কিভাবে? এ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ক্যালকুলেশন থেকে। এবং এটা খুবই বৈজ্ঞানিক।
কাঠমোল্লা হুজুরেরা আপত্তি করতেই পারেন। কিন্তু যে হিসাবে অনেক আগে থেকেই সূর্য উদয় হওয়ার উপরে ভিত্তি করে ফযরের সময়, মাগরিবের সময় নির্ধারন করে প্রকাশ করা হয় কয়েক বছর আগেই এবং যার উপরে ভিত্তি করে নামাজিরা নামাজ পড়ে, সেটা কিন্তু প্রতিদিন সূর্য ওঠা সচক্ষে দেখে ঠিক করা নয়। সেটা আগে থেকেই হিসাব করা যায় এবং মুসলিমরা সেটা গ্রহন করেছে অনেক আগে থেকেই। কেউ এখন পূর্ব আকাশে সুবেহ সাদিকের রঙ দেখে ফযরের সময় জানতে যায় না। নামাজের টাইম টেবিল আগেই হিসেব করা। এবং সেটা সেকেন্ডে সেকেন্ডে নিখুঁত।
এমনকি ইফতারি করার সময় কেউ তাকিয়ে দেখে না কখন সূর্য ডুবছে। বড়ং ছাপানো সময়ের লিস্ট থেকেই আমরা জানি কখন ইফতারির সময়। এভাবে সূর্য ওঠা, অস্ত যাওয়া যেমন আগে থেকেই জানা যায়; একই ভাবে চাঁদ ওঠার দিনক্ষনও নিধর্ারন করা কোন ব্যাপার না।
একই যুক্তিতে এবং একইভাবে কবে চাঁদ দেখা যাবে, সেটা খুব বৈজ্ঞানিক ও নিখুঁত ভাবে বের করে আগে থেকেই জানা সম্ভব।
যারা তারপরেও গোঁ ধরে থাকতে চায় এই বলে যে: না নবী (সালাম) চাঁদ দেখে রোযা শুরু করতে বলেছেন তাদের বলি:
"আজ থেকে গাড়িতে না চড়ে, উট কিনে আনেন। উটে চড়েন।" নবী উটে চড়তেন।
গরু বা খাসী কুরবানী না দিয়ে দুম্বা বা উট দিয়েন। নবী সেটা করতেন।
চুল আচড়ানোর সময়ে আয়নায় মুখ না দেখে ঘষা পাথরের বাটিতে পানি নিয়ে চুল আচড়াবেন। কারন নবী সেটা করতেন। "
নিজেদের হাস্যকর প্রমান করায় তথাকথিত ধর্মের নামে অন্ধ মোল্লাদের জুড়ি নেই।
সময়ের চেয়ে অনেক অগ্রসর চিন্তা ভাবনার অধিকারী যে মানুষটা, সেই নবীর নামকে জড়িয়ে পশ্চাদপদতা দেখে নিশ্চই তিনিও ব্যাথিত হন মৃতু্য নামের মহাসিন্দুর ওপাড় থেকে।
[গাঢ়]মোরা ভুলে গিয়ে তব উদারতা,
সার করিয়াছি ধমার্ন্ধতা।
বেহেশত হতে ঝড়ে নাকো আর
তাই তবো রহমত।
ক্ষমা করো হযরত।[/গাঢ়]
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:২৩