নীল রক্তে ভেজা বিষাদী রাতপ্রহর, এখন শিকারে নেমেছে!
আমায় লোভ দেখায় পরাবাস্তবতার; সেখানে আশৈশব মৌনতা চাষি সকাল- অদ্ভুত এক ডানা ঝাপটানো
বিহঙ্গের কাছে নিয়ে যাবে, প্রতিশ্রুতি দেয়। আমি লুফে নেই সেই অদ্ভুত আবদার! মিলিয়ে যেতে চাই তাজা
ব্যথার কবিতা থেকে সুখের অক্ষরবৃত্তে।
সেই দেশটা কেমন? আমাকে বলেনা রাতের লুব্ধক। কল্পনায় আর কত দূর ভাবতে পারি, বলো! শুধু বিশ্বাস
করি, মন থেকেই জানি- দুঃখ নামক কাঁচপোকাদের জন্য সে এক নিষিদ্ধ শহর, রৌদ্রের ওম লাগানো শান্ত
সবুজ নিয়ে তার পাখনায় আঁকা সুখদেশের স্বর্ণালী ম্যাপ।
এমন আহ্লাদে সে ডাকছে, মন বলে এখনি ছুটে যাই। যাব, চলেই যাব হয়তবা। সুখ নামের সুরবালিকার
উড়বার নক্সার খোঁজে, বিষাদ লিরিকে মিলনের রাগাশ্রয়ী সুর বসাব বলে ওকে আমার বড্ড দরকার। খুব
তাড়াতাড়ি যাব আমাদের হারানো দিনের জমাট বেদনার এপিটাফ পাথরের খোঁজে। নীল চাঁদের ব্যথাতুর
কোমল ঠোঁটের নীচে যার বাস, বলে গেছে ধ্যানী বুড়িটা।
ফিরে যদি না আসি, ভুলে যেও।
কেউ মনে রেখ না, মিলিও না বিষাদ লিরিকে কান্নাতুর কণ্ঠের ছাঁচ!
স্মৃতি মানেই দু:খের সাথে তার অবিনাশী সহবাস।
আমাদের যেতেই হবে আজ অথবা কাল।
এই কথাটুকু মনে রেখ, ভুলে যেও।
উৎসর্গ: শৈশবে যিনি হাসাতেন, তাকে!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৪