাদেরকে শিয়া নামে আলাদাভাবে দেখানো হয় এবং আমরা যদি তাদের আকীদা থেকে আমাদের ভিন্নতার জন্য নিজেদেরকে সুন্নী বলি সেটা মনে হয় না ঘোরতর অপরাধ।

আর হানাফ- শাফিঈ এগুলো হল ফিকহি মতপার্থক্যের স্বাভাবিক একটি প্রতিফলন। একজন বে- আলীম যদি কোন আলীমকে মাসআলা জিজ্ঞেস করে তাতে দোষের কিছু নেই (সুরা নাহল ৪৩)। আর আলীম হিসেবে হানাফী- শাফিঈ রাহ. গণকে অস্বীকার করার কোনই কারন নেই। সুতরাং কেউ যদি তাদের অনুসরন করে, অর্থাৎ তাদের বরা মাসআলায় আমাল করে তাতে কোন দোষ থাকার কথা না। আর হানাফী- শাফিঈ বলে শুধুমাত্র এই ফিকহী দৃষ্টিভঙ্গিরই ইঙ্গিত করা হয়।
সুতরাং একজন মানুষের মুসলমান হওয়ার সাথে হানাফী- শাফিঈ হওয়া সাংঘর্ষিক নয়। যদি বলি, আমাদের প্রধানমন্ত্রি কি গোপালগঞ্জি, না- কি বাংলাদেশি, তবে সেটা খুব হাস্যকর হবে। তার বাংলাদেশি হওয়ার সাথে গোপালগঞ্জি হওয়াটা সাংঘর্ষিক নয়। হানাফী- শাফিঈর ক্ষেত্রেও একই কথা।
একজন জ্ঞানী মানুষের কাছ থেকে এই স্বাভাবিক যুক্তির প্রতিফলনই আশা করি। কিন্ত আফসোস।

আরেকটি কথা বলা হয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি হানাফী না শাফিঈ? ঐারা এগুলো বলেন তারা বলেন বুখারী- মুসলীম অনুসরন করতে। তাহলে আমি কি এই প্রশ্ন করতে পারি না- রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বুখারী- মুসলীমের অনুসরন করেছেন?

এবার বলা যায়, বুখারী- মুসলীম তো হাদীসের বই। তো বুখারী- মুসলীম কিন্তু কোন আসমানী কিতাব না এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও এটি লিখেন নি। বুখারী- মুসলীম এবং অন্যান্য হাদীসের বই ঐতিহাসিক বিবেচনায় নিঃসন্দেহে নির্ভরযোগ্য। বুখারী- মুসলীম এর লেখকগণ যেমন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত সনদ সহ হাদীসগুলো লিপিবদ্ধ করেছেন তেমনি আরো অনেকেই করেছেন। এখন বুখারী- মুসলীমের হাদীস যে ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে সহীহ তা যদি অন্য কোন হাদীসের পাওয়া যায় নিঃসন্দেহে তা- ও নির্ভরযোগ্য। এখানে কেউ ব্যক্তিগত পছন্দের ভিত্তিতে বুখারী- মুসলীমকে প্রাধাণ্য দিতে পারে না, সেজন্য কুরআন- হাদীসের অন্যান্য দলীল বিচার- বিশ্লেষণের প্রয়োজন। আর হানাফী- শাফিঈ এই বিচার- বিশ্লেষণেরই ফসল।

তাদের এসবকল মতভেদ নিয়ে তাদের সমসাময়িক বা অন্যান্য প্রসিদ্ধ আলীমরা কেউই নেতিবাচক কিছু বলেননি, এমনকি তারা নিজেরাও একজন আরেকজনকে বাতিল বলেননি, সুতরাং এগুলোকে মতভেদ বা ভেদাভেদ হিসেবে দেখানো ঠিক হবে না। তারা সবাই হক ছিলেন এবং তাদের ফিকহ নিঃসন্দেহে কুরআন- হাদীসেরই প্রতিফলন।

যেখানে কুরআন পাকেই জ্ঞানীদের কাছ মাসআলা জিজ্ঞেস করতে হুকুম দেয়া হয়েছে ( সুরা নাহল ৪৩ এবং আরও অন্যান্য) সেখানে কেউ যদি অমুকে বলেছে, বা অমুক আলীমকে বলতে শুনেছি এই কথাকে দোষণীয় ভাবে তবে তো দীর্ঘশ্বাস ফেলা ছাড়া আর কোন কিছু করার নেই।
আর ড. নায়েক নিজেও কিন্তু ইমাম তাইমিয়ার রেফারেন্স দেন (উপরের ভিডিওতেও আছে)। ইমাম তাইমিয়া যেমন একজন সমালোচনার উর্দ্ধে অনেক বড় একজন আলীম তেমনি ইমাম আবু হানীফাহ রাহ. এবং ফিকাহের অন্য তিন ইমামও কিন্তু তার চাইতে অনেক উচুতে অবস্থান করেন।

২. এবার আসি তাবলীগের ব্যাপারে। তাবলীগের ব্যাপারে বেশ কিছু আপত্তি উত্থাপন করা হয়। সাধারণভাবে এসব আপত্তি নিয়ে খুব বেশি মাথাব্যাথার কারন নেই, কারন তাবলীগ যে সময় চালু হয় তখনকার প্রসিদ্ধ আলীমদের কেউ এর ব্যাপারে আপত্তি করেছেন এমন নজির কেউ দেখাতে পারবে মনে হয় না। আর আজ এক বছর পর এসে এসব আপত্তির তেমন ভিত্তি নেই।
গবচেয়ে বড় কথা হল তাবলীগের পেছনে রয়েছে দারুল উলুম দেওবান্দের সমর্থন। আর দেওবান্দ মাদ্রাসার নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে কোন মুসলমান সন্দেহ প্রকাশ করলে তা হবে হাস্যকর।

তবে একটি ব্যাপার হল যেকোন বিষয় যখন সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায় তখন তাতে সাধারণ মানুষ কিছু বিকৃতি নিয়ে আসে। আমাদের কুরআন- হাদীস সমুন্নত, কিন্তু কিছু বিদআতী বা দুনিয়ালোভী পীর বা নামধারী বুযুর্গের কারনে কুরআন- হাদীসের ব্যাপারে কিন্তু অনেক বুদ্ধিজীবিরাই আপত্তি করেন। তেমনি তাবলীগের মূল চেতনা সঠিক হলেও হতে পারে সাধারণ মানুষের প্রাকটিসের কারনে এর সম্পর্কে মানুষের মধ্যে বিরূপ ধারণা হয়েছে।

সাধারণভাবে কোন নতুন আবিষ্কারকে তখন বিদআত বলা যায় যখন তা শরীআতের কোন হুকুমের সাথে সম্পর্কে করা হয়। তো তাবলীগকে কেউ যদি ফরয- ওয়াজিব বা সুন্নাত মনে করেন তবে তা- ও খারাপ। দাওয়াত ফরয, কিন্তু দাওয়াতের নির্দিষ্ট কোন ফরমেট কিন্ত ফরয না, তাবলীগও তেমনি একটি ফরমেট। এটা ততক্ষণ পর্যন্ত হক যতক্ষণ বাড়াবাড়ি না হয়। আর দেওবান্দপন্থী আলীম- উলামারা এরকম বাড়াবাড়ি করেন বলে আমি জানি না।

আবার কেউ কেউ আছেন যারা তাবলীগের কোন পদ্ধতির বিরোধিতা করেন। আগেই বলেছি কোন নতুন আবিষ্কারকে তখন বিদআত বলা যায় ... ( উপরের প্যারায়)। স্বাভাবিকভাবে কোন কিছু একটা নির্দিষ্ট ফরমেটে করলে তার থেকে আউটপুট ভাল আসে। তো তাবলীগওয়ালারা যদি বাড়াবাড়ি না করে এমন কোন উসুল বা পদ্ধতির উপর আমাল করেন তবে তা- ও খারাপ মনে করা ঠিক মনে হয়না।

এরপরও তাবলীগের কিছু বিষয় সম্পর্কে দলীল দিচ্ছি।
১. হিজরতের দলীল:

যতদিন তাওবাহর দ্বার বন্ধ না হবে ততদিন হিজরত বন্ধ হবে না (বুখারী, তবে এইমুহুর্তে সঠিক অবস্থান বলতে পারছি না)।

মক্কা বিজয়ের পর হিজরত নেই কিন্তু জিহাদ ও সৎ উদ্দেশ্য (Jihad and good intention remain), এবং যদি জিহাদের ডাক আসে তবে অতিসত্বর সাড়া দাও ( বুখারী, খন্ড ১, পৃ ৩৯০, ইংলিশ ভার্সন (http://www.mclean.faithweb.com)- পৃ ৪২২, ৬৫৩, ৬৬৩, ৭২৫)।

লক্ষ করুন এগুলো বুখারী শরীফের হাদীস, এখানে হিজরতের সাথে এগুলোর উল্লেখ করে স্বয়ং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরতের সাথে দাওয়াতের জন্য ঘর ছাড়ার কিয়াসের পথ খুলে দিয়েছেন।

২. চিল্লার (চল্লিশ দিন) দলীল:

আর আমি মুসাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি ত্রিশ রাত্রির এবং সেগুলোকে পূর্ণ করেছি আরো দশ দ্বারা। বস্তুত এভাবে চল্লিশ রাতের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে গেছে ( আরাফ ১৪২)।
নিশ্চয়ই তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপকরন নিজ নিজ মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন অবস্থান করে . . . ( বুখারী, সৃষ্টির সূচনা অধ্যায়, ২৯৮১, পৃ ৩৬৯, ইংলিশ ভার্সন- পৃ ১৮৯২)।

এছাড়া আরও আয়াত ও হাদীস আছে। দেখুন “চল্লিশ রাতের মেয়াদ” কথাটি উল্লেখ করে আল্লাহ পাক এর বিশেষত্বের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। সুতরাং দ্বীনি ক্ষেত্রে চল্লিশ দিনের এই বিশেষত্বের বিবেচনায় বাড়াবাড়ি না করে কেউ যদি চল্লিশ দিনের উসূল মানে সেটা দোষের হওয়ার কথা নয়।

মাসযিদে ঘুমানো:

আব্দুল্লাহ ইবনি উমার রাদ্বি. যুবক এবং অবিবাহিত (young and Unmarried) থাকা অবস্থায় মাসযিদে ঘুমাতেন (বুখারী ইংলিশ, পৃ ১১২)।
এখানে young অর্থ শিশু নয়, কারন পরে Unmarried বলা হয়েছে, শিশু হলে নিশ্চয়ই অবিবাহিত বলার প্রয়োজন পড়ে না।

আলী রাদ্বি. ফাতিমা রাদ্বি. এর সাথে রাগ করে মাসযিদে ঘুমেিয়ছেন (বুখারী ইংলিশ, পৃ ১১২)।

বৃহস্পতিবারের বয়ান:
পৃথিবীর সব জায়গায় তাবলীগের বয়ান হয় বৃহস্পতিবার বাদ আসর।

ইবনি মাসঊদ রাদ্বি. প্রতি বৃহস্পতিবার লোকদের ওয়াজ করতেন। একজন বললেন- হে আব্দুর রাহমান আমাদের মন চায় আপনি আমাদের প্রতিদিন নসিহত করেন। তিনি বললেন এ কাজ হতে আমাকে যা বিরত রাখে তা হল- আমি তোমাদের ক্লান্ত করতে পছন্দ করি না। আর আমি নসীহত করার ব্যাপার তোমাদের দিকে লক্ষ রাখি যেমন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের প্রতি লক্ষ রাখতেন আমাদের ক্লান্তির আশংকায় (বুখারী, ইফাবা, পৃ ৫৮)

ফাযাঈলে আমাল:
এক্ষেত্রে ড. নায়েক বলেছেন এর মধ্যে সহীহ, দ্বঈফ, মাউদ্বু সব ধরনের হাদীস আছে। এটি সম্পূর্ণ সত্যি কথা এবং এটা কোন ভুল বা অসদুদ্দেশ্যে করা না। কারন ফিকাহবিদদের মতে ফাযাঈলের ক্ষেত্রে দূর্বল হাদীস গ্রহণযোগ্য। আর প্রসঙ্হক্রমে কিছু দূর্বল হাদীস এসেছে, যা উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে।
ফাযাঈলে আমাল এর এই ঘাটতির জন্য মুন্তাখাব হাদীস নামে একটি বই লিখেছেন আল্লামা ইউসুফ রাহ.। এটিও মাসযিদে তালীম হয়। আর উপমহাদেশের বাইরে তালীমের জন্য তাবলীগের আলীমরাই “রিয়াদ্বুস সালেহীন” বইটি নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যা আল্লামা নবভী রাহ. লিখিত এবং ৯৯% হাদীসই সিহাহ সিত্তাহ থেকে নেয়া। এই বইটি সবাই নিশ্চিন্তে পড়তে পারেন, যদি ফাযাঈলে আমাল পড়তে না চান, আর মাসযিদে এটারও তালীম হতে পারে।
সুতরাং ড. জাকির নায়েক যে বলেছেন তিনি তাবলীগের বিভিন্ন আমালের দলীল খুজে পাননি সেটা মিথ্যা না হলেও অন্ততপক্ষে ভুল।
ড. নায়েক স্যার একটি কথা বলেছেন ভিডিওতে- "তিনি তাবলীগের চিল্লা, বা অন্য আমালের দলীল খুজে পাননি", নভোচারী ভাই তার কমেন্টে বলেছেন- "তিনি নায়েক স্যারের টি.ভি.- সেমিনারে ইসলাম প্রচারের দলীল খুজে পাননি", সত্যি কথা বলতে, আমিও পাইনি। তার এটা যেমন একটি ব্যক্তিগত চিন্তাদ্বূত আমাল বা দাওয়াত, তাবলীগের চিল্লা বা অন্য কিছুও তেমন এবং এগুলোর পক্ষে কুরআন- হাদীসের অনেক নির্ভরযোগ্য ও সহীহ দলীল আমি দিয়েছি উপরে। বুখারী শরীফ থেকেই দিয়েছি, মানা- না মানা মানুষের ব্যাপার।
আমার লেখায় কোন স্থানেই আমি ড. নায়েককে আক্রমন বা অসম্মান করিনি, আশা করি এটা সবাই বুঝতে পারবেন।
আর আমি তাবলীগ সহ সকল ধরনের হক দাওয়াতের পন্থাকে সমর্থন করি, যেমনটি উপরে বলেছি “ মুসলমানদের বর্তমান এই অধঃপতনের যুগে যে কেউ যেকোনভাবে দাওয়াত দিলেই তা সাদরে গ্রহণযোগ্য . . .”। তবে আমি নির্দিষ্ট কোন কিচুর সাথে জড়িত না, এমনিক তাবলীগের সাথেও না। জীবনে একবার মাত্র ৩ দিনে গিয়েছি, আর মহল্লায় ৫ কাজও করি না। সুতরাং দলবাজী বা সাফাই গাওয়ার অভিযোগ ঠিক হবে না।

আল্লাহ পাক সবাইকে বোঝার ও আমাল করার তৌফিক দান করুন, আমীন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:২৫
৩২টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×