somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

muftisiraji
সমস্ত মানবজাতির কল্যাণকামী, সাদামাঠা মানুষকে পছন্দ করি। আপনি আস্তিক নাস্তিক যাই হোন ধর্মিয় বিষয়ে হেঁয়, কটাক্ষপাত করবেননা। একটা জাতীয়তাবাদী দেশে যে কোন ধর্ম কর্মের মানুষ থাকাটা স্বাভাবিক, এর জন্য ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে সমাজ ও রাষ্ট্রকে পেরেশান বানি

হাদীস ও বিজ্ঞানের আলোকে, জমজমের পানির গুণভান্ডার!! → mufti siraji

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



►রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি যে যেই নিয়তে পান করবে, তার সেই নিয়ত পূরণ হবে। যদি তুমি এই পানি রোগমুক্তির জন্য পান কর, তাহলে আল্লাহ তোমাকে আরোগ্য দান করবেন। যদি তুমি পিপাসা মেটানোর জন্য পান কর, তাহলে আল্লাহ তোমার পিপাসা দূর করবেন। যদি তুমি ক্ষুধা দূর করার উদ্দেশ্যে তা পান কর, তাহলে আল্লাহ তোমার ক্ষুধা দূর করে তৃপ্তি দান করবেন। এটি জিবরাইল (আ.)-এর পায়ের গোড়ালির আঘাতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পানীয় হিসেবে সৃষ্টি হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ ও আল-আজরাকি)

►জম জমের পানি দাড়িয়ে এবং তিন শ্বাসে পান করা সুন্নাহ। পান করার সময় নিম্নের দোয়াটি পাঠ করা-
اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا, وَرِزْقًا وَاسِعًا, وَشِفَاءً مِنْ كُلِّ دَاءٍ.
(حديث ضعيف/ رواه الدارقطنى وعبد الرزاق والحاكم عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا مَوْقُوْفًا)

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আস'আলুকা ইলমান নাফি'আ, ওয়ারিজকান ওয়াসিয়া, ওয়াশিফা'আন মিন কুল্লি দা।

অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট কল্যাণকর জ্ঞান, প্রশস্থ রিযিক এবং যাবতীয় রোহ থেকে আরোগ্য কামনা করিতেছি। (দারা কুতনী, আব্দুর রাজ্জাক ও হাকেম, বর্ণনায় ইবেনে আব্বাস)



বিজ্ঞান প্রমান করে যে,জমজম কুপের পানি সর্ব উত্তম পানি:
(একজন ইঞ্জিনীয়ারের তথ্য থেকে- মাশারো ইমোটো)

এটাকে স্ফটিকায়ন করতে পারি নি, এমনকি পর্যন্ত পানিটি ১০০০ ভাগ পাতলা করার পরেও।
” অন্য কথায় তিনি ১ ঘন সেন্টিমিটিারকে ১ লিটারে রূপান্তর করেন। তিনি বলেন যে তিনি যখন পানিটি ১০০০ ভাগ পাতলা করেন এবং জমাটবদ্ধ করেন তিনি তখন একটি অনবদ্য আকারের স্ফটিক লাভ করেন। দুইটি স্ফটিক গঠিক হয় একটি অপরটির উপরে, কিন্তু এগুলি একটি অনন্য আকার গ্রহন করে। যখন তিনি তার মুসলিম সহকর্মীকে জিজ্ঞাসা করেন কেন দুটো স্ফটিক হলো তিনি তাকে বলেন যে যেহেতু জমজম দুইটি শব্দ দ্বারা গঠিত, “জম এবং জম”।

মাশারো ইমোটো বলেন, “আমার মুসলিম সহকর্মী পানির উপর কোরআনের আয়াত পাঠ করার প্রস্তাব দেয়”।
সে একটি টেপ রেকর্ডার নিয়ে আসে এবং কতগুলি কোরআনের আয়াত বাজায় এবং আমরা সবচাইতে নিখুত আকৃতির স্ফটিক লাভ করি। তার
পরে সে আল্লাহ (সর্বশক্তিমান) এর ৯৯টি নাম বাজায়। প্রতিটি নাম একটি অনবদ্ধ আকারের স্ফটিক তৈরি করে।

যখন ডাক্তার ইমোটো এইসব পরীক্ষা সম্পন্ন করেন যা ১৫ বছর স্থায়ী হয়েছিল তিনি একটি ৫ খন্ডের বই নির্মান করেন যার নাম হচ্ছে “পানির থেকে বার্তা”।

তিনি লেখেন, “আমি প্রমান করেছি যে পানি, ঐ বিশেষ তরলটি চিন্তা করার, মাপার, বোধ করার, উত্তেজিত হওয়ার এবং নিজেকে প্রকাশ করার ক্ষমতা রাখে”। ডাক্তার মাশারো ইমোটো নিম্নোক্তভাবে লিখেছেন, জমজম পানির গুণ/বিশুদ্ধতা এই পৃথিবীর অন্য কোথাও পানিতে এর যে গুণ আছে তা পাওয়া যাবে না।
তিনি নানো নামের প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, এবং জমজম পানির উপর প্রচুর গবেষনা করেন এবং দেখতে পান যে যদি জমজম পানির ফোটা নিয়মিত পানির ১০০০ ফোটাতেও মিশ্রিত হয় তবুও নিয়মিত পানি জমজম পানির মত সমান গুণ লাভ করবে। তিনি আরো দেখতে পান যে জমজম পানির এক ফোটাতে একটি খনিজ পদার্থের এর নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে যা এই পৃথিবীর অন্যকোন পানিতে পাওয়া যাবে না। তিনি কিছু পরীক্ষাতে দেখতে পান যে জমজম পানির গুণ বা উপকরণ পরিবর্তন করা যায় না, কেন, বিজ্ঞান এর কারণ জানে না। তিনি এমনকি পর্যন্ত জমজম পানির পুন-প্রক্রিয়াজাত করেন, কিন্তু কোন পরিবর্তন হয় নি, এটা বিশুদ্ধ ছিল।

এই বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন যে মুসলমানেরা খাওয়া বা পান করার আগে বিসমিল্লাহ বলে। তিনি বলেন যে নিয়মিত পানিতে বিসমিল্লাহ বলা হলে এর ফলে নিয়মিত পানির গুণে কতগুলি অদ্ভুত পরিবর্তন ঘটে।
এর ফলে এটা সবোর্ত্তম পানি হয়।

তিনি আরো দেখতে পান যে যদি নিয়মিত পানির উপর কোরআন পাঠ করা হয় তা হলে এটা বিভিন্ন ব্যাধি চিকিৎসার জন্য ক্ষমতা লাভ করে। সুবহানাল্লাহ! নিশ্চয় আল্লাহর এটা একটি কুদরত। জমজম পানি পর্যায় ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ১০.৬ ফুট নিচে এটা আল্লাহর কুদরত যে জমজম ক্রমাগত প্রতি সেকেন্ডে ৮০০০ লিটার হারে ২৪ ঘন্টার বেশি সময় ধরে পাম্প করা হয় তখন পানির পর্যায় ভূ-পৃষ্ঠের প্রায় ৪৪ ফুট নিচে নেমে যায়, কিন্তু যখন পাম্প করা বন্ধ করা হয় তখন পর্যায় দ্রুত ১১ মিনিট পরে আবার ১৩ ফুট উচ্চতায় ফিরে আসে। প্রতি সেকেন্ড ৮০০০ লিটার অর্থ হল ৮০০০ x ৬০ = ৪,৮০,০০০ লিটার প্রতি মিনিটে, প্রতি মিনিটে ৪,৮০,০০০ লিটারের অর্থ হল ৪,৮০,০০০ x ৬০ = ২৮.৮ মিলিয়ন লিটার প্রতি ঘন্টায় এবং প্রতি ঘন্টায় ২৮.৮ মিলিয়ন লিটার মানে হচ্ছে ২৮৮০০০০০ x ২৪ = ৬৯১.২ মিলিয়ন লিটার প্রতি দিনে।

তাই তারা ২৪ ঘন্টায় ৬৯০ মিলিয়ন লিটার জমজম পানি পাম্প করে, কিন্তু এটা কেবলমাত্র ১১ মিনিটে আবার পূর্ণ হয়।
এখানে দুইটা কুদরত আছে:
★প্রথমটি হলো জমজম দ্রুত পুনর্ভর্তি হয় এবং
★দ্বিতীয় হলো আল্লাহ অসামান্য শক্তিশালী একুফার ধারণ করেন যা কুপের বাইরে কোন অতিরিক্ত জমজম পানি নিক্ষেপ করে না। অন্যথায় পৃথিবী ডুবে যেত।
আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন যে, “আমরা তাড়াতাড়ি তাদেরকে বিশ্ব ভ্রমান্ডে আমাদের চিহ্ন দেখাব এবং তাদের নিজস্ব আত্মায় আমাদের চিহ্ন দেখাব, যতক্ষণ না পর্যন্ত এটা তাদের কাছে পরিষ্কার হয় যে এটা হচ্ছে সত্য। এটাকি আপনার প্রভু সম্পর্কে যথেষ্ট না যে তিনি সকল জিনিসের উপরে একজন স্বাক্ষী?” (৪১:৫৩)!



জম জম কুপের পানি আল্লাহর রহমতস্বরুপ। শিশু হজরত ইসমাইল ও তার মা’কে যখন আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইব্রাহিম (আঃ ) নির্জন মরুভুমিতে পরিত্যাগ করেন। তখন তার পায়ের আঘাতে জমজম কুপের উৎপত্তি হয়।মা হাজেরা কুপের চারপাশে চারটি পাথর দিয়ে সিমানা দিয়ে দেন তা না হলে সারা পৃথিবীতে জমজম কুপ ছড়িয়ে পড়ত।

(মুফতী সিরাজী. জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া।)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪৬
২২টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×