somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলা ব্লগ নিয়ে কিছু কথা এবং ৬ষ্ট ব্লগ দিবসকে সামনে রেখে কিছু প্রত্যয়

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আপডেটঃ ব্লগের বর্তমান অবস্থা ও কিছু পদক্ষেপ নিয়ে সামহ্যোয়ারইন ব্লগে কর্ণধার শ্রদ্ধেয় জানা আপা এই পোষ্টের ২৭ নং মন্তব্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেছেন যা পোষ্টের অন্তর্ভূক্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করছি। তিনি বলেছেনঃ

ব্লগের বর্তমান অবস্থা নিয়ে অনেকগুলো বিষয় ভাববার আছে। সময়ে অনেক কিছুরই পরিবর্তন পরিবর্ধন, বিশেষ আইন-কানুনের সংযুক্তি, দীর্ঘ সময় সময় ধরে আমাদের টেকনিক্যাল সমস্যা, পুরনো কোড/ডিজাইন এবং সার্ভার পরিবর্তন সংক্রান্ত জটিলতা ইত্যাদি অনেক কিছুই রয়েছে। পাশাপাশি ফেইসবুকের জনপ্রিয়তা। ব্লগ এবং ফেইসবুকের মধ্যে যে বিপুল ব্যাবধান এবং এই দু'টো সামাজিক মাধ্যম যে ভিন্ন ভিন্ন মেজাজের বা চরিত্রের সেটার বোধ ও একটা ভাল কারণ। ব্লগে প্রকাশিত একটি লেখা বা মতামত গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর। কমিউনিটির দ্বারাই মূলত ভাল-মন্দের বিবেচিত হয়, সমাদৃত হয় বা নিগৃহীত হয়। পাশাপাশি কামিউনিটি ব্লগ একটি নীতিমালা অনুসারিত। ফেসবুকে সেসবের জোরালো কোন জায়গা নেই। ভাল-মন্দ-নিকৃষ্ট(অবশ্যই অজুত -নিজুত নিকৃষ্ট ব্যাপার রয়েছে এবং রয়েই যায় সেখানে) সবটাই একটা অবাধ এবং প্রায় অপ্রতিরোধ্য। সেখানে মেধার বিচ্ছুরণের পাশাপাশা অধিকাংশ সময়ই এর উল্টোটাই ঘটছে যা গড়ে সাধারণ সবার জন্যে ইতিবাচক-নেতিবাচক আগ্রহের জায়গা হয়ে উঠেছে। ওখানে একটি দু'টি লাইনে স্ট্যটাস (!!) লিখেও জনপ্রিয়তা(লাইকের ঘটা) বা যোগাযোগ সম্ভব, ব্লগে তা কোনভাবেই নয়। আরও আরও আরও অনেক ব্যাখ্যা আসতে পারে।

সময় নিলেও টেকনিক্যাল সমস্যার বিষয়গুলো আমরা প্রায় গুছিয়ে নিয়েছি এবং ব্লগটির সবিধাজনক ব্যবহারের লক্ষে্য বেশ কিছু ছোট-বড় ফিচারও আমরা সংযুক্ত করতে পেরেছি যা অচিরেই নোটিশ বোর্ডের মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাবো।

প্রতিবারই আমরা বাংলা ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছা সহ আমন্ত্রণ জানিয়ে এক থেকে সর্বশেষ রেজিস্ট্রেশনকৃত ব্লগারকে একটি ইমেইল করি। এ,ছাড়া গত ২০১১ তে সবক'টি ব্লগ প্ল্যাটফর্ম একত্রে বা একযোগে দিবসটি উদযাপন করার জন্যে কি করা যেতে পারে তার যাবতীয় পরিকল্পনা করার লক্ষ্যে একসাথে বসার জন্যে প্রত্যেকটি বাংলা ব্লগ প্ল্যাটফর্মকে ইমেইল করি। এতে ১৪ টি বাংলা ব্লগ প্ল্যাটফর্ম একত্রিত হয়ে কয়েকবার মিটিং করে সম্মিলিত পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯শে ডিসেম্বর দিবসটি উদযাপন করি। এই পুরো কাজটি আমি নিজে যেমন পরিচালনা করেছি তেমনি এর যাবতীয় ব্যয়, শ্রম এবং যোগাযোগ আমিই প্রবল উৎসাহে করে গেছি। এর মধ্যে কেউ কেউ আবার কমিটি/সাবকমিটি/উপকমিটি/ ( =p~ =p~ =p~) ইত্যাদি নানান সরকারী কায়দা-কানুন আশ/দাবী করে এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও তৈরী করেছেন। এরপর অনেক ব্লগ প্ল্যাটফর্ম নানা কারণে হারিয়ে গেছে কিংবা বন্ধ হয়ে গেছে। যারা এখনও টিকে আছে তাদের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই বিষয়টিতে কোন দায়িত্ববোধ বা আগ্রহ দেখা যায়না।

তবে, যত যাই হোক, সামহোয়্যার ইন ব্লগের ব্লগারসহ আরও কিছু বাংলা ব্লগের ব্লগারদের উৎসাহের কমতি নেই। আমরা প্রতি বছরই সাধ্যমত চেষ্টা করি দিনটি উদযাপনের। গতবছর অনেকটা গুছিয়ে নেবার পরও আমরা কেন্দীয়ভাবে কিছু করতে পারিনি দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে। তবে, ঢাকায় এবং বিভিন্ন জেলা শহরে ব্লগাররা সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন।

এবারও বরাবরের মতই ব্লগারদের উৎসাহ লক্ষ্য করছি এবং আমরাও সাধ্যমত চেষ্টা করছি। আমি বিশ্বাস করি, 'আমরা' পারবো।



মূলপোষ্টঃ

ব্যক্তিগত ডায়েরীর অনলাইন সংস্করণ হিসেবে ব্লগ শব্দটার উৎপত্তি হলেও আজকে ব্লগ শব্দটার ব্যপ্তি অনেক বেশী বিস্তৃত। একটা গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়াও সুচিন্তিত মতামতের প্রকাশ ও নাগরিক সাংবাদিকতা প্রভৃতির জন্য আজকের দিনে ব্লগসাইট একটি সুস্থ ধারার অনলাইন প্লাটফর্ম। ইতিহাস ঘেটে যতটুকু জানা যায় ১৯৯৭ সালের ১৭ই ডিসেম্বর জোম বার্গার ওয়েবলগ শব্দটা প্রথম ব্যবহার করেন। তারপর পিটার মেরহোলজ তার ব্লগ পিটারমে.কম এর সাইডবারে weblog শব্দটাকে ভেঙ্গে we blog হিসেবে লেখেন। এবং সেখান থেকেই পরে শব্দটার ছোট সংস্করণ হিসেবে blog শব্দটাই আসতে আসতে জনপ্রিয়তা পায়।

শুরুটা ধীরগতির হলেও ব্লগিংটা খুব দ্রুতই জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৯৮ সালে ব্রুস আবেলসন নামের এক ভদ্রলোক ‘ওপেন ডায়েরী’ র আত্মপ্রকাশ করেন যাতে খুব তাড়াতাড়িই হাজার হাজার অনলাইন দিনপঞ্জির জন্ম নেয়। এবং তার এই ওপেন ডায়েরীর বিশেষত্ব ছিল পাঠকের মন্তব্যের সুযোগ। এটাই ছিল প্রথম ব্লগ কমিউনিটি যেখানে পাঠকের সাথে লেখকের মন্তব্য বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হয়। আজকের দিনের সবচেয়ে বড় ব্লগিং প্লাটফর্ম হিসেবে পরিচিত ওয়ার্ডপ্রেস ও ব্লগার.কম। ব্লগার.কম প্রথম চালু করেন ইভান উইলিয়ামস ও মেগ হুরিয়ান ১৯৯৯ সালে। পরবর্তিতে গুগল এটি কিনে নেয়।


বাংলা ব্লগের শুভসূচনা



বাংলা ব্লগের সূচনা হয় স্যামহোয়ারইন ব্লগের হাত ধরে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেমন ব্লগের জনপ্রিয়তা আসতে সময় লাগে বাংলা ব্লগের শুরুটাও ছিল অনেক ধীর গতির। ২০০৫ সালের ১৫ই ডিসেম্বর বিকাল ২ টা ২৬ মিনিটে ব্লগে ‘ইমরান ব্লগ স্রষ্ঠা ’ শিরোনামে ব্লগার দেবরা ’র প্রথম পোষ্ট প্রকাশিত হলেও সেই পোষ্টে প্রথম মন্তব্য আসে ২০০৬ সালের ১৮ই জুলাই। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো সামুর প্রথম ভার্সনটি তৈরি করেছিলেন ইমরান হাসান । প্রথম পোষ্টটি তার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেই এই প্রথম পোষ্ট ছিল।



এই ব্লগের শুরুতে ব্লগে ব্লগার হিসেবে নিবন্ধিত হন সাধারনত আইটি মনস্ক লোকজন। তার কারন ব্লগটি তৈরি করার পরে বিভিন্ন আইটি মনস্ক লোকজনের কাছে তার লিঙ্ক পাঠায় ডেভেলাপাররা। এবং ইমেইলে বিভিন্ন লোকের কাছে ব্লগ লেখার আমন্ত্রনও জানানো হয় বলে জানা যায়। শুরুর দিকে ব্লগে লেখার পদ্ধতিও অনেক কঠিন ছিল, এখনকার মতো এমন ফোনেটিক সহজ পদ্ধতি ছিল না। তাই প্রথমে ব্লগিং টা আমজনতার কাছে জনপ্রিয়তা পায় না। পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে ব্লগে আইটি মনস্ক মানুষের বাইরে বেশ কিছু সাহিত্য মনা ব্লগার নিবন্ধিত হন। এবং ধরা যায় একই বছরের মার্চ মাস থেকে ব্লগ জমে উঠতে শুরু করে। এবং ২০০৭ এ এসে ব্লগ একেবারে রমরমা হয়ে ওঠে।

কমিউনিটি ব্লগ

আজকের বাংলা ব্লগকে একটা ব্লগ কমিউনিটি হিসেবে ধরা হয়। এই ব্লগ কমিউনিটি’র সূচনা হয় প্রাপ্তিকে বাচাঁনোর জন্য। নিকের আড়ালে থাকা মানুষ গুলো শিশু প্রাপ্তিকে বাচাঁনোর জন্য একত্রিত হয়ে ক্যাম্পেইন করে ফান্ড গঠন করে। তখনই ব্লগে মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যের সম্পর্কের মানুষগুলো পরস্পরের কাছাকাছি এসে একই উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করা শুরু করে। এরপর নানা ইভেন্টে ব্লগের সমমনা মানুষগুলো একত্রিত হতে থাকে। কখনো ব্লগাড্ডা কখনো বা কোন অসহায়ের পাশে দাঁড়ানো কখনো বা প্রতিবাদের ইস্যুতে ব্লগাররা এক হয়েছে। ব্লগারদের প্রাথমিক দিকের সামাজিক কাজগুলো নিয়ে বলতে গেলে বলা যায় চট্টগ্রামে পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়ানোর কথা। পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে মৃত্যুমুখে পতিতদের পাশে স্বউদ্যোগে এগিয়ে এসেছিলেন ব্লগাররা। এভাবে প্রাথমিক ভাবে বেশ কিছু সামাজিক কাজের উদ্দেশ্যে ব্লগারদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া বেড়ে যায়। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর ব্লগে এভাবে একত্রিত হয়ে জনকল্যাণের কাজ করা হয় কিনা সন্দেহ। এর পরে রুশান কে বাঁচাবার জন্য ব্লগারদের একাত্মা ঘোষনা করাটা বাংলা ব্লগের ইতিহাসে স্বরনীয় হয়ে থাকবে। ব্লগীয় প্লাটফর্ম থেকে সাত লক্ষাধিক টাকার ফান্ড গঠন করা হয় রুশানের চিকিৎসার জন্য। ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু আফরার পাশে দাঁড়াতে ব্লগাররা এগিয়ে আসতে সময় নেয়নি। এছাড়া সাভার ট্রাজেডিতে ব্লগাররা একত্রিত হয়ে কাজ করেছে। জরুরী রক্ত দান, ঔষধ প্রদান, আহতদের পূনর্বাসনের জন্য কি নিরালস পরিশ্রম যে ব্লগাররা করেছেন তা আসলেই স্মরণ রাখার মতো। লক্ষ্য করার বিষয় হলো এই সমস্ত মানবিক কাজের জন্য শুধুমাত্র টাকার যোগানের ব্যবস্থা করলেই হয় না। ফিজিক্যালি অনেক পরিশ্রম করা লাগে। এই কাজে প্রমান করে ব্লগাররা শুধু ধরে বসে কিবোর্ড চালাতে জানে না তারা আর্ত মানুষের পাশে দাড়াতে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাদের জন্য কাজ করতে জানে।

এছাড়া প্রতিবছর উত্তরাঞ্চালে শীতার্তদের শীত বস্ত্র বিরতনের কার্যক্রম তো আছেই। শীতের শুরু থেকেই বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে তহবিল গঠন করে শত শত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র কিনে তাদের কাছে সূষ্ঠভাবে বন্ঠন করা আর কোন অনলাইন এ্যক্টিভিটসদের দ্বারা সম্বব হয় নি। এই সব কাজই বলে দেয় ব্লগাররা ব্লগিংকে শুধুমাত্র নেশা হিসেবে নেয়নি তারা একটা সুন্দর সুস্থ বাংলাদেশের স্বপ্ন থেকে ব্লগিং করেন। তাদের ভেতরে একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াবার চেতনা আছে।

জনমানুষের জন্য সরাসরি মাঠে নেমে এইসব কাজই নয়, ব্লগারদের প্রধান যে অস্ত্র, তাদের কি-বোর্ড সবসময়ই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে ব্লগারদের গর্জে ওঠার কথা। বলা যেতে পারে শাহবাগ আন্দোলনের কথা। গনজাগরনের প্রথম ডাক আসে সামহ্যোয়ারইন ব্লগ থেকেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী নিয়ে ব্লগে সবাইকে একত্রিত হবার ডাক ও গণসাক্ষরের প্রস্তাব আসে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ গঠন হবারও বহু আগে সেই ২০০৮ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর জামাল ভাস্করের আসুন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে আন্দোলন গড়ে তুলতে এক হই পোষ্টে। এছাড়া নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের জন্যও ব্লগাররা রাস্তায় নেমেছে। বিভিন্ন সময়ে ব্লগাররা সম্মিলিত স্লোগান তুলেছে দেশের যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে। যে কোন রাষ্টয়ত্ব অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলতে ব্লগারদের ক্ষুরধার কলম কখনো থেমে থাকেনি।

এই সব কিছুই সম্ভব হয়েছে ব্লগ শুধুমাত্র একটা অনলাইন ডায়েরী থেকে উঠে এসে একটা সামজিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্লাটফর্ম হিসেবে তৈরি হয়েছে বলে। এবং ব্লগার দের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া বেড়ে ব্লগ নিয়ে ব্লগার কমিউনিটি তৈরি হয়েছে বলেই।

এই গেল বাংলা ব্লগের অতীত এবং বর্তমান অবস্থা। কিন্তু কালের পরিক্রমায় আসলেই কি ব্লগ এবং ব্লগিং টিকে থাকবে? সাধারণ মানুষের কথা পরে চিন্তা করছি, চিন্তাশীল সুশীল সমাজের কাছে ব্লগের গ্রহনযোগ্যতা কি দিনে দিনে বাড়বে নাকি কমবে? ব্লগের প্রতি মানুষের আকর্ষণ কেন বাড়বে? বা বাড়া উচিত বলে মনে করি? এবং এই বিষয়ে ব্লগকর্তৃপক্ষ ও একজন ব্লগারের কি দ্বায়িত্ব আছে? চলুন কয়েকটি ধাপে এই বিষয়টা দেখে নিই।



ব্লগ বনাম প্রিন্টিং মিডিয়াঃ ব্লগিং জনপ্রিয় হবার প্রধান কারন

প্রিন্টিং মিডিয়ায় একজন লেখককে লেখক হিসেবে পরিচিতি পাবার জন্য অনেক বেশী স্ট্রাগল করতে হয়। দিনের পর দিন পত্রিকায় লেখা পাঠিয়ে বসে থাকতে হয়। খুব মান সম্মত কোন লেখা যদিও কোন সম্পাদকের নজরে পড়ে সেখানেও পড়ে সম্পাদকের কাটাকাটি। বেশীর ভাগ সম্পাদকই একেবারে প্রতিষ্ঠিত লেখকদের লেখা ছাড়া অন্য কারো লেখ হুবহু প্রকাশ করে না। লেখালেখির এই বৈরি একটা পরিবেশ থেকে একজন লেখকের জন্য লেখক হিসেবে পরিচিতি পাওয়াতো অনেক পরের ব্যাপার লেখকের নিজের মানসিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখাও কষ্টকর। সেখানে ব্লগিং প্লাটফর্ম একটি আদর্শ জায়গা একজন লেখকের জন্য তার প্রতিভা বিকাশের জন্য। আর পাঠক সংখ্যা বিচার করলে আজকাল অনলাইনের পাঠক সংখ্যা অনেক বেশী। এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি কাজ করে সেটি হল, লেখার মন্তব্য। প্রিন্টিং মিডিয়ায় একজন লেখকের পাঠকের কাছে জবাবদিহিতার দায়বদ্ধতা অনেক কম থাকে, কিন্তু ব্লগে সেটি সম্পূর্ন ভিন্ন। লেখক যখন ব্লগে একটা লেখা প্রকাশ করেন সেখানে পাঠকের কাছে জবাবদিহীতার দায়বদ্ধতা থেকে যায়। প্রসঙ্গ নিয়ে পাঠকের অনুকূল ও প্রতিকূল মন্তব্যের জবাবে প্রসঙ্গটি আরো অনেক বেশী পরিপূর্ন হয়ে ওঠে। অনেক সময় দেখা যায় মূল পোষ্টে যতটা বেশী বিশ্লেষণ হয় মন্তব্যে তার থেকে বেশী বিশ্লেষণ হয়। এই জন্যই মুক্ত চিন্তা বিকাশের জন্য ব্লগের গুরুত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই।

রেডিও টেলিভিশন বা সংবাপত্রে প্রকাশিত কোন সংবাদ নিয়ে শ্রোতা পাঠক বা দর্শক তাদের মতামত জানাতে পারেন তবে সেটা সরাসরি নয়। হয়তো চিঠি লিখে কিংবা সরাসরি সংশ্লিষ্ঠ গনমাধ্যমর অফিসে গিয়ে। পত্রিকায় প্রকাশিত কোন আর্টিকেল নিয়ে কোন বিপক্ষীয় আলোচনা হতে পারে ঐ লেখার কথা উল্লেখ করে অন্য কোন লেখা পত্রিকায় প্রকাশের জন্য পাঠালে। সেক্ষেত্রেও সমস্যা আছে। সম্পাদক সংশ্লিষ্ঠ লেখা প্রকাশ নাও করতে পারে। আবার প্রকাশ হলেও সেখানে মুল লেখকের জবাবদিহীতার কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না। কিন্তু ব্লগে লেখালখিতে এই সমস্ত ব্যপারগুলোয় অবাধ স্বাধীনতা আছে। একজন ব্লগার যেটা লিখেন অন্য ব্লগাররা সেখানে তাদের সুচিন্তিত মতামত প্রকাশ করেন এবং সেটা নিয়ে দ্বিপক্ষীয় মতামত বিনিময় হয়। এছাড়া প্রত্যেকটা ব্লগে লেখালেখির একটা নীতিমালা থাকলেও তা কোন ব্লগারের বাক স্বাধীনতায় সাধারনত হস্তক্ষেপ করে না। কারণ প্রত্যেকটা ব্লগেই বলে দেয়া থাকে লেখার দায়ভার ব্লগ কর্তপক্ষ বহন করবে না। একারনে একজন ব্লগার যে কোন বিষয়ে তার চিন্তাধারা তুলে ধরতে পারে। এ কারনে ব্লগই হয়ে উঠেছে মুক্তচিন্তা প্রকাশের একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম।

ব্লগের ভবিষ্যৎ ও একটা এন্ড্রোয়েড এ্যাপসের প্রয়োজনীয়তা

তবে আমজনতার কাছে জনপ্রিয় হবার আগেই কয়েকটি ঘটনা তাদের কাছে ব্লগার শব্দটার একটা নেতিবাচক দৃষ্টিভংগির সৃষ্টি হয়েছে। সেই ইস্যুতে তসলিমা নাসরিন বঙ্গদেশে পরিত্যজ্য হয়েছে, যে ইস্যুতে হুমায়ুন আজাদ বিতর্কিত হয়েছিলেন সেই ছাপ লেগে গেছে বাংলাদেশে ব্লগারদের গায়ে। ব্লগার মানেই নাস্তিক এরকম একটা ধারনা সাধারন মানুষের মাঝে ঢুকে গেছে।

কিন্তু আগামী বিশ্বে ব্লগাররা সামাজিক নীতিনির্ধারকের আসনে থাকবে তাতে কোন সন্দেহ নেয়। এজন্য আমরা যারা ব্লগার আছি আমাদের দ্বায়িত্ব জনসাধারনের কাছে ব্লগকে পৌছে দেয়া এবং ব্লগ সম্পর্কে ভূল ধারনা দূর করা। প্রশ্ন আসতে পারে ব্লগ একটি ইন্টারনেট নির্ভর সামাজিক মাধ্যম। বাংলাদেশের সাধারন মানুষ এখনো ইন্টারনেটের সুবিধাভুক্ত নয়। এই প্রশ্নের জবাবে তুলনা করা যায় ফেসবুকের কথা। গত দুই এক বছরে আমাদের দেশের মানুষের মাঝে ফেসবুকের ব্যবহার যেভাবে বেড়েছে সেটা অনেকটা লক্ষনীয়। বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে ফেসবুকের ব্যবহার বেড়ে যাওয়া ব্লগ ইতিহাসের জন্য অবশ্যই আশার বার্তা বয়ে আনছে।

আজকাল দেখা যায় শুধুমাত্র ফেসবুক ব্যবহারের জন্যই মানুষ এন্ড্রয়েড মোবাইল বা কম্পিউটার কিনে এবং সর্বক্ষণ ইন্টারনেট সংযোগের মধ্যে থাকে। এখন এই বিপুক সংখ্যক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর কাছে ব্লগকে জনপ্রিয় করে তোলা খুব বেশী কষ্ঠসাধ্য কিছু নয়। ব্লগ সাইটগুলো সহজভাবে ডেভেলোপ করে এবং তাতে সৃজনশীলতা বজায় রেখে সাধারণের মাঝে আগ্রহ বাড়াতে হবে। এই বিষয়ে একটা সহজ এন্ড্রোয়েড এ্যাপস এর প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করা যায়। উদাহরণ স্বরূপ আমরা এখন এন্ড্রোয়েড ফোনে ফেসবুকের সে এ্যপসটা ব্যবহার করি সেটি বেশ ইউজার ফ্রেন্ডলি। এখন যদি স্যামহোয়ারইন ব্লগের একটা এ্যাপস থাকে যেটি সরাসরি ব্লগে পোষ্ট পড়া, পোষ্ট করা, কারো পোষ্টে মন্তব্য করার সুবিধা সহ নোটিফিকেশন সার্ভিস চালু থাকে তবে এক লাফে সামুর ইউজার অনেকগুন বেড়ে যাবে তারে কোন সন্দেহ নাই। আইটির সাথে জড়িত সবাই জানে একটা এমন একটা এ্যাপস বানানো আহামরি কঠিন কিছু না।


ব্লগ দিবস শুধুমাত্র মিলনমেলা নয়



এই ব্লগীয় কমিউনিটি আরো জোরদার করার উদ্দেশ্যেই শুরু হয় ব্লগ দিবস পালন। বিজয়ের মাসের প্রতি শ্রদ্ধা ও বাংলা ব্লগের সূচনার দিনটিকে মনে রেখে ২০০৯ সালের ১৯ শে ডিসেম্বর প্রথম ব্লগ দিবস পালন করা হয়। তবে ব্লগ দিবস পালনের মূখ্য উদ্দেশ্য এটি ছিল না। ব্লগ দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সকল ব্লগারদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলা ব্লগকে জন সাধারনের কাছে পৌছে দেয়া। তবে ব্লগ দিবসে সাধারণের সল্প উপস্থিতি এই উদ্দেশ্যকে কতটা সফল করতে পেরেছে সেটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে।

আগামী ১৯ শে ডিসেম্বর ৬ষ্ঠ ব্লগ দিবস পালনের জন্য ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে আলোচনা। তবে এই আলোচনায় উঠে আসতে পারে ব্লগ নিয়ে আমরা কি ভাবছি। শুধু মাত্র ব্লগারদের মধ্যে মিলন মেলা ঘটিয়ে আনন্দফূর্তি করে দিনটি পালন করলে ব্লগের কোন উন্নতি সাধন হলো না। এই বিষয়ে ব্লগ কর্তৃপক্ষ সহ আমাদের ভাবতে হবে ব্লগ দিবসকে কিভাবে একটি মুক্তমনাদের নিয়ে একটা জাতীয় মিলন মেলা বানানো যায়। ব্লগ দিবসে অংশগ্রহন সাধারনত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। তাই এই বিষয়ে প্রচারনা বাড়িয়ে অঞ্চল ভিত্তিক মুক্তমনা তো বটেই সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। অনেকে হয়তো রক্তদান কর্মসূচির কথা ভাবেন কিন্তু মনে রাখতে হবে আমরা যে কোন সময়ে একটা রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করতে পারি। সেটার জন্য ব্লগ দিবসের দরকার পড়ে না। ব্লগ দিবসে আমাদের এমন একটা কিছু করা প্রয়োজন যা ব্লগের অস্তিত্বকে বা ভিত কে শক্তিশালী করবে। এবং আমার মতে এটা এবার সম্ভবও। কারণ এখন বাংলা ব্লগে ক্যাচালের পরিমাণ অনেক কম এমনকি নেই বললেও চলে। এই সুন্দর পরিবেশে ব্লগারদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য কে কাজে লাগিয়ে আমাদেরকে বাংলা ব্লগকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য লড়তে পারি।

ব্লগের ভিত্তিকে শক্তিশালী করার প্রশ্ন আসছে কারণ বর্তমানে বাংলা ব্লগের অবস্থা বেশী ভালো অবস্থানে নেই। সম্প্রতি ফেসবুকের প্রাদূর্ভাবের কারণে ব্লগের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমে গেছে। এই আগ্রহ যে আসলেই কমেছে সেটা দেখার জন্য একটা পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষনই যথেষ্ট। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশী ভিজিটেট ওয়েবসাইটের তালিকায় সামহ্যোয়ারইন ব্লগের বর্তমান অবস্থান ৬৪। গত বছর এই অবস্থান ছিল ২৪। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে ব্লগের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ার বদলে কমেছে।


সামহ্যোয়ারইন ব্লগের চলতি বছরের ভিজিটর গ্রাফ


ভিজিটর সংখ্যা কমে যাওয়ার দুটি তুলনামূলক চিত্র।

ভালো ভালো কথা যাই লিখি না কেন এটাই বর্তমান বাস্তব চিত্র যা হতাশ হবার মতোই একটা পরিসংখ্যান। মোস্ট ভিজিটেড তালিকায় ফেসবুক প্রথম অবস্থানে আছে যেটাকে স্বাভাবিক হিসেবেই গন্য করা যায় কিন্তু বাংলাদেশের অনান্য ব্লগসাইট বা অনলাইন সংবাদমাধ্যম গুলো সামু ব্লগের অনেক ওপরে উঠে এসেছে। অবাক হতে হয় তখন যখন দেখি বাংলানিউজ২৪, কালেরকন্ঠ, সময়ের কন্ঠস্বর, জুমবাংলা, বিডি২৪লাইভ, প্রিয় ডট কমের মতো ১৮ প্লাস সংবাদনির্ভর নিউজপোর্টাল গুলো সামহ্যয়ারইন ব্লগের উপরে উঠে এসেছে দেখতে হয়। তাহলে ধরে নিবো আমরা লুল সমাজের কাছে কাছে পরাস্থ?? সেটা মেনে নেয়া কি আমাদের জন্য সুখকর?? জানি মোটেও না। যে সুস্থ ধারায় আমরা সমাজ বদলানোর চেতনা নিয়ে ব্লগিং করতে নেমেছি সেই আমরা অসুস্থ বিনোদনের কাছে পরাজিত হতে পারিনা।

তাহলে এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কে এগিয়ে আসবে? ব্লগ কর্তৃপক্ষ নাকি ব্লগার??? এটা সত্যি যে কোন পক্ষের একার প্রচেষ্টায় আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারবো না। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আবার বাংলা ব্লগকে সচল করতে হবে। সামু ব্লগের উন্নয়নের জন্য কর্তৃপক্ষ কাজ করছে এটাই আশার বানী। দেশ বদলের যে স্বপ্ন নিয়ে সামু ব্লগের কর্নধার জানাআপু বাংলাদেশে ব্লগের বীজ বোপণ করেছিলেন সেটি আজো তেমনি অক্ষত আছে এটাই আমাদের ব্লগিং এর ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখার সহায়ক। ব্লগের ক্রান্তিকালে যখন ডাকসাইটে ব্লগাররা দূষিত পরিবেশ ভেবে একে একে ব্লগ ছেড়ে চলে গেছে তখনও থেমে থাকেনি সামুর পথ চলা। রাজনৈতিক অরাজনৈতিক বা ধার্মিক ক্যাচাল এড়িয়ে সাহিত্যব্লগ ছোপ গায়ে লাগিয়ে পথ চলেছে। তবু থামেনি। নতুন ইন্টারফেস বানানো হচ্ছে। বাগ ফিক্স করা হচ্ছে। গুরুত্বপুর্ণ পোষ্টের গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এবং ইদানিং দেখছি পুরাতন অনেক ব্লগার আবার আস্তে আস্তে ব্লগে ফিরছেন।

আপাতদৃষ্টিতে আমার মনে হচ্ছে ব্লগের দুঃসময় থেকে উত্তরণের দ্বারপ্রান্তে আমরা। এখনই আমাদের ভাববার সময়। দ্বায়িত্বশীল ব্লগারদের উচিত এখনি চিন্তা করা বাংলা ব্লগকে কিভাবে জাতির কাছে প্রেজেন্ট্যাবল করে তুলে ধরা যায়। এজন্য সামনের ব্লগ দিবসটি হতে পারে একটা কর্মসূচি হাতে নেয়ার উপলক্ষ্য। হতে পারে বাংলা ব্লগকে আরো এক ধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রথম পদার্পণ।


=================================


পোষ্টটি ব্লগদিবসকে সামনে রেখে ব্লগের জন্য ভালো কিছু করা যায় কিনা সেই চিন্তা সবার(কর্তৃপক্ষ ও ব্লগার) মাথায় ঢোকানোর জন্য লেখা। লেখাটি উৎসর্গঃ ব্লগার আমিনুর রহমান ভাইকে। যিনি সবসময় পাশে থেকে অনুপ্রেরনা দিয়ে গেছেন এবং যার নির্দেশনায় পোষ্টটি লিখতে পেরেছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫৬
৩৩টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×