somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এইচ এম বিশ্বাস এর কথা অনুযায়ী সেলিম জাহাঙ্গীর কাফের!!

২২ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এইচ এম বিশ্বাস “তারাবীহ নামায আট রাকায়াত” এ বাতিল দাবীর দলীল ভিত্তিক খন্ডন শীর্ষক একটি লিখা ব্লগে লিখেছে। আমি সেলিম জাহাঙ্গীর তার লিখায় কমেন্ট করলাম সে আমায় কাফের উপাধী দিলো। সে বললোঃ যদি আপনি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে শরিয়তের ফায়সালা অনুযারী কাফের হয়ে গেছেন। কেননা প্রথমত আপনি কুরআন শরীফ অস্বিকার করেছেন, দ্বিতীয়ত আপনি হাদীছ শরীফ অস্বিকার করেছেন। তৃতীয়ত আপনি ইজমা ক্বিয়াস অস্বিকার করেছেন। আমি সেলিম জাহাঙ্গীর পাঠকের কাছে এই বিচার দিলাম; আমি কোথায় কোরআন অস্বীকার করলাম আপনারই দেখুন। আমার প্রথম কমেন্ট টা হুবহু তুলে দিলাম।

তারাবী নিয়ে
আপনি আট রাকাত আর বিশ রাকাত কিংবা সতের রাকাত যায় বলুন না কেন এগুলি বিষয় নয়। যে সব কথা গুলি আমি আপনি বোখারীরা শুনেছে সকলেই মানুষের মুখে থেকে শুনেছে। কত দিন পরে জানেন? রাসুলের মৃত্যুর আড়াই থেকে তিন শত বছর পরে। সব শরীয়তি আলমরা যে ভাবে হাদীসের বর্ণনা করেছে তাতে করে মনে হয়েছে উনি যেন চোখে দেখেছেন। অনুমান করে কোন কথা বলা সহীহ্ হতে পারেনা। হাদীস কোন সময় লিখিত আকারে ছিলো না। যারা এই সব মশলা মাশায়েল দিচ্ছেস তাদের আর শরীয়তি আলেমদের ভিতর কোন পার্থক্য আছে কি? মানুষের মুখে থেকে কোন ঘটনা শুনলেন রাসুলের মৃত্যুর আড়াই থেকে তিন শত বছর পরে আর সে কথা একই হুবুহু কেউ বলতে পারে না। আপনি নিজেই কোন ঘটনা পরীক্ষা করতে পারেন। কাউকে একটি ছোট গল্প বলেন পারে এটা ব্যাক্তি টু ব্যাক্তি ছড়িয়ে দেন পরে নিজের কানে শুনে দেখবেন আপনার সেই গল্প হুবুহু আছে না পরিবর্তন হয়েছে। যদি পরিবর্তন হয় তাহলে ভাবতে হবে হাদীস আর কোরআনের পর্থক্য। অযথা অনুমান করে কথা বলা'ই হচ্ছে গুনাহর কাজ।

অনুমান যে গুনাহ্ র কাজ এই অনুমান সম্বন্ধে সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলে
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।


আল-হাদীস আর জাল হাদীস কোনটায় কোনআন সমর্থন করে না। আল্লাহ্ কেবলী তার কিতাবের কথা বলে এবং এও বলে যে এই কোরআনের সংরক্ষ সে নিজেই। আর হাদীস (মুখে মুখে চার শত বছর ধরে ছিলো) মানুষের লিখা এর সংরক্ষ সয়ং মানুষ নিজেই।
১। আল্লাহ্ কোরআনের সূরা কাহফ ১৮:২৭ আয়াতে বলেনঃ
وَاتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِن كِتَابِ رَبِّكَ لَا مُبَدِّلَ لِكَلِمَاتِهِ وَلَن تَجِدَ مِن دُونِهِ مُلْتَحَدًا
অর্থঃ আপনার প্রতি আপনার পালনকর্তার যে, কিতাব প্রত্যাদিষ্ট করা হয়েছে, তা পাঠ করুন। তাঁর বাক্য পরিবর্তন করার কেউ নাই। তাঁকে ব্যতীত আপনি কখনই কোন আশ্রয় স্থল পাবেন না।

২। সূরা ইয়াসিন ৩৬:৬৯ আয়াতঃ
وَمَا عَلَّمْنَاهُ الشِّعْرَ وَمَا يَنبَغِي لَهُ إِنْ هُوَ إِلَّا ذِكْرٌ وَقُرْآنٌ مُّبِينٌ
অর্থঃ আমি রসূলকে (নিজস্ব কথা) কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।
৩। সূরা আনকাবুত ২৯:৪৮ আয়াতঃ
وَمَا كُنتَ تَتْلُو مِن قَبْلِهِ مِن كِتَابٍ وَلَا تَخُطُّهُ بِيَمِينِكَ إِذًا لَّارْتَابَ الْمُبْطِلُونَ
অর্থঃ আপনি তো এর পূর্বে কোন কিতাব পাঠ করেননি এবং স্বীয় দক্ষিণ হস্ত দ্বারা কোন কিতাব লিখেননি। এরূপ হলে মিথ্যাবাদীরা অবশ্যই সন্দেহ পোষণ করত।

লিখার ৩ নং সূরায় আল্লাহ বলছে রাসুল তার নিজ হাতে কিছু লিখেনী। এইরকম কিছু লিখলে মুশরেক, মিথ্যাবাদীরা সন্দেহ পোষন করতো, বা বিতন্ডা করতো। কেন একজন সফল সয়ং সম্পূর্ণ রাসুল তার উম্মতদের জন্য হাদীস লিখলেন না তা ভাবতে হবে। কেনই বা তার চার জন খলিফা এই গুরু দায়ীত্ব পালন করলেন না। তবে কি তারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে! নাকি হাদীস লিখা তাদের জন্য নিষেধ ছিলো? যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে এবং তার বিনিময়ে কিছু অর্থ উপার্জন করে তাদের সম্পর্কেও কোরআন এর
৪। সূরা বাবারা ২:৭৯ আয়াতে বলেছেঃ
فَوَيْلٌ لِّلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَـذَا مِنْ عِندِ اللّهِ لِيَشْتَرُواْ بِهِ ثَمَناً قَلِيلاً فَوَيْلٌ لَّهُم مِّمَّا كَتَبَتْ أَيْدِيهِمْ وَوَيْلٌ لَّهُمْ مِّمَّا يَكْسِبُونَ
অর্থঃ অতএব তাদের জন্যে আফসোস! যারা নিজ হাতে গ্রন্থ লেখে এবং বলে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ-যাতে এর বিনিময়ে সামান্য অর্থ গ্রহণ করতে পারে। অতএব তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের হাতের লেখার জন্য এবং তাদের প্রতি আক্ষেপ, তাদের উপার্জনের জন্যে।

আবার যে হাদীস নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি সেই হাদীস গুলি আজ আমাদের ধর্মে নানা দল ও উপদলে বিভক্ত করেছে। এক এক হাদীস প্রনেতা এক এক মতবাদ সৃষ্টি করেছে। কেউ বলঝে রাসুল এভাবে নামাজ পড়তো, কেউ বলছে না এভাবে নয় ওভাবে পড়তো। এই সব নানান ফেকাহহ্ সৃষ্টি করেছে হাদীস। এই সম্পর্কে কোরআনের
৫। সূরা আন-আম ৬:১৫৯ আয়াতে বলছেঃ
إِنَّ الَّذِينَ فَرَّقُواْ دِينَهُمْ وَكَانُواْ شِيَعًا لَّسْتَ مِنْهُمْ فِي شَيْءٍ إِنَّمَا أَمْرُهُمْ إِلَى اللّهِ ثُمَّ يُنَبِّئُهُم بِمَا كَانُواْ يَفْعَلُونَ
অর্থঃ নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা'আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।

আমাদের কে বুঝতে হবে কোরআন আর হাদীস কখনো এক হতে পারে না। অনেকেই বলবে কোরআন আর হাদীস তো এক নয় আপনি বলছেন কেন। আমি অনেককে বলতে শুনেছি যে কোরআনে অনেক কিছু নাই তায় হাদীস দেখতে হয়! তার মানে আল্লাহ্ কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হলো যে, তার কোরআনে যা নাই হাদীসে তা আছে। কোরআন পড়লেই বোঝা যায় আল্লাহ্ কোরআনের বিধান দিয়ে ফায়সালা করতে বলছে কখনো বলেনী হাদীস দিয়ে ফায়সালা কর।
৫। সূরা মায়েদাহ ৫:৪৭ আয়াতঃ
وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ الإِنجِيلِ بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فِيهِ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَا أَنزَلَ اللّهُ فَأُوْلَـئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ অর্থঃ যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।

৬। সূরা কাহফ ১৮:৫৪ আয়াতঃ
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِن كُلِّ مَثَلٍ وَكَانَ الْإِنسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
অর্থঃনিশ্চয় আমি এ কোরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। মানুষ সব বস্তু থেকে অধিক তর্কপ্রিয়।

হাদীস লিপিবদ্ধ করা রাসুলের বারণ ছিলো নিম্নের হাদীস গুলি দেখি।

হযরত আবু ছাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কোরআন ব্যতীত আমার কোন কথাই লিখিও না। আর কোরআন ব্যতীত আমার নিকট থেকে অন্য কিছু লিখে থাকলে, তা যেন মুছে ফেলা হয়।” [ দ্র: সহিহ্ মুসলিম, আ. ফা. ভুইয়া, ১ম খ. ১ম সংস্করণ, পৃ: ৫১]
শরীয়তি আলেমরা কি সব মুছে ফেলেছে?

আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।
শরীয়তি আলেমরা কি সব নষ্ট করে ফেলেছে
হাদীসটি সম্বন্ধে বিশ্বের সকলেই একমত; আবার বিশ্বের সকলেই (শরীয়ত) হাজারো ফন্দি-ফিকির, কুট-কৌশলে হাদীসটি বাতিল বলে সাব্যস্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন।

আসুন আমরা কোরআনের আলোয় আলোকিত হই। আল্লাহ আমাদের সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করুন----আমেন

উপরের কমেন্ট এর পর লেখক এইচ এম বিশ্বাস আমায় বললেনঃ
প্রথমত: যদি আপনি মুসলমান হয়ে থাকেন তাহলে শরিয়তের ফায়সালা অনুযারী কাফের হয়ে গেছেন। কেননা প্রথমত আপনি কুরআন শরীফ অস্বিকার করেছেন, দ্বিতীয়ত আপনি হাদীছ শরীফ অস্বিকার করেছেন। তৃতীয়ত আপনি ইজমা ক্বিয়াস অস্বিকার করেছেন।

এবার আসনে মূল আলোচনায়--- আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেছেন, আমার হাবীব অর্থাত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা নিয়ে এসেছে তা আকড়ে ধর।
আবার অপর আয়াত শরীফে বলা হয়েছে, তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট।
তাহলে এখন বলেন,,,হাদীছ শরীফ কী????

দ্বিতীয়ত: আপনি যদি মুসলমান হন আর নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন, হজ্ব করেন, যাকাত দেন ইত্যাদি তাহলে এই তর্য তরীকা গুলো কোথায় পেলেন?????? এগুলো কিভাবে আদায় করতে হবে কুরআন শরীফ এর কোথাও তা লেখা দেখাতে পারবেন??/ কখনোই পারবেন না। তাহলে আপনাকে হাদীছ শরীফ দেখতে হবে আর হাদীছে না পেলে ইজমা ক্বিয়াস দেখতে হবে??????????

আবার আপনি বলেছেন, যে সব কথা গুলি আমি আপনি বোখারীরা শুনেছে সকলেই মানুষের মুখে থেকে শুনেছে। কত দিন পরে জানেন? রাসুলের মৃত্যুর আড়াই থেকে তিন শত বছর পরে। সব শরীয়তি আলমরা যে ভাবে হাদীসের বর্ণনা করেছে তাতে করে মনে হয়েছে উনি যেন চোখে দেখেছেন। অনুমান করে কোন কথা বলা সহীহ্ হতে পারেনা। হাদীস কোন সময় লিখিত আকারে ছিলো না

এটার দ্বারা আপনার মূর্খতা স্পষ্ট প্রকাশ পেল। কেননা, ছাহাবায়ে কিরামগন কখনো মিথ্যা কথা বলেন নি। উনাদের ব্যাপারে আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেছেন, উনাদের প্রতি আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট আবার উনারাও আল্লাহ পাকের প্রতি সন্তুষ্ট।
যদি উনাদের প্রতি আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন তাহলে উনারা মিথ্যা কথা বলেন কিভাবে???????
আর বেশি কিছু বললাম না । ভন্ডামি ছেড়ে ভাল হয়ে যান। আপনার মাথায় গোবর, কুত্তার গু ভরা আপনার কোন কিছু মনে থাকবেনা এটাই সাভাবিক।


আমি সেলিম জাহাঙ্গীর তাকে আবার দ্বিতীয় কমেন্ট করলামঃ

১। (ক) আপনি কি ওহাবী মতবাদের লোক? আপনারা কেবল মানুষকে বলে থাকেন কাফের। আপনি ইসলাম ধর্মের মানুষ এত উগ্র কেন; আপনার এত রাগ থাকবে কেন। আপনার লিখায় আমি সমালোচনা করতেই পারি। আপনি আমাকে সেটা আপনার যুক্তি দিয়ে বোঝাবেন। ইসলাম মানে শান্তি। আমারতো আপনাকে শান্তির ধর্মের লোক মনে হয় না। কেন মনে হয় না।?
২। আপনি বলেছেনঃ ভন্ডামি ছেড়ে ভাল হয়ে যান। আপনার মাথায় গোবর, কুত্তার গু ভরা আপনার কোন কিছু মনে থাকবেনা এটাই সাভাবিক।

(খ) আমার আচরনে ভন্ডমী পাওয়া গেছে নাকি আপনার আচরণে? আমি শান্তির ধর্মের মানুষ বলেই খুব শান্ত ভাবে আপনার সাথে কথা বলছি আর আপনি গালি গালাজ করে চলেছেন। কিন্তু কেন? ইসলাম আপনাকে এই শিক্ষা দেয়?

৩। আপনি বলেছেনঃ দ্বিতীয়ত: আপনি যদি মুসলমান হন আর নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন, হজ্ব করেন, যাকাত দেন ইত্যাদি তাহলে এই তর্য তরীকা গুলো কোথায় পেলেন?????? এগুলো কিভাবে আদায় করতে হবে কুরআন শরীফ এর কোথাও তা লেখা দেখাতে পারবেন??/ কখনোই পারবেন না। তাহলে আপনাকে হাদীছ শরীফ দেখতে হবে আর হাদীছে না পেলে ইজমা ক্বিয়াস দেখতে হবে??????????

(গ) কোরআনের কোথাও দেখাতে পারবো বলে আপনি কি কোরআন কে বড় করলেন? নাকি কোরআন কে ছোট করলেন? কোরআন কি আপনার কথা মত অপূর্ণাঙ্গ কিতাব? কোরআনে যা নাই তা আপনাকে কে মানতে বলেছে, আল্লাহ্?

আপনার কথা অনুযায়ী বোঝা যাচ্ছে কোরআন ও হাদীস আমি জানিনা। আমি কিন্তু আমার লিখায় প্রতিটা প্রশ্ন করেছি। তার উত্তর না দিয়ে কেমন যেন পাস কাটিয়ে গেছেন। আমি হাদীস কোরআন নিয়ে যা জানতে চেয়েছি সেই উত্তর টা আপনার দেওয়া উচিত ছিলো।

নামাজ কিভাবে পড়বেন
হাদীস না মানলে আপনি নামাজ পড়বেন কেমন করে এটা শুনুন। আপনাকে একটি প্রশ্ন করি। রাসুলে মৃত্যুর তিন থেকে সাড়ে তিন শত বছর পরে শুরু হয়েছে হাদীস সংগ্রহের কাজ। তাহলে হাদীস লিখার পূর্বে এই সব মানুষ গুলি কি পড়তো, কি ভাবে নামায আদায় করতো? আসলে তারা নামাজ আদায় করতো বংশপরম্পরায় অনুসরন করে। আপনিও অনুরসন করে নামাজ আদায় করা শিখেছেন। হয়তো বাবার কাছে নয়তো মসদিজের ঈমামের পিছনে দাড়ীয়ে অনুকরন করে। কেউ নামাজ শিখতে হাদীস পড়েনা।

৪।পৃথিবীতে এত নবী রাসুল আসলো কেবল মুহাম্মাদের উম্মতদের বেলায় হাদীস দরকার হলো?
ক। ঈশা (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
খ।ইব্রাহীম (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
গ। ইসমাইল (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ঘ। ঈশাহাক (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ঙ। ইদ্রীশ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
চ। ইয়াকুব (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?
ছ। ইউসুফ (আঃ) এর উম্মতদের হাদীস গ্রন্থের নাম কি?

বললে অনেক বলা হবে, তবে এই রকম অনেক নবী রাসুল পৃথিবী থেকে বিদায় নিলো তাদের উম্মত গুলি কিসের ভিত্তিতে ইবাদত করলো বা চললো। তোর মায়ের কসম সত্য বলবি। আমি কোরআন মানি, তার মানে আল্লাহকে মানি। আমি যদি কোরআন মানি তাহলে এমনিতেয় রাসুলকে মানা হয়ে যায়। কেন? এই কোরআনের বানী পৃথিবীতে রাসুলের মাধ্যমে সাহাবাদের দ্বারা বিভিন্ন গাছের বাকলে, চামড়ায়,পাতায় ও হাড় লিপিবদ্ধ হয়েছে। আমার ধারনা আপনি আমার কমেনট ঠিক মত পড়েননী । আমি কোরআন ও হাদীস নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেছি তার জবাব আপনার জানা থাকলে দেওয়া উচিত আর না জানলে আপনার বলা উচিত আমি এগুলি জানি না।
এবার হাদীস কোরআনের কথা বলছেন তা পড়েছি বইকি এগুলির নাড়ি নক্ষত্র জানি বলে এই বিষয়টি নিয়ে বলেছি। হাদীস না মানলে ধর্ম যাবে এমন কথা কেন আসবে। প্লিজ দয়া করে হাদীস সংগ্রহের ইতিহাস পড়েন, আরবের ইতিহাস পড়েন। দেখুন কিভাবে হাদীসের উতপত্তি হয়েছে। পৃথিবীতে সকল নবী রাসুল ইবাদত করেছে এবং তার সাহাবা ও উম্মত রেখে গেছে তারাও আল্লাহকে ডাকতো ইবাদত করতো; কিন্তু কিসের ভিত্তিতে করতো? তাদেরতো হাদীস গ্রন্থ নাই। তাহলেকি তারা আমাদের চেয়ে বেশী বুদ্ধিমান ছিলো। আমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসাবে কেনই কোরআন ব্যাতিরেখে হাদীস ছাড়া চলতে পারলাম না। যে হাদীস গুলি বেশীর ভাগই গল্প, জাল সেই জাল হাদীস নিয়ে চলতে হবে কোরআন বাদ দিয়ে? ধর্মে নানান ফেকাহ্ এসেছে এই হাদীস থেকে। হাদীস বলছেঃ

হাদীস
১। নামাজরত কোনো পুরুষের সামনে থেকে যদি কোনো গাধা, কালো কুকুর অথবা কোনো নারী অতিক্রম করে তবে তার নামাজ বরবাদ হবে।
হাদীস সূত্রঃ (বোখারী (আরবি)- ৪/১০২; হাম্বাল (আরবি)- ৪/৮৬; ৩/৬১)

কোরাআন

অতঃপর প্রতিপালক তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বলেন, নারী হোক কি পুরুষই হোক! আমি কারো কর্মফল বিনষ্ট করি না। তোমরা একে অন্যের সমান । [ইমরান- ৩:১৯৫ আয়াত]

আবু আইউব আনছারী (রাঃ) বর্ণনা করেছেন: রাসুলুল্লাহ (সাঃ)
বলেছেন, মল-মুত্র ত্যাগের সময় কেউ কেবলামুখী বসবে না।
কেবলার দিকে পিঠও দিবে না, পূর্ব বা পশ্চিম মুখী বসবে না।
[দ্রঃ বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক; হাদিছ নং-১১৪, পৃ: ১২৫;
হামিদিয়া লাইব্রেরী]

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, লোকেরা
বলে, যখন তুমি পেশাব-পায়খানায় বসবে, তখন তুমি কিবলার
দিকে কিংবা বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করবে না। আমি
একদিন আমাদের ঘরের ছাদে উঠে দেখলাম রাসুলুল্লাহ (সাঃ) দু’টি
ইটের ওপর বসে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে পায়খানা-
পেশাবের জন্য বসে আছেন।
[ দ্রঃ বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক; হাদিছ নং-১১৫, পৃ: ১২৫; হামিদিয়া লাইব্রেরী।]

এইসব নির্লজ্জ কথা গুলি মানতে হবে???

(ক) কোরআন বাদে আমিকি হাদীস দিয়ে ফায়সালা করবো?
(খ) কোরআন বাদে আমরা কি হাদীস দিয়ে ফায়সালা করছি না?
(গ) আমরা কি তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের নামে বেশীর ভাগ'ই
হাদীসের বয়ান করছি না?
কোরআনের পাশে হাদীসকে জুড়তে গিয়ে আলেমরা অনেক মতবাদ সৃষ্টি করেছে, তর্ক সৃষ্টি করেছে। সাড়ে তিন থেকে চার শত বছর মানুষের মুখে মুখে ধরে রাখা কথা যে রুপ কথার গল্প হতে পারে যা কেবলী আন্দাজ আর অনুমানের ভিত্তি ছাড়া বিশ্বাসের কোন পথ নাই। এই সম্পর্কেও কোরআনে আল্লাহ্

৫। সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে বলেছেনঃ
وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ
অর্থঃ বস্তুতঃ তাদের অধিকাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানের উপর চলে, অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যের বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জানেন, তারা যা কিছু করে।
(ক) আমরা আজ যে হাদীস পড়ছি তা কি আন্দাজের উপর নয়?
(খ) হাদীস কি কখনো পৃথিবীতে লিখিত আকারে ছিলো, যে ভাবে
কোরআন ছিলো?

আল্লাহ্ বলছেন মুহম্মাদ যদি আমার নামে নিজে কিছু রচনা করতো তবে অবশ্যই তার ডান হাত পাকড়াও করে তার জীবন ধমনী কেটে ফেলতাম। তবে মুহাম্মাদ (সাঃ) কোরআনে কিছু লিখেনী। কিন্তু হাদীসের লিখা গুলিকি ধর্মে নতুন ভাবে প্রবেশ করেনি? হাদীসের লিখা ধর্মে কোরআনের আয়াতের পাশে প্রবেশ করেছে। এর পরেও মতবাদ করি পাক কালামের সাথে। আমরা কোরআন বাদে হাদীস নিয়ে নানান মতবিরোধ করছি। হাদীস লিপিবদ্ধ করা রাসুলের বারণ ছিলো নিম্নের হাদীস গুলি দেখি।

৬। হযরত আবু ছাইদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন যে, কোরআন ব্যতীত আমার কোন কথাই লিখিও না। আর কোরআন ব্যতীত আমার নিকট থেকে অন্য কিছু লিখে থাকলে, তা যেন মুছে ফেলা হয়।” [ দ্র: সহিহ্ মুসলিম, আ. ফা. ভুইয়া, ১ম খ. ১ম সংস্করণ, পৃ: ৫১]
শরীয়তি আলেমরা কি সব মুছে ফেলেছে?

৭।আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।
শরীয়তি আলেমরা কি সব নষ্ট করে ফেলেছে
হাদীসটি সম্বন্ধে বিশ্বের সকলেই একমত; আবার বিশ্বের সকলেই (শরীয়ত) হাজারো ফন্দি-ফিকির, কুট-কৌশলে হাদীসটি বাতিল বলে সাব্যস্ত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন।

হাদিছ সংকলনে খোলাফায়ে রাশেদ্বীনের ভূমিকা


হযরত আবুবকর
প্রথম খলিফা হযরত আবুবকর ছিদ্দীক (রা) নিজে পাঁচ শত হাদিছের
এক সংকলন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু জীবনের শেষ ভাগে তিনি নিজেই তা বিনষ্ট করে ফেলেন (জ্বালিয়ে ফেলেন)। এর কারণ স্বরূপ মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে, হাদিছসমূহ সংকলন করার পর তিনি মোটেই স্বস্তিলাভ করতে পারেননি। তার মনে কয়েক প্রকার ভয়ের সঞ্চার হয়। তিনি এজন্য ভাবিত হয়ে পড়েন যে, তাঁর সংকলিত হাদিছ সমূহের মধ্যে একটি কথাএকটি শব্দও যদি রাছুল করিমের মূল বাণীর বিন্দুমাত্রও বিপরীত হয়ে পড়ে, তা হলে রাছুলের কঠোর সতর্কবাণী অনুযায়ী তাকে জাহান্নামের ইন্ধন হতে হবে।
দ্বিতীয়ত তার মনে এই ভয়ও জাগ্রত হল যে, তার সংকলিত হাদিছ
গ্রন্থকে মুসলিম জনগণ যদি কোরানের সমতুল্য মর্যাদা দিয়ে বসে কিংবা অন্যান্য ছাহাবীদের বর্ণিত ও সংকলিত হাদিছ অপেক্ষা অধিক মর্যাদা দিতে শুরু করে, তা হলেও মুসলমানদের পক্ষে বিশেষ ক্ষতির কারণ হইবে। তার ফলে হাদিছ সংকলনের ক্ষেত্রে ব্যাপক কাজ ও অগ্রগতি ব্যাহত হতে পারে। এই সব চিন্তার ফলেই তিনি তা নষ্ট করে ফেলেন। ব্যাপারটিকে আমরা যতই গভীর ও সূক্ষ্ম দৃষ্টিতে বিচার করে দেখি না কেন, একে একটি বিশেষ মনস্তাত্ত্বিক ও মানসিক অবস্থার পরিণাম বলা ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না-।”

হযরত ওমর ফারূক
হযরত ওমর ফারূক (রা)-এর সময়ই সরকারি পর্যায়ে বিচ্ছিনড়ব হাদিছ সম্পদ সংকলন ও লিপিবদ্ধ করা হয় এবং সু-সংবদ্ধ করে নেয়ার প্রশ্ন সর্বপ্রথম উত্থাপিত হয়। হযরত ওমর (রা) নিজেই এই বিরাট কাজ সম্পন্ন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এবং এ সম্পর্কে অন্যান্য ছাহাবীর সঙ্গে পরামর্শও করেছিলেন। মুসলমানরা তাঁকে এর অনুকূলেই পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাঁর নিজের মনেই এই সম্পর্কে দ্বিধা ও সন্দেহের উদ্রেক হয় যে, এটা করা সমীচীন হবে কিনা! তিনি প্রায় একমাস কাল পর্যন্ত অনেক চিন্তা-ভাবনা ও ইস্তেখারা করতে থাকেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই একদিন বললেন: ‘আমি তোমাদের নিকট হাদিছ লিপিবদ্ধ ও সংকলিত করার কথা বলেছিলাম, একথা তোমরা জান। কিন্তু পরে মনে হল তোমাদের পূর্বের আহ্লে কেতাব লোকেরাও এমনিভাবে নবির কথা সংকলিত করেছিল, ফলে তাঁরা তাই আঁকড়ে ধরল এবং আল্লাহর কিতাব
পরিত্যাগ করল। আল্লাহর শপথ, আমি আল্লাহর কিতাবের সাথে অন্য কিছুই মিশ্রিত করব না।’ অতঃপর তিনি হাদিছ সংকলিত করবার সংকল্প ত্যাগ করেন-।”

হযরত ওসমান
হযরত ওসমান [রা] নিজে হাদিছ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু খুব অল্প সংখ্যক হাদিছই তার নিকট হইতে বর্ণিত হয়েছে। এর কারণ প্রদর্শন সম্বন্ধে তিনি নিজেই বলেছেন: ‘রাছুলের ছাহাবীদের মধ্যে রাছুলের অধিক হাদিছ সংরক্ষণকারী আমি নই; এই কারণটি আমাকে রাছুলের হাদিছ বর্ণনা করা হতে বিরত রাখে নি। বরং হাদিছ বর্ণনা হতে বিরত থাকার কারণ এই যে, আমি নিজেই রাছুল করীমকে [সা] এই কথা বলতে শুনেছি বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, রাছুল যা বলেননি তা যদি কেউ তার উপরে আরোপ করে তবে সে যেন জাহানড়বামে তাঁর আশ্রয় খুঁজে নেয়।’ হযরত ওসমান অল্প কয়েকটি হাদিছ বর্ণনা করা ছাড়া অপর কোনো বৃহত্তর খিদমত করেছেন বলে কোথাও উল্লেখ পাওয়া যায় না।

হযরত আলী
যে কয়জন ছাহাবী নিজেদের হাতে রাছুলের নিকট শ্রুত হাদিছ লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন, হযরত আলী [রা] তাঁহাদের অন্যতম। তিনি কোরানের ব্যাখ্যা ও বিশে−ষণ সম্পর্কে কয়েকটি হাদিছ রাছুলের নিকট হতে শ্রবণ করে লিখেছিলেন। - একে ভাঁজ করে তিনি তাঁর তলোয়ারের খাপের মধ্যে রেখে দিয়েছিলেন। এতে ব্যবহারিক কাজ-কর্ম সংক্রান্ত হুকুম আহকামের কয়েকটি হাদিছ লিখিত ছিল। (সূত্র-হাদিছ সংকলনের ইতিহাস; মু: আ: রহিম; ১ম সংস্করণ, সলামিক ফাউন্ডেশন; ৬ষ্ঠ প্রকাশ, পৃ: ২৯০-৩০০, খায়রূন প্রকাশনী;, পৃ: ২৯০ ও কোরান বনাম শরিয়ত

এইচ এম বিশ্বাস বলেছেনঃ
এটার দ্বারা আপনার মূর্খতা স্পষ্ট প্রকাশ পেল। কেননা, ছাহাবায়ে কিরামগন কখনো মিথ্যা কথা বলেন নি। উনাদের ব্যাপারে আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেছেন, উনাদের প্রতি আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট আবার উনারাও আল্লাহ পাকের প্রতি সন্তুষ্ট।
যদি উনাদের প্রতি আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট হয়ে থাকেন তাহলে উনারা মিথ্যা কথা বলেন কিভাবে???????


সেলিম জাহাঙ্গীর
৮। (ক) সাহাবায়ে কেরামগণ মিথ্যা কথা বলেছেন কি বলেননি এটা আপনি কিভাবে বিচার কররেন?
(খ) আপনি বলেছেন উনাদের ব্যাপারে আল্লাহ পাক কোরআন শরীফে বলেছেন। কিন্তু কোরআনে কি বলেছেন এবং কোন জায়গায় বলেছেন সেটা অবশ্য কোরআন থেকে দেখাবে সূরা ও আয়াত। তোর ধর্মের কসম।
(গ) উনাদের প্রতি আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট আবার উনারাও আল্লাহ পাকের প্রতি সন্তুষ্ট। এটা কোন জায়গায় আছে অবশ্য দেখাবেন।

এইচ এম বিশ্বাস আপনি কাঙ্গাল মুরশিদ এর কমেন্ট মুছে ফেলেছেন কেন?

আপনার কাছে প্রশ্ন
১. আপনি কোরআন কতটুকু পড়েছেন?
২. কোরআন কিভাবে পড়েছেন?
৩. নাসেখ-মানসুখ বোঝেন?
৪. কোন তাফসির পড়েছেন?
৫. হাদীস সংকলনের ইতিহাস জানেন?
৬. হাদীসের প্রয়োজন কেন হল জানেন?
৭. হুকম শরীয়া বোঝেন?
৮. কারীনা বোঝেন?
৯. সহীহ, জয়ীফ, হাসান, জাল হাদীসের পার্থক্য বোঝেন?
১০. মুস্তাহিদ চেনেন? মুস্তাহিদ হতে হলে কি কি গুনাবলী থাকতে হয় জানেন?

আল্লাহ কোরআনের সূরা আন আম ৬: ১৪৮ আয়াবে বলেছেনঃ
سَيَقُولُ الَّذِينَ أَشْرَكُواْ لَوْ شَاء اللّهُ مَا أَشْرَكْنَا وَلاَ آبَاؤُنَا وَلاَ حَرَّمْنَا مِن شَيْءٍ كَذَلِكَ كَذَّبَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِم حَتَّى ذَاقُواْ بَأْسَنَا قُلْ هَلْ عِندَكُم مِّنْ عِلْمٍ فَتُخْرِجُوهُ لَنَا إِن تَتَّبِعُونَ إِلاَّ الظَّنَّ وَإِنْ أَنتُمْ إَلاَّ تَخْرُصُونَ
অর্থঃ এখন মুশরেকরা বলবেঃ যদি আল্লাহ ইচ্ছা করতেন, তবে না আমরা শিরক করতাম, না আমাদের বাপ দাদারা এবং না আমরা কোন বস্তুকে হারাম করতাম। এমনিভাবে তাদের পূর্ববর্তীরা মিথ্যারোপ করেছে, এমন কি তারা আমার শাস্তি আস্বাদন করেছে। আপনি বলুনঃ তোমাদের কাছে কি কোন প্রমাণ আছে যা আমাদেরকে দেখাতে পার। তোমরা শুধুমাত্র আন্দাজের অনুসরণ কর এবং তোমরা শুধু অনুমান করে কথা বল।
অনুমানের চর্চা না করে কোরআনের সঠিক চর্চা করুন। আল্লাহ্ যেন সকলকে কোরআন বুঝে পড়ার তৌফিক দান করেন---আমেন
১০৪টি মন্তব্য ৫১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×