somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বনানীর ধর্ষণকাণ্ড: শাস্তি কি হবে?

১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বানানীতে হোটেল কক্ষে আটকে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অবশেষে একে একে ধরা পড়েছে। মামলা করার ছয়দিন পর, বৃহস্পতিবার (১১ মে, ২০১৭) রাতে সিলেটে প্রধান আসামী সাফাত আহমেদ এবং তিন নম্বর আসামী সাদমান সাকিফকে দিয়ে গ্রেফতার শুরু হয়েছে। আর শেষ হয়েছে আরও চারদিন পর নাঈম আশরাফকে গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে। চাইলে বাংলাদেশের পুলিশরা যে অনেক কিছুই পারে, সেটা আরও একবার প্রমাণ হলো। পুলিশের এই শেষ দিকের কর্মতৎপরতায় সন্তোষ প্রকাশ করা যায়। তবে এই সন্তোষ যে শুরুর দিকের অসন্তোষকে একেবারেই ভুলিয়ে দেবে তেমন কিছুও আশা করতে পারছি না। ধর্ষিতা মেয়ে দু’টি যখন মামলা করতে বনানী থানায় গিয়েছিলেন, তখন সেখানকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে কি আচরণ করেছিলেন, সেটাও ইতোমধ্যে আমাদের জানা হয়ে গেছে।
প্রথম যেদিন এই ঘটনার খবরটি মিডিয়াতে এলো, সেদিন এক সহকর্মী বলেছিলেন, ‘এটা যে একেবারে পিঙ্ক মুভির মত!’ তার মতো আরও অনেকেই এরকম মিল দেখেছিলেন। কিছু মিল হয়তো আছেও। দুই জায়গাতেই বড় লোকের বখে যাওয়া ছেলেরা অপকর্মগুলো করে। তারপর তারা পুলিশকে হাত করে নেয়, পুলিশ মামলা নিতে গড়মসি করে। মামলা যখন হয়, তখন ক্ষতিগ্রস্ত মেয়েদের আরও বেশি লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। মেয়েগুলো সামাজিকভাবেও নানা হেনস্তার শিকার হয়। এতসব মিলের বিপরীতে কিছু অমিলও নিশ্চয়ই আছে। সেখানে একটা ইতিবাচক পরিণতি দেখানো হয়। দিপক সেহগালের মত একজন জাঁদরেল আইনজীবী মেয়ে তিনটির জন্য লড়াই করেন। পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে তাদের পক্ষপাতিত্বকে একেবারে নগ্ন করে দেন। বিচারকের কাছ থেকে একটি অত্যন্ত মানবিক রায় আসে। এই যে পরের কথাগুলো বলা হলো, সেগুলোকে ঠিক অমিল হয়তো এখনই বলা যাবে না। কারণ, ওই অধ্যায়গুলোতে এখনো তো যায়ইনি বনানীর ঘটনাটি। বরং প্রথম অধ্যায়ের ক্ষেত্রেও এক অমিল দেখতে পাচ্ছি। পিঙ্ক মুভিতে দুষ্ট বালকগণ একদিনের জন্যও গ্রেফতার হয়নি, এখন হয়েছে। তাহলে কি বলা যাবে যে, বানানীর রেজাল্ট পিঙ্কের চেয়েও ভালো কিছু হবে?
আমি কিন্তু অতটা আশাবাদী নই। এমনিতে আমি আশাবাদী মানুষ হলেও এই একটি ক্ষেত্রে তেমন জোরালো কোন সম্ভাবনা কেন যেন দেখতে পাচ্ছি না।
আমরা যদি বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করি, বনানীর এই ঘটনাটি মোটেই অভূতপূর্ব কিছু নয়। এই দেশে, এই সমাজে মেয়েরা প্রায়ই এরকম লাঞ্ছিত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন বিচার হয় না। বিচার চাইতে গিয়ে ধর্ষিতা এবং তার আত্মীয় স্বজন থানায় কিংবা জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে সুবিচারের পরিবর্তে গালমন্দই লাভ করেন। গাজীপুরের হযরত আলির কথা মনে করুন। কন্যার নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে মামলা পর্যন্ত করতে পারেননি তিনি। দিনের পর দিন বসে থেকেছেন থানায়, পুলিশের পা ধরছেন। তারপর শিশু কন্যার অপমান সহ্য করতে না পেরে, বিচার দূরের কথা- বিচারের ন্যূনতম কোন প্রতিশ্রুতিও না পেয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। একা নয়, কন্যাটিকে নিয়ে। বাবা- মেয়ে এক সঙ্গে জীবন দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন দেশের এই বিচারহীনতার। হযরত আলির বিধবা স্ত্রী বিলাপ করে বলছেন, দুনিয়াতে বিচার না পেয়ে ওরা আল্লাহ’র কাছে গেছে বিচার চাইতে! এই অসহায় নারীর বিলাপ কি আমাদের সমাজ, সরকার, বিচার ব্যবস্থার গালে কঠিনতম চপেটাঘাত নয়? সেরকমই তো হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা কি অপমাণিত হয়েছি, কিছু মাত্র ব্যথিত হয়েছি? যে থানার বারান্দায় দিনের পর দিন হযরত আলি বিচারের জন্য বসে থেকেছেন, সেই থানা তো এখনো আছে। যে পুলিশের পা ধরেছেন সেই পুলিশও তো আছে বহাল তবিয়তে! আমাদের কাছে এই সবই যেন স্বাভাবিক।
কিংবা একবার ভাবুন তো কুমিল্লার তনু মেয়েটির কথা। সেও তো ধর্ষিতা হয়েছিল। কেবল ধর্ষণই নয়, তারপর নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। বিচার পেয়েছেন কিছু? বিচারের কোন সম্ভাবনাও কি তৈরি হয়েছে? বিষয়টি নিয়ে সবাই যেন কেমন চুপ মেরে গেছে? কেন সবাই স্তব্ধ? কেউ কোন জবাব দূরে থাক, প্রশ্ন করতেও যেন জড়তা অনুভব করছে। কেন? মাঝখান থেকে তনুর পরিবার পড়েছে মহাবিপদে। মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারছে না, নিজেদের দুঃখের কথা, বেদনার কথা বলতে পর্যন্ত পারছে না। আমাদের শাসকশ্রেণী যখন দেশজুড়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়ে গেছে বলে গলার রগ ফুলিয়ে চিৎকার করে, আত্মপ্রসাদ অনুভব করে, তখন তনুর অসহায় চেহারাটা কি একবারও তাদের স্মৃতিতে ভেসে ওঠে না?
এরকম আরও অনেক ঘটনার কথাই বলা যাবে। কিন্তু ডিটেইলে না গিয়ে বরং মোটা দাগে একটা হিসাব দেয়া যাক। মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সেন্টারের এক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে এই দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭৩৯ জন নারী। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৫৩ জন! তারপরও কি এই দেশকে নারীর জন্য খুব বেশি নিরাপদ বলা যাবে?
নিরাপদ যে নয় সেটা এখন আর গবেষণা করে বলতে হয় না। সেদিন আমার ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েটি দুঃখ করে বললো, অনেকেই নাকি বনানীর ওই মেয়ে দুটিকে দোষ দিচ্ছে। তারা কেন অত রাতে ওই হোটেলে কারও জন্মদিনের পার্টিতে গেল? এমনকি সে তার দুই খালার উদাহরণ দিয়ে বললো- তারাও নাকি মেয়ে দুটিকে দোষ দিয়েছে। এরপর তার প্রশ্ন- সন্ধ্যার পর তাহলে কোন মেয়ে কি ঘরের বাইরে থাকতে পারবে না? এটা কেমন কথা? মা-খালাদের মানসিকতাই বা এমন কেন?
আমার মেয়ের প্রশ্ন খুবই যৌক্তিক। কিন্তু মা খালা অবিভাবকদের উদ্বেগটাও কি একেবারে অমূলক? তারা মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। অথচ এই উদ্বেগটা থাকার কথা ছিল সরকারের, পুলিশের। এরা যদি উদ্বিগ্ন হতেন, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেন, তাহলে বন্ধুর অনুষ্ঠান থেকে মধ্যরাতে ফিরলেও মেয়েকে নিয়ে চিন্তা করতেন না মা খালারা। কিন্তু সরকার সেই কাজটি করতে পারেনি। সুর্য ডোবার পর থেকেই পুরো দেশটাকে তারা নির্লিপ্ততার সঙ্গে হায়েনাদের বিচরণভূমিতে পরিণত হতে দিয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই হায়েনাদের কি শাস্তি হবে না? পাঠক, একটা বিষয় লক্ষ্য করবেন, আমি কিন্তু ‘বিচার’ শব্দটি বলিনি, ‘শাস্তি’ বলেছি। কারণ, বিচার নিয়ে আসলেই আমি খুব বেশি আশাবাদী নই। বিচারের সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত। আইন, আইনজীবী, সাক্ষ্য, প্রমাণ, অনেক কিছু। এই যে গ্রেফতার হয়েছে, এটা খুবই প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ। এটি করতেই পুরো দেশের সচেতন মানুষ, মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে মাঠে নামতে হয়েছে। তারপরও সবকটিকে ধরতে পুরো দশদিন লেগে গেছে। এখন পরবর্তী কাজগুলো কি? পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে, তারপর একটা প্রতিবেদন দাখিল করবে আদালতে। পুলিশের এই প্রতিবেদনের উপরেও কিন্তু অনেক কিছু নির্ভর করবে। শব্দের সামান্য একটু মারপ্যাচের কারণে আইন ধর্ষককে আটকে রাখতে পারবে না। এরকম তো চলছেই। পুলিশ যে প্রতিবেদন তৈরি করবে, সেটাও অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তারাও সাক্ষ্য প্রমাণ নেবে, কিছু কিছু তথ্য খুঁজবে। হয়তো কিছু প্রমাণ খুঁজে পাবে না, অথবা পেতে চাইবে না। আবার পুলিশেরও মন বলতে একটা বিষয় আছে। তাদের যদি মনে হয়- ঘটনাটি এভাবে ঘটেনি, তাহলেই বা আপনার আমার কি করার থাকতে পারে? যেমন এবার, বনানী থানার ওসির মনে হয়েছিল মেয়েদুটির অভিযোগ সত্য নয়, মনে হয়েছিল মেয়ে দুটি বুঝি নর্তকী গোছের কেউ, তাই তিনি মামলাই নেননি। উপর থেকে চাপ দেয়া না হলে আজও হয়তো গাজীপুরের সেই হযরত আলীর মত এই দুই মেয়েকে থানার বারান্দায় ঘোরাঘুরি করতে হতো। পুলিশের আরও মনে হয়েছে- যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই লোকগুলো আসলে ধর্ষক নয়, বরং খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তি। তাই মহানন্দে তারা থানার মধ্যে দাঁড়িয়েই সেলফি তুলতে পেরেছিল। পুলিশের মনে হয়েছে, ধরা না দিয়ে লুকোচুরি করলেও এরা খুবই ভদ্রটাইপ সম্মানিত মানুষ। তাই গ্রেফতার করা হলেও শুরুতে তাদের হাতকড়া পরানো হয়নি। এদেশে শিক্ষক, সাংবাদিক, রাজনীতিকদেরও মতলবী মামলায় হাতকড়া পরানো হয়। কিন্তু ধর্ষককে গ্রেফতারের পর হাতকড়া পরানো হয় না। কেন হয় না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। পুলিশের মন বলে কথা। পুলিশের মন যে কিসে টলে সেটা বলা বড় ঝুঁকির ব্যাপার। পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন করা প্রায় দেশদ্রোহের সামিল। কদিন আগে এই মামলা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান একটা মন্তব্য করেছিলেন, বলছিলেন- বনানীর ওসি শুরুর দিকে মেয়ে দুটির সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তা প্রত্যাশিত ছিল না। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান একটি সাংবিধানিক পদ। সম্মানিত পদ। সরকার অনেক বিচার বিবেচনা করে সৎ এবং ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তিদেরকেই এই পদের মনোনয়ন দিয়ে থাকেন। সেরকম একজন ব্যক্তিও কিন্তু পুলিশের সমালোচনা করে রেহাই পাননি। তিনি যে মন্তব্যটি করে ঠিক করেননি, সেটা রীতিমত বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন উর্ধতন এক পুলিশ কর্মকর্তা! এই যখন অবস্থা, তখন আমার আপনার মতো আম জনতার কি এখতিয়ার থাকতে পারে পুলিশের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার?
আগেই বলেছি, আলোচিত এই ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নই আমি। এই দেশে বিচার নিয়ে বহুল উচ্চারিত একটা প্রবাদ আছে। “যদি ধনীর সঙ্গে গরীবের মামলা হয়, তাহলে গরীব মরে। ধনীর সঙ্গে ধনীর মামলা হলে আইন মরে। আর যদি গরীবের সঙ্গে গরীবের মামলা হলে আইন বাঁচে ।” বানানীর এই ঘটনা নিয়ে এখন মামলা চলবে। কতদিন চলবে কে জানে। তনু, ত্বকী, মিতুর মত সবাই এসব ঘটনার কথা এক সময় ভুলেও যাবে। কদিন পর এই ধর্ষকদের আবার দেখা যাবে জামিনে বের হয়ে অস্ত্রধারী বডিগার্ড নিয়ে ঘুরে বেড়াতে। পুলিশের বড় কর্তাদের সঙ্গে সেলফি তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতে। আর সান্তনা পেতে আপনারা আমরা সবাই জানবো- বিচার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে, মামলা চলছে। ধনীর সঙ্গে গরীবের মামলা।
আর তাতে কে মরবে, কে বাঁচবে- তা নিয়েও চিন্তায় থাকতে হবে না। প্রবাদ তো আর এমনি এমনি তৈরি হয়নি।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ২:৩২
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×