সেদিন একটি বিদেশী সিনেমা দেখছিলাম। ছবিতে এক প্রাচীন আদিবাসী যোদ্ধা তার বন্ধুর কিশোর পুত্রকে তার অনুপস্হিত পিতার কাহীনি বলতে গিয়ে বলছেন " জগতের বেশীরভাগ মানুষ নিজেকে আর পরিবারকে নিয়েই ভাবে । কিছু কিছু মানুষ এই গন্ডী পেরিয়ে একটি দেশ বা জাতীর সব মানুষের জন্য ভাবে এবং কাজ করে "।
মাটিতে কাঠি দিয়ে বৃত্ত একে কিশোর বালকটিকে তিনি এটা বোঝাচ্ছেন। প্রথমে ছোটো , তারপর মাঝারি এবং সব শেষে একটি মহাবৃত্ত একে বল্লেন " আর কিছু মানুষ থাকে যারা দুটো বৃত্ত পেরিয়ে চলে যান অনেক অনেক দুরে। পিতার বন্ধু যোদ্ধাটি কিশোর বালককে বল্লেন " তোমার পিতা হলো এই শেষোক্ত শ্রেনীর মানুষ। তুমি যখন খুব ছোটো তখন তোমাকে আমার দায়িত্বে রেখে তিনি বেড়িয়ে পরেন "।
সিনেমার পরের দৃশ্যগুলো সেই বিশ্ব নাগরিকের বিভিন্ন জনপদের মানুষের মুক্তি আর প্রগতির আন্দোলনে শরিক হওয়া এবং নেতৃত্ব দেয়ার কাহীনি।
সবশেষে এক মহাপরাক্রমশালী ভিলেনকে পরাজিত করে মানব সভ্যতাকে রক্ষা করেন।
কাহীনিটির অবতারনা এই কারনেই করলাম যখন দেখছি আমার দেশের একজন মানুষ, যিনি আমার বিবেচনায় সেই বালকের হারানো পিতার
মত ছোটো এবং মাঝারী বৃত্ত গন্ডী পেরিয়ে বিশ্ব নাগরিকের পর্যায়ে চলে গেছেন তাকে নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে অপমানিত করে চলেছেন অবিরত।
হ্যা তিনি ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস।
আমার বিবেচনায় এই শ্রেনীর মানুষ সম্পর্কে সমালোচনা তো দুরে থাক, আলোচনা করতেও যথেষ্ট জ্ঞানের প্রয়োজন। সমালোচনা করতে হলেও দেখতে হবে আমি কোন বৃত্তে দাড়িয়ে। আর তা না হলে নিজের মুখেই চুন কালি লেপন হবে অজ্ঞতা আর মূর্খতার জন্য। ক্ষতি যা হবার তা হবে সমালোচকদেরই।
বিশ্ব নাগরিকের এতটুকুও ক্ষতি হবেনা কারন তার যা অর্জন ইতিমধ্যেই তা স্বীকৃত এবং প্রতিস্ঠিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ৯:২৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




