somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তারেক-কোকো দেশে ফিরছে!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিএনপি চেয়ারপারসনের বড় ছেলে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ বিদেশে পলাতক থাকা সব আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। ৯ এপ্রিল আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বিদেশে পালিয়ে থাকা বাংলাদেশের আসামিদের ফিরিয়ে এনে বিচারের মাধ্যমে দ- দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে পুনর্গঠিত টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও দপ্তরগুলোর প্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয় বৈঠকে।
সভার দীর্ঘ আলোচনায় টাস্কফোর্সের সদস্যরা পৃথকভাবে বক্তব্য দেন। এ সময় প্রায় সবাই মন্তব্য করেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর প্রয়োজনে খুন, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলায় দ-প্রাপ্ত আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এটি সাধারণ জনগণের দাবি, যা বর্তমান সরকারেরও চ্যালেঞ্জ। বৈঠকে টাস্কফোর্স সদস্যরা বলেন, দ-প্রাপ্ত আসামিদের দেশে ফেরাতে দীর্ঘদিন ধরে নানা উদ্যোগ নিলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা সফল হয়নি। এসব ক্ষেত্রে তীক্ষ্ম দূরদৃষ্টি, কূটনৈতিক লবিয়িংসহ পরিকল্পিত ও প্রয়োজনীয় নানা উদ্যোগ গ্রহণে গাফিলতি ছিল। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল সমন্বিত প্রচেষ্টা।
সভায় সিদ্ধান্ত হয় বিদেশে পলাতক দ-প্রাপ্ত আসামিদের ফিরিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ এখন থেকেই নেওয়া শুরু হলো। যার প্রতিটি পদক্ষেপে নির্দেশনা ও নজরদারির দায়িত্বে থাকবে টাস্কফোর্সের সদস্যরা। সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকারসহ টাস্কফোর্সের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘সভায় যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তা বলতে পারব না। তবে এখন থেকে টাস্কফোর্সের ঘন ঘন সভা হবে; এতে আপনারা যা বোঝার বুঝে নিতে পারেন। এছাড়া টাস্কফোর্সকে আরও গতিশীল করা হচ্ছে, যার ফল দেখতে দেশবাসীকে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।’
তারেক-কোকোকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বাইরে (বিদেশে) যেসব আসামি আছে সবার বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। তারেক রহমানের প্যারোল বাতিল হয়েছে, তিনি এখন পলাতক আসামি। কোকোও পলাতক। তাকে আদালত সাজা দিয়েছে; কিন্তু সে কারাগারের বাইরে আছে। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সে পলাতক।
মন্ত্রী বলেন, তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি। সেই মামলার বিচার চলছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাও রয়েছে। দুর্নীতির মামলায় তার প্যারোল বাতিল করা হয়েছে। কোর্ট তাকে হাজির হতে বলেছে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আগে টাস্কফোর্সের কার্যপরিধিতে শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার বিষয় থাকলেও এখন এর কার্যপরিধি বাড়ানো হচ্ছে।
কানাডায় অবস্থানকারী বঙ্গবন্ধুর খুনের মামলায় ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইনি জটিলতা আছে। কানাডা বলেছে, মৃত্যুদ-প্রাপ্ত কোনো আসামিকে তারা ফেরত পাঠাবে না। তাই তাকে আনা কঠিন হবে। এক্ষেত্রে মৃত্যুদ-াদেশ বাতিল করে আইন পরিবর্তন করা হবে কি নাÑ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মৃত্যুদ-াদেশ বাতিল করে আইন পরিবর্তনের কোনো চিন্তা বর্তমান সরকারের এখনও নেই।
বিদেশে পালিয়ে থাকা বাংলাদেশের আসামিদের ফিরিয়ে এনে বিচারের মাধ্যমে দ- দিতে গত ২৫ মার্চ টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করে সরকার। আইনমন্ত্রীকে সভাপতি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১০ সদস্যের এই টাস্কফোর্স গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দ-প্রাপ্ত কয়েক আসামি বিদেশে লুকিয়ে আছেন। বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার দ-প্রাপ্ত দুই আসামি, যুদ্ধাপরাধ মামলার এক ফাঁসির আসামি (আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার) বিদেশে পালিয়ে আছেন। বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার রায়ে আলবদর নেতা চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
গোয়েন্দা সূত্র মতে, মুঈনুদ্দীন বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আছেন। তিনি সেখানে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মুসলিম স্পিরিচুয়াল কেয়ার প্রভিশনের পরিচালক। অপরদিকে আশরাফুজ্জামান থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে। তিনি সেখানে ইসলামিক সার্কেল অব নর্থ আমেরিকার (আইসিএনএ) শুরা সদস্য। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর ছয় দ-প্রাপ্ত খুনির মধ্যে শরিফুল হক ডালিম, কর্নেল রশীদ (অব.), রিসালদার মুসলেহউদ্দীন ও ক্যাপ্টেন মাজেদ (অব.) বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×