*** আগে খুব মন দিয়ে পত্রিকা পড়তাম।আর এখন পত্রিকার পাতা জুড়ে কত খবর কিন্তু পড়ার মত কোন খবর পাইনা।শুধু শিরোনাম দেখেই পত্রিকা পড়া শেষ!
কি পড়বেন পত্রিকার পাতায়?যে খবর আছে তার বেশিরভাগই হতাশার আর না পাওয়ার।খুন-ধর্ষন আর পরকীয়ার।
আগে যখন কোথাও খুনের খবর শুনতাম তখন খুব ভয় লাগত।আর এখন এই সব খবরে কিছুই হয়না।সব আমাদে গা সওয়া হয়ে গেছে।
পত্রিকায় এখন আমরা আর পজিটিভ কোন খবর প্রত্যাশা করি না।উন্নয়নের যে খবর পড়ি তা হয়তো আমাদের কাছে রুপকথার মত মনে হয়।
ব্যাংক থেকে জনগনের কোটি কোটি টাকা মেরে খাচ্ছে মুষ্টিমেয় কিছু লোক সে খবর পড়ে আমরা নির্বিকার থাকি।মনে হয় এই টাকা মেরে খাওয়া তাদের যেন জন্মগত অধিকার ছিল।আর অনলাইন পত্রিকার খবরের কথা তো আনপারা জানেনই।যে খবর পড়লে আমাদের প্রজন্ম কিছুই শিখবে না।তারপরও দিন শেষে আমরা অপেক্ষায় থাকি কিছু ভাল খবর পাওয়ার জন্য।
*** ছোট থাকতে শিক্ষকদেরকে অবাক চোঁখে দেখতাম।তাদেরকে কখনই সাধারন মানুষ মনে হত না।
এখনও কোন শিক্ষককে দেখলে শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয়ে আসে।
শিক্ষকরা সবসময় আমাদের সমাজে পরম শ্রদ্ধার পাত্র।আমরা এই শিক্ষকদের ভালবেসে বলি,মানুষ গড়ার কারিগর।
সত্যি তখন খুব খারাপ লাগে যখন দেখি আমাদের দেশে এই শিক্ষকরাই খুব অবহেলিত।নিজেদের সামান্য নায্য অধীকারের জন্য তাদেরকে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হয়ে ঘর ছাড়তে হয়।নিজেদের অধীকার আদায় করার জন্য আমরন অনশন করতে হয়।
সবাই বলে,যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত সে জাতি তত বেশে উন্নত।অথচ যারা জাতিকে শিক্ষিত করার জন্য নিজের সবটুকু প্রচেষ্টা ঢেলে নিষ্ঠার সাথে এই মানুষ গড়ার কাজটি সুনিপুন ভাবে করে যান তাদেরকেই আমরা চরম অবহেলা করছি!ধিক সেই জাতিকে যারা তাদের মানুষ গড়ার কারিগরকে নুন্যতম বেঁচে থাকার মত একটা পরিবেশ তৈরী করতে পারেনা।ধিক সেই জাতিকে যারা তাদের মানুষ গড়ার কারিগরদের দিনের পর দিন চরম অবহেলা করে যায়।
*** রোজ গেলে কত ইস্যু তৈরী হয়।কিছু কিছু ইস্যুতে খবরের মাঠ গরম থাকে।আজকের হট ইস্যু দুদিন পরে কেউ মনে রাখে না।সব কিছু ছাপিয়ে এ কয়েকদিন যে ইস্যু এখনও গরম তা হল এবারের প্রচন্ড শীত।শীত যেন এবারে সবাইকে কাঁপিয়ে দিয়ে গেল।
শীত আসলেই আমাদের টনক নড়ে দরিদ্র মানুষের জন্য কিছু করার।কিন্তু এই টনক যদি প্রচন্ড শীত পড়ার আগেই নড়ত তাহলে হয়তো গরীব মানুষকে খুব বেশি কষ্ট করতে হত না।আমরা তো জানি কোন সময় বেশি শীত পড়ে তাহলে কি সরকারের উদ্যেগে আগে থেকেই গরীব মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরন করা যায় না?
আশা করি সামনের দিন গুলোতে প্রচন্ড শীত পড়ার আগেই সরকার বা অন্যান্য সেবা প্রতিষ্ঠান তাদের শীতকালীন সেবা কার্যক্রম শুরু করে গরীব মানুষের পাশে থাকবেন।এই শীতে সবাই ভাল থাকুক সে প্রত্যাশায় করছি।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬