এইখানে যত বক্তব্য আছে সব কেডি পাঠকের। আমার নয়। তাই যদি কেউ কিছু মনে করেন তাহলে কেডিকে ধরবেন আমাকে নয়। এখানকার সকল চরিত্র কাল্পনিক।
কেডি পাঠক আর তার সহকারী বরুণের মধ্যে কথা হচ্ছে ভারতের চির শত্রু পাকিস্তানকে নিয়ে:
কেডি: জি কার কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন?
বরুণ: কেন? আসামোসা এর কাছ থেকে।
কেডি: তিনি কী রাজনীতিক ছিলেন?
বরুণ: না তিনি প্রধান বিচক্ষণ ছিলেন সেই সময়কার। আর তাই কাঙাল জাতি তাকে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাদের দিয়েছেন বাঁশ।
কেডি: ছি! একজন বিচক্ষণ এটা করতে পারলেন?
বরুণ: যাই বলুন তিনি তা করেছেন।
কেডি: আচ্ছা সৈরাচার চাচা হুমুএ কার কাছ থেকে ক্ষমতা নিয়েছেন?
বরুণ: তিনিও একজন বিচক্ষণ। তার নাম হচ্ছে আসা।
কেডি: বাহ। তাহলে ওদের গণতন্ত্র নিশ্চয় কোন বিকেকবান মানুষের হাত ছিল না?
বরুণ: না তাও ছিল সরকারের যে তিনটা বিভাগ থাকে তার থেকে একটার প্রধান মাঝে মাঝে প্রধান হতেন। কোন এক প্রধানের হাত ধরে কোন এক দশকের শুরুতে ওদের বর্তমান গণতন্ত্র শুরু হয়।
কেডি: প্রআতে সৈআম একটা কলাম লিখেছেন আমি কিছু লাইনে দাগ দিয়ে রেখেছি তা পড় তো আমি নোট নেব।
বরুণ: জ্বি স্যার এখুনি বের করছি। তিনি লিখেছেন- বিচ ম্যা বাড়ির শিশু গৃহকর্মীর ওপর দীর্ঘদিন ধরে যে নির্যাতন চলে, তা আশপাশের কোনো বাড়ির কেউ বা ম্যা এর কাছে তদবিরের জন্য যাতায়াতকারী কারও চোখে পড়েনি, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ম্যা ও তার স্ত্রী মেয়েটিকে শারীরিকভাবে মারধর করে জখম করেছেন শুধু তা-ই নয়, পত্রিকায় যে হাড়সর্বস্ব মেয়েটির ছবি দেখেছি, তাতে ওকে যে পেটভরে খেতেই দেওয়া হতো না, তা পরিষ্কার। এখন ম্যাকে দিন কয়েক কাজ থেকে ছুটি দেওয়া এবং বসিয়ে বসিয়ে জনগণের টাকায় মাইনে দেওয়া ঘোরতর অবিচার। (কিছু শব্দ সংক্ষেপিত। বুঝতেই পারছেন।)
কেডি: আজকে পত্রিকাগুলো ঘেঁটে দেখ তো তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা?
বরুণ: আপনি নিশ্চিত থাকুন কয়েক যুগের মধ্যেও হবে না। তবে আমার এ বক্তব্য আপনি ভুল প্রমাণ করতে পারলে আমি খুশি হব।
কেডি: গত ১৯-০৮-২০১৫ তারিখের ৯ পৃষ্ঠাতে দেখলাম জা পেয়ে কয়েকজন অভিযোগকারির বাড়ির সামনে উল্লাস করেছে। তোমাকে খবর নিতে বলেছিলাম নিয়েছ? ওটা কী কোন বি এর নজরে আসেনি? তারা কী ওই জা দাতার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিয়েছে?
বরুণ: ধুর স্যার। দুঃখিত স্যার। এ আর এমন কী? এসব তো হয়ই। তাছাড়া ওই মেয়েটার নিশ্চয় চরিত্র ভাল ছিল না তাই এমন হয়েছে । আপনি কী দেখেছেন আপনি যে আদালতে শুনানি করেন সেই আদালতের বিচারকের মেয়েকে এমন করতে? কারণ তাদের চরিত্র ভাল। আর ঐ ফালতু মেয়েটা। কী বলেন? আপনারই তো একটা মামলায় দেখেছিলাম যে তিন পুলিশ আসামির হামলায় আহত হয়েছে কিন্তু জামিন তো পেল। এসব ফালতু মামলা আপনি নিয়েন না ধরা খাইবেন। জানেন না আইন অন্ধ।
এতক্ষণ সব ফালতু বকবকানি হল। এবার শুনুন আদালত নামে একটা টিভি সিরিয়াল আছে। আর এর প্রধান চরিত্রের নাম কেডি পাঠক। তার সহকারীর নাম বরুণ। একবার হল কী এই প্রথিতযশা আইনজীবি আদালত অবমাননার মামলায় পড়লেন। বিচারক তাকে শাস্তি দিল কিন্তু এর সংঙ্গা দিল না।
আর বাস্তব জীবনে ভারতীয়রা কেডি না পেয়ে যার উপর আস্থা রাখল তার নাম "এনকাউনন্টার"।
উপরের সকল চরিত্র, ঘটনা ভারতীয়। এর সাথে অন্য কোন দেশের কোন সম্পর্ক নাই। সকল ঘটনা ভারতীয়, এর সাথে তার প্রতিবেশি কোন দেশের নূন্যতম সম্পর্ক নাই। এটা একটা কাল্পনিক ঘটনা। এটা সিরিয়ালের ঘটনা। বস্তব জীবনে এর কোন সম্পর্ক নেই। কেউ যদি কোন সম্পর্ক আবিষ্কার করেন তার দায় ঐ আবিষ্কারকের।
একটা কথা মনে পড়ল- বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে। এই কথা কে বলেছে? আমাদের দেশের এই মহা্ন বিচার ব্যবস্থা দেখলে তিনি এই কথা অবশ্যই বলতেন না। অসভ্য লোক কোথাকার। এই লোকটার নাম বলতে পারবেন কেউ? তিনি লিখতে পারতেন বিচারকের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে বা তিনি এটা এমন ভাবে বলতে পারতেন যে পুরো ব্যবস্থার উপর দোষ না চাপায়। আমি অবশ্য আইন ভাল বুঝি না। কারণ আমি আইনের ছাত্র নই। কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছে এই কথাটা যিনি লিখেছেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা দরকার। বাংলাদেশের সকল নাগরিক এই কথার সাথে একমত হবেন। কী ফালতু কথা বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে। ওকে শূলে দাও................
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩৯