somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সন্ত্রাসীরা সবসময় আন্তর্জাতিক হয়

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে অর্ধশতাধিক জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্বের কথা বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। দেশব্যাপী একযোগে পাঁচ শতাধিক স্থানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২০০৪ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর জনসভায়ও গ্রেনেড হামলা হয়েছে। সারা দেশে এ রকম বহু ঘটনা ঘটিয়েছে জঙ্গিরা। পুলিশি তত্পরতায় সব জঙ্গি নির্মূল হয়েছে কি? নাকি কৌশলগত কারণে আরো বড় ধরনের হামলা পরিচালনার জন্য তারা সংগঠিত হচ্ছে এবং সময় নিচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ শেষোক্ত দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করছে। গতকাল কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, বাংলাদেশসহ চারটি দেশের ২৮টি জঙ্গি সংগঠন জোট গঠন করে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। এই জোটে রয়েছে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী, হুজি, জেএমবিসহ কয়েকটি সংগঠন, পাকিস্তানের জামায়াত আল-পাকিস্তান, কাশ্মীরভিত্তিক সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বা, ভারতের মুজাহিদিন, হরকাতুল জিহাদ-আই, উলফা এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সলিডারিটি ইউনিয়ন (আরএসও) ও আরাকান আর্মি। আপাতত তারা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলকে ভিত্তি করে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সংগ্রহসহ নানা ধরনের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, দুই বছরের মধ্যে তারা বর্তমান সরকারের পতন ঘটানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। অবাক হওয়ার মতো বিষয় হচ্ছে, সেই পরিকল্পনায় ক্ষমতাসীন দলের বৃহত্তর চট্টগ্রাম এলাকার বেশ কিছু নেতা জড়িত রয়েছে বলেও তথ্য পাওয়া যায়। বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন দলে তাদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে।
ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা ইউরোপের আরো কিছু দেশে ইতিমধ্যে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেসব দেশের অতি উন্নত পুলিশ বা গোয়েন্দা বাহিনী তাদের আটকাতে পারেনি। সেখানে আমরা যদি মনে করি, বাংলাদেশে জঙ্গিরা শক্তিহীন হয়ে পড়েছে, তারা আর বড় কোনো হামলা চালাতে পারবে না—তাহলে সেটি শুধু ভুল নয়, আত্মঘাতী ভুল হিসেবে গণ্য হবে। বিশেষ করে যেখানে আইএস, আল-কায়েদার মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের হামলার জন্য ঘোষিত তালিকায়ও বাংলাদেশের নাম রয়ে গেছে। বরং সবচেয়ে খারাপ আশঙ্কাগুলো মাথায় রেখেই তা মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে। এখনো এ ক্ষেত্রে যেসব ঘাটতি দেখা যায়, তা আমাদের শঙ্কাই কেবল বাড়ায়। তার একটি হচ্ছে জঙ্গিবাদে অর্থায়ন। দুই দিন আগেই অর্থমন্ত্রী এক বক্তৃতায় স্বীকার করেছেন, বাংলাদেশে যত চোরাচালান হয়, তার ৮০ শতাংশই থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। আর চোরাচালান থেকে আসা অর্থের বড় অংশই চলে যায় জঙ্গিদের হাতে। এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিং বা এপিজিও মনে করে, বাংলাদেশে মুদ্রাপাচার ঠেকানোর ক্ষেত্রে এখনো অনেক দুর্বলতা রয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে, কিভাবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অহরহ অর্থ আসছে। আর তা দিয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে বৃহত্তর চট্টগ্রামে একের পর এক জঙ্গি আস্তানা তৈরি করা হচ্ছে। জানা যায়, কয়েক দিন আগেই চট্টগ্রাম সফর করে গেছেন পাকিস্তান আইএসআইয়ের কর্নেল মর্যাযদার একজন কর্মকর্তা। ধারণা করা হয়, কয়েক ডজন পাকিস্তানি গুপ্তচর এখনো বাংলাদেশের নানা স্থানে লুকিয়ে ধ্বংসের আয়োজন করে চলেছে। তাই শুধু অস্বীকার নয়, জঙ্গি মোকাবিলায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণই এখন সবচেয়ে জরুরি।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০২
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×