ধীরে ধীরে আমার সব্বাইকে চেনা হয়ে গিয়েছে
এইসব সন্ধ্যা, ভোর আর অপরাহ্ণগুলো
কফির চামচে আমি মেপেছি জীবন।
জানালার কাচে ঐ যে পিঠ চুলকোচ্ছে হলুদে কুয়াশা
ঐ যে হলুদ ধোঁয়া চিবুক ঘষছে জানালায়
জিহ্বা বের করে চেটে নিচ্ছে অবস চোখে
জেগে থাকা দ্বিতীয় জীবন।
ফোটে আসছে অমূল্য প্রবিষ্টে সম্ভব সংকেতিক চোখ
দেয়ালে পেরেক আঁটা এই আমি কী ভীষণ ব্যথায় কোঁকাই।
এই তো আমার দিন, জীবনের ধরনধারণ
আবার নূতন করে যাত্রা কিভাবে সম্ভব?
নাকি সম্ভব সত্যি বলে মেনে নেয়া অর্ধসত্য যতো?
বসন্তের হাট বসেছে মনস্বস্তি নগরে
অন্তরাত্মা গান হচ্ছে, তালিও বাজাচ্ছে
নোঙর ফেলার নূতন ঠিকানার নাম-
আজকের জন্য বাঁচো সুতরাং বেঁচে আছি।
সোনালি গাছের ঝোপে বসে আছে তারার আলো
কি আজব, পাখি নাকি কোন শিল্পিত খোদাই
বস্তুর পাখি কিংবা হস্তশিল্প উপমায় বিস্ময় মলিন
নরক কাকের মতো অবিরাম করে যায় চিৎকার পেল্লাই।
তিক্ত জোছনায় ভিজে অথবা সে আজব পাখিটি
বন্দনায় পঞ্চমুখ অপরিবর্তনশীল নিজ ধাতব দেহের
উচ্চকিত বিদ্রুপে বিদ্ধ পৃথিবীর পাখি লতাপাতা।
ঈশ্বরের পবিত্র আগুনে দাঁড়িয়ে আছি। ঋষিগণের মতো!
এতো আগুন নয়, দেয়ালে সোনালি মোজাইক।
কে যেন বলে বেরিয়ে এসো, আগুনের হল্লা থেকে-
যেদিন আসে নি আজো সে দিনের
যেদিন হারিয়ে গেছে সেদিনের
কিংবা এক কালে!
ভাবতে যখন হাঁটে সব পাপ শিরায় শিরায়
শরীরে চামড়া ছিঁড়ে হয়ে যায় কার্পেট।
আমি আর নূতন করে কী ভাববো আবার
যেখানে দেখি নীল-সাদার আকাশটা দেয়ালের মতো।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৭