somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"কেডি পাঠক" একটি ভারতীয় টিভি সিরিয়াল

২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এইখানে যত বক্তব্য আছে সব কেডি পাঠকের। আমার নয়। তাই যদি কেউ কিছু মনে করেন তাহলে কেডিকে ধরবেন আমাকে নয়। এখানকার সকল চরিত্র কাল্পনিক।



কেডি পাঠক আর তার সহকারী বরুণের মধ্যে কথা হচ্ছে ভারতের চির শত্রু পাকিস্তানকে নিয়ে:
কেডি: জি কার কাছ থেকে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন?
বরুণ: কেন? আসামোসা এর কাছ থেকে।
কেডি: তিনি কী রাজনীতিক ছিলেন?
বরুণ: না তিনি প্রধান বিচক্ষণ ছিলেন সেই সময়কার। আর তাই কাঙাল জাতি তাকে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাদের দিয়েছেন বাঁশ।
কেডি: ছি! একজন বিচক্ষণ এটা করতে পারলেন?
বরুণ: যাই বলুন তিনি তা করেছেন।
কেডি: আচ্ছা সৈরাচার চাচা হুমুএ কার কাছ থেকে ক্ষমতা নিয়েছেন?
বরুণ: তিনিও একজন বিচক্ষণ। তার নাম হচ্ছে আসা।
কেডি: বাহ। তাহলে ওদের গণতন্ত্র নিশ্চয় কোন বিকেকবান মানুষের হাত ছিল না?
বরুণ: না তাও ছিল সরকারের যে তিনটা বিভাগ থাকে তার থেকে একটার প্রধান মাঝে মাঝে প্রধান হতেন। কোন এক প্রধানের হাত ধরে কোন এক দশকের শুরুতে ওদের বর্তমান গণতন্ত্র শুরু হয়।
কেডি: প্রআতে সৈআম একটা কলাম লিখেছেন আমি কিছু লাইনে দাগ দিয়ে রেখেছি তা পড় তো আমি নোট নেব।
বরুণ: জ্বি স্যার এখুনি বের করছি। তিনি লিখেছেন- বিচ ম্যা বাড়ির শিশু গৃহকর্মীর ওপর দীর্ঘদিন ধরে যে নির্যাতন চলে, তা আশপাশের কোনো বাড়ির কেউ বা ম্যা এর কাছে তদবিরের জন্য যাতায়াতকারী কারও চোখে পড়েনি, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ম্যা ও তার স্ত্রী মেয়েটিকে শারীরিকভাবে মারধর করে জখম করেছেন শুধু তা-ই নয়, পত্রিকায় যে হাড়সর্বস্ব মেয়েটির ছবি দেখেছি, তাতে ওকে যে পেটভরে খেতেই দেওয়া হতো না, তা পরিষ্কার। এখন ম্যাকে দিন কয়েক কাজ থেকে ছুটি দেওয়া এবং বসিয়ে বসিয়ে জনগণের টাকায় মাইনে দেওয়া ঘোরতর অবিচার। (কিছু শব্দ সংক্ষেপিত। বুঝতেই পারছেন।)
কেডি: আজকে পত্রিকাগুলো ঘেঁটে দেখ তো তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা?
বরুণ: আপনি নিশ্চিত থাকুন কয়েক যুগের মধ্যেও হবে না। তবে আমার এ বক্তব্য আপনি ভুল প্রমাণ করতে পারলে আমি খুশি হব।
কেডি: গত ১৯-০৮-২০১৫ তারিখের ৯ পৃষ্ঠাতে দেখলাম জা পেয়ে কয়েকজন অভিযোগকারির বাড়ির সামনে উল্লাস করেছে। তোমাকে খবর নিতে বলেছিলাম নিয়েছ? ওটা কী কোন বি এর নজরে আসেনি? তারা কী ওই জা দাতার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিয়েছে?
বরুণ: ধুর স্যার। দুঃখিত স্যার। এ আর এমন কী? এসব তো হয়ই। তাছাড়া ওই মেয়েটার নিশ্চয় চরিত্র ভাল ছিল না তাই এমন হয়েছে । আপনি কী দেখেছেন আপনি যে আদালতে শুনানি করেন সেই আদালতের বিচারকের মেয়েকে এমন করতে? কারণ তাদের চরিত্র ভাল। আর ঐ ফালতু মেয়েটা। কী বলেন? আপনারই তো একটা মামলায় দেখেছিলাম যে তিন পুলিশ আসামির হামলায় আহত হয়েছে কিন্তু জামিন তো পেল। এসব ফালতু মামলা আপনি নিয়েন না ধরা খাইবেন। জানেন না আইন অন্ধ।



এতক্ষণ সব ফালতু বকবকানি হল। এবার শুনুন আদালত নামে একটা টিভি সিরিয়াল আছে। আর এর প্রধান চরিত্রের নাম কেডি পাঠক। তার সহকারীর নাম বরুণ। একবার হল কী এই প্রথিতযশা আইনজীবি আদালত অবমাননার মামলায় পড়লেন। বিচারক তাকে শাস্তি দিল কিন্তু এর সংঙ্গা দিল না।
আর বাস্তব জীবনে ভারতীয়রা কেডি না পেয়ে যার উপর আস্থা রাখল তার নাম "এনকাউনন্টার"।
উপরের সকল চরিত্র, ঘটনা ভারতীয়। এর সাথে অন্য কোন দেশের কোন সম্পর্ক নাই। সকল ঘটনা ভারতীয়, এর সাথে তার প্রতিবেশি কোন দেশের নূন্যতম সম্পর্ক নাই। এটা একটা কাল্পনিক ঘটনা। এটা সিরিয়ালের ঘটনা। বস্তব জীবনে এর কোন সম্পর্ক নেই। কেউ যদি কোন সম্পর্ক আবিষ্কার করেন তার দায় ঐ আবিষ্কারকের।

একটা কথা মনে পড়ল- বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে। এই কথা কে বলেছে? আমাদের দেশের এই মহা্ন বিচার ব্যবস্থা দেখলে তিনি এই কথা অবশ্যই বলতেন না। অসভ্য লোক কোথাকার। এই লোকটার নাম বলতে পারবেন কেউ? তিনি লিখতে পারতেন বিচারকের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে বা তিনি এটা এমন ভাবে বলতে পারতেন যে পুরো ব্যবস্থার উপর দোষ না চাপায়। আমি অবশ্য আইন ভাল বুঝি না। কারণ আমি আইনের ছাত্র নই। কিন্তু আমার কেন যেন মনে হচ্ছে এই কথাটা যিনি লিখেছেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা দরকার। বাংলাদেশের সকল নাগরিক এই কথার সাথে একমত হবেন। কী ফালতু কথা বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কাঁদে। ওকে শূলে দাও................
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৩৯
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×