somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“বন্ধু”- নিয়ে একটা গানের আসর

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আচ্ছা “বন্ধু”- নিয়ে একটা গানের আসর হলে কেমন হয়?
চারিদিকে এত্ত সব ঝুট-ঝামেলাকে একটু বিদায় দিয়ে আসুন না একটু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেই।

স্বাগতম আজ রাতের গানের আসরে।
প্রথমে আমি নিজেই শুরু করছি কিছু গানের লাইন দিয়ে।



১. কফি হাউজ ( মান্না দে)
আমার মনে হয় বন্ধু নিয়ে এর থেকে ভালো আর কোন গান হতে পারে না।

কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই….আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালী বিকেলগুলো সেই….আজ আর নেই।
নিখিলেশ প্যারিসে, মঈদুল ঢাকাতে, নেই তারা আজ কোনো খবরে
গ্র্যান্ডের গিটারিস্ট গোয়ানিজ ডিসুজা, ঘুমিয়ে আছে যে আজ কবরে
কাকে যেনো ভালোবেসে আঘাত পেয়ে যে শেষে, পাগলা গারদে আছে রমা রয়
... অমলটা ধুকছে দুরন্ত ক্যান্সারে, জীবনকরেনি তাকে ক্ষমা হায়।
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই….আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালী বিকেলগুলো সেই….আজ আর নেই।
সুজাতাই আজ শুধু সবচেয়ে সুখে আছে, শুনেছি তো লাখপতি স্বামী তার
হীরে আর জহরতে আগা গোড়া মোড়া সে, বাড়ি-গাড়ি সবকিছু দামী তার
আর্ট কলেজের ছেলে নিখিলেশ সান্যাল, বিজ্ঞাপনের ছবি আকত
আর চোখ ভরা কথা নিয়ে নির্বাক শ্রোতা হয়ে ডিসুজাটা বসে শুধু থাকতো
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই….আজ আর নেই।
একটা টেবিলে সেই তিন চার ঘন্টা, চারমিনার ঠোটে জ্বলতো
কখনো বিষ্ণু দে, কখনো যামিনী রায় এই নিয়ে তর্কটা চলত।
রোদ ঝড় বৃষ্টিতে, যেখানেই যে থাকুক, কাজ সেরে ঠিক এসে জুটতাম
চারটেতে শুরু করে জমিয়ে আড্ডা মেরে, সাড়ে সাতটায় ঠিক উঠতাম
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই….আজ আর নেই।
কবি কবি চেহারা, কাধেতে ঝোলানো ব্যাগ মুছে যাবে অমলের নামটা
একটা কবিতাও তার হলো না কোথাও ছাপা, পেলো না সে প্রতিভার দামটা
অফিসের সোস্যালে, অ্যামেচার নাটকে, রমা রয় অভিনয় করত
কাগজের রিপোর্টার মঈদুল এসে রোজ কি লিখেছে তাই শুধু পড়ত।
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই….আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালী বিকেলগুলো সেই….আজ আর নেই।
সেই সাতজন নেই আজ টেবিলটা তবু আছে, সাতটা পেয়ালা আজও খালি নেই
একই সে বাগানে আজ এসেছে নতুন কুড়ি, শুধু সেই সেদিনের মালী নেই।
কত স্বপ্নের রোদ উঠে এই কফিহাউজে, কত স্বপ্ন মেঘে ঢেকে যায়
কতজন এল গেল কতজনই আসবে, কফিহাউজটা শুধু থেকে যায়
কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই….আজ আর নেই
কোথায় হারিয়ে গেলো সোনালী বিকেলগুলো সেই….আজ আর নেই।

২. কফি হাউজ ২ ( মান্না দে)
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই, আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই, আজ আর নেই
নিখিলেশ লিখেছে প্যারিসের বদলে
এখানেই পুজোটা কাটাবে
কী এক জরুরী কাজে ঢাকার অফিস থেকে
মায়দুলকেও নাকি পাঠাবে
একটা ফোনেই জানি রাজি হবে সুজাতা
আসবেনা অমল আর রমা রায়
আমাদের ফাকি দিয়ে কবেই তো চলে গেছে
ওদের কখনো কি ভোলা যায়?
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই, আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই, আজ আর নেই

ওরা যেন ভালো থাকে একটু দেখিস তোরা
শেষ অনুরোধ ছিল ডিসুজার
তেরো তলা বাড়িতে সবকিছু আছে তবু
কিসের অভাব যেন সুজাতার
একটাও তার লেখা হয়নি কোথাও ছাপা
অভিমান ছিল খুব অমলের
ভালো লাগে দেখে তাই সেই সব কবিতাই
মুখে মুখে ফেরে আজ সকলের
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই, আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই, আজ আর নেই
নাম যশ খ্যাতি আর অনেক পুরষ্কার
নিখিলেশ হ্যাপি থেকে গিয়েছে
একটা মেয়ে বলে সুজাতা বিয়েতে তার
দুহাত উজার করে দিয়েছে
সবকিছু অগোছালো ডিসুজার বেলাতে
নিজেদের অপরাধী মনে হয়
পার্ক স্ট্রীটে মাঝরাতে ওর মেয়ে নাচে গায়
ইচ্ছে বা তার কোন শখে নয়
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই, আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই, আজ আর নেই
কার দোষে ভাঙলো যে মায়দুল বলেনি
জানি ওরা একসাথে থাকেনা
ছেলে নিয়ে মারিয়ম কোথায় হারিয়ে গেছে
কেউ আর কারো খোঁজ রাখেনা
নাটকে যেমন হয় জীবন তেমন নয়
রমা রয় পারেনি তা বুঝতে
পাগলা গারদে তার কেটে গেছে শেষ দিন
হারালো সে চেনা মুখ খুঁজতে
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই, আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই, আজ আর নেই
দেওয়ালের রঙ আর আলোচনা পোস্টার
বদলে গিয়েছে সব এখানে
তবুও প্রশ্ন নেই, যে আসে বন্ধু সেই
আড্ডা তর্ক চলে সমানে
সেই স্বপ্নের দিনগুলো বাতাসে উড়িয়ে ধুলো
হয়ত আসছে ফিরে আজ আবার
অমলের ছেলেটার হাতে উঠে এসেছে
ডিসুজার ফেলে যাওয়া সে গীটার
স্বপ্নের মতো ছিল দিনগুলো কফি হাউজেই, আজ আর নেই
জীবনে চলার পথে হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই, আজ আর নেই


৩. বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব বিকেল বেলায় (চন্দ্রবিন্দু)
ছেঁড়া ঘুড়ি, রঙিন বল, এইটুকুই সম্বল
আর ছিল রোদ্দুরে পাওয়া বিকেল বেলা...
বাজে বকা রাত্রিদিন, এস্টারিক্স_টিনটিন
এলোমেলো কথা উড়ে যেত হাসির ঠেলায়...
সে হাসি ছুটে যেত গোধূলি মিছিলে
সবার অলক্ষ্যেতে তুমিও কি ছিলে?
হাওয়ায় হাওয়ায়... হাওয়ায় হাওয়ায়...
বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব বিকেল বেলায়
আর একবার যদি তোমাদের দলে নাও খেলাই
বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব বিকেল বেলায়

গল্পের মতো ইশকুল বাড়ি
জমে ওঠা ক্ষত_ খেলব না, আড়ি
সে খেলা কানাগলি রোজ চুপিসারে
এবং আগুন ছিল লাস্ট কাউন্টারে
হাওয়ায় হাওয়ায়... হাওয়ায় হাওয়ায়
বন্ধু তোমায়... ...দলে নাও খেলাই
বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব বিকেল বেলায়

বইমেলা ধুলো, গার্গি শ্রেয়সি
চেনা মুখগুলো, পরিচিত হাসি
সে হাসি রোদ ঝিকিমিকি কার্নিশে
সাহসী চুম্বন আজও পারেনি সে
হাওয়ায় হাওয়ায়... হাওয়ায় হাওয়ায়
বন্ধু তোমায়... ...দলে নাও খেলাই
বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব বিকেল বেলায়

ছেঁড়া ছবি, স্ফটিক জল, এইটুকুই সম্বল
বাদবাকি রোদ চলে যাওয়া বিকেল বেলায়
একঘেয়ে ক্লান্ত দিন, কম্পাস, এস্প্রিন
যানজটে দেরি হয়ে গেল এ কালবেলায়।
মরা মাছের চোখ যায় যদ্দুরে
শুকানো জলছবি আজও রোদ্দুরে
হাওয়ায় হাওয়ায়... হাওয়ায় হাওয়ায়
বন্ধু তোমায়... ...দলে নাও খেলাই
বন্ধু তোমায় এ গান শোনাব বিকেল বেলায়



৪. আমি তোমাকেই বলে দেবো (দলছুট)
আমি তোমাকেই বলে দেবো,
কী যে একা দীর্ঘ রাত -
আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে;
আমি তোমাকেই বলে দেবো,
সেই ভুলে ভরা গল্প-
কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়;
ছুঁয়ে কান্নার রঙ, ছুঁয়ে জোছনার ছায়া
ছুঁয়ে কান্নার রঙ, ছুঁয়ে জোছনার ছায়া ||

আমি কাউকে বলিনি - সে নাম,
কেউ জানে না, না জানে আড়াল-
আমি কাউকে বলিনি - সে নাম,
কেউ জানে না, না জানে আড়াল-
জানে কান্নার রঙ, জানে জোছনার ছায়া
জানে কান্নার রঙ, জানে জোছনার ছায়া |

তবে এই হোক তীরে জাগুক প্লাবন,
দিন হোক লাবণ্য, হৃদয়ে শ্রাবন
তবে এই হোক তীরে জাগুক প্লাবন,
দিন হোক লাবণ্য, হৃদয়ে শ্রাবন
তুমি কান্নার রঙ, তুমি জোছনার ছায়া
তুমি কান্নার রঙ, তুমি জোছনার ছায়া |

আমি তোমাকেই বলে দেবো,
কী যে একা দীর্ঘ রাত -

আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে;
আমি তোমাকেই বলে দেবো,
সেই ভুলে ভরা গল্প-
কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়;
ছুঁয়ে কান্নার রঙ, ছুঁয়ে জোছনার ছায়া
ছুঁয়ে কান্নার রঙ, ছুঁয়ে জোছনার ছায়া |


৫. পুরানো সেই দিনের কথা ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
পুরানো সেই দিনের কথা
ভুলবি কি রে হায়।
ও সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা,
সে কি ভোলা যায়।
আয় আর-একটিবার আয় রে সখা,
প্রাণের মাঝে আয়।
মোরা সুখের দুখের কথা কব,
প্রাণ জুড়াবে তায়।

মোরা ভোরের বেলা ফুল তুলেছি,
দুলেছি দোলায়–
বাজিয়ে বাঁশি গান গেয়েছি
বকুলের তলায়।
হায় মাঝে হল ছাড়াছাড়ি,
গেলেম কে কোথায়–
আবার দেখা যদি হল, সখা,
প্রাণের মাঝে আয়।।



৬. বন্ধু ভাবো কী (তপু)
মেয়ে তুমি এখনো আমায় বন্ধু ভাব কী?
কখনো কী আমায় ভেবেছিলে বন্ধুর চেয়ে একটুখানি বেশি?
মেয়ে তুমি এখনো আমায় বন্ধু ভাব কী?
কখনো কী আমায় ভেবেছিলে বন্ধুর চেয়ে একটুখানি বেশি?
নাকি ভেবে নেব আজও তুমি আমায় চেনোনি?
ভালো লাগেনা তোমায় এ কথা বলেছি বারেবার বার
তোমার মন ভেঙ্গে যাবে ভেবে এসে ছিলাম আমি আবার
সবই ছিল ভালবাসা …বুঝলেনা বুঝলেনা
বুঝতে যদি দেখতে আমায় লাগছে অচেনা

হাসছি আমি বলছি কথা ভাবছ দেখিনা তোমায়
তুমি আমার হৃদয় আর দূর থেকে তাকিয়ে দেখায়
ক্ষনিকের বন্ধুরা যখন আর থাকবে না…
খুঁজে দেখো পাবে আমায় আমি সেই চিরচেনা

তুমি আমি দিয়েছি পাড়ি দুজনে এপার ওপার
সবই আমার স্বপ্ন আর সুখের ছবি কল্পনায়
জানি তুমি আমায় এখনো চিনতে পারনি
ভালোবেসে ডাকবে যখন আসব তখনি

মেয়ে তুমি এখনো আমায় বন্ধু ভাব কী?
কখনো কী আমায় ভেবেছিলে বন্ধুর চেয়ে একটুখানি বেশি?
মেয়ে তুমি এখনো আমায় বন্ধু ভাব কী?
কখনো কী আমায় ভেবেছিলে বন্ধুর চেয়ে একটুখানি বেশি?
নাকি ভেবে নেব আজও তুমি আমায় চেনোনি?




৭. তুমি আর নেই সে তুমি (শচীন দেব বর্মণ)
তুমি আর তুমি আর
তুমি আর নেই সে তুমি
জানি না জানি না কেন এমনও হয়
তুমি আর নেই সে তুমি
তোমার চোখেরও পাতা নাচে না
নাচে না আমারো পথ চেয়ে
তোমার পায়ে পায়ে মল বাজে না
বাজে না আমারো সাড়া পেয়ে

হাসো না হাসো না সে হাসি মধুময়
তুমি আর নেই সে তুমি

তোমার সাপেরও বেণী দোলেনা
দোলে না হাওয়ার বাঁশী শুনে
তোমার চোখে বিজলী খেলে না
খেলে না মেঘেরো গর্জনে

গুনগুন গুনগুন করো না অসময়
তুমি আর নেই সে তুমি

জানি না জানি না কেন এমনও হয়
তুমি আর নেই সে তুমি



৮. এই পথ যদি না শেষ (হেমন্ত মুখোপাধ্যায়)
এই পথ যদি না শেষ হয়
তবে কেমন হোত তুমি বলতো
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়
তবে কেমন হতো তুমি বলতো

কোন রাখালের এই ঘর ছাড়া বাঁশীতে,
সবুজের ওই দোল দোল হাসিতে
মন আমার মিশে গেলে বেশ হয়
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়

নীল আকাশের ওই দূর সীমা ছাড়িয়ে,
এই গান যেন যায় আজ হারিয়ে
প্রাণে যদি এ গানের রেশ রয়,
যদি পৃথিবীটা স্বপ্নের দেশ হয়


৯. বন্ধু তোমার পথের সাথীকে (হেমন্ত মুখোপাধ্যায়)
বন্ধু তোমার পথের সাথী কে চিনে নিও
মনের মাঝেতে চিরদিন তাকে ডেকে নিও
ভুলো না তারে ডেকে নিতে তুমি

খুশীর খেয়ালে পাল তুলে যেও চিরদিন
হাসি আর গানে শোধ করে যেও যত ঋণ
স্মৃতির পকেটে যত ব্যথা আছে ভুলে যেও
ভুলো না তারে ডেকে নিতে তুমি

সমুখে রয়েছে পথ
চলে যাও চলে যাও
পিছনে যা কিছু টানে
ফেলে যাও ফেলে যাও

আলোর পরশে ভোর হয়ে যাবে এই রাত
কোনদিন ভুলে ছেড়ো না তো তুমি এই হাত
ফুল হারানো দিনে তাকে তুমি সাথে নিও



১০. যে পথে চলেছ বন্ধু (ওয়ারফেজ)
যে পথে চলেছ বন্ধু
সে পথে হারাবে যে স্বত্তা
মায়াবি আলোর প্রতারনায় মোহিত
আঁধারে তুমি
কত প্রেমের বসন্ত
কত বৃহৎ দিগন্ত
এতো সুখের তাড়নায়
যে যাও হারিয়ে

কিভাবে ভুলেছো বন্ধু
পুরনো দিনের সেই কথা
অজানা মনের বেড়াজালে নিরাশায়
ছিলে যে তুমি
আমি ছিলাম পাশে যে
আগলে ছিলাম তোমাকে
কত বিপদ পেড়িয়ে
এসে হাল ধরেছি

অশ্রুপানে তাকায় সে
সে ভেবে দেখে আবার তোমায়
কোন অনুরাগের বিষন্নতায়
হায় জেগে ওঠে প্রেমের আশা
রাত পোহালে সকাল
তুমি সজাগ
মনে নেই সেই বাসনা

বিপদে পড়েছ বন্ধু
হয়েছে বন্ধ সব দরজা
করেছ অবহেলা তুমি
জীবনে প্রকৃতজনে,
নেই তো আজো তাদের কেউ
আজ তোমার পাশেতে
একা বিশাল পৃথিবীতে
তুমি যাও হারিয়ে

অন্ধকারে হারায় সে
কি অপরাধ কাঁদায় তোমায়
সে আধা জাগা দিবা স্বপনে
হায় ভেঙ্গে পড়ে সকল আশা
রাত পোহালে সকাল
তুমি সজাগ
মনে নেই সেই বাসনা



১১. ও বন্ধু তোকে মিস করছি ভীষন (পার্থ)
একলা ঘর , ধুলো জমা গিটার,
পড়ে আছে লেনিন, পড়ে আছে সেক্সপিয়ার
টি-শার্ট জিন্স গুলো ফেলা যে আছে
সুধু মানুষটা তুই নেইতো নেই রে কাছে,

ও বন্ধু তোকে মিস করছি ভীষন
তোকে ছাড়া কিছুই আর জমেনা এখন
ও বন্ধু তোকে মিস করছি ভীষন
তোকে ছাড়া কিছুই আর জমেনা

তোকে ছাড়া হয় না টিও , হয় না লেখা
বৃষ্টির সাথেও এখন হয় না দেখা
থমকে যায় , হয় মনে এই বুঝি এসে ডাক দিবি
থমকে যায় পরক্ষণে
কেন হয় যে এমন

ও বন্ধু তোকে মিস করছি ভীষন
তোকে ছাড়া কিছুই আর জমেনা এখন
ও বন্ধু তোকে মিস করছি ভীষন
তোকে ছাড়া কিছুই আর জমেনা

একলা ঘর , ধুলো জমা গিটার,
পড়ে আছে লেনিন, পড়ে আছে সেক্সপিয়ার
টি-শার্ট জিন্স গুলো ফেলা যে আছে
সুধু মানুষটা তুই নেইতো নেই রে কাছে,
সুধু মানুষটা তুই নেইতো নেই রে কাছে,
ও বন্ধু তোকে মিস করছি ভীষন
তোকে ছাড়া কিছুই আর জমেনা এখন
ও বন্ধু তোকে মিস করছি ভীষন


১২. তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও (জেমস)
তোমাদের মাঝে কি কেউ আছে বন্ধু আমার?
তোমাদের মাঝে কি কেউ আছে পথ ভোলা?
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার।
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ জ্বালা।(২)

ওরে কে আছে মুক্ত জীবন নিয়ে ছন্নছাড়া-
আপনাকে ভালোবেসে আপনদেশে ঠিকানাহারা?
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার।
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও শুনাবো গান আজ সারারাত।

যদি বুঝতে না চাও এই বুকের ভেতর কতো যন্ত্রণা
যদি দেখতে না চাও এই ছলনার ভীড়ে হারানো প্রেম
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার।
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও শুনাবো গান আজ সারারাত।

প্রিয়তমা হারা কেউ কি আছো?
মা-হারা বাবা-হারা সন্তান-হারা কেউ কি আছো?
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার।
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও শুনাবো গান আজ সারারাত।

ঠিকানাবিহীন ঠিকানার খুঁজে-
যদি পেতে চাও ভালোবাসা এসো আমার কাছে
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার।
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও শুনাবো গান আজ সারারাত।

তোমাদের মাঝে কি কেউ আছে বন্ধু আমার?
তোমাদের মাঝে কি কেউ আছে পথ ভোলা?
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও মুছিয়ে দেবো দুঃখ সবার।
তবে বন্ধু নৌকা ভেড়াও শুনাবো গান আজ সারারাত।


চলবে...
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×