somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ মুখোমুখি, বেড়ালের পাশে বসে

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক

আমাদের একটা পিয়ানো আছে; আর আছে একটা বেড়াল। তবে, রেগে গেলে আমরা পিয়ানো বাজাই না। আমার স্ত্রী রাগে অগ্নিশর্মা হলে, কিংবা প্রচণ্ড রাগে আমি ফোঁস ফোঁস করলেও আমাদের ঘরে পিয়ানো বাজেনা। আমার কন্যা, যিনি পিয়ানোটির মালিক, তিনি রেগে গেলেও পিয়ানোতে হাত দেননা। ফলে, আমাদের রাগ বাড়তে থাকে। রাগ বাড়তে বাড়তে আমাদের হাত স্যাণ্ডেলমুখী হলে বেড়ালটি আমাদের মাঝে এসে বসেন। তারপর তার চোখে-মুখে জাতিসংঘের মহাসচিবের অসহায় ভাব ফুটে উঠলে আমরা শান্তিচুক্তি করি। আমি হাতে ধরে রাখা ফুলদানী নামিয়ে চুক্তিতে প্রথম স্বাক্ষর করি। আমার স্ত্রী ফ্রাইংপ্যানের দিকে তাকিয়ে, চিন্তা-ভাবনা করে সেখানে টিপসই মারেন।

কখনো কখনো আমার কন্যা শান্তিচুক্তিতে হাবিজাবি শর্ত জুড়ে দেন। ফলে, আমাদের গৃহের মধ্যপ্রাচ্য সমস্যায় নতুন মাত্রা তৈরী হয়। কন্যার শর্তে পুতুল কেনার দাবি যোগ হলে আমরা তেলে-বেগুন হই। আমি ছ্যাঁত করে উঠি। আমার স্ত্রী ক্রমাগত ছ্যাঁত ছ্যাঁত করেন। আমাদের কন্যা এইসব ছ্যাঁতযজ্ঞে বিশেষ ভাবিত হননা। তিনি নয়া শর্ত সংযোগে বিশেষ মনোযোগী হয়ে ওঠেন। এবার পুতুলের জন্য লালফিতের দাবী যুক্ত হয়। আমি আতংকিত হই। আমার স্ত্রীর হাতে আবার ফ্রাইংপ্যানটি উঠে আসে। তিনি আমার বিরুদ্ধে কন্যাকে লাই দেয়ার অভিযোগ আনেন। আমি খ্যাক করি। তিনিও খ্যাক করেন। একসময় কন্যাটি ফ্রাইংপ্যানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে আমার দল ভারী হয়। বেড়ালটিও দলভারীর পক্ষে ম্যাও করেন। আমার স্ত্রী ষড়যন্ত্রের আভাস পেয়ে কন্যার পিঠে দুমাদুম ড্রাম পেটান। আমি কন্যার পক্ষে শ্লোগান তুলি। পিটুনি খেয়ে কন্যার দাবী উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। এবার তার পুতুলের জন্য চিরুনীও চাই।

সকল দাবী-দাওয়া পূরনের আশ্বাস নিয়েই কন্যা ফোঁপানী থামান। বেড়ালটি আমাদের কুচি কুচি হওয়া শান্তিচুক্তিতে আঠা লাগান। আমরা তাতে স্বাক্ষর করি। বেড়াল সাক্ষী।

আমি যখন বিয়ে করি, তখন খুব রোগা-পটকা ছিলাম। আমার স্ত্রী যখন নতুন বউ ছিলেন, তখন একদিন আহ্লাদ করে তিনি আমাকে মোটা-তাজাকরনের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, 'আমি তোমাকে ভালো ভালো রান্না করে খাওয়াব।' আমিও সেইদিন বেশ আটখানা হয়ে বলেছিলাম, 'তাহলে রোজ বাসমতি কিনব আমি।' যখন কথাগুলো বলেছিলাম, তখনো বাবা হইনি; বাবা-ই শুধু জানতেন- কত চালে কত টিন। একথা অসত্য নয় যে, আমাদের ঘরে ইরি ছাড়া বাসমতি ঢোকেনি। কী এক অজ্ঞাত কারনে সেসব বাসমতি চালের সুবাস ছড়ানোর মতি হতো না বলে, আমার স্ত্রী ভেজাল বিরোধী ম্যাজিস্ট্রেটের মতো আমাকে জেল-হাজতে পাঠাতেন। একবার ফাঁসির আদেশ মওকুফ করে আমাকে বাজারে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সে বার সদ্য কেনা বাসমতি দেখেই তিনি বলেছিলেন, 'বিআর টুয়েণ্টিফোর।' তখন আমাদের ঘরে বেড়াল ছিলনা।

আমার স্ত্রী সিংহ রাশির জাতিকা। সিংহ রাশির বলেই আমার স্ত্রীর ভেতর একটি বেড়াল লুকিয়ে থাকে। বাজে ঘরে বিবাহের অভিযোগে তিনি বেড়ালের মতো কিছুদিন ফ্যাচ ফ্যাচ করে কেঁদেছিলেন। স্ত্রীর এ হেন অশ্রু-প্রপাতে আমি বিচলিত ছিলাম। কারন তিনি সয়ম্বরা হয়েছিলেন। তিনি আমার সাথে খাতির করে সংসার পেতেছিলেন বলে- আমার শ্বশুরকূলের ইজ্জতহানী ঘটেছিল। তারা আমাদের থেকে নিরাপদ দূরুত্ব বাজায় রাখতেন। আমার কন্যার জন্মগ্রহণে এই ঠাণ্ডাযুদ্ধের অবসান ঘটেছে। তবু আমার শ্বশুরকূলের ন্যাটো বাহিনী- আমাদের ইরি চাল খাওয়া ওয়ারসো জোটকে সুযোগ পেলেই ঠ্যাঙানী দেয়। আমার সিংহ রাশির স্ত্রী কৌশলগত কারণে যুদ্ধে লিপ্ত হন না। আমি মীন রাশির জাতক; তুচ্ছ মানবিক বিপর্যয়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে, আমি কন্যাকে দুইয়ের ঘরের নামতা শেখাই। আমাদের বেড়ালটি একের ঘরের নামতাও জানেন না। বেড়ালের নিরক্ষতায় আমার কন্যা ব্যাপক হতাশ। কিন্তু বেড়ালটি আমার মতোই নির্বিকার। তিনিও সম্ভবতঃ আমার মতোই মীন রাশির লোক।

আমার পিতা-মাতাও লাইন করে বিবাহের অনুযোগে আমাকে ত্যাজ্য করেছিলেন। কিন্তু বছর তিনেক পরে, কোন এক মারফতে তারা জেনেছিলেন, তাদের পুত্রটি বংশের মুখে চুন-কালি না মেখে- পকেটে ভ্যানেশিং ক্রীম নিয়ে ঘুরছে। আমার শ্বশুর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক-তার ও যোগাযোগ মন্ত্রীর মতোই ক্ষমতাবান ব্যক্তি- এ তথ্য আমার পিতার কানে পৌঁছে ছিল। তিনি টেলিফোনের লাইন-ম্যান ছিলেন। তার লাইন-ঘাটও ছিল উচ্চস্তরের। প্রধানমন্ত্রীর সাথে ইফতার পার্টিতে তিনি চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষ নিয়ে গরম বত্তৃতা দিতেন।

আমার পিতা তার টিনশেড ঘরটিতে একটি রঙীন টিভির আশা নিয়ে নাতনীর মুখ দেখতে এসেছিলেন। পিতা-মাতার আগমনে, আমরা- মীন এবং সিংহ, তাদের পায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। শুধু তাই নয়, আমার স্ত্রী- শ্বাশুড়ীর আয়াতুল কুরসী পাঠের চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে একশতে একশ' পেয়েছিলেন। এমনকি চুল-দাঁত-নখের পরীক্ষায়ও তিনি কৃতকার্য হয়েছিলেন। তবে, সুচিকর্মের মৌখিক পরীক্ষাতেই তার শূণ্য জুটেছিল। আমার বাবা এ ঘটনায় বিরক্ত হলেও, মা পুত্রবধুর অকৃতকার্যতায় উপদেশ দানের সুযোগ লাভ করে প্রীত হয়েছিলেন এবং সুই-কর্মের মতো অত্যাবশ্যক গুণের ওপর নাতিদীর্ঘ বত্তৃতার এক ফাঁকে রঙীন টেলিভিশনের দাবী তুলেছিলেন। মায়ের কুটনৈতিক বুদ্ধিতে আমার পিতারও মনোবল বৃদ্ধি পেয়েছিল বোধ করি। তিনি দোতলা টিনশেড ঘরের ছাদ পাকা করার মনোবাঞ্ছা যুক্ত করেছিলেন দাবীনামায়।

আমার স্ত্রী শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর গীধরপনায় তুমুল উত্তেজিত ছিলেন দিনকয়েক। আমি পিতা-মাতার দাবীদাওয়া এবং স্ত্রীর উত্তেজনাকে- ক্ষমা-সুন্দর জ্ঞান করেছিলাম। কোন পক্ষ না নেওয়ায়- নিজের বাড়ীতে মেরুদণ্ডহীন, আর বাপের বাড়ীতে ম্যানা উপাধী জুটেছিল আমার।

আমি মাঝে মাঝে বেড়ালেটির মুখোমুখি বসে থাকি। বেড়ালের লেজ দেখি। বড় বাহারী লেজ। এমন লেজের উপাসনায় এক জনম কাটিয়ে দেয়া যায়। আমার স্ত্রী অসতর্ক পায়ে বেড়ালের লেজ মাড়ালে আমার ধ্যানভঙ্গ হয়।

বেড়ালের মতোই, স্ত্রীর সাথে আমার অনেক মিল। আমরা দুজনই অজনপ্রিয় চায়না বিল্ডিংয়ের গলিতে। আমার স্ত্রী অধিকার সচেতন বলেই- আশেপাশের ভাবীরা কাঁচকলার খোসা বা মুরগীর পৌষ্টিকতন্ত্র রাস্তায় খালাস করে রেহাই পান না। বালিকা-মাতারী-নারীদের এই ক্রুসেডে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা গ্রহন করে আমি সমালোচিত হয়েছি বহুবার। যুদ্ধ না করে সার্টিফিকেট পাওয়া মুক্তিযোদ্ধার তারকাখ্যাতি আমার ভাগ্যে জুটেছে। নারী কণ্ঠের গালাগালির এক ফাঁকে, এ কথা আমি শুনেছি যে, চায়না বিল্ডিং কেন, সমস্ত আজিমপুরে আমিই নাকি একমাত্র বউ লাই দেওয়া ক্ষণজন্মা পুরুষ। কোন প্রকার দুষ্ট উপাধীতে আমি বিচলিত হইনা। আমার বেড়ালটিও হন না। মানসিক ভাবে আমরা যেন জমজ প্রাণী। আমাদের চিন্তার তরঙ্গ- তুচ্ছ মানবিক ত্রুটিতে বিক্ষিপ্ত হয়না।

বেড়ালটি আমাদের স্বামী-স্ত্রীর মান রেখেছেন। তিনিও আমাদের মতোই অজনপ্রিয় অত্র মহল্লায়। আমি সম্যক জ্ঞাত নই, তবে ধারনা করি, তিনি হয়তো সূক্ষ্ম-চৌর্যবৃত্তিতে আসক্ত। মাঝে মাঝে বাংলাদেশ টেলিভিশনে- ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপনের সংবাদ দর্শনের কোন এক ফাঁকে আমার প্রতিবেশীদের বিলাপ শুনতে পাই। সেসব আর্তনাদে চোর বিড়াল, চুন্নী বিলাই ইত্যাদি কথাগুলো সংযুক্ত থাকে। বেড়ালটি বাড়ী ফিরলে- জেনারেলদের হাতে ধরা খাওয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীদের মতো মাজা বাঁকা করে হাঁটেন এবং মেরুদণ্ডের সমস্যায় ভোগেন। নানাবিধ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষন করে- আমি তার চরিত্রে মৃদু-নৈতিক-স্খলন আন্দাজ করেছি মাত্র; তবে নিশ্চিত হতে পারিনি। আমি ট্রান্সপারেন্সি ইণ্টারন্যাশনালের লোক নই। চৌর্যবৃত্তিতে কার রোল নম্বর কত হবে, তা নির্ধারনে আমি অপারগ। আর ব্যুরো হওয়া দুর্নীতি দমন কমিশনের সাথে আমার কোন সংস্রব নেই, তাই কোন বাড়ীর খোলা মিটসেফে- কার ভাজা মাছ কে উলটে খাবে- তা নিয়ে না ভাবলেও আমার চলে।

আমার কন্যা জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের সুযোগ এখনো পাননি। উচ্চতায় তিনি জানালার গ্রীলেও পৌঁছাবেন কি-না সন্দেহ আছে।

আমি যে চাকরিটি করি, তা আমাকে সংসার খরচের পয়সা না দিলেও পদবি দিয়েছে। আঞ্চলিক বিক্রয় ব্যবস্থাপকের ভিজিটিং কার্ডে আমার মানিব্যাগ স্ফিত হয়ে থাকে। আমার বুকও। শুধু স্ত্রী, অফিসের বস, আর পড়শিদের কাছেই আমার দাম নেই। সকালে, কাজে যাওয়ার সময়- আমার স্ত্রী, কন্যা এবং বেড়ালটি জানালা দিয়ে আমাকে টা টা জানান। পারিবারিক গর্বের গোড়ায় জমে থাকা পানি সাবধানে পার হয়ে- আমি ইডেন কলেজের সামনে এসে দাঁড়াই। একটু পরেই পেটে আটা-ময়দা-সুজি পুরে তিনটি রিক্সাভ্যান সেখানে আসে। সকালবেলার এই খাদ্য-কাফেলায় নিজেকে সৌদি বাদশাহ মনে হয় আমার। যেন আমি আটরশি হুজুরের দরবারে উট নিয়ে চলেছি, যেখানে একটু পরেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান তসরিফ আনবেন।

খাজাবাবার ভেজাল উটের মতোই আমাদের আটা-ময়দায় পোকা দৌঁড়ালে, পাওনা আদায় নিয়ে কিঞ্চিত কসরত করতে হয় আমাকে। 'সাধারণ মানবিক ত্রুটি' তত্ত্বটি প্রতিষ্ঠিত করতে কোক-ফাণ্টা কিনতে হয়। এরপরেও মুলামুলি চললে- খচ্চর দোকানীদের কার্টন দুই সুজি সদকা দিতে হয়। সদকা আছে বলেই ময়দায় পোকা আছে। আর পোকা আছে বলেই আটা চালুনীর ব্যবসা টিকে আছে। আমি নিজের চিন্তার ব্যাপকতায় নিজেই বিমোহিত। এসব সময়ে নিজেকে তোফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া মনে হয়। এখন বেড়ালটি থাকলে খুব খুশি হতো। আমি নিশ্চয় একা একা মানিক মিয়া পদক নিয়ে বেড়ালটিকে বঞ্চিত করতাম না! ওকেও কিছু দিতাম। অর্থমন্ত্রীর পদটা কি তাকে দেয়া যেত না! অবশ্যই যেত। আমার বেড়ালকে আমি মাছের কাটা খেতে দেব, মহাসচিবের পদ দেব, লাথি দেব, চুমো দেব- কার কী!

আহারে! বেড়ালটি পাশে নেই বলে নিউমার্কেটের ভীড়ে নিজেকে কেমন অকিঞ্চিতকর লাগে।


দুই

কাজ শেষে আমি যখন ঘরে ফিরি, তখন ইরাকি কবরস্থানে বেড়ে ওঠা যুবকরা- আজিমপুর গোরস্থানের মুর্দাদের শিহরিত করে অমুক ভবন, তমুক ভবনের রোল কলে যায়। একটা মিশুক পট পট শব্দ তুলে দক্ষিণে পেখম মেলে। হুড-তোলা রিক্সায় একটি শিশু মায়ের কোলে বসে থাকে। রাস্তায় সীনা-টান করে রাখা স্পীড ব্রেকারে তারাও উড়াল দেয়। এই আলোহীন মুখস্থ পথে, ম্যানহোলের হা-য়ে বয়ে চলা বুড়িগঙ্গায়- আমি নৌবিহার করি। আমি চিন্তার মধ্যাকর্ষ শক্তিতে নাড়া দেয়ার আগেই রাস্তায় কারা যেন ঝাঁকুনি খায়। উড়ন্ত মিশুকের পাখায় রিক্সা যাত্রীদের পালক জমে। তারপর অব্যর্থ নিউটনের আপেল মাটিতে আছড়ে পড়লে চিৎকার ওঠে। অ্যাক্সিডেণ্ট। আমার কী! তবু, আপেলের পতনেই সব শেষ হয়ে যায়না। বিজ্ঞান ছেড়ে শিল্প কলায় চোখ যায় আমার। দুর্ঘটনার জটে তিনটে মানুষ। একটি শিশুও জ্যামিতিক বিন্যাসের শোভা বাড়িয়েছে। আমার পায়ের কাছেই। বাজারের ব্যাগ থেকে রাস্তায় লাফিয়ে নামা আলু, মরিচ; এমন চিত্র সালভাদর ডালি কবে এঁকেছিলেন? আমার বেড়ালটি জানেন হয়তো। কথা জানলে তিনিও খই ফোটাতেন আমার কন্যার মতো।

আমি ইউরেকা ইউরেকা করে উঠি। বুকের ভেতর ধরাস শব্দে দিগম্বর আর্কিমিডিস চৌবাচ্চা ছেড়ে উঠে পড়েন। এত সহজ আবিষ্কার! দুর্ঘটনার পরাবাস্তব বিন্যাসে শিশুটির হাতে বেমানান ওটা কী! পুতুল! আমি ত্বড়িৎ পর্যবেক্ষণে বুঝে যাই, হাতের বায়ে মৃত, আর ডানে জীবিতদের মিছিলে আমিই পুতুলটির ন্যায্য দাবীদার। মৃতদের কখনোই পুতুল প্রয়োজন পড়েনি।

আমার কন্যা পুতুলের প্রতীক্ষায় বসে আছেন। পিয়ানোটির জন্যও তিনি অনেক রাত অব্দি বসেছিলেন। বেড়াল সাক্ষী।
৩৬টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×