somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সোনালি ফুলের অভিশাপঃ একটি চায়নিজ মুভি

১১ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Curse of the Golden Flower (২০০৬)
পরিচালকঃ ঝ্যাং ইমু



৯২৮ খ্রিস্টাব্দ, গ্রেট চায়নার ট্যাং সাম্রাজ্য। তখন রাজত্ব চলে সম্রাট পিং এর। সম্রাজ্ঞী ফিনিক্স। সম্রাটের তিন পুত্র- ওয়ান, জাই এবং ইউ। সম্রাটের সবচেয়ে প্রিয় সন্তান ওয়ান। ওয়ান কিন্তু সম্রাজ্ঞী ফিনিক্সের সন্তান না, তবুও ওয়ানকে সম্রাজ্ঞী একটু বেশিই আদর করেন। ওয়ান হচ্ছে সম্রাটের প্রথম স্ত্রীর সন্তান। প্রথম স্ত্রী ওয়ানকে জন্ম দেয়ার সময় মারা যান। এরপর সম্রাজ্ঞী ফিনিক্সকে বিয়ে করেন সম্রাট। প্রথম স্ত্রীর প্রতি সম্রাটের ছিল অগাধ ভালোবাসা। সে ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ আজও সম্রাটের খাস কামড়ার দেয়ালে ঝোলে প্রথম স্ত্রীর চিত্র। আর দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রতি সম্রাট বরাবরই একটু বিরাগ।

প্রতিবছর সম্রাট এক বিশাল উৎসবের আয়োজন করেন। যে অনুষ্ঠানে রাশি রাশি ডেইজি জাতীয় একপ্রকার স্বর্ণাভ ফুল 'ক্রিস্যান্থেমাম' দিয়ে পুরো রাসপ্রাসাদ ভরিয়ে তোলা হয়। নাচে-গানে, বাদ্য-বাজনায় রাজ্যে চলে রাজসিক উৎসব। রাজ্যের সবাই সেই উৎসবের শরীক।

'ক্রিস্যান্থিমাম' উৎসব সন্নিকটস্থ। প্রতিবছরের মত সেবারও চলে পুরোদমে উৎসবের আয়োজন চলছে। সম্রাটের নির্দেশে রাজ্যব্যাপী চলে উৎসব উন্মাদনা। সবাই খুবই উন্মুখ হয়ে উৎসবের দিনের অপেক্ষায় আছে।



রাজ প্রথানুসারে সম্রাটের জ্যেষ্ঠপুত্রই সিংহাসনের উত্তরাধিকারী। কিন্তু ওয়ানের রাজা হওয়ার ইচ্ছে নেই। সে চায় তার প্রিয়তমা চ্যানকে সাথে কুইঝং চলে যাবে। তার এসব রাজাচার ভালো লাগে না। চ্যানের সাথে ওয়ানের সম্পর্কের কথা কেউ জানে না। চ্যান আবার রাজবদ্যির কন্যা। ওয়ান মনে করে তার অনুজদের মধ্যে কোন একজনের ওপর সাম্রাজ্য শাসনের ভার দেয়া হোক, কেননা তার মতে সে সাম্রাজ্য শাসনের জন্য নিজের চেয়ে তার ভাইদেরকেই অধিকতর যোগ্য বিবেচনা করে। এটা সম্রাজ্ঞীর পছন্দ নয়। তার মতে ওয়ানই হবে পরবর্তী সম্রাট।

মেঝ ছেলে জাই তেমন উচ্চাকাঙ্ক্ষী নয়। পিতার আদেশ সে মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত, সে যা-ই হোক না কেন। কিন্ত ছোট রাজকুমার ইউ খানিকটা লোভী ও হিংসুক। সে চায় সবার মনোযোগ তার উপর থাকুক। বড় ভাইয়ের প্রতি পিতার বেশি অনুরাগ তার কিশোর মনে হিংসা ও ক্ষোভের উদ্রেক করে। সে তার পিতা-মাতার আদেশ অমান্য করতে চায়।

যুবরাজের প্রতি সম্রাজ্ঞীর বিশেষ মায়া। সম্রাটের কাছে ভালোবাসা বঞ্চিত সম্রাজ্ঞী তাই যুবরাজের কাছে ভালোবাসা খোঁজেন। বছর কতক তারা নিষিদ্ধ ভালোবাসায় মেতে ছিল। কিন্তু যুবরাজ আর সায় দিতে চায় না তাদের এমন সম্পর্কে। কেননা সে তার সৎ মা, মাতৃস্থাণীয়। তাছাড়া এ কথা জানাজানি হয়ে গেলে বড় বিপদ ও পুরো কেলেঙ্কারি ঘটে যাবে। সে চায় তারা মা-ছেলের মত ব্যবহার করুক। কিন্তু সম্রাজ্ঞী কষ্ট পায়। ওদিকে যুবরাজের মনে প্রেম জাগে রাজবদ্যির কন্যা চ্যান এর সাথে। তারা প্রায়শই গোপনে মিলিত হয়। সম্রাজ্ঞীর কানেও যায়। তিনি ক্ষুব্দ হন। চ্যানকে একদিন জেরা করে বসেন, কিন্ত চ্যান অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে এক সময় চ্যানকে হাতে নাতে যুবরাজের কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় সম্রাজ্ঞি পাকড়াও করেন। রাজকুমারদের প্রলুব্ধ করে বিছানায় যাওয়ার শাস্তি সহস্র বেত্রাঘাত ও রাজপ্রাসাদ থেকে চিরতরে নির্বাসন। কিন্তু ওয়ানের অনুরোধে সম্রাজ্ঞী চ্যানকে সেবারের মতন ক্ষমা করে দেন।

এদিকে সম্রাজ্ঞী কঠিন জ্বরাগ্রস্থ। রাজ্যের প্রধান চিকিৎসক রাজবদ্যি সম্রাজ্ঞীর চিকিৎসায় সদা নিযুক্ত। রাজবদ্যির পরামর্শমতন তার কন্যা চ্যান সম্রাজ্ঞীর ওষুধের যোগারযত্ন করে। গত প্রায় দশ বছর যাবৎ সম্রাজ্ঞী নিয়মিত সেই ওষুধ সেবন করে চলেছেন, কিন্তু অবস্থার কোন উন্নতি লক্ষণীয় নয়। এত দীর্ঘ সময় ধরে ওষুধে কাজ করে না। সম্প্রতী সম্রাজ্ঞীর ওষুধে নতুন একটা উপাদান যোগ করা হয়েছে। এর ফলে রোগের উন্নতি তো নয়ই, আরও অবস্থার অবনতী হচ্ছে। নতুন উপসর্গ দেখা দেয়ায় সম্রাজ্ঞী বুঝতে পারেন যে তার ওষুধে কোন গন্ডগোল আছে। এদিকে এক গুপ্তচর সম্রাজ্ঞীকে প্রমাণসহ দাখিল করে, যে নতুন উপাদানটি পারস্যদেশ থেকে একটি কালো রঙের ছত্রাক। স্বয়ং সম্রাটের নির্দেষে রাজবদ্যি সম্রাজ্ঞীর ওষুধে মিশিয়ে দেন নিয়মিত। আর এ কাজে সাহায্য করে রাজবদ্যির কন্যা। এ ছত্রারক খেয়ে ধীরে ধীরে মানুষ পাগল হয়ে যায় এবং একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। ওদিকে সেই গুপ্তচরটিকে রাজপ্রাসাদে বন্দী হতে হয় যুবরাজ ওয়ানের সাথে সাক্ষাত ঘটে যাওয়ায়। দেখা যায় গুপ্তচরটি আর কেউ নয়, স্বয়ং রাজবদ্যির স্ত্রী।

সম্রাটের কাছে নিয়ে আসা হয় আটককৃত গুপ্তচর রাজবদ্যির স্ত্রীকে। গুপ্তচরটি মুখ উচিয়ে চাইলেই সম্রাট দেখতে পান এ যে তার প্রিয়তমা মৃত স্ত্রী, যুবরাজ ওয়ানের মা। সবাইকে ঘর থেকে বের হতে আদেশ দেন সম্রাট। মৃত স্ত্রীকে দেখে তিনি আশ্চর্য্য হন। ওয়ানের মা যে বেঁচে আছেন তিনি জানতেন না। কিন্তু বড় চমক হিসেবে জানা যায়, লিয়াং রাজ্য কুক্ষীগত করার জন্য সম্রাট প্রথম স্ত্রী ও তার পুরো পরিবারকে খুন করে গুম করে ফেলে। যাতে সে লিয়াং রাজকুমারী ফিনিক্সকে বিয়ে করে লিয়াং রাজ্য নিজের করে পেতে পারে। ওয়ানের মা ভাগ্যক্রমে সম্রাটের চক্রান্ত থেকে বেঁচে যান। রাজবদ্যি তাকে সুস্থ করে তোলেন। কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সেই রাজবদ্যিকেই বিয়ে করেন ওয়ানের হতভাগী মা। সেজন্যই সে সম্রাটের নীলনকশা সম্রাজ্ঞীর কাছে গুপ্তচরের ছদ্মবেশে পৌঁছে দেন। কোন ইনামের আশায় না, সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রতিশোধ স্পৃহা থেকেই তিনি এমন কাজ করেন।

সম্রাট এবার নতুন চক্রান্ত করেন। রাজবদ্যিকে তিনি সুঝৌ প্রদেশের গভর্ণর করে পাঠিয়ে দেন সপরিবারে- ওয়ানের মা ও প্রেমিকাও সেস্থলে যায়। কিন্তু সম্রাটের অনে অন্য ফন্দি। সেখানে গুপ্তচর প্রেরণ করে রাজবদ্যির পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে চান।

ওদিকে সম্রাজ্ঞী সম্রাটের চক্রান্ত জেনে ফেলার পরও ওষুধ খাওয়া চালিয়ে যান। কিন্তু তিনিও সম্রাটের তার প্রতি সারাজীবনের অবজ্ঞা-অবহেলার প্রতিশোধ নিবেন বলে ঠিক করেন। নিজের জ্যেষ্ঠ পুত্র জাইকে সব জানায়। জেনে জাই ক্ষুব্দ হয়। মাকে বলে ওষুধ যেন আর না খায়। এবং মায়ের অনুরোধে পিতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঘোষণা দেয় সে। পিতার এমন আচরণের প্রতিশোধ সে নিবেই বলে সংকল্পবদ্ধ হয়। শুরু হয় সম্রাজ্ঞীর নিজের প্রতিশোধের পরিকল্পনা। ‘ক্রিস্যান্থেমাম’ উৎসবের রাতেই হবে সম্রাটের বিরুদ্ধে সম্রাজ্ঞীর যুদ্ধ।

যুবরাজ চ্যান এর সাথে মিলিত হবার জন্য চলে যায় সুঝৌ প্রদেশে গভর্ণরের বাসভবনে। ওয়ান চ্যানের কাছে জানতে পারে যে সম্রাজ্ঞী ফিনিক্স সহস্র ক্রিস্যান্থেমাম ফুলের নকশা অঙ্কিত স্কার্ফ বানিয়েছেন। সেগুলো এক জেনারেলের কাছে প্রেরণ করেছেন। ওয়ানের আর বুঝতে বাকি থাকে না সম্রাজ্ঞীর পরিকল্পনার কথা। এদিকে তখনই সেখানে চ্যান এর মা দেখে ফেলে যুবরাজের সাথে চ্যান এর অন্তরঙ্গ মূহুর্ত। তিনি ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে যান বের হয়ে যেতে বলেন যুবরাজ ওয়ানকে। তার স্বামী ও কন্যা বিশ্মিত হন। ওয়ান বেরিয়ে যায়। চ্যানও সুযোগ বুঝে রাজপ্রাসাদের দিকে রওনা হয়ে যায়। রাজবদ্যির বাসায় আততায়ী বাহিনী আক্রমণ করে। তারা ঘোড়ায় চড়ে পালাতে উদ্যত হয়। কিন্তু পথিমধ্যে ওত পেতে থাকা আততায়ী বাহিনীর হাতে রাজবদ্যি খুন হন। কোনক্রমে আহত হয়ে প্রাক্তন সম্রাজ্ঞী রাজপ্রাসাদে চলে আসতে সম্মত হন। আততায়ীর হাত থেকে বাঁচাতে সম্রাজ্ঞী ফিনিক্সের প্রেরিত বাহিণি তাদের সাহায্য করে।

ওয়ান রাজপ্রাসাদে ফিরেই সম্রাজ্ঞী কাছে যায়। জানতে চায় কেন সে এমন চক্রান্ত করছে। সে যুবরাজ। সবাই যে ভাববে এ অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা সে-ই করেছে। সে কি করবে। সে সম্রাজ্ঞীকে অনুরোধ করে যেন এমন না করে। শেষমেষ নিজের বুকে ছুড়ি বিঁধিয়ে সে মরতে যায়। দ্রুত চিকিৎসায় সে যাত্রা প্রাণে বেঁচে যায়। অসুস্থ যুবরাজকে দেখতে তার পিতা আসে। সম্রাটকে সব খুলে বলে সে।

ক্ষুব্ধ হয়ে ওয়ানের ও চ্যানের মা সম্রাটকে জিজ্ঞেস করে যে সে তো চলেই গিয়েছিল। তবে কেন বারবার তার পরিবারের উপর হামলা করা হয়। সম্রাটের সাথে তার এমন ব্যবহারে যুবরাজ ওয়ান বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, কে এই মহিলা? সম্রাট চুপ থাকেন। কিন্তু সম্রাজ্ঞী ফিনিক্স জানান যে ইনি-ই সম্রাটের প্রথম স্ত্রী এবং ওয়ানের জন্মদাত্রী মা। বিস্ময়গ্রস্থ ওয়ান। কিছুক্ষন চুপ থাকে। এদিকে তার প্রিয়তমা চ্যান যে তার বোন। সে কি করবে? চ্যান সভাকক্ষ থেকে ছুটে বেরিয়ে যায়। তার পেছন পেছন ছোটে তার মা। রাজপ্রাসাদের বাইরে ওত পেতে থাকে আততায়ী।

এদিকে ক্ষমতালপ্সু কনিষ্ঠ প্রিন্স ইউ একটা ছোটখাটো অভ্যুত্থান করে বসে। খোলা তলোয়ার নিয়ে পেছন থেক আহত যুবরাজের পিষ্ঠে বিঁধিয়ে দেয়। যুবরাজ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। সম্রাজ্ঞী ও সম্রাট উভয়েই প্রিয় পুত্রের মৃত্যুতে বিমূঢ় হয়ে যায়। ইউ এর একটা ক্ষুদ্র সেনাদল সভাকক্ষে চলে আসে। ইউ জানায় যে তাকেই যুবরাজ ঘোষণা করা হোক। সম্রাট তার কনিষ্ঠ পুত্রের এমন আচরণে আরো ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। তার আততায়ী বাহিনীর হাতে পুত্রের বিদ্রোহী বাহিনী নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। নিজ হাতে পুত্রকে কোমরবন্ধনী দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেন তার এ বুদ্ধিবিহীন কুপুত্রকে।
ওদিকে জাই তার নেতৃত্বাধীন দশহাজার সৈন্য নিয়ে রাজপ্রাসাদ আক্রমন করে। কিন্তু তার বিশাল বাহিনী সম্রাটের বাহিনীর দ্বারা চতুর্দিক থেকে অবরুদ্ধ হয়ে যায়। যুদ্ধ করেও তার বিশাল বাহিনী মারা পড়ে। বন্দী হন প্রিন্স জাই। মা ফিনিক্স শোকে পাথর। সম্রাট আগেই এই অভ্যুত্থানের কথা ওয়ানের কাছে জেনে পূর্বপ্রস্তুতি নিয়েই রেখেছেন। সম্রাট জাইকে ধিক্কার দেন। জানান যে কেন শুধু শুধু এই অভ্যুত্থান করে ক্ষমতা দখল করতে যাচ্ছিল। উৎসবের পরে তিনি-ই তো ওয়ানকে সরিয়ে তাকে উত্তরাধিকার করতেন। যা তিনি নিজ থেকে দেন না, তা কেন জোর করে নিতে চাওয়া। জাই জানায় সে ক্ষমতার জন্য এমন করে নি। সে তার মায়ের প্রতি অবিচার ও হত্যা চক্রান্ত হয়েছে জেনেই এমন করেছে। তার ক্ষমতার লোভ ছিল না। বেঁচে থাকা একমাত্র পুত্র জাইকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে সম্রাট দেন এক অভিনব সাজা। এখন থেকে জাইকেই প্রতিদিন নিজ হাতে তার মাকে সেই বিষাক্ত ওষুধ পরিবেশন করতে হবে। মায়ের কাছে নিজের পরাজয়ের জন্য ক্ষমা চায় জাই। তারপর রক্ষীর খোলা তলোয়ার খুলে নিয়ে নিজ গলায় চালিয়ে স্বেচ্ছামরণ গ্রহণ করে জাই। শোকে বিমূঢ় সম্রাজ্ঞী। শোক চেপে নিষ্ঠুর চাহনি সম্রাটের।



এ গল্প ষড়যন্ত্রের নানা দিক বেরিয়ে আসে। আছে প্রতিশোধের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধ। আছে রাজপরিবারের ভেতরের সব বৈধ-অবৈধ সম্পর্ক। আছে সংঘাত। স্বামীর সাথে স্ত্রীর, সন্তানের সাথে পিতার দ্বন্দ। এ গল্প পিতার সাথে সন্তানের, সম্রাটের সাথে প্রজার সম্পর্কের গল্প। এ গল্প নিষ্পাপ ভালোবাসার গল্প, এ গল্প নিষিদ্ধ ভালোবাসার গল্প। এ গল্প ক্ষমতার লোভের গল্প, স্বার্থের কাছে ভালোবাসার হেরে যাওয়ার গল্প। কোমল-কঠোরের এক গল্প।

সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×