চুরি করিয়া অন্যের ফসল খাওয়ার অপরাধে ধৃত হইয়া একবার এক পাঁঠা বিচারের মুখোমুখি হইলো। বিচারে পাঁঠাকে কয়েকদিনের খোঁয়াড়বাসের সাজা প্রদান করা হইলো।
যে গ্রামে এই ঘটনা সংগঠিত হইয়াছিলো, সেখানে আস্তিক, নাস্তিক, ছাগু, ভাদা, পাকি, সুশিল সবার ই বসবাস। সকল পক্ষই সুখে-অসুখে একসাথেই বসবাস করিতেছিলো।
তো যাক, এমন খোঁয়াড় যার চতুর্দিক হইতে ভেতরে কোন কিছুই দৃশ্যমান নহে। পাঁঠার কয়েকদিনের খোঁয়াড়বাসের সাজা যখন চলিতেছিলো সেই সময়ের একদিন গ্রামের সকল পক্ষই সেখানে উপস্থিত হইয়া বিভিন্ন বিষয় লইয়া তর্কবিতর্ক চালাইতেছিলো।
একপক্ষ বলিলো পাঁঠা ভালই আছে । আরেক পক্ষ বলিলো সে ভাল নাই। এহেন বিতর্ক যখন চলিতেছিলো তখন সেখানে উপস্থিত সুশিল একজন একটা বাজি ধরিলো, যে ব্যাক্তি পাঁঠার সাথে একাধারে ১০ মিনিট ওই আবদ্ধ খোঁয়াড়ে থাকিতে পারিবে তাহাকে পুরস্কৃত করা হইবে। পাঁঠার শরীর থেকে যে উৎকট গন্ধ বের হয় তাহা নিশ্চই পাঠকদের বলিতে হইবে না। সুশিলের চিন্তা, পাঁঠার গায়ের গন্ধে কেউই ১০ মিনিট টিকিতে পারিবে না।
এহেন পরিস্থিতিতে এক আস্তিক, এক নাস্তিক এবং এক ছাগু দাঁড়িয়ে গেল এই বাজী নিজেই জিতিবে বলিয়া।
সর্ব প্রথমে আস্তিক এর পালা :
সে আল্লার নাম লইয়া ভিতরে প্রবেশ করিলো। যেহেতু খোঁয়াড়ের ভিতর দৃশ্যমান নয়, তাই বাকি সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করিতেছিলো ফলাফল কি হয় তা অবলোকন করিবার জন্য।
দু মিনিটও অতিবাহিত হয়নি । পাঁঠার গায়ের দুর্গন্ধে আস্তিক এক দৌড়ে দরোজা খুলিয়া বাইরে আসিয়া নিঃশ্বাস ফেলিয়া হাঁফ ছাড়িয়া বাঁচিলো।
ফলাফল - প্রথমজন মানে আস্তিক ফেল।
এবার ২য় জন মানে নাস্তিক এর পালা :
নাস্তিক কোন কথা না বলিয়া ভিতরে প্রবেশ করিলো। সবাই ফলাফল জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করিতেছিলো। সবাই আশা করিতেছিলো নাস্তিক নিশ্চই পারিবে।
কিন্তু সবাইকে আশাহত করিয়া নাস্তিকও ২ মিনিটের মাঝেই দরোজা খুলিয়া সবেগে বাহিরে । সে বলিলো আমিতো ভিতরের অবস্থা শুরুতে বুঝিয়া নিঃশ্বাস না ফেলিয়া ২ মিনিট ছিলাম, আর বেশী পারিলাম না !
ফলাফল - দ্বিতীয়জন মানে নাস্তিক ফেল।
এবার ৩য় জন মানে ছাগুর পালা
সে দাঁত-মুখ খিঁচিয়া বড় বড় নিঃশ্বাস ফেলিয়া ভিতরে প্রবেশ করিলো। ২ মিনিট - ৫ মিনিট - ১০ মিনিটও পার হইয়া যায়। ভেতর থেকে কোন আওয়াজ বা সাড়া-শব্দ নাই। ছাগুরও বের হবার নাম-গন্ধ নাই। সবাই মহাচিন্তায় নিমজ্জিত। সবাই উৎকন্ঠিতচিত্তে ভিতরে কি ঘটিয়াছে বা ঘটিতেছে তাহা জানার অপেক্ষায়..........
হঠাৎ খোঁয়াড়ের দরোজা ভাঙ্গিয়া কে যেনো বাহির দিকে খুরের আওয়াজ তুলিয়া দৌড় দিলো। সবাই ভাল করিয়া লক্ষ্য করিয়া দেখিলো, সে এক আজব দৃশ্য। পাঁঠা দৌড়াইতেছে !!!
তার মানে, ছাগুর গায়ের গন্ধে পাঁঠা তার খোঁয়াড় থেকে নিস্ক্রান্ত হইয়াছে।
কিয়ৎক্ষন পর ছাগু তার ৩২ দন্ত বিকোশিত করিয়া সবার সম্মুখে আসিয়া বলিলো, আমি বাজি জিতিয়াছি, আমার পুরস্কারটা আমাকে দেওয়া হউক।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




