somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

কাল্পনিক_ভালোবাসা
বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

নুহাশ পল্লীর বর্তমান অবস্থা এবং শাওনের ইচ্ছা পূরন।X(X(X(

২৩ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকে অফিসের কাজে গাজীপূরে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে দুপুরে ফেরার পথে এক সহকর্মী অনুরোধ করল, নুহাশ পল্লীতে যেন একবার ঢু মারি। প্রিয় লেখকের কবর জেয়ারত করতে চান তিনি, তাছাড়া আগে কখনও যাননি। তাই নুহাশপল্লী যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো। নুহাশপল্লীতে গিয়ে যা দেখলাম, তাতে কষ্টে মনটা ভরে উঠেছে। সমগ্র নুহাশপল্লীকে কেন্দ্র করে বাজার বসেছে। কাদামাখা পথ আরো কর্দমাক্ত হয়েছে। কেউ কেউ মাইক দিয়ে উচ্চস্বরে গান বাজাচ্ছেন, কেউবা সেই গানের তালে তালে নাচছেন। কেউবা গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ডেটিং এ আসছেন, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে তারা ঘনিষ্ট জনের বাহুবন্ধন আবদ্ধ। সমগ্র নুহাশপল্লীর ঘাস বির্বণ, কোথাও কোথাও ঘাস উঠে গিয়েছে।




যারা প্রথম প্রথম যাচ্ছেন, তাদের এই ব্যাপারটি বুঝতে পারার কথা নয়। আমরা যারা আগেও এখানে বেড়াতে এসেছিলাম, তাদের জন্য এই দৃশ্য অনেক কষ্টের। বিশেষ করে তার প্রিয় ঔষুধি গাছের বাগানের অবস্থা অনেক কাহিল, কেউ পাতা ছিড়ছেন, কেউ গাছের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে গিয়ে অন্য একটি গাছের বারোটা বাজাচ্ছেন। মানুষ বেশ উৎসব মুখর পরিবেশে একটি সমাধি স্থলেবেড়াতে এসেছেন। সবচেয়ে ভয়ানক, কেউ কেউ বিয়ার খেয়ে এসেছেন, এবং তারা লীলাবতি দীঘির এক কোনাতে দলবদ্ধ ভাবে বমি করছেন। কিছু মানুষ বড় গাছের আড়ালে প্রাকৃ্তিক ডাকে সাড়া দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমি আর আমার সহকর্মী ব্যপারটা সহ্য করতে পারলাম না। আমরা বের হয়ে চলে আসলাম।





একটা ভিডিও দেখেছিলাম, হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন তিনি চান না তার কবর এই নুহাশপল্লীতে হোক। তিনি কি তবে এই কারন গুলোর জন্যই বলেছিলেন??

আর শাওন আপনার এক গুয়েমির কারনে হুমায়ূন আহমেদের এই প্রিয় স্থানটির এই করুন দশা। আপনি যতই মায়া কান্না দেখান না কেন, যারাই আপনাকে ক্ষমা করুক না কেন, আমরা কিছু হুমায়ুন ভক্ত আছি, যারা আপনাকে কখনই মাফ করব না।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
৭৭টি মন্তব্য ৭৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদি ভাই, ইনসাফ এবং একটা অসমাপ্ত বিপ্লবের গল্প

লিখেছেন গ্রু, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৮



ইদানিং একটা কথা খুব মনে পড়ে। হাদি ভাই।

মানুষটা নেই, কিন্তু তার কথাগুলো? ওগুলো যেন আগের চেয়েও বেশি করে কানে বাজে। মাঝেমধ্যে ভাবি, আমরা আসলে কীসের পেছনে ছুটছি? ক্ষমতা? গদি? নাকি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×