একটা পশু আর একটা মানুষের ভিতরে পার্থক্যটা কোথায় ?
বছরের একটা সময়ে প্রায়ই দেখা যায় রাস্তার দুটো কুকুর একসাথে জোড়া লাগা অবস্থা চলতে । ঢাকা শহরে এমন দৃশ্য খুব একটা দেখা না গেলেও গ্রাম অঞ্চলে এমনটা প্রায়ই দেখা যায় ।ছোট বেলাতে এই রকম দৃশ্য দেখলে কিছু বুঝতে পারতাম না কিন্তু একটু বড় হয়েই সেই কারনটা আমি বুঝে ফেলি । তারপর থেকে যখনই এই রকম কিছু দেখতাম যদি আশে পাশে ছোটা বা বড় কেউ থাকতো তাহলে লজ্জায় মুখটা লাল হয়ে যেত !
আচ্ছা আপনারা কি বলতে পারেন এই রাস্তার নেড়ি কুকুর আর একটা ধর্ষকের ভিতর কোন পার্থক্য আছে ? কুকুর ... সরি সব কুকুর না, নেড়ি কুকুর যেমন যখনই তার যৌন উত্তেজনা হয় তখনই আশে পাশে যে কুকুরই পায় তার উপরই ঝাপিয়ে পড়ে ঠিক তেমন কাজটা করে এই লোক গুলো ।
লোক গুলো বলা মনে হয় ঠিক হচ্ছে না ! বলা উচিৎ ঐ জারজ গুলা ।
আমি প্রায়ই ভাবি, সে যখন একটা মেয়ের উপর হামলা করে তাখন কি একটা বারও নিজের মা অথবা বোনের মুখটা ভেসে উঠে না ?
না, উঠে না !
কারন ওদের তো মা বাপের ঠিক নাই । ঠিক থাকলেও দেখা যাবে সেগুলোও ঠিক একই রকম কাজ করে এসেছে ।
যাই হোক কদিন আগে ফেইসবুকে একটা পোষ্ট দেখলাম আফ্রিকার কোথায় যেন মেয়েদের পোষাক পরার উপর আইন করা হয়েছে ! প্রথমে ভাবলাম হয়তো মুসলিম দেশ হয়তো ! এই জন্য আইন করা হয়েছে ! কিন্তু আইন করা হয়েছে ধর্ষন ঠেকাতে !!
আশ্চর্য !!
পাগলা কুকুরের কামড়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য কুকুর কে মেরে ফেলা উচিৎ নাকি নিজেকে ঘরের মাঝে আটকে রাখা উচিৎ । আমি জানি সেই আফ্রীকা দেশীয় কিছু লোক সামুতেও আছে । তারা বলবে কুকুরকে তো মারা উচিৎ কিন্তু সাবধানতার জন্য ঘর থেকেও বের হওয়া উচিৎ না ।
তাহলে কি কুকুরের কামড়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য আমাকে ঘরের ভিতরই বসে থাকতে হবে ? এটা কি কোন সমাধান ?
যাই হোক এমন আইন দেখে আমার মনে হয় খানিকটা বুঝতে পারলাম যে আফ্রিকাকে কেন অন্ধকারাচ্ছা মহা দেশ বলা হয় ।
আগের কথায় আসি । ধর্ষনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আমাদের মেয়েদেরকে কি ঘরের ভিতর বন্ধ করে রাখতে হবে ?
এখন আর একদল এসে হাজির হবে ! তারা বলবে ইসলাম কায়েম করার জন্য ! আজকে যদি দেশে ইসলামের শাসন হত তাহলে মেয়েরা সব ঘরেই থাকত । ব্লা ব্লা ব্লা !!
আগেই বলে নেই আমি মুসলমান ! এখন আপনি কিভাবে আমাদের দেশে ইসলামের আইন শাসন কায়েম করবেন ? করতে পারবেন ? নাকি করা সম্ভব ?
সে কাজ করা সম্ভব না সেটার অযুহাত দেখানো, কোন সমাধান হতে পারে না । অনেকে ইসলামের দোয়াই দিয়ে মেয়েদের পোষাকের উপর বিভিন্ন কথা বলেন ! আমি তাদেরকে বলতে চাই আচ্ছা ইসলাম ধর্ম কি কেবল মেয়েদেরকেই পোষাক কোড বেধে দিয়েছে । ছেলেদের কি কোন পোষাক কোড নাই ! আপনারা সব ইসলামের বড় আলেম আপনাদের হয়তো এই সব ছোট খাটো বিষয় মনে না থাকতে পারে, আমার মনে হয় একটু মনে আছে !! ইসলামে দৃষ্টিতে প্রত্যেকটা ছেলের টাকলুর উপরে কাপড় পরা উচিৎ । আমরা তো মেয়েদের পোষাক নিয়ে অনেক কথাই বলি এখানে কয়টা ছেলে আছে যারা তাকলুর উপরে প্যান্ট পড়েন ?
এখন আমি নিজেই যেখানে ইসলামের পোষাক কোড মানছি না আমি কোন অধিকারে অন্য একটা মেয়েকে ইসলামের আইন অনুযায়ী পোষাক পরতে বলবো ? এটা কে ভন্ডামী ছাড়া আর কি বলবে ??
অনেকে বলবেন যে আমি পরি গোড়ালীর উপর কাপড় ! আমি তো বলবোই ?
ঐ বেটা উল্লুক !! তোকে কে অধিকার দিয়েছে অন্যের ব্যাপারে কথা বলতে ।
সরি !! মাথা মাঝে মাঝে গরম হয়ে যায় !!
হ্যা, আপনাকে কে অধিকার দিয়েছে এই কথা বলার ? আপনার দায়রার ভিতর যারা আছে যেমন আপনার কন্যা, আপনার স্ত্রী এদের কে আপনি আপনার পছন্দ অনুযারী পোষাক বলতে পারেন ! কিন্তু রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়া অন্য কোন মেয়ের পোষাক সম্মন্ধে কমান্ট করার অধিকার আপনার নাই ।
আরে ধুর!!
কি নিয়ে লিখতে বসেছি আর কি লিখলাম । আসল কথায় আসি ! লিখতে বসেছিলাম ধর্ষন নিয়ে । এর কারন নিয়ে আর কোথা থেকে ফাও প্যাচাল পারতেছি ।
প্রথমে আসতে পারে মানুষ কেন এই কাজটা করে ?
একদম সহজ কথা । পশু গুলো যখন নিজেদের যৌনক্ষদা কে দমিয়ে রাখতে পারে না তখনই এই কাজটা করে ।
এটা আমার সাথে সবাই একমত হবেন মনে হয় ।
কিন্তু সব থেকে আশ্চর্যের বিষয় হল একটা মেয়ে রেপ হল এবং আমাদের অনেকে এটা মনে করেন যে এটার জন্য মেয়েটাই দায়ী !
প্রমান চান ?
এই দেখেন
এটা একজন সনামধন্য ব্লগারের কামন্টের অংশ বিশেষ । তিনি মনে করেন যে আইন এবং মেয়েদেরই সব দোষ ! মাঝখান থেকে তেনারা ফাসতাছেন !! তার মনে তিনি নিজেকে ধর্ষকদের একজন মনে করেছেন !!
আচ্ছা একটু নিজের মাথায় চিন্তা করে দেখেন তো ধর্ষন বা যৌন হয়রানীর জন্য একটা মেয়ে কিভাবে দায়ী হয় ? একটা মেয়ে পোষাক কিভাবে দায়ী হয় ? এর পেছনে কি কেবল ঐ নরপশুটার মানষিকতাই কাজ করে না ?
যে একজন পূর্ন মানুষ সেই মানুষটার সামনে দিয়ে যদি একটা উলঙ্গ মেয়েও হেটে যায় তাহলে সেই মানুষটা নিজের মাথা নিচ করে চলে যাবে ! অন্য দিকে তাকাবে ! এটা হল মানুষের পরিচয় ।
লাইনটা পড়ে আগেই লাফালাফি করবেন না । আমি কি বলার চেষ্টা করেছি বুঝার চেষ্টা করুন !! এখানে মেয়ের প্রসঙ্গ আসছে না ।
একটু উদাহরন দেই ! দুজন মানুষের সামনে দিয়ে যদি একই ভঙ্গিতে একটা মেয়ে যৌন উত্তজেক পোষাক পরে যায় তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই দুজনই ভিতররে ভিতরে উত্তেজিত হবেন !
এটা স্বভাবিক ! কিন্তু যে ধর্ষক আর যে মানুষ দুজনের প্রকাশ ভঙ্গি কিন্তু এক রকম হবে না । মানুষ তার নিজের আদিম অভ্যাস কে নিয়ন্ত্রন করবে ! এটা মনুষ্যের পরিচয় ! আর ও পশুটা কি করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না !! কারন সে মানুষের পর্যায়ে পরে না ।
লেখার শুরুর দিকে একটা লাইন লিখেছিলাম মনে আছে ? পার্থক্যের কথা !!
এখানে হল পার্থক্য ।
কয়েক দিন আগে এক জনের একটা পোষ্ট পড়েছিলাম যেখানে তিনি নিজেই কিছু প্রশ্ন করেছিলাম আবার নিজেই এর উত্তর দিয়েছেন । একটা প্রশ্ন এরকম ছিল যে যদি কেউ কোন হট মেয়েকে সামনে দিয়ে হেটে যেতে দেখে কিন্তু চুপ করে মুখ ফিরিয়ে চলে যায়, কোন কিছু না করে তাহলে সে কি নংপুশক পর্যায়ে পড়ে ।
উত্তর- হ্যা !
আমি খনিকটা অবাক হয়ে গেলাম ! যে মানুষ এমন একটা কথা বলতে পারে তার মানষিক অবস্থা কেমন হতে পারে ? আসলে সেযই পোষ্টে কমান্ট করতে ইচ্ছা হয় নি ! ঐ লোক কে বোজানোর সাধ্য আমার নাই !
যদি তার কথা ধরে নেই সত্য !
তাহলে কি দাড়ায় ?
ধরুন একটা মেয়ে কিছুটা চুলকানী মার্কা পোষাক পরে মোঃপুর থেকে নিউমার্কেটের দিকে রওনা দিল ! পথের মাঝ খানে তার সাথে কম করে হলেও হাজারটা লোকের সাথে দেখা হবে ! কিন্তু সেই মেয়েটাকে টিজ করবে কয়জন ? অথবা একটু রাত হয়ে গেল তাহলে কয়জন তাকে রেপ করার চেষ্টা করবে ?
খুব বেশি হলে দুতিন জন !
তার মানে কি বাকী ৯৯৭ জনই নংপুশক ?
সেই ব্লগারের কথা শুনে মনে হয়েছে কেবল ধর্ষক আর ইভটিজারই হল প্রকৃত পুরুষ !!
হায়রে পাবলিক !!
বেকুব পাবলিক !!
আমি জানি এখনও ঠিক মত বুঝে নাই !! ধরে নিলাম যে মেয়েদের পোষাকই এর জন্য দায়ী ! তাহলে একটা মেয়ে শালীন কাপড় পড়লেই ঐ নরপশু দের হাত থেকে নিরাপদ !! এটা হল আপনাদের কথা ।
কিন্তু সত্যি কি তাই !!
একটু কষ্ট করে অপূর্ণ ভাইয়ের পোষ্ট টা একটু দেখে আসুন । পোষ্ট টা এখনও স্টিকি করা আছে । ওখানে যে কয়জন যদি বোজার মত জ্ঞান থাকে তাহলে একটু নিচের দিকে দেখেন বেশ কিছু খবর আছে । এখন আমাকে বলেন এই যদি কেবল পোষাকের কারনেই মেয়ারা রেপড হয় তাহলে এই গুলা কেন হল ?
অনেকে কেবল ঢাকার মেয়েগুলার দোষ দেয় । বলে এদের নাকি পোষাক ভাল না । কথা বললেই কেবল এদিক ওদিন দিয়ে ছবি আপলোড করে । আমাদের ঢাকায় প্রায় দুই কোটি লোকের বাস ! এর ছিতর মেয়ে যদি অর্ধেকও হয় তাহলে একটু খ্যাল করে দেখেন কয়জন যৌন উত্তেজন পোষাক পড়ে !
কয়জন ??
হাতে গোনা কয়েকজন !!
আর যারা এমন পোষাক পড়ে তারা কি রেপড হয় ? কোনদিনও না । তাহলে যে মেয়েটা স্কুলে যাবার পথে কিডন্যাপ্ড হল তারপর গ্যাঙ রেপের স্বীকার হল সেই মেয়েটাকে কেন দোষী ভাবা হচ্ছে ?
এবার একটা বাস্তব কথা বলি । নিজের জীবন থেকে না হলেও নিজের খুব কাছের একজনের জীবন থেকে ।
আমি যে এলাকায় থাকি সেই এলাকাটা মোটা মুটি সম্ভ্রান্ত এলাকা বলা চলে । এই এলাকাতেই আমার এক কাছে ফ্রেন্ড থাকে । চেহারা ছবি ভাল ! কিন্তু সমস্যা হল মেয়েটা যখনই প্রতিদিন বাইরে যায় কয়েকটা ছেলে ওর পিছনে লাগে । লোকাল কিছু ছেলে । আমার সেই বন্ধুটা আগে জিনস পরতো । তারপর থেকে সে খুব শালীন পোষাক পরা শুরু করলো ! এমনকি কয়েকদিন সে বোরকা পর্যন্ট পরেছে । কিন্তু সেই লোকাল ছেলে গুলোর বিরক্ত করন থামে নাই ! বাধ্য হয়ে তাদের এলাকা ছাড়তে হয়েছে !
এখন আমার কাছে প্রশ্ন হল যদি কেবল পোষাকই কারন হত তাহলে কি আমার ঐ বন্ধুটির প্রথম কিছু দিনের পর যখন সে সেলোয়ার কামিজ আর বোরকা পরা শুরু করলো তখন তাকে আর বিকর্তির স্বীকার হতে হত । আরো খোজ নিয়ে জানা গেল সেই লোকাল ছেলে গুলো কেবল আমার বন্ধুকেই না এলাকায় থাকা প্রায় সকল মেয়ে কেই উক্তত করে ।
কথাটা ঠিক এই টাই ।
যারা কুকুরের জাত তারা ঘেউ ঘেই করবেই । আপনি কে বা আপনি কি পোষাক পরে আছেন সেই কথা চিন্তা করবে না ।
আসলে এই লেখাটা আমার লিখতে ইচ্ছা করতো না । আমি সামুতে লিখি না বলতেই চলে । কিন্তু গত কাল একটা পোষ্ট আর পোষ্টের কমান্ট পড়েই লিখতে বসলাম !
ঐ পোষ্ট টি ছিল গুগলরকস নামে একজন ব্লগারের ! আগে যে স্ক্রীনসর্টটা দেখালাম লাম ঐটাও ওখান থেকেই নেওয়া !! লিংক দিলাম না ! কারন কারন কারো অনুমুতি ছাড়া লিংক দেওয়া ঠিক না !
যাই হোক ঐ পোষ্টে একজন কামন্ট করেছেন যে ইসলামে নাকি বলা হয়েছে মেয়েদের পর্দা করতে । তাই যখন একটা মেয়ে যখন পর্দা করছে না তখন সে অন্যায় করছে ।
আচ্ছা ইসলামে কি কেবল মেয়েদের কেই সব কিছু বলেছে । একটা মেয়ে মানলাম ইসলাম অনুযায়ী পর্দা করছে না । সে ইসলামের চোখে অপরাধী । তাই বলে কি তাকে রেপ করতে হবে ?? অনাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে ও মেয়েদের কে রেপ কারা কোন অন্যায়ের মধ্যে পরে না !!
আমাদের দেশটা যেহেতু ইসলামে আইন অনুযায়ী চলে না সুতরাং এটা এই দেশে কোন অপরাধ না ।
আমার আর একটা কথা খুব জানতে ইচ্ছা করে যে ইসলামে কি কেবল নারীদের কথাই আছে ? পুরুষদের যে নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত করতে বলা হয়েছে সেই ব্যপারে তো কেউ একটা কথাও বলে না ?
তোমরা একটা মেয়ের দিকে হায়নার দৃষ্টিতে তাকাবা সেটা ঠিক ? সেটা কোন অপরাধের ভিতর পরে না ??
সব আজীব পাবলিক !!
আরো দেখলাম বেশ কয়েক জন স্বর্ণাকে আক্রমন করেছে !! নামটা বাদ দিয়ে হুবাহু তুলে দিলাম
বলেছেন: @এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা //
খেয়াল কইরা , এত লাফান কেন ? পুরুষদের উপর আপনার এত আক্রোশ কেন ? ধর্ষন শব্দটার প্রতি আপনার এত আকর্ষন কেন ? ধর্ষন ছাড়া আপনি আর কিছু বুঝেন না ?
পোষ্টে স্বর্ণা যথেষ্ঠ যুক্তি নিয়ে কথা গুলো বলতে চেয়েছে কিন্তু কিছু কিছু ব্লগার যেমন ভাষা ব্যাভার করেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । পোষ্টের কিছু কিছু কমান্ট মনে হচ্ছে এরা কি যুক্তি নিয়ে বেচে আছে ?
একজন আবার বলেছেন আপনি যদি গায়ে পেট্রেল মেখে আগুনের সামনে হেটে বেড়ান তাহলে তো আগুন লাগবেই আবার আরেন মহান জ্ঞানী বলেছেন যে চম্বক আর লোহা কে পাশাপাশি কে রাখলেই তো একেওপরকে আকর্ষন করবেই !!
এরা ঠিক কি ভাবে আমি জানি না । যদি এদের মাঝে নূনতম জ্ঞান থাকতো তাহলে এই বেহুদা কথা বলত না ! কি আজিব কথা চুম্বক আর লোহা কে ধর্ষক আর মেয়েদের সাথে তুলনা করছে !
বেকুব আর কাকে বলে !!
সামুতে এই প্রজাতির বেকুব আছে জানাই ছিল না !!!!!!!!
যাক এ সব বেকুবদের কথা বলতে গেলে সারাদিন পার হয়ে যাবে !
আচ্ছা আর একটু কথা না বললেই না । সবাই বলে মেয়েদের পোষাক দেখাই নাকি পুরুষদের মাথা আরো অন্যান্য কিছু গরম হয়ে যায় তাই তারা নেড়ি কুকুড়ের মত ছুটে আসে ! এটা দোষের কিছু না ! একটা মেয়েকে দেখে যেমন একটা কুকুরের যেমন যৌন ক্ষুধা জাগে তেমনি একটা স্মার্ট ছেলেকে দেখেতো একটা মেয়ের ঐ রকম ইচ্ছা হয় । সুত্র তো তাই বলে !!
তাহলে একটা মেয়েরও সেই রকম আচরন করা উচিৎ । তাই কিনা ?
কিন্তু তাই কি হয় ?
না হলে কেন হয় না ?
কেউ বলবে সাহসে অভাব ! নাকি তারা এই সমস্ত দিক দিয়ে ছেলেদের থেকে বেশি সভ্য ! কোনটা ??
কে জানে ? বেকুব গুলো কি বলবে ??
একটা মেয়ে যতই সভ্য পোষাক পরুক না কেন একটা হায়না/ আর নেড়িকুকুর দৃষ্টি থেকে কিছুতেই সে নিজেকে বাঁচাতে পারবে না, যত দিন না এই সমস্ত কুকুর গুলো কে নংপুশক করে না দেওয়া হবে ।
অনেকে আবার এই যুক্তি দেখেয়েছে একটা ছেলে একজনকে দেখে উত্তেজিত হয়ে যায় তার উপর অন্য এককজনের উপর গিয়ে হামলা চালায় । আমি বলবো যার উত্তেজীত হতে ইচ্ছা হয় বা যে জন্মগত ভাবেই এই রকম ভাবে জারজ মার্কা কাজ করে তার জন্য কি মেয়েদের দেখা টা খুব বেশি জরুরী ! এখন ইন্টারনেট আর কম্পিউটারের যুগে সে নিজেই ঘরে বসে পর্ন দেখে নিজেকর উত্তজিত করে । এখন আপনারা বলবেন যে পর্ন ছবিতে মেয়েদের উলঙ্গ দেখে ছেলেরা উত্তেজিত হয় এই জন্য মেয়েদের দোষ ।
বলবেন না ?
বলুন বলে ফেলুন !!
আমি কেবল একটা কথাই বলতে চাই এই সমস্ত জারজ গুলা কখনও ঠিক হবে । বললাম যে গুলার বাপ মায়ের ঠিক না সে গুলা কিভাবে ঠিক হবে । মেরেরা পোষাকে যেমনই হোক না কেন তাদের কিছু তাতে যয় আসবে না ।
বলতে পারেন সৌদি আরবে কেন রেপ কম হয় ? হিজবের কারনে ?
জি না ! রেপ কম হয় কারন সেখানে রেপের জন্য কঠিন শাস্তর বিধান রয়েছে ! এমন কঠিন যে যে কোন কুকুরের দল রেপ করার আগে ১০০ বার চিন্তা করবে !
আমাদের দেশেও ঠিক একই ব্যাবস্থা করা দরকার !
খুব বেশি দিন আগের কথা না ! ১০/১২বছর আগে কথাই চিন্তা করেন একটা সময় ছিল কিছু হলেই ছেলেরা মেয়েদের মুখে এসিড ছুরে মারতো । কিন্তু এখন একটু চিন্তা করেন তো কয়টা এসিড মারার ঘটনা ঘটে ?
কি ভাবছেন ! সোনার ছেলের সব ভাল হয়ে গেছে ? জি না !
সরকারের কঠিন আইনের ফলে এটা কমে গেছে ।
ঠিক এইভাবেই যদি আমাদের দেশে ধর্ষনের শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদন্ড বা পুরুষাঙ্গ কেটে নেওয়ার সিস্টেম চালু হয় ঐ কুকুরের দল সামনে দিয়ে যাওয়া কোন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাতেই সাহস করবে না ।
আবারও বলছি মেয়েদের দোষ দেওয়া বন্ধ করেন । নিজে বদলান নিজের দৃষ্টি ভঙ্গি বদলান । একটা মেয়েকে টিজ করার আগে একটা বার ঐ মেয়েটার জায়গায় নিজের মা, বোন অথবা নিজের প্রিয় একজনের চেহারার কথা কল্পনা করে দেখেন আপনার মুখদিয়ে একটা কথা বের হবে ? রেপ করা তো অনেক দুরে পরে রইলো !!
আমার লেখা বড় অগোছালো লেখা অভ্যাস নাই তো তাই । দয়া করে ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন । আর দয়াকরে পোষ্ট রিলেটেড মন্তব্য করবেন ।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




