জ্বালাউ-পোড়াও হত্যা ও লুটতরাজ করে স্ব-ধর্মের প্রতি ভালো বাসা জাহির করা যায় না, এটা নিতান্ত্যই অনুধাবনের বিষয়। ভালো বাসতে হলে আগে নিজকে চেনো, ধর্মকে জানো তারপর সেই ধর্মকে দেহে লালন করো, তারপর তাকে দেহে ধারন করে পালন করো। কোরআন ও নবী-রাসুল রক্ষার জন্য মরবে অথচ কোরআন মানবে না? এটা একটা মূর্খের মত কাজ বইতোনয়। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। তিনি বলতেন: “আদ-দীন আন-নাসীহা”; অর্থাৎ কল্যাণকামনাই ধর্ম। মানবপ্রেম আর দয়ার আদর্শ প্রচার’ই ছিলো তার মূল লক্ষ্য। তিনি কেবলী বলতেন, “শ্রেষ্ঠ মানুষ ওই ব্যক্তি, যে মানুষের কল্যাণ করে।” আর “প্রকৃত মুসলিম সে-ই, যার হাত ও মুখ থেকে সবাই নিরাপদ”। কোরআন ও রাসুল (সাঃ) যদি তোমার মূল আকিদা হয় তাহলে তাকে দেহে ধারন কর। কিন্তু জামায়াত-শিবিরের আচরণ‘ই বলে দিচ্ছে ধর্মের জন্য তাদের এই লড়াই নয়, তারা কেবল কোন এক স্বার্থের জন্য, সু-দূর প্রসারিত চক্রান্তের জালবুনে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ধ্বংশযজ্ঞ।
ইসলাম মানে শান্তি, রমজান মাসে রাজপথে জামায়াত-শিবিরের আচরণে এমন কোন চিত্র পাওয়া যায়নি। সবখানেই গাড়ী ভাংচুর, বোমাবজি আর অগ্নি সংযোগ, সংযমি দেখা যায়নি কোন খানে; রমজান মাসে এটা কিশের লড়াই? তিনাদের জন্য এগুলো জায়েজ নাকি? এই ইজি বাইক, মিশুক চালকদের উপর জুলুম কেন? এরা আপনাদের স্বার্থের বলি কেন হবে? এর জবাব কি আপনাদের জানা আছে, থাকলে প্লিজ দয়া করে বলবেন। আপনাদের হরতাল মানুষকে জোর করে পাল করাবেন?
জামায়াত-শিবির আসলেই মুহাম্মাদ (স) এর ইসলাম পালন করে, নাকি এরা ইয়াজিদের বংশধর?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




