ফাস্ট ফরওয়ার্ড ড্রুকএয়ারের প্লেনে। জীবনের প্রথম প্লেন জার্নি, বেশ উত্তেজিত। উঠেই ড্রুকএয়ারের ভুটান নিয়ে ম্যাগাজিন পড়ে শেষ। এরপর প্লেন উড়বে, গন্তব্য পারো, ভুটানের একমাত্র এয়ারপোর্ট, রাজধানী থিম্ফুর ৮০ কি.মি. এর মত দক্ষিনে। একটা রোলারকোস্টার অনুভূতি নাকি হওয়ার কথা, কিন্তু টের পেলাম না (আশার পথে ছোট রানওয়ের টেক অফে বেশ ভাল করে টের পেয়েছি)। প্রথম দিকে সেই উচুঁতে মিনিস্কেল ঢাকাকে দেখে বেশ ভাল লাগলো। একটু পরেই যদিও এত উঁচুতে উঠে গেলাম যে খালি মেঘ আর মেঘ! প্রথমে মেঘ নিয়ে বেশ এ্যানালাইসিস করলেও একটু পরে বিরক্ত হয়ে খেতে বসে গেলাম। কিছুক্ষন পর হঠাৎ তাকিয়ে দেখি মেঘ থেকে উঁকি দিচ্ছে কালচে-সবুজ কিছু পাহাড়ের চূড়া। তারপর আরো দেখতে থাকলাম বহু দূরে। পাইলট কনফার্ম করলেন যে ওগুলো কাঞ্চনজন্ঘা আর হিমালয়ান রেন্জ।
একটু পরে ঢুকে পড়লাম ভুটানে। পারোর ধারে কাছে এসে পাহাড় আর মেঘ আলাদা হয়ে গেল। প্লেন যেতে শুরু করলো উপত্যকার মাঝখান দিয়ে। পাখা যেন বিশাল উঁচু পাহাড়গুলো ছুঁয়ে গেল বলে! উত্তেজনা, টেনশন আর 'ভয়ংকর সুন্দর' প্রকৃতির এক অসাধারন মিক্স। কি অ্যাডভেঞ্চারই না হবে! সাজেদ ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে দেখি তারও চোখ স্পার্কল করছে।
এই পাহাড়গুলির ফাঁকে ফাঁকেই মানববসতি চোখে পড়ছে, আর বিখ্যাত পাহাড়ের কোলের মোনাস্টেরীগুলো। সবচেয়ে উঁচু যেটা, 'টাইগার'স প' মোনাস্টেরী, সেটা চোখে পড়লো মনে হয়, অনেক অনেক উঁচুতে, একদম শার্প একটা প্রিসিপাইস ধরে।
(অনেকদূর লেখার পর ছবি দিতে গিয়ে গেল লেখা হারিয়ে। এই পার্টটা গায়ের জোরে লিখেছি, পরে আরো ডিটেইল এ্যাড করার ইচ্ছা রইল।)
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




