একুশ বসন্তে যে কিশোরী গোলাপ দিয়েছিলো
বিস্মিত হয়েছিল সে এমন নির্লিপ্ত ভাব দেখে;
এবং এমন অপুরুষ হওয়া ভাব দেখে
সে ভীষণ ভীষণ কষ্ট নিয়েছিলো বুকে;
প্রবোদ দিয়েছি আমি নিজেকে
কিশোর অপরাধ হবে ভেবে।
ছাব্বিশ বসন্তে বেশ প্লুকিত হয়েছি
ঠিক ঠিক গুনে গুনে ছাব্বিশটি গোলাপ পেয়ে;
গুচ্ছগোলাপ হাতে বার বার ভেবেছি-
এ রমণী শেষ পর্যন্ত আমার হবে কী?
রূপের হাটে যার ভীষণ কদর
আমি কী যোগ্য তার?
গোনা গুনতির ফোঁকর দিয়ে
ভেগেছে সে কাপুরুষ ভেবে।
ত্রিরিশে পড়েছি প্রেমে রমণী ও মুদ্রার
এবং পুরুষ হয়েছি
এ গেছে, ও আসে- জীবনও দ্বন্দ্বময়।
আমার গরল গিলে, সব কিছু করেছে যে তরল-
সেতো একান্ত আমার হয়ে এখনও নিরেট সরলা ।
চল্লিশ পেরিয়ে এখন একান্ত জীবনে
উঁকি দ্যায় এজন, ওজন মনের গহীনে;
এ কেমন মন?
ছাব্বিশগামী অবোধ্য আধাঁর!
জ্যেষ্ঠরা ব্যাখ্যা করেন- পুরুষ পলিগামি;
বিবেকে টান খায় দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বার বার-
ব্যাখ্যা-বাখান নিয়ে চর্চা-পুনঃচর্চা-ফোঁকর-
শুরু হলো এ কোন পাগলামী ঘোর ?