নাজিবুললাহ্ এখন সেলিম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। কেন? সে আমার সাথে একটি বিষয় নিয়ে লিখার জবাব, পাল্টা জবাব দেওয়া নেওয়া চলছিলো। কিন্তু সে যখন আমার প্রশ্নে জবাব দিতে পারছে না তখন রাগে আমার বিরুদ্ধে গালাগালি করে উল্টা-পাল্টা বলে বেড়াচ্ছে ব্লগের বিভিন্ন লেখায়। আমি তাকে পর পর কয়েটি কমেন্ট করেছি সে কোন উত্তর দেয় না খালি আমাকে ইহুদী, খ্রীষ্টান কাফের বলে গালাগালি করে। পাঠক বন্ধুরা আমার এই কমেন্ট কটা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
সেলিম জাহাঙ্গীর
কমেন্ট ১। নাজিবুললাহ আপনার প্রশ্নের উত্তর আমি কটা দিয়েছি আর আপনি কটা দিয়েছেন সেটা বাইরের কাউকে দিয়ে একবার দেখিয়ে বিচার করুন। আপনার মিথ্যার বেসাথি খুলে যাবে।
নাজিবুললাহ, আপনি বলেছেনঃ কোরআনের চারশত ত দূরের কথা একটি আয়াতও নষ্ট হয় নি।
আমি সেলিম জাহাঙ্গীর কোরআনরে আয়াত নষ্টের কথা বলিনাই । কোরআন সংকলনের ইতহাস যা বলে আমি সেইটা আপনাকে বলেছি। এটা কোরআন গবেষকদের কথা; সেটাকি বলা আমার দোষের? আর ধর্ম কখনো একটি জাতীর জন্য নয় সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য। যারা ইবাদত করে তাদের প্রতি যেমন আল্লাহর দৃষ্টি আছে ঠিক যারা ইবাদত করেনা তাদের প্রতিও আল্লাহর দৃষ্টি আছে। যদি বেনামাজীদের প্রতি আল্লাহর দৃষ্টি না থাকতো তাহলে তারা ভষ্ম হয়ে যেত। আরব আল্লাহর রহমতের দেশ, আর ভারত মূর্তী পূজারকদের দেশ; সেই দিক দিয়ে আল্লাহর রহমতের দৃষ্টি ভারতে থাকার কথা নয়। এবার দেখুন আরবের অনেক জায়গায় এখনো বৃষ্টি হয় না। আর ভারতের সব জায়গায় বৃষ্টি হয়। তাহলে বুঝরেন আল্লাহর রহমত বা কৃপা কার প্রতি কিষের কারনে থাকে? হুদায় অন্য ধর্মের লোকদের গালান কেন? কোরআন বলছে আহলি কিতাব ধারীরা সকলে মুসলমান, তাদের যে কোন মেয়ে কে বিবাহ করলে তাদের ধর্মান্তরিত হতে হবে না। নাজিবুললাহ্ পারলে জবাব দেন নয়তো অযথা ভন্ড ইয়াজিদের লেবাস খুলে ফেলুন। ওহাবীদের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করে জান্নাত মিলবে না। এর জন্য নিজেকে মুসলমান হতে হবে। আপনার দোহায় মুসলমান না হয়ে খবরদার মৃত্যু বরণ করেন না। প্লিজ পারলে আগের উত্তর গুলি দিয়েন আর না পারলে নাকে খত দেবার দরকার নেই; কেবল আল্লাহর কাছে ক্ষামা চায়বেন। আমিও আপনার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রর্থণা করি। আল্লাহ যেন আপনাকে ক্ষমা করে দেন---আমেন
নাজিবুললাহ আমাকে বললেনঃ আরে আবাল পোষ্ট করেছেন আপনি তো সকল জবাব দিতে বাধ্য কে ? পোষ্ট লিখক নাকি পাঠক ? আপনি কোরআন বিকৃতির গাজাখোরী গল্প ফাদবেন আর আপনাকে পাবলিক প্রশ্ন করতে পারবে না ? আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবার অধিকার পরের ব্যাপার। যেহেতু আপনি পোষ্ট দাতা তাই আগে আপনাকে আপনার সকল কথাকে প্রমান করতে হবে। পাবলিক যত প্রশ্ন করবে সবগুলোর উত্তর দিতে আপনি বাধ্য। যদিও আমি আপনার সকল প্রশ্নেরই উত্তর দিব তবে সেটা হবে পর্যায়ক্রমে। আমরা প্রতিটা প্রশ্নে উত্তরের ভিত্তি হবে আমার করা প্রশ্নের মিমাংশার উপর। আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যার্থ হলে আপনার কোন অধিকার নেই আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করার। আমি বার বার একটি কথা বলতেছি হযরত মুহাম্মদ (স (আপনি এই নামটি উচ্চারণ করার সময় একবারও সম্মান দেখিয়ে (স বলেন নি, তাই আপনিও আমার কাছে সম্মান পাবার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছেন) এর পূর্ববর্তি ধর্ম বাতিল হয়েছে কিনা সেটা সহ ধর্মের সকল মিমাংশা হবে এক মাত্র একটি প্রশ্নে মিমাংশার উপর। তা হল কুরআন বিকৃত হয়েছে কিনা। যে কুরআন বিকৃত হয়ে গিয়েছে, যে কোরআন থেকে ৪০০ আয়াত মুছে গিয়েছে সে কুরআন দিয়ে আপনার ধর্মের সত্যতা আপনি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন কোন যুক্তিতে। যদি কোরআন অবিকৃত না থাকে তবে বর্তমান কোরআনের একটি আয়াতেরও কানাকড়ি মূল্য নেই দেড়শ কোটি মুসলিমের কাছে। যেমন তাওরাত, ইঞ্জিল, যাবুর সহ সকল কিতাব ও নবী রাসূল দের উপরে মুসলিমগণ পূর্ণ রুপে বিশ্বাস করে থাকলেও বর্তমান তাওরাত ইঞ্জিলের ১% ও মূল্য কোন মুসলিমের কাছে নেই। কেননা এ সকল কিতাবই এখন বিকৃত। কেননা এ কিতাবের কোন কিতাবকেই আল্লাহ পাক সংরক্ষণের ওয়াদা করেন নি। করেছেন একমাত্র কোরআনের ক্ষেত্রেই। তাই মুসলিমগণ উক্ত দুটি আয়াতের উপরে যেমন বিশ্বাস রাখে যে, কোরআনের চারশ আয়াত তো দূরের কথা একটি আয়াতও নষ্ট হয় নি। তাই আগে আমাদের নিকট ইসলাম বিরোধী ইহুদী-খৃষ্টান রচিত কোরআন বিকৃতির পাতিহাসের মিমাংশা কারার গুরুত্ব সর্ব প্রথম। এর পরে বাকী সকল আলোচনা।
কোরআন বিকৃত হয়ে থাকলে কোরআনের এ দুটি আয়াতের ও কোন মূল্য নেই আর ১৪৪টি সূরার একটি আয়াতেরও কোনই কানাকড়ি মূল্য মুসলিমদের নিকটে নেই। তাই আপনি কোরআন দিয়ে আপনার ধর্মের সত্যতা প্রমাণ করতে চাইলে আগে প্রমাণ করুন যে, এ দুটি আয়াতের ঘোষনা মিথ্যা। আপনি রাসূলের কথা কে বিশ্বাস করেন না, সাহাবাদের কথাকে বিশ্বাস করেন না, যেই সাহাবাদের সততা ও ন্যায় পরায়নতার সাক্ষ স্বয়ং আপনার ধর্ম গ্রন্থ তাওরাতেও ছিল, যা আমাদেরকে কুরআন ই জানাচ্ছে : " মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল। তাহার সাহাবাগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাহাদরেকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখিবে। তাহাদের লক্ষণ তাহাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাবে পরিস্ফুটিত থাকিবে; তাওরাতে তাহাদের বর্ণনা এইরুপ এবং ইঞ্জিলেও তাহাদের বর্ণনা এইরূপই। তাহাদরে দৃষ্টান্ত একটি চারাগাছ, যাহা হইতে নির্গত হয় কিশলয়, অত:পর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাড়ায় দৃঢ়ভাবে যাহা চাষীর জন্য আনন্দায়ক। এইভাবে আল্লাহ মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। (সূরা ফাতহ - আয়াত : ২৯)"
আপনি এই সাহাবাদের কে বিশ্বাস করেন না, আপনি আসছেন কোন অজপারার কোন পাতিহাস গবেষক কোন কোন শিয়াদের কোন কোন মিথ্যা হাদীস দিয়ে কোরআনের ৪০০ আয়াত নষ্টের কোন ঠাকুর মার ঝুলি বানিয়েছে সে বিষয় নিয়ে। আপনার কোরআনে বিশ্বাস নেই, রাসূল এর কথায় বিশ্বাস নেই, সাহাবাদের কথায় বিশ্বাস নেই বিশ্বাস আছে ঐ সকল পাতিহাসের দলের উপর। জ্ঞাণীদের জন্য ইশারাই যথেষ্ট। এত কথা বলার প্রয়োজন ছিলনা। আর আপনি ব্লগে দালল গিরী করে দু চার টা পয়সা কামতে চাইলে আরেকটু পড়াশোনা কইরেন। তা না হলেতো সবসময় এমন লুঙ্গি খুলে দৌড়াতেই হবে। আরবী ভাষাটা একটু শিখার চেষ্টা কইরেন। ইসলাম অর্থ কি সেটা এখনই একটু শিখে নিয়েন আপনার গুরু দের কাছ থেকে। আপনার গুরুরা তো লন্ডনে মাদ্রাসা পর্যন্ত তৈরী করেছে। আপনাদের মত কুরআনের স্কলার্স তৈরী করার জন্য। যারা কোরআন বিকৃতির কাহিনী শুনাবে মিডিয়ায় মিডিয়ায়। কিন্তু তাদের জ্ঞানের দৈণ্যতা যদি এমন করুন হয় তাহলেতো তাদেরকে পয়সা দিয়ে পালাই বৃথা যাবে। আশা করি আপনার প্রভুরা এ ব্যাপারে আরেকটু সজাগ দৃষ্টি রাখবেন। যে কারা কারা তাদের গোলামী করার যোগ্যতা রাখে। আর কারা কারা রাখেনা।
সেলিম জাহাঙ্গীর
কমেন্ট ২। আপনাকে প্রকাশ্যে বাহাসের দাওয়াত দিলাম। আপনি ইসলাম মানেন এবং জানেন তার পরীক্ষা শত শত মানুষের সামনে হবে। দু-চারটা আলেম নিয়েন আপনার সহযোগি হিসাবে; আর আপনার যতসব নথি পত্র আছে সঙ্গে রাইখেন। আমি কেবল খালি,আমার এই শরীরটা সাথে নিবো। কোন নথি সাথে লাগবে না। দেখি কার কত জ্ঞান আছে সেটা মানুষ বলবে। খেয়াল রেখেন নামাজ শিক্ষা বই পড়ে ধর্ম জানা যায় না। পচুর পড়তে হয়। না পড়লে বাহাসে আপনার লেংটি খুলে যাবে। ইসলামী চিন্তাবিদ সেজেছেন মাগার ইসলাম জীবনেও পড়েন নাই। আমি বলি কোরআন গবেষকদের কথা আর উনি বলে আমি নাকি চার শত আয়াত অস্বীকার করছি। যারা গবেষক তারা সকলেই ইসলামী জান্তা,এটা তাদের কথা এটা সেলিমের কথা নয়। সেলিম কোরআন কে ১০০% বিশ্বাস করে। আর পূর্বের কিতাব সম্পর্কে আমার লিখাতেই আছে পড়ে দেখেন। পূর্বের কিতাব সম্পের্কে কোরআনের সাক্ষি যথেষ্ট, তারপরেও ইবনে কাসির, ইবনে তাবারী ইনাদের বক্তব্য দেইখেন। বেশী চিল্লা-ফাল্লা করে জ্ঞান প্রকাশ হয় না। যে জ্ঞানি তার লেখাতেই বোঝা যায়। আর আপনি কেবল বলছেন আগে আপনার উত্তর টা বলেন এটা কেমন কথা আমি লিখেছি আপনি কমেন্ট করেছেন; আমি তার পাল্টা জবাব দিয়েছি। কিন্তু আপনি আর তার জবাব দেন নাই। এই জবাব না দেওয়াটাও একটা নাপারার লক্ষনের প্রথম মনোভাব। ভাই নাজিবুললাহ্ কোরআন আরও মনোযোগ দিয়ে পড়েন। ইসলামরে তেশ মেরে আসছে আপনাদের মত আলেমরা যুগে যুগে থেকে। ধর্মের লেবাস থাকলেই ধার্মীক হওয়া যায় না। ধর্ম অন্তরের ব্যাপর এটা প্রকাশ্যে দেখানো যায় না। আপনার উপরে জুব্বা,মাথায় টুপি আর দাড়ী থাকলেই সে ধার্মীক নয়। ধার্মীক হতে হলে অন্তরে কেবল থাকতে হবে আল্লাহর তাকুয়া; যাকে বলে "হানিফান" । আপনার লিখায় আপনি নিজেই কোরআন বিরুদ্ধ অনেক কথা বলেছেন। এবং বলেই যাচ্ছেন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান । আল্লাহ্ যেন আপনায় ক্ষমা করেন---আমেন
পাঠক নাজিবুললাহ্ এবার আমায় কমেন্ট করলো সেটা তুলে দিলামঃ
খৃষ্টানের গোলাম ব্লগেই কমেন্টের উত্তর দিতে পারে না, আসছে প্রকাশ্য বাহাসের চ্যালেঞ্জ দিতে। ছাগালের বাচ্চা ইবনে কাসির, তাবারির নামই শুনছেন খালি কোনদিন চোখে দেখেন নাই। ইবনে খালদুন, ইবনে কাসির, তাবারী, হাসান আল মাসুদি, আল-মুকাদ্দেসী, ইবনে খাল্লিকান, ইবনে হাজার আসকালানী, ইবনে হাজার হায়শামি, ইবনে নাদিম, যামাখশারী, ইবনে আসির, শায়বানি, ইবনে হিশাম, জালালুদ্দীন সুয়ুতি, শাহ ওয়ালিউল্লাহ,আবুল হাসান আলী নদভী, শিবলি নোমানি সহ যত মুসলিম ঐতিহাসিক যত ইসলামের ইতিহাস লিখেছেন সকল কিছুই কোরআন ও হাদীসের উপর নির্ভর করে এবং সবাই প্রমাণ করেছেন কোরআনের একটি আয়াতও বিকৃত হয়নি, যেভাবে আল্লাহ পাক কোরআন অবতীর্ণ করেছেন হুবহু অবিকল সে রুপই বর্তমান আছে । আর ছাগলের বাচ্চায় কোরআন বিকৃতির পাতিহাস নিয়ে আসছে শিয়াদের রচিত মিথ্যা হাদীসের উপর ভিত্তি করে তার প্রভূ খৃষ্টানদের রচিত ঠাকুর মার ঝুলির পাতিহাস নিয়ে। নিজে হাদীস বিশ্বাস করে না, আবার শিয়াদের মিথ্যা হাদীস দিয়ে প্রমাণ করতে আসছে কোরআন বিকৃত হইছে। ছাগল জানি কোথাকার।
এবার আমি সেলিম জাহাঙ্গীর ৩য় কমেন্টে তার জবাব দিলাম
কমেন্ট ৩। নাজিবুললাহ্ কুকুরের মত ঘেঁউ ঘেঁউ না করে সঠিক পথে আসুন। আপনার লিখাপড়ার যে কত জোর তা দেখতাম। ধর্ম নিয়ে ভন্ডামির দিন শেষ। মানুষ এখন লেখাপড়া করে;সত্য দেরীতে হলেও জানবে। আপনার আচর'ই বলে দিচ্ছে আপনি শান্তির ধর্মের মানুষ মটেও নন। আপনার আদর্শ ইসলাম নয়। খারিজি ও ওহাবী মতবাদ আপনার কাঁধে ভর করেছে। এক কথায় আপনার সভাবে জঙ্গী আচরণ ধর্মের দাওয়াত দেয় না, হিংসাত্বক কথা। আপনাকে আবারো আমি
প্রকাশ্যে বাহাসের দাওয়াত দিলাম। সৎসাহস ও সৎ উদ্দেশ্য থাকলে আওয়াজ দিয়েন, আর না থাকলে এই ব্লগে আমাকে দু-চারটা গালি দিয়ে ইয়াজিদের মতবাদ প্রতিষ্ঠা করুন ও অশেষ ছোয়াব হাসীল করুন। আপনি ইসলাম মানেন এবং জানেন তার পরীক্ষা শত শত মানুষের সামনে হবে। দু-চারটা আলেম নিয়েন আপনার সহযোগি হিসাবে; আর আপনার যতসব নথি পত্র আছে সঙ্গে রাইখেন। আমি কেবল খালি,আমার এই শরীরটা সাথে নিবো। কোন নথি সাথে লাগবে না। দেখি কার কত জ্ঞান আছে সেটা মানুষ বলবে। খালি চিল্লা-চিল্লিা আর চেচামেচি করে জেতা যায় না। খেয়াল রেখেন নামাজ শিক্ষা বই পড়ে ধর্ম জানা যায় না। পচুর পড়তে হয়। না পড়লে বাহাসে আপনার লেংটি খুলে যাবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
নাজিবুললাহ্ এবার আমায় আবারো কমেন্ট করলো
খৃষ্টানের গোলাম ব্লগেই কমেন্টের উত্তর দিতে পারে না, আসছে প্রকাশ্য বাহাসের চ্যালেঞ্জ দিতে। ছাগালের বাচ্চা ইবনে কাসির, তাবারির নামই শুনছেন খালি কোনদিন চোখে দেখেন নাই। ইবনে খালদুন, ইবনে কাসির, তাবারী, হাসান আল মাসুদি, আল-মুকাদ্দেসী, ইবনে খাল্লিকান, ইবনে হাজার আসকালানী, ইবনে হাজার হায়শামি, ইবনে নাদিম, যামাখশারী, ইবনে আসির, শায়বানি, ইবনে হিশাম, জালালুদ্দীন সুয়ুতি, শাহ ওয়ালিউল্লাহ,আবুল হাসান আলী নদভী, শিবলি নোমানি সহ যত মুসলিম ঐতিহাসিক যত ইসলামের ইতিহাস লিখেছেন সকল কিছুই কোরআন ও হাদীসের উপর নির্ভর করে এবং সবাই প্রমাণ করেছেন কোরআনের একটি আয়াতও বিকৃত হয়নি, যেভাবে আল্লাহ পাক কোরআন অবতীর্ণ করেছেন হুবহু অবিকল সে রুপই বর্তমান আছে । আর ছাগলের বাচ্চায় কোরআন বিকৃতির পাতিহাস নিয়ে আসছে শিয়াদের রচিত মিথ্যা হাদীসের উপর ভিত্তি করে তার প্রভূ খৃষ্টানদের রচিত ঠাকুর মার ঝুলির পাতিহাস নিয়ে। নিজে হাদীস বিশ্বাস করে না, আবার শিয়াদের মিথ্যা হাদীস দিয়ে প্রমাণ করতে আসছে কোরআন বিকৃত হইছে। ছাগল জানি কোথাকার
কোরআন বিকৃত হইছে প্রমাণ না করতে পারলে সামু থেকে গেট আউট হও বাছাধন। তোমার মত ত্রিত্ববাদে বিশ্বাসী খৃষ্টান মুশরেকের সাথে টাইম নষ্ট করার মত টাইম কোন মুসলিমের নেই।
আমি সেলিম জাহাঙ্গীর আবারো তার জবাব দিলাম
কমেন্ট ৪। নাজিবুললাহ্ আমি ইবনে কাসির ও তাবারির কথা বলেছি নিজের জ্ঞান জাহিরী করতে নয়। এরা আহলে কিতাব ও কিতাবধারী ধর্ম গুলি নিয়ে কিছু ভালো কথা বলেছে যা অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য। তিনারা বলেছে আসমানী কোন কিতাব বিকৃত হয় নাই বা পরিবর্তন হয় নাই, কেবল মানুষ সেগুলির তাহরিফের পরিবর্তন করেছে। আর আপনি ইবনে খালদুন, ইবনে কাসির, তাবারী, হাসান আল মাসুদি, আল-মুকাদ্দেসী, ইবনে খাল্লিকান, ইবনে হাজার আসকালানী, ইবনে হাজার হায়শামি, ইবনে নাদিম, যামাখশারী, ইবনে আসির, শায়বানি, ইবনে হিশাম, জালালুদ্দীন সুয়ুতি, শাহ ওয়ালিউল্লাহ,আবুল হাসান আলী নদভী, শিবলি নোমানি এদর নাম বলা শুরু করলেন। আপনি এর আগেও একই কমেন্ট করেছেন আবারো এই কমেন্ট কপি পেস্ট করেছেন। আপনার মাথা সত্যি'ই খারাপ হয়েছে।
নাজিবুললাহ্ বলেছেনঃ খৃষ্টানের গোলাম ব্লগেই কমেন্টের উত্তর দিতে পারে না, আসছে প্রকাশ্য বাহাসের চ্যালেঞ্জ দিতে।
সেলিম জাহাঙ্গীর, আমি বললামঃ আমার মত সৎ সহাস থাকলে না, আপনি আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন। নামাজ শিক্ষা বই পড়ে ধর্ম জেনেছেন; আর জেনেছেন মুয়াবিয়া ও ইয়াজিদ এর অনুসারীদের কাছে বয়ান শুনে। আপনি কি বাহাস করতে পারেন? যদি পারেন আসুন। এত উত্তেজিত হবার কি আছে। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কথা হবে শান্ত-সিষ্ট ভাবে। এত গালাগালি করে খ্রীষ্টিয়ান ইহুদী বলে চিল্লা ফাল্লা করে লাভ কি? আপনার আমার আলোচনা দশেমিলে শুনে রায় দিবে; আপনি জিতলে আমি আপনার গোলায় ফুলের মালা দিবো। আর আমি জিতলে এককাপ আদা চা খাওয়ালে'ই চলবে। ইসলামে এত রাগ আল্লাহ পছন্দ করে না। আমার অনুরোধ আপনি আরবের ইতিহাস পড়বেন, ইরাক-ইরান,ইয়েমেন এই গুলির ইতিহাস জানবেন; তাহলে ইসলাম এর অনেক কিছু জানতে পারবেন। নাজিবুললাহ্ আপনি কোন দেশ কে জানতে চায়লে আগে সেই দেশের ইতিহাস জানতে হয়। ধরুন আপনি চীন দেশ সম্পর্কে জানবেন, কিন্তু কিভাবে জানবেন? ইতিহাস পড়ে নাকি হাদীস পড়ে? চীনাদেরতো কোন হাদীস নাই। আপনি হয়তো বলবেন আরবের ইতিহাস ভুলণ্ঠিত। যদি আরবের ইতিহাস ভুল থাকে তাহলে আপনার ধর্মীয় বাবাদের বলেন সঠিক ইসহাস প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই সংগ্রাম করতে। আমার কথার উত্তর আপনার জানা নাই বিধায় আপনি ঘুরিয়ে একই কমেন্ট দুইবার দিলেন; এটা পাগলামী নাকি স্মৃতিভ্রম? যাই হোক আল্লাহ আপনার সুমতি দান করুন---আমেন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




