আপনি জানেন কি?
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসটি ছিলও পৃথিবীর তাপমাত্রা পরিমাপের ইতিহাসে ৫ ম সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রার জানুয়ারি মাস।
২০১৭ সালের জুন মাস থেকে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বিষুবরেখা বরাবর (ট্রপিকাল) পূর্ব-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কমপক্ষে মাইনাস শূন্য দশমিক ৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড বার তার চেয়ে বেশি ছিলও যে অবস্থাকে বলা হয়ে থাকে লা-নিনা কন্ডিশন। অন্যান্য বছরের তুলনায় লা-নিনা বৎসরে আর্কটিক মহাদেশের তাপমাত্রা অনেক কম থাকে ও আর্কটিক মহাসাগরে বেশিভাগ এলাকা বরফে ঢাকা থাকে।
১ নম্বর ছবি
বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে গত কয়েক দশক থেকে ক্রমাগত ভাবে শীতকালে আর্কটিক মহাসাগরের বরফাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ কমে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়; গত কয়েক দশক ধরে প্রতি গ্রীষ্ম কালে আর্কটিক মহাসাগরের বরফাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ পূর্বের বছরের অপেক্ষা কমে যাচ্ছে। শীত ও গ্রীষ্ম কালে আর্কটিক মহাসাগরের বরফাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণকে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তনের অন্যতম একক হিসাবে গণ্য করা হয়ে থাকে। উপরে সংযুক্ত ১ নম্বর চিত্র হতে দেখে নিতে পারেন ১৯৭০ সালের পর থেকে প্রতি ১০ বছরে আর্কটিক মহাসাগরের বরফাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ কতটুকু কমে গেছে।
২ নম্বর ছবি
২০১৮ সালের জানুরায়ি মাসে ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৩০ বছরের (১৯৫১-১৯৮০) জানুয়ারি মসের গড় তাপমাত্রা অপেক্ষা কত ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড বেশি ছিলও তার নির্দেশ করতেছে ২ নম্বর ছবি।
৩ নম্বর ছবি
পৃথিবীর বিভিন্ন সাগর ও মহাসাগরে বরফাচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ ১৯৭৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নির্দেশ করতেছে ৩ নম্বর ছবি । সংযুক্ত প্রতিটি চিত্র নির্দেশ করতেছে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে পৃথিবীর জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে ও বিভিন্ন অঞ্চল চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়া যেমন অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জান ও মালের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
৪ নম্বর ছবি
১৮৫০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির চিত্র
ছবি কৃতজ্ঞতা: ১, ২, ৩ (Dan Satterfield); ৪ (আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়)
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৩