কামালকে পাত্রীপক্ষ দেখতে এসেছেন।পাত্রী পক্ষ থেকে মোট চার জন এসেছেন।কামালের খুব লজ্জা লাগছে মেহমানদের সামনে যেতে ।
এর আগে কামাল এভাবে কারও সামনে যায়নি। কামালের বয়স মাত্র বিশ বছর।এত অল্প বয়সে মা-বাবা কেন যে ছেলের বিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন সেটা কামাল বুঝতে পারছে না।
কি ব্যাপার এখনও লুঙ্গি পরে বসে আছিস কেন? মেহমানরা এসে বসে আছে তাড়াতাড়ি প্যান্ট-শার্ট পরে নে।
মায়ের কথায় সৎবিৎ ফিরে পায় কামাল। তারপর আলনা থেকে নতুন শার্টটা নিয়ে পরে।
প্যান্ট পরে ইন করে কামাল আয়নার সামনে দাড়ায়।কামালের নিজেকে নিজের কাছে একেবারে খারাপ লাগে না।কামাল ভাবে পাত্রী পক্ষ যদি তাকে পছন্দ করে ফেলেন, তাহলে কি মা-বাবা তার বিয়ে দিয়ে দেবে? কেন যে কামাল ছেলে হয়ে পৃথিবীতে জন্মেছিল বুঝতে পারে না।
কামাল পুরোপুরি রেডি হয়ে ড্রইং রুমে যায়। তিন জন বয়স্ক মহিলা ও এক জনের বয়স কম, এই হয়তো পাত্রী কমাল অনুমান করে।
তারপর মনে-মনে ভাবে, এর সাথে বিয়ে হলে খারাপ হবে না মা-বাবার চয়েজ আছে।
তোমার নাম কি?
ডান দিকের সোফায় বসে থাকা বয়স্ক মহিলা কামালের দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলেন।
কামাল নরম গলায় তার নামটি বলল।
তা কিসে পড়?
এবার বাম দিকের সোফায় বসে থাকা মহিলাটি জিজ্ঞেস করলেন।
ইন্টারমিডিয়েট পড়ছি।
তোমার পায়ের কাপড়টা একটু উচু করতো, এমন কথায় কামাল লজ্জায় পড়ে গেল। বাম সাইডের মহিলাটি বলল, না মানে আজকাল অনেক ছেলেরই আর্সেনিক হচ্ছে তো তাই একটু দেখে নেওয়াই ভাল।ডান পাশের মহিলা কামালের পায়ের কাপড় কিছুটা উচু করে কি সব দেখল তারপর হাতের তলা দেখল।
কামালের মন হচ্ছে সে যেন হাটের পন্য।বাম সাইডের মহিলা আবার কামালের উদ্দেশ্যে বললেন, বাবা একটু হেটে দেখাও তো।
কামালের অনিচ্ছা থাকা সত্তেও মা-বাবার জন্য তাকে হাটতে হল ওদের সামনে।
শেষে তিনারা বললেন, ছেলে পছন্দ হয়েছে।এই বলে সেই মেয়েটিকে দিয়ে কামালের হাতে আংটি পরিয়ে দিল।কামালের এই বিয়েতে কোন মত নেই।মা-বাবা তাকে জোর করেই বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন।কামাল মনে-মনে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবে, কেন যে সে মেয়ে হল না।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮