সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যম অসামাজিক করে তুলছে নাকি আমরা নিজরাই নিজেদেরকে অসামাজিক করে তুলছি ষ্ভাবাভিকভাবেই প্রশ্নটি জাগে।
প্রত্যক ক্রিয়ার যেমন প্রতিক্রিয়া আছে ভাল’র বিপরীত যেমন খারাপ আছে ঠিক তেমনি সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমেরও নেগেটিভ দিক রয়েছে। ফেইসবুক আসক্তির কারণে আমরা নিজেদের গা বাচিয়ে বলে থাকি সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যম অসামাজিক করে তুলছে।
অথচ আমরা একটু সচেতন হলেই সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমের ইতিবাচক সুফল ভোগ করতে পারি।
আপনার কাছে অটেল টাকা রয়েছে আর এই টাকার যদি সঠিক ব্যবহার না করেন তাহলে অচিরেই আপনি ধ্বংস হয়ে যাবেন। আর সেজন্য আমরা যদি ধ্বংসের কারন স্বরুপ টাকার উপর দায়বার চাপিয়ে দেই তাহলে সেটা কতখানি নির্বুব্ধিতার পরিচয় তা আর বলার অপক্ষা রাখে না।
ঠিক একইভাবে আমরা যদি ফেইসবুক আসক্ত হয়ে নিজেদের অসামাজিক করে তুলি আর সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমকে দায়ী করি তাহলে সেটা নির্বুব্ধিতার পরিচয় ছাড়া বৈকি।
তাহলে প্রশ্ন জাগতে পারে ক দরকার ছিল সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমের! একটি গল্প বলে শেষ করছি, করিমের বন্ধু রহিম অনেকদিন আগেই বিদেশে পারি জমিয়েছিল। করিমের কাছে যোগাযাগের জন্য কোনো ফোন নাম্বার ছিল না। করিম আর রহিম দুজনেই ফেইসবুকে সক্রিয়। আর ফেইসবুকের মাধ্যমেই করিম আনেকদিন পর তার প্রিয় বন্ধুটিকে খুজে পায়।
ফেইসবুকের সঠিক ব্যবহার আমাদের অধিকতর সামাজিক করে তুলতে পারে।