কিছুদিন আগে আমাদের ঘরে কোথা থেকে একটা অতিতি বিড়ালের বাচ্ছা আসলো, হয়তো উচ্ছিষ্ট ভেবে কেউ রাস্তায় ফেলে দিয়েছিলো।আসার পরেই আমি চেষ্টা করলাম ওকে যত্ন করে পোষতে, যাই হোক খাবার দিলাম,যত্ন আত্নি করে রাখতে চেষ্টা করলাম। বিড়াল ছানাটি সারা রাত কাদতো মিউ মিউ শব্দে আমরা অতিষ্ট।এ যেনো এক বাড়তি ঝামেলা। ওর প্রতিটা কর্মকান্ড আমাদের খুব পেইন দিতে থাকে তবু ছাড়ছি না চাইছি মানিয়ে নিতে। কিছুদিন গেলো ওভাবে, হঠাৎ একদিন কোথায় চলে গেলো, সেই যে গেলো একদম নিরুদ্দেশ।আর খুজে পাওয়া যায় নি। আশ্চর্যের বিষয় তার চঞ্চলতা সেই অতিষ্ট করা মিউ মিউ শব্দ এখনো কানে বাজে, পেইন পাওয়া মুহুর্তগুলি কেনো জানি মনের অজান্তে মিস করি আজো।মনে এমন হয় যে সেই বিরক্তিকর মূহুর্তগুলি তখন খুব উপভোগ্য ছিলো।
বলছিলাম দুই দিনের একটি বিড়াল ছানার কথা।
আচ্চা ভাবুনতো আমরা মানুষ ভাই,বোন,পাড়া-পড়শি, সব মিলিয়ে একটা ব্যান্ডেজ।সারা পৃথিবি যদি একটা পরিবার ভাবা যায় আর সব মানুষগুলি একই পরিবারের সদস্য হয় তবে তবে জাতি,গোত্র,বর্ণ, বৈষম্য, ওগুলি থাকতো না, যেখানে মানুষের পরিচয় শুধু মানুষ হতো।
ভাবুনতো প্রতিদিন কতো মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে আজ ছিলো কাল নেই কাল ছিলো তো পরশু নেই তাকে যে কষ্ট দিয়েছিলাম তার হারিয়ে যাওয়ার আগে কি ক্ষমা নিয়েছি ? আজ পাশের লোকটি জ্বালাচ্ছে বলে খুব অতিষ্ট, কাল এই জ্বালাতন আপনাকে খুব মিস করতে হবে।
"মানুষের প্রতিনিয়তের চালচলন তখনই অনুভুত হয় যখন মানুষ হারিয়ে যায়।"
প্রসংগত সামাজে শান্তি প্রতিষ্টা করতে হলে প্রতিটি মানুষের সাথে আত্নিক সম্পর্ক,পরষ্পর শ্রদ্ধাবোধ, সুধারণা, অপরকে আপন করে ভাবার বিকল্প কিছু নেই। হারিয়ে যাওয়ার রাজ্যে যদি রাজা হতে চান মানুষকে আপন করে নেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৬