আজকে অফিসের কাজে গাজীপূরে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে দুপুরে ফেরার পথে এক সহকর্মী অনুরোধ করল, নুহাশ পল্লীতে যেন একবার ঢু মারি। প্রিয় লেখকের কবর জেয়ারত করতে চান তিনি, তাছাড়া আগে কখনও যাননি। তাই নুহাশপল্লী যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো। নুহাশপল্লীতে গিয়ে যা দেখলাম, তাতে কষ্টে মনটা ভরে উঠেছে। সমগ্র নুহাশপল্লীকে কেন্দ্র করে বাজার বসেছে। কাদামাখা পথ আরো কর্দমাক্ত হয়েছে। কেউ কেউ মাইক দিয়ে উচ্চস্বরে গান বাজাচ্ছেন, কেউবা সেই গানের তালে তালে নাচছেন। কেউবা গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ডেটিং এ আসছেন, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে তারা ঘনিষ্ট জনের বাহুবন্ধন আবদ্ধ। সমগ্র নুহাশপল্লীর ঘাস বির্বণ, কোথাও কোথাও ঘাস উঠে গিয়েছে।
যারা প্রথম প্রথম যাচ্ছেন, তাদের এই ব্যাপারটি বুঝতে পারার কথা নয়। আমরা যারা আগেও এখানে বেড়াতে এসেছিলাম, তাদের জন্য এই দৃশ্য অনেক কষ্টের। বিশেষ করে তার প্রিয় ঔষুধি গাছের বাগানের অবস্থা অনেক কাহিল, কেউ পাতা ছিড়ছেন, কেউ গাছের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে গিয়ে অন্য একটি গাছের বারোটা বাজাচ্ছেন। মানুষ বেশ উৎসব মুখর পরিবেশে একটি সমাধি স্থলেবেড়াতে এসেছেন। সবচেয়ে ভয়ানক, কেউ কেউ বিয়ার খেয়ে এসেছেন, এবং তারা লীলাবতি দীঘির এক কোনাতে দলবদ্ধ ভাবে বমি করছেন। কিছু মানুষ বড় গাছের আড়ালে প্রাকৃ্তিক ডাকে সাড়া দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমি আর আমার সহকর্মী ব্যপারটা সহ্য করতে পারলাম না। আমরা বের হয়ে চলে আসলাম।
একটা ভিডিও দেখেছিলাম, হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন তিনি চান না তার কবর এই নুহাশপল্লীতে হোক। তিনি কি তবে এই কারন গুলোর জন্যই বলেছিলেন??
আর শাওন আপনার এক গুয়েমির কারনে হুমায়ূন আহমেদের এই প্রিয় স্থানটির এই করুন দশা। আপনি যতই মায়া কান্না দেখান না কেন, যারাই আপনাকে ক্ষমা করুক না কেন, আমরা কিছু হুমায়ুন ভক্ত আছি, যারা আপনাকে কখনই মাফ করব না।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



