এই বইটির লেখক হলো ইন্ডিয়ার পেপারব্যাক কিং খ্যাত লেখক চেতন ভগতের। চেতন ভগত সব সময়ই আমার প্রিয় লেখকদের একজন। খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি তার লেখা। এবং তার প্রায় প্রতিটি বইতেই(এই বইটি ব্যতীত) আমার মুগ্ধতা জমা হয়। প্রথম চেতন ভগতের বই পড়া শুরু করি রেভুল্যুশন ২০২০। এবং প্রথম পড়াতেই লেখকের লেখনী গল্পের প্লট খোজাতে আমি মুগ্ধ হই। অনেকেই হয়তো জানেন ভগত হিন্দিতে না লিখে ইংলিশে লেখেন। এবং সে ইংলিশ একেবারেই সোজা। একেবারে ইংলিশ ফর টু ডে টাইপ। যারা ইংলিশ বই পড়া শুরু করার কথা ভাবছেন তারা চেতন ভগতের বই দিয়ে শুরু করতে পারেন। আমি শেলডন ছাড়া আর এত সহজপাঠ্য ইংরেজী বই পড়িনি। ভগতের এই বইটা নিয়ে সিনেমাও বানানো হয়েছে। নাম কাই পো চে।
যাই হোক এতক্ষণ অনেক কথা বলে ফেললাম এবার বইয়ের ব্যাপারে আসি। লেখক বইয়ের প্রথমেই উল্লেখ করেন যে তিনি একটা ইমেইল পান এবং ইমেইল এর সূত্র ধরেই এই উপন্যাস। আহমেদবাদের তিন বন্ধু। তিনজনের তিনরকম পরিবার। গোবিন্দ,ঈশান,অমি। গোবিন্দ কে কেন্দ্র করে লেখক কাহিনী শুরু করেন। গোবিন্দের সব সময়ই ব্যবসায়ী হওয়ার স্বপ্ন ছিল, আহমেদবাদের বাকী সব মানুষের মতই। এবং গোবিন্দ তার স্বপ্ন দুই বন্ধুর মাঝে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়। ঈশান নিজেও ক্রিকেটের চরম অনুরাগী এবং প্রতিভাবান ক্রিকেটার। আর অমি একজন গোড়া হিন্দু পরিবারের ছেলে। ঘটনাপ্রবাহে ঈশান আবিষ্কার করে প্রতিভাবান বালক ক্রিকেটার আলী। আলীকে নিয়ে উপন্যাস অন্যদিকে মোড় নেয়। শেষের দিকে বন্ধুত্বের টানাপোড়েন,সাধারণ কিছু ট্যুইস্ট নিয়ে আগাতে থাকে গল্প। তবে একটা লক্ষণীয় বিষয় যে ২০০০ সালের দিকে ভারতের গুররাটে ঘটে যাওয়া হিন্দু মুসলমান দাংগা এই বইতে বেশ ভালভাবে স্থান পেয়েছে। তবে লেখক সে দাংগা বিশ্লেষনের দিকে যান নি। কাহিনীর প্রয়োজনে তুলে এনেছেন বিষয়টাকে।
লেখকের এই বইটি আমাকে যথেষ্ট হতাশ করেছে। বিশেষ করে আমি যখন তার রেভ্যুলেশন ২০২০ আর ফাইভ পয়েন্টস সামওয়ান পড়ে তার ভক্ত বনে যাই তার পরে এই বইটি বেশ হাতশাজনক। বোরিং বই। এক কথায় আমি হতাশ। এবং বইটা পড়ে আমার কাছে সময়ের অপচয় মনে হয়েছে।
গুডরিডসে বইটির রেটিং - 2.96
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:০১