১৯৭২-১৯৭৫ সালের জামায়াত :
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় অর্জিত হলে পাক বাহিনীর দালাল জামায়াতের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয় এবং রাজাকার ও আলবদর ক্যাডারদের একাংশ আত্মগোপনে চলে যায়। |প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা, যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকা এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ করে। দলীয় কার্যক্রম প্রকাশ্যে বন্ধ থাকলেও জামায়াত এ সময়ে ওয়াজ মাহফিল, তাফসীর মাহফিল, তবলিগ জামাতে সম্পৃক্ত থেকে নিজেদের সংগঠিত করতে থাকে। | এ সময়ে অধ্যাপক গোলাম আযম এবং বিভিন্ন দেশে নির্বাসিত জামায়াতের নেতারা সংঘবদ্ধভাবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দিতে মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম বিশ্বে প্রচার চালাতে থাকে। | জানুয়ারি ১৯৭২ সালে গোলাম আযম পাকিস্তানে অবস্থান করে ‘পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার সপ্তাহ’ পালন করেন। | বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালে গোলাম আযমের নাগরিকত্ব বাতিল করে। | তিনি পাকিস্তান থেকে ১৯৭২ সালে হজ করতে সৌদি আরব যান এবং ডিসেম্বরে রিয়াদে অনুষ্ঠিত ‘মুসলিম যুব সংস্থা’র আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গোলাম আযম পূর্ব পাকিস্তান পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য সারাবিশ্বের মুসলমানদের আহ্বান জানান| । গোলাম আযম ১৯৭২ সালে সৌদি আরব, দুবাই, আবুধাবী, কুয়েত, বৈরুত, লিবিয়া হয়ে ১৯৭৩ সালের এপ্রিলে লন্ডন গমন করেন| । তিনি উল্লেখিত দেশসমূহে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে ছিলেন| । লন্ডনে বসে গোলাম আযম বাংলাদেশ বিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যান| এ সময় তার তত্ত্বাবধানে জামায়াতের মুখপত্র সংগ্রাম পত্রিকা লন্ডন থেকে সাপ্তাহিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। | অন্যদিকে ১৯৭২-এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে গোলাম আযম লন্ডন, মধ্যপ্রাচ্য ও পাকিস্তানে অবস্থান করে ‘পূর্ব পাকিস্তান উদ্ধারে’র নামে বাংলাদেশ বিরোধী তৎপরতায় নিয়োজিত থাকেন। ১৯৭৩ সালের মার্চে লিবিয়ার বেনগাজীতে অনুষ্ঠিত ইসলামী পররাষ্ট্র সম্মেলনে আমিন্ত্রত না হয়েও গোলাম আযম সেখানে উপস্থিত হন এবং স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেওয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যান। | একই বছর জুলাই মাসে গোলাম আযম বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ‘গোলামীর জিঞ্জির’ বলে উল্লেখ করে এর পুনরুদ্ধারের জন্য ইসলামী উম্মাহর সাহায্য কামনা করেন। | ১৯৭৩ এরপর গোলাম আযম মোট ৭ বার সৌদি বাদশাহ ফয়সালের সাথে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি না দেবার অনুরোধ করেন। | সে সময় থেকে সৌদি শাসকদের সাথে জামায়াতের একটি সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।|
আলোচিত ব্লগ
হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!
হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ



ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন
মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন
তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।