somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মৃদুল শ্রাবন
আমি সেই নাবিকঃ হাল ভেঙে যে নাবিক হারায়েছে দিশা

কোরবানীর গরুতে বিষ !!!

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঈদ মোবারক ঈদ মোবারক
সামহ্যোয়ারইন ব্লগের পক্ষ থেকে ব্লগের সকল ব্লগার ও ভিজিটরদের জানাই পবিত্র ঈদ উল আয্‌হার শুভেচ্ছা।
চারিদিকে শুরু হয়ে গেছে ঈদের আমেজ। পবিত্র ঈদুল আয্‌হাকে সামনে রেখে ছোট বড় শপিংমল গুলোতে এখনো ভিড় জমতে শুরু না করলেও জমে উঠতে শুরু করেছে গরুর বাজার। জাহাজে থাকার সুবাদে হাটে গিয়ে কোরবানীর গরু কেনার সুযোগ খুব একটা পাই না। কিন্তু এবার সেই সুযোগ পেয়ে গরু কেনার ব্যপারে খোঁজখবর করতে গিয়ে জানলাম আশ্চার্যজনক কিছু তথ্য। জানলাম কোরবানীর এই গরুর মাংস হতে পারে আমার শরীরের জন্য বিষের সমান।

বেশ ঘাবড়ানোর মতো কথা। সঠিক ভাবে গরু চিনতে না পারলে গরুর মাংস হতে পারে আমাদের জন্য ভয়ংকর ক্ষতিকর। তাই গরু কেনার আগে ভালো গরুটি চেনার জন্য সচেতনতার প্রয়োজন এখনি।

এই প্রসঙ্গে নাসিরউদ্দিন হোজ্জার একটা গল্প মনে পড়ছে। বিবির পিড়াপিড়িতে নাসিরুদ্দিন একবার একটা গরু কিনল। কিন্তু গরু ও গাধার জন্য গোয়াল ঘরে পর্যাপ্ত যায়গা না থাকায়, একটা ঘুমালে আরেকটাকে দাড়িয়ে থাকতে হতো। প্রিয় গাধার এই দুরবস্থা দেখে হোজ্জা একদিন খোদার কাছে প্রার্থনা করছে, "হে আল্লাহ, দয়া করে গরুটাকে মেরে ফেল যাতে আমার গাধাটা একটু আরাম করে ঘুমাইতে পারে" ।পরদিন সকালে সে গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে যে গাধাটা মরে পরে আছে। প্রানপ্রিয় গাধার মৃত্যুতে হতাশ হয়ে হোজ্জা বিরস বদনে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, "কোন অভিযোগ করবনা, খোদা, কিন্তু তুমি এতদিন ধরে সারা দুনিয়ার মালিক হয়েও, কোনটা গরু কোনটা গাধা এইটা চিনলানা!"



এটা নিতান্তই একটা জোকস। এখানে কেউ ধর্ম খোজার চেষ্টা করবেন না। আসল কথা হল গরু চেনা। আমরা সবাই নিজের সাধ্যমতো ভালো আর বড় গরু কেনার চেষ্টা করি। সোসাইটিতে কে কতো বড় গরু কোরবানী দিল সেটা নিয় চলে প্রতিযোগিতা। যদিও কোরবানীর মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত প্রিয় জিনিসের কোরবানী। কিন্তু আমরা শুধু মাত্র টাকার জোর দেখাতে বড় বড় গরু কোরবানী দিয়ে থাকি। এই বড় গরু কেনার প্রতিযোগিতায় আমরা শুধুমাত্র ধর্মের উদ্দেশ্যকেই ক্ষুন্ন করছিনা, করছি নিজের ক্ষতি।

বাজারে বিভিন্ন পন্যের ভেজাল নিয়ে আমাদের সাধারনের মাঝে কিঞ্চিত সচেতনতা ইদানিং দেখা যাচ্ছে। আমরা দোকানের ফরমালিন দেয়া ফল বাসায় এনে একঘণ্টা পানিতে ডুবিয়ে রেখে খাই। কিন্তু কোরবানীর হাটের ভেজাল গরুর ব্যাপারে আমরা কতোটা জানি? কিছুদিন আগে জানলাম ফার্মের মুরগীকে ট্যানারির বর্জ্য খাওয়ানোর ফলে মুরগীর মাংসে মিশে যাচ্ছে মানব দেহের জন্য বিষাক্ত ক্রোমিয়াম।



আর গরুর ব্যাপারটা আরো ভয়ংকর। বলা যায় কোরবানীর জন্য বেশী টাকা দিয়ে আমরা বাজার থেকে বিষ কিনে আনছি। কারণ স্টেরয়েড, হরমোন, উচ্চমাত্রার ভিটামিন অথবা রাসয়নিক দিয়ে মোটাতাজা করা গরুতে ভরে উঠছে রাজধানীসহ সারা দেশের গরুর হাটগুলো। কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের আশায় গরু মোটাতাজাকরণের অবৈধ কর্মসূচি হাতে নেয়। এ উদ্দেশ্যে তারা ঈদের এক দুই মাস আগে রোগা পাতলা গরু কিনে নিষিদ্ধ পদ্ধতিতে গরু কে হরমোন ইনজেকশন, স্টেরয়েড, ডেক্সামেথাসন, ডেকাসন, ডাইক্লোফেন ইঞ্জেকশন, বেটামেথাসন ও পেরিঅ্যাকটিন মতো মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে মোটাতাজা করে বাজারজাত করে।

আসুন কয়েকটি ধাপে দেখে নিই বড় গরু কোরবানী করতে গিয়ে কিভাবে আমরা নিজেদের ক্ষতি করছি।

কয়েটি অবৈধ উপায়ে গরু মোটাতাজাকরনঃ

ডাইক্লোফেনাক, কেটোপ্রোফেন ইনজেকশনঃ গরুকে সুস্থ, ব্যথামুক্ত ও রোগমুক্ত রাখার দোহাই দিয়ে স্থানীয় হাটে ডাইক্লোফেনাক, কেটোপ্রোফেন ইনজেকশন পুশ করছেন। এসব ওষুধের কার্যকারিতা এক সপ্তাহ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত প্রাণীদেহে বিদ্যমান থাকে। যদিও প্রাণিদেহের জন্য ডাইক্লোফেনাক নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন।

হেমাটোপিনঃ গরুকে ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়ানো শুরুর ১০/১৫ দিন পর হেমাটোপিন বিএস (১০এমএল) ইনজেনশন মাংসপেশিতে দিয়ে মোটাতাজা করা হয়।

ডেক্সামেথাসনঃ এই জাতীয় ওষুধ পশু বা মানুষকে খাওয়ালে এক সপ্তাহের মধ্যে মোটাতাজা হবে। তবে এই মোটাতাজা বেশি দিন স্থায়ী হয় না, বড়জোর দুই থেকে তিন মাস।

তবে গরু মোটাতাজাকরনের জন্য সবথেকে বেশী পরিমাণ ব্যবহৃত হয় স্টেরয়েড



স্টেরয়েড কিঃ

চর্মরোগ, হাঁপানি ও আর্থাইটিস রোগের চিকিত্সায় অনেক আগে থেকেই স্টেরয়েড ব্যবহার হয়। আমাদের দেশের চিকিত্সকরাও বিভিন্ন ধরনের স্টেরয়েডজাতীয় ঔষধ প্রেসক্রাইব করে থাকেন। এছাড়া জরুরী ফাস্ট এইড দিতে কেউ হঠাৎ অজ্ঞান হলে কিংবা রক্তচাপ কমে গেলেও জীবনরক্ষাকারী ওষুধ হিসেবে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। তবে এসব ব্যবহারবিধি ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে স্টেরয়েডের ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতিকর। স্টেরয়েডের অযৌক্তিক ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।



কিন্তু বাংলাদেশের অনিয়ন্ত্রিত বাজারে প্রচলিত মোটা হওয়ার ওষুধ, ব্যথা কমানোর টোটকা প্রভৃতিতেও ক্ষতিকর স্টেরয়েডের অবৈধ ব্যবহার লক্ষ করা যায়। এক্ষেত্রে করটিসন, হাইড্রোকরটিসন, প্রেডনিসোলন ও ডেক্সামিথাসনের ব্যবহারই বেশি লক্ষণীয়। এগুলো আবার বিভিন্ন নামে ট্যাবলেট, ক্রিম-অয়েন্টমেন্ট, ইনজেকশন ও ইনহেলার হিসেবে বিক্রি হতে দেখা যায়। সম্প্রতি কোরবানির ঈদ সামনে রেখে হাটে উঠানো গরু মোটাতাজাকরণে এ স্টেরয়েড বিশেষ করে ডেক্সামিথাসনের অস্বাভাবিক ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। বস্তুত মানুষের জন্য ব্যবহৃত স্টেরয়েড পশুর ক্ষেত্রে একটু উচ্চমাত্রায় ব্যবহার করা হয়। বিশেষ ধরনের এ স্টেরয়েড অতিরিক্ত ব্যবহার করলে তা বৃক্কের নেফ্রনের ‘স্টেরয়েড রিসেপ্টর’-এর সঙ্গে ক্রিয়া করে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করে। এই অতিরিক্ত পানি শরীরের বিভিন্ন কোষে জমা হয়ে অস্বাভাবিক স্থূলতা সৃষ্টি করে বলেই গরুকে মোটাতাজা মনে হয়।

মানুষের শরীরে ক্ষতিকর প্রভাবঃ

১। অতিরিক্ত স্টেরয়েড খেয়ে শারীরবৃত্তীয় জটিলতায় আক্রান্ত গরুর মাংস খেলে মানুষের ক্ষেত্রেও স্টেরয়েডের বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। অতিরিক্ত ডেক্সামিথাসন তথা স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ রেচনকে বাধাগ্রস্ত ও অনিয়ন্ত্রিত করে বলে তা কিডনির রোগ সৃষ্টি করতে পারে।

২। স্টেরয়েডের প্রভাবে পশুর তো বটে মানুষেরও মুখ, গলা, ঘাড় ও পেটে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেখা যায়। স্টেরয়েড রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি ও উচ্চরক্তচাপ সৃষ্টি করে। ফলে ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চরক্তচাপে আক্রান্ত মানুষ এ ধরনের স্টেরয়েডযুক্ত গরুর মাংস খেলে তাদের ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ আরো বেড়ে যাবে।

৩। গ্লুকোজের পরিমাণ ও রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় রোগী ভয়ানক জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছে। ফলে যাদের স্বভাবতই রক্তে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে, তাদের ক্ষেত্রে এ-জাতীয় মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি পর্যন্ত থেকে যায়।

৪। অতিরিক্ত স্টেরয়েড অস্থি ক্ষয় ও মাংসপেশি ক্ষয়জনিত জটিল রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে হাত-পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়তে পারে, পেশি দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। হাড়ের ঘনত্ব কমে গিয়ে অস্টিওপোরোসিস রোগ দেখা দিতে পারে।

৫। অতিরিক্ত স্টেরয়েড চোখে গ্লুকোমা সৃষ্টি করতে পারে কিংবা পূর্বস্থিত গ্লুকোমার অবনতি ঘটিয়ে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে।

৬। প্রজননক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।

৭। মাত্রাতিরিক্ত ডাইক্লোফেনাক ইনজেকশন পুশ করা গরুর মাংস খেলে কিডনির রোগসহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

৮। ব্যাথানাশক ওষুধের ব্যবহারে যার শ্বাসকষ্ট আছে বা নেই-এমন রোগীরও তা প্রকট আকার হতে পারে। ডাইক্লোফেনাকসমৃদ্ধ গরুর মাংস খেলে লিভার, কিডনিসহ বিভিন্নঅঙ্গ প্রত্যঙ্গের রোগ দেখা দিতে পারে। লিভার ফেইলিউরের ঘটনাও ঘটতে পারে।

৯। এতে লিভার ও কিডনির রোগসহ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে।

১০। এটা আস্তে আস্তে মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগের সৃষ্টি করে।



চেনার উপায়ঃ

১। ঔষুধ দিয়ে গরু মোটাতাজা করলে গরুর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, মাথা উঁচু, শরীর টানটান, তীক্ষ্ম থাকবে। তাই গরু কেনার সময় ওজনে ভারী, ফোলা ও চর্বিজাতীয় গরু না কেনা।

২। স্টেরয়েড খাওয়ানোর ফলে গরু অসুস্থতার কারণে সবসময় নীরব ও নির্জীব থাকে। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারে না। খাবারও খেতে চায় না। এসব গরুর পেছনের দিকে উরুর পেশীবহুল জায়গায় আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলে তা উল্লেখযোগ্যভাবে দেবে যাবে। কারণ বাইরে থেকে মাংস মনে হলেও এখানে মাংসের সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে পানি থাকে।

৩। গরুকে যে কোন ধরনের হরমোন খাওয়ানো হোক না কেন ৭ দিন পরে এর কার্যকারিতা থাকে না। এক্ষেত্রে ক্রেতারা ঈদের ৭ দিন আগে গরু ক্রয় করতে পারেন। স্টেরয়েড সেবন করা গরু ৭ দিন পর বেশিরভাগ মারা যায়।


ঈদকে কেন্দ্র করে সারা দেশে ৮০ লাখ গরুর চাহিদা আছে। এর মধ্যে ভারত থেকে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা মূল্যের ২০ লাখ থেকে ২৫ লাখ গরু বাংলাদেশে আসে। এইসমস্ত গরুর বেশীর ভাগই ক্ষতিকর পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৫ লাখ গরুর খামার আছে। এখানেও গরুর ব্যবসায়ীরা গরু মোটাতাজা করার জন্য বেছে নিচ্ছে অবৈধ পন্থা।

যদিও ২০১০ সালে গবাদি পশুর চিকিৎসায় বিশেষ করে গরু মোটাতাজাকরণে এসব ইনজেকশন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু সেই আইন বাস্তবায়নের সরকারের উচিত এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এজন্য স্টেরয়েডের মতো ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ বিক্রি ও বিপণনের সঙ্গে জড়িত অসাধু ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। কোরবানির গরুর হাটগুলোকে পশুসম্পদ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তদারক করা যেতে পারে। ম্যাড কাউ কিংবা ওই জাতীয় রোগ হলে বিশ্বের অন্য দেশগুলোয় যেমন সতর্কতা জারি করা হয়, স্টেরয়েড খাওয়ানো গরুর ক্ষেত্রে সেভাবে সরকারি উদ্যোগে পশু চিকিত্সক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযান চালানো যেতে পারে। এভাবে স্টেরয়েড খাইয়ে মোটাতাজা করা গরুগুলোকে শনাক্ত করে এর পেছনে দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনলে ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব।

পাশাপাশি স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ বিক্রি, আমদানি ও বিপণনের ক্ষেত্রে একটি উপযুক্ত বিধি নির্ধারণ করে দেয়া উচিত। এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি ওষুধ বিক্রি বন্ধ করা সম্ভব। অতিরিক্ত স্টেরয়েড চিকিত্সকের ব্যবস্থাপত্র বাদে কেউ কিনলে তাকে অপরাধী হিসেবে শনাক্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।


আমরা বাঙালিরা জন্মসূত্রে ভেজাল খেতে অভ্যস্ত। আমাদের শরীরে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিকর জিনিস ঢুকছে। যার কারনে সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা আমাদের জন্য কষ্টকর। কিন্তু এর তো একটা সমাপ্তি দরকার। আমার একার পক্ষের কিংবা আপনার একার পক্ষে দেশ বদলানো সম্ভব না। আপনি পারবেন না যে ব্যাক্তিটি সামান্য লাভের আশায় তারই ভাইয়ের শরীরে অবলিলায় বিষ ঢুকিয়ে দিচ্ছে তার মনোভাবের পরিবর্তন করতে। তাই ভালোভাবে বেঁচে থাকতে সতর্ক হওয়া উচিত আপনারই। এ বিষয়ে আমাদের সরকারী পদক্ষেপ কখন আসবে সেটা নিয়ে আশা করি কারো কোন সন্দেহ নেই। তাই ঈদের বাজারে বড় বড় গরুর গলায় মালা পরিয়ে সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোডের চিন্তা না করে বাজার থেকে কিভাবে একটি সুস্থ গরু কিনবেন সেটি নিয়েই ভাবুন।

আসুন দেখে নিই ভেজাল গরু চেনার তিনটি সহজ উপায়।


তথ্যসূত্র
১। Click This Link
২। Click This Link
৩।www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2014/09/30/13508
৪।www.streetdirectory.com/food_editorials/cooking/meat_recipes/harmful_chemicals_in_the_meat_you_eat
ভিডিও কার্টেসীঃ মজা লস?
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:১১
৪৫টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×