এতোদিনে সারাবিশ্ববাসী জেনে গেছে বাংলাদেশের এভারেস্ট জয়ের গল্প । ঠিক বাংলাদেশ নয়, আসলে এভারেস্ট জয় করেছে প্রথম আলো । সারাবিশ্ববাসী ভেবেছিল প্রথম আলো'র কেউ বোধহয় মঙ্গল জয় করেছে, যাই হোক ; পরবর্তীতে কাহিনী জেনে বুঝতে পেরেছে যে ইহা আসলে এভারেস্ট জয়ের গল্প । আর তা নিয়ি নিউজ নয় রীতিমতন সাহিত্য রচনা । প্রসংগ সেটা নয় ।
এভারেস্ট এ উঠলে নাকি সবার প্রথমে একটা ছবি উঠাতে হয় । চূড়ার উপরে একটা বৌদ্ধমুর্তি আছে, সেটা পিছনে নিয়ে ছবি উঠাতে হয় । সেটা প্রথম আলোর এভারেস্ট জয়ী প্রতিনিধি ও বলেছেন চ্যানেল আইয়ের সাক্ষাতকারে । তিনি চূড়ায় উঠে কি করেছেন সে প্রসংগে বলতে গিয়ে । সেই প্রসংগে তো রীতিমত সাহিত্যও রচিত করেছেন বিখ্যাত এভারেস্ট জয়ী নর্থ আলপাইন মাউন্টেইনং ক্লাবের সভাপতি ....
......শুধু এভারেস্ট চূড়ায় উঠলেই হবে না, মুসাকে প্রমাণ করতে হবে যে তিনি উঠেছেন। কাজেই ছবি তুলতে হবে। ২০০৯ সালে এভারেস্টের চূড়ায় চার ফুট উঁচু এক বুদ্ধমূর্তি স্থাপিত হয়েছে। ওই মূর্তিকে পেছনে রেখে দূরে অন্য সব শৃঙ্গ-পাহাড়কে সাক্ষী রেখে ছবি তো তুলতেই হবে। তা না হলে বাঙালি বলবে, আরে সব ভুয়া, ও ওঠেইনি। এর মধ্যে ঘটল একটা বিশাল ভজঘট। মুসার ক্যামেরাটা ছিল তাঁর জ্যাকেটের ভেতরে। কিন্তু জ্যাকেটের জিপার কিছুতেই খুলছে না। মুসা তাঁর মিনিবাসে ওঠার অভিজ্ঞতা কাজ লাগিয়ে মূর্তির সামনে অবস্থান নিতে পেরেছেন। কিন্তু কিছুতেই ক্যামেরা বের করতে পারছেন না। মিনিট পাঁচেক লেগে গেল তাঁর ক্যামেরাটাই বের করতে! যাক, তবু বেরোল। ভাগ্যিস, বেরিয়েছিল। তা না হলে কী হতো ভাবুন! এবার মুসা ছবি তোলা শুরু করলেন। প্রথমে বাংলাদেশের পতাকা ধরে ছবি তুললেন। তারপর প্রথম আলোর প্রতীক... এরপর একে একে স্পন্সরদের... ততক্ষণে অন্য পর্বতারোহীরা মহাবিরক্ত। ...........
কিন্তু সে ছবি জাতি দেখে নাই । ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নছিল এভারেস্ট জয় আর তাদের আরো স্বপ্ন ছিল এভারেস্ট এর মাথাটা কেমন তা দেখার... এখনও সেই সৌভাগ্য হলো না জাতির। হয়তো তিনি অন্য পর্বতারোহীদের মহাবিরক্ত না করতে ছবি তুলেন নাই । আমরা অপেক্ষায় আছিলাম । কেননা তিনি বলেছেন যে তিনি ছবি উঠাইছেন কিন্তু এটিএন এ আবার কইলো তার ক্যামেরায় নাকি চার্জ আছিল ও না ।
সেই রম্যলেখা থুক্কু অন্যের গীবত গাওয়া লেখার একটা লাইন...‘সত্য। বাঙালি যদি একা একা চেষ্টা করে তাহা হইলে সে চাঁদেও যাইতে পারিবে।’............
আমিও বলি পারিবে । তবে সেজন্য যাহা প্রয়োজনঃ
১. একখানা নামে কাটে এমন জাতীয় পত্রিকা ।
২. ২-১ জন সাহিত্যিক(তাহাদের ক্লাবের সভাপতি বানাতে হবে)
৩. সম্পাদক
৪.ক্যামেরা (ব্যাটারীতে চার্য নাই এমন)
৫.আর কিছু বন্ধুবান্ধব যারা ফেইসবুক-টুইটার-ব্লগে মাতামাতি করবে ।
৬. আর সাথে কারো থাকা যাবে না , যারা গুমুর ফাস করতে পারে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




