somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সাম্প্রতিক তাপ-প্রবাহ ও অনা-বৃষ্টির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা, দৈনন্দিন জীবনের উপর তার প্রতিক্রিয়া, আমাদের করনীয় ও সতর্কতা

২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রচণ্ড গরমে সিদ্ধ হতে যাওয়া বাংলাদেশের মানুষদের জন্য আগামী ৭-১০ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাষ হতে কোন সু-সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বের ৪/৫ টা নামকরা আবহাওয়া পূর্বাভাষ সংস্থার আগামী ৭-১০ দিনের পূর্বাভাষ বলতেছে আগামী এক সপ্তাহ বৃষ্টি হবার কোন সম্ভাবনা নাই (তবে অসম্ভব না)। বাতাসে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণ খুবই কম ( বেশি ভাগ জেলায় গড়ে ৪০-৫০%, কোন কোন জেলায় মাত্র ১০ থেকে ১৫%)।



ছবি ১: কৃতজ্ঞতা, The Weather Network

বাতাসে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণকে আমরা তুলনা করতে পারি ঢাকার বিখ্যাত ফখর উদ্দিন বিরানি খাওয়ার সাথে। মনে করেন, ফখর উদ্দিন বিরানির ১ প্লেটের দাম ১০০ টাকা, কিন্তু আপনার পকেটে বর্তমানে আছে ১৫ টাকা। আপনি যদি ১৫ টাকা পকেটে নিয়ে দোকানে যান তবে ফখর উদ্দিন বিরানি খাওয়া সম্ভব না। আপনাকে কম করে হলেও ৯০ টাকা নিয়ে দোকানে যেতে হবে। আপনি যদি অনুরোধ করে বলেন যে আজকে পকেটে ৯০ টাকা আছে তবে ক্যাশিয়ার দয়া পরবশ হয়ে হয়ত আজকের জন্য ১ প্লেট বরাদ্দ করতে পারে যদিও আসল মূল্য ১০০ টাকা।

ঠিক একই ভাবে বৃষ্টি পাতের জন্য সাধারণত বাতাসে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণ থাকতে হয় ১০০% তবে বিশেষ ক্ষেত্রে বাতাসে জ্বলিয় বাষ্পের পরিমাণ ৮০-৯০% হলেও বৃষ্টি হয়ে থাকে। (এর চেয়ে বিস্তারিত লিখতে হলে সেখানে মেঘ ও বৃষ্টির কণা কিভাবে সৃষ্টি হয় তার পদার্থ বিজ্ঞান চলে আসবে, যা বুঝতে সহজ হবে না সাধারণ পাঠকদের জন্য)



ছবি ২: কৃতজ্ঞতা, AccuWeather

তাপমাত্রা আর একটু বাড়তে পারে আগামী শনিবার পর্যন্ত এর পরে একটু কমবে। আগামী শনি-রবিবার ঢাকা ও তার আশ-পাশের জেলায় অল্প পরিমান বৃষ্টি হতে পারে (সম্ভাবনা মাত্র ৩০-৪০%)। সারা দেশের অবস্থা প্রায় একই রকম থকবে।

নিম্নোক্ত সাইটি থেকে আপনি দেখে নিতে পারেন বৃষ্টি পাতের পূর্বাভাষ।

weather-forecast.com

অস্বাভাবিক এই তাপ-প্রবাহ আমারা কমাতে পারব না। মানুষ এখনও সেই শক্তি অর্জন করতে পরে নাই। তবে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতে রক্ষা পেতে আমরা নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে পারি, আমাদের নিজ-নিজ সামর্থ্যের মধ্যে থেকে।

=========================
অবশ্য করনীয় সাধারণ পরামর্শ
=========================

১) প্রচুর পরিমাণ পানি খান,
২) সম্ভব হলে দিনে ১/২ প্যাকেট ওর স্যালাইন ও ১/২ গ্লাস গ্লুকোজ খান।
৩) প্রচুর পানিযুক্ত ফল যেমন: তরমুজ, পেঁপে, বাঙ্গি, আনারস ইত্যাদি খেতে পারেন।
৪) কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত ড্রিংক (কোকা-কোলা, স্প্রাইট, পেপসি) ইত্যাদির পরিবর্তে সাধারণ পানি খান।



ছবি ৩:, কৃতজ্ঞতা, Time and Date

===========================
স্বাস্থ্য সতর্কতা
===========================

তাপ-প্রবাহের করণে কাদের ক্ষতির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি?

১) বয়স্ক মানুষ (বৃদ্ধ-বৃদ্ধা)
২) দুগ্ধ পোষ্য শিশু
৩) কিশোর-কিশোরী
৪) যাদের শ্বাস কষ্ট আছে (আজ্যামা রোগী)
৫) দীর্ঘক্ষণ রোদের মধ্যে কাজ করে (কৃষক, রিকশাওয়ালা, নির্মাণ শ্রমিক
৬) রাস্তায় বসবাসকারী মানুষ (পথ শিশু)

==========================
আপনি যা করতে পারেন
==========================

১) আপনি যদি দুগ্ধ পোষ্য শিশু বা কিশোর-কিশোরীর বাবা মা হয়ে থাকেন

যেহেতু অনেক দিন থেকে বৃষ্টি হয়নি তাই বাতাসে ধূলি কণা ও জীবাণুর পরিমাণ অনেক বেশি। ছোট বাচ্চা নিয়ে বাহিরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে করে ডায়রিয়া, কলেরা, ও শ্বাস কষ্ট জনিত রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

২) আপনার পরিবারে যদি বয়স্ক মানুষ যেমন আপনার বয়স্ক বাবা-মা, দাদা-দাদি ও নানা-নানী থাকে।

অত্যধিক গরমে বয়স্ক মানুষদের হার্ট এটার্কের সম্ভাবনাও বেড়ে যায় অনেক। ২০০৩ সালে ইউরোপে সর্বকালের সেরা তাপপ্রবাহে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল; যাদের বেশিভাগই ছিল বয়স্ক মানুষ ও মৃত্যুর কারণ ছিল হার্ট এট্যাক। সুতরাং আপনার বয়স্ক বাবা-মা, দাদা-দাদি ও নানা-নানীর প্রতি খেয়াল রাখুন।

৩) আপনি যদি কনস্সট্রাকশন সাইট ইঞ্জিনিয়ার বা গার্মেন্টসের প্রডাকশ ফ্লোরের দায়িত্বে থাকেন:

তবে আপনার দায়িত্ব হলো নির্মাণ শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ রাখা। প্রতি ২/৩ ঘণ্টা পর-পর ১০/১৫ মিনিটের বিরতি দিন শ্রমিকদের। এতে করে বিরতির পরে নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করবে শ্রমিকরা আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি। মধ্য- প্রাচ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ অত্যাধিক গরম জনিত হার্ট-এট্যাক, যে সংবাদটি আপনারা গত কিছুদিন পূর্বে বিভিন্ন পত্রিকায় পড়েছেন।

৪) আপনি আর্থিক ভাবে সক্ষম হলে রিক্সা থেকে নামার সময় হাতের পানির বোতলটি রিকশাওয়ালাকে দিয়ে দিন। খালি পানির বোতলটি ফেলে দেবার পূর্বে রিক্সাওয়ালে জিজ্ঞেস করুন সেটা তার কোন উপকারে আসবে কি না?

৫) শরীর হতে অনেক ঘাম ঝরায় এমন ব্যায়াম করা থেকে বিরত থাকুন আপাতত

৬) শারিরীক পরিশ্রম যুক্ত কাজ গুলো দিনের প্রথম ভাগে (সকাল বেলা) বা শেষ ভাগে (সন্ধার পূর্বে) করার চেষ্টা করুন সম্ভব হলে।

৭) সূর্যের আলোতে ছোট বাচ্চা বা পশু-পাখি গাড়ির মধ্যে রেখে দূরে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৮) আপনার গৃহ-পালিত পশু পাখিরও একই রকম যত্ন নিন, যেমনটি নিচ্ছে আপনার নিজের। অন্তত বেশি করে পানি খওয়ান।

===================================
যে ধরনে কাপড় ব্যবহার করবেন ও করবেন না
===================================

১) কালো বা রঙ্গিন কাপড় পড়ে বাহিরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২) সম্ভব হলে সাদা বা হালকা রঙের কাপড় পড়ুন।
৩) জিনসের প্যান্ট বা স্কিন টাইট টি-শার্ট পড়া থেকে বিরত থাকুন
৪) সুতি কাপড়ের পোশাক সর্বাপেক্ষা আরাম দায়ক



ছবি ৪: কৃতজ্ঞতা, The Weather Channel

=============================
কেন এই অস্বাভাবিক উচ্চ তাপ-প্রবাহ
=============================
নিচের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন ছবির উপরে কোন কোন জায়গায় H ও L লেখা আছে? এই অক্ষর গুলো নির্দেশ করে H (High Pressure System) এবং L (Low Pressure System)। বাংলায় যাকে বলে উচ্চ চাপ ও নিম্নচাপ। আমরা টেলিভিশনে অনেক সময় শুনে থাকি বঙ্গোপসাগরে নিম্ন চপের সৃষ্টি হয়েছে ফলে ঘূর্ণি ঝড়ের সৃষ্টি হতে পারে, অর্থাৎ অনেক বৃষ্টিপাত। প্রায় তার বিপরীত হয়ে থাকে যখন উচ্চ চাপের সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ বৃষ্টি পাতের সম্ভাবনা নাই। আপনারা নিচের ৫ নং ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে প্রায় পুরো ভারতের উপরে High Pressure System (উচ্চ চাপ) বিরাজ করতেছে।



ছবি ৫: কৃতজ্ঞতা, http://www.weather-forecast.com/

নিচের ৬ নং ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন যে যখন ভূ-পৃষ্টে High Pressure System বিরাজ করে তখন ঊর্ধ্ব আকাশের শুকনা বাতাস ভূ-পৃষ্ঠে নেমে আসে ও মেঘ তৈরিতে বাধা প্রদান করে। বিপরীত ক্রমে ভূ-পৃষ্টে Low Pressure System বিরাজ করলে ভূ-পৃষ্টের অপেক্ষাকৃত গরম ভেজা বাতাস উপরে উঠে মেঘের সৃষ্টি করে, যা ক্রমাগত ঘনীভূত হয়ে এক সময় বৃষ্টিপাত হিসাবে ভূমিতে পতিত হয়।


ছবি ৬: কৃতজ্ঞতা, ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

আর একটা কারণ হলো প্রায় সম্পূর্ণ ভারতের উপরে ও অধিকাংশ বাংলাদেশের ভূ-পৃষ্ঠে High Pressure System বিরাজ করছে। যার ফলে স্হল ভাগে বায়ু ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরতেছে যা ক্রান্তীয় (ট্রপিকস) গরম বাতাস স্থল ভাগে নিয়ে আসতেছে।

============================================
প্রশ্ন হলো কত দিন এই অবস্থা বিরাজ করতে পারে??
অথবা
কবে এই অসহ্য গরম থেকে মুক্তি পাব আমরা?
============================================
নিচের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন একটা ঢেউ বা তরঙ্গ প্রবাহিত হচ্ছে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে। একই রকম একটা বাতাসের ঢেউ পৃথিবী প্বষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার উপর দিয়ে পৃথিবীর পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে প্রতিনিয়ত প্রবাহিত হচ্ছে। আমাদের হাইস্কুল জীবনে শিখেছি একটা তরঙ্গের উচ্চতম স্থানকে শীর্ষ ও নিম্নতম স্থানকে তরঙ পাদ বলে। তরঙ্গ শীর্ষের সামনে ও পিছনে থাকে তরঙ্গ পাদ।



ছবি ৭: কৃতজ্ঞতা, ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

আপনারা ৫ নং ছবিতে দেখতে পাচ্ছে যে বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশের ভূ-পৃষ্টে High Pressure System বিরাজ করেছে, যার ঠিক উপরেই রয়েছে একটি তরঙ্গ শীর্ষ (Ridge) [৮ নং ছবি] ও এর পিছনেই রয়েছে একটি তরঙ্গ পাদ (Trough)। এই তরঙ্গ শীর্ষ যখন ভারতীয় উপমহাদেশ অতিক্রম করে পূর্বে চীনের দিকে অগ্রসর হবে তখন ভারতীয় উপমহাদেশের ঠিক উপরে অবস্থান করবে একটি তরঙ্গ পাদ যা আকাশে মেঘের সৃষ্টি করবে ও বৃষ্টি পাত ঘটাবে।



ছবি ৮: কৃতজ্ঞতা, ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০২
২২টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

একমাত্র আল্লাহর ইবাদত হবে আল্লাহ, রাসূল (সা.) ও আমিরের ইতায়াতে ওলামা তরিকায়

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১০



সূরাঃ ১ ফাতিহা, ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪। আমরা আপনার ইবাদত করি এবং আপনার কাছে সাহায্য চাই।

সূরাঃ ৪ নিসার ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×