আজকে একদিনেই ৭০ হাজার ঢুকছে, এখন পর্যন্ত তার সংখ্যা হয়তো ১ লাখ ছাড়িয়েছে! গত দুই দিনে প্রায় ৬০ হাজার প্লাস ঢুকেছিলো!
সূত্র - আল জাজিরা!
কথা সেটা না, কথা হলো আগের দেড় মিলিয়ন রোহিঙ্গা এখনো দেশে বসবাস করছে! নতুন করে আসছে আরো ৫/৬ লাখ! যদিও পুরো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১১ লাখ! ( তথ্য অনুযায়ী সবাইকে যদি তাড়িয়ে দেয়; তবে!) অন্যদিকে জাতিসংঘ আরাকানে খাদ্য সাহায্য বন্ধ ঘোষণা করেছে! চীন রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে!
জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান সৌদিআরব কোন নিন্দা প্রস্তাব দেয়নি! যেমনটা দিয়েছিলো মীর কাশেমের ফাসির রায় দেয়ার পরে! বলেছিলো, " বাংলাদেশ জুডিশিয়াল কিলিং করছে!"
একেই বলে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড! জিহাদিরা জিহাদের ডাক দিয়েছে!
ফেঁসে যাচ্ছে প্রিয় মাতৃভূমি! আন্তর্জাতিক_ষড়যন্ত্রের_গন্ধ_পাচ্ছি!
অনেকেই বলে থাকেন মুসলিম মুসলিম ভাই ভাই, তাদের সাহায্য করা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব ইত্যাদি ইত্যাদি!
গতকালের একটা ঘটনা বলি, রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে চীন!
চীন মায়ানমারের সবচেয়ে বড় বন্ধু, আর চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র পাকিস্তান!
অথচ সেই চীন দিল ভেটো! পাকিস্তান কেন নিরব? পাকিস্তান অবশ্য চীনের মুসলিমরা রোজা না রাখার সরকারী আদেশ নিয়েও কোন কিছু বলে না! ২০০১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত চীন থেকে পালিয়ে আসা উইঘুর শরণার্থী দের সি আই এর কাছে শপে দেয় সন্দেহভাজন আলকায়েদা সন্ত্রাসী বলে!
সেই আমেরিকা এদের ধরে নিয়ে যায় গোয়ানতানামো বের কারাগারে! বারাক ওবামা ক্ষমতায় এসে এদের মুক্ত করার পর বিবিসির এক প্রতিবেদনে তারা সেই হৃদয় বিদারক কাহিনী বর্ণনা করেন!
একই কাজ করে নিউরো সাইন্টিস্ট আফিয়ার ক্ষেত্রে!
অন্যদিকে সৌদিআরব তার প্রতিবেশী জাত ভাই ইয়েমেনীয় দের গত ছয় বছর ধরে বোমা মেরে সাড়ে চার লাখ নিরীহ হুতিদের হত্যা করেছে, গৃহহারা হয়েছে প্রায় ৮০% জনগণ! তার বিচার কে করছে?
প্যালেস্টাইনের গাজা একটা অবরুদ্ধ শহর, ২০১৪ সালে ইসরায়েল বোমা আর মিসাইল মেরে ১৫০০+ ফিলিস্তিন নারী ও শিশু হত্যা করেছে! -- আরব বিশ্ব কি পদক্ষেপ নিয়েছিলো?
অন্যদিকে গাজার প্যালেস্টাইন দের একমাত্র আসা যাওয়ার রাস্তা মিশরের সিনাই, তাও মাটির নিচ দিয়ে মাটি খুড়ে টানেল দিয়ে! ( টানেল চিনেন তো? অনেকটা ইদুরের গর্তের মতো) সেখানেও ইসরায়েলের কড়া অভিযোগে মিশর সরকার মাটির অনেক গভীর থেকে দেয়াল দিয়ে সিলগালা করে দিয়েছে! যাতে কেউ অবরুদ্ধ গাজা থেকে মিশরে আসতে না পারে!
পাকিস্তান ধর্মের ভাই হওয়া সত্ত্বেও ২৪ বছর আমাদের শোষণ করে ৩০ লাখ নিরীহ বাঙালি হত্যা আর দুই লাখ মা বোন ধর্ষণ করেছিলো!
একেই বলে মুসলিম ভ্রাতৃত্ব বোধ!
দুই বছর আগে রওনা দেয়া এরদোগানের যুদ্ধজাহাজ এখনো পৌঁছায়নি!
আর লেটেস্ট নিউজ হলো, মালয়েশিয়াতে গতকাল রোহিঙ্গা দের নিয়ে করা মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ এবং অনেককে গ্রেফতার! ( সূত্র- আল জাজিরা)
আরেকটা ভুল ধারনা অনেকের মাঝে আছে, আর তা হলো, " রোহিঙ্গারারা মুসলিম, তাই নির্যাতিত হচ্ছে!" -- ভুল এবং মিস কনসেপ্ট!
মায়ানমারে ৪% মুসলিম আছে, যার ০.৯০ % রোহিঙ্গা মুসলিম!
অন্যদিকে বার্মিজ আর্মি আরাকানের হিন্দুদের ও তাড়িয়ে দিচ্ছে! তাদের সমস্যা ধর্মেও না, তারা মনে করে রোহীঙ্গারা বাঙ্গালি!
তাদের অনলাইন নিউজ মিডিয়ায় ঢুকলে দেখবেন তারা রোহিঙ্গা দের " বাঙ্গালি সন্ত্রাসী " বলে অভিহিত করছে!
তাছাড়া আর্মিদের অত্যাচারে অনেক রোহিঙ্গা হিন্দুও পালিয়ে এসেছে শরণার্থী শিবিরে!
( সূত্র-- দৈনিক ইত্তেফাক)
অনেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কে দুষছেন, বর্ডার খুলে দেয়ার কথা বলছেন, কিন্তু কোন প্রপার ডকুমেন্টেশন ছাড়া এরা দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে কতটা বিপদ হতে পারে তা ভেবেছেন কখনো?
আচ্ছা সৌদিআরব, কুয়েত, , আরব আমিরাত, ওমান, বাহরাইন এর বর্ডার ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেনের জন্য কেন খোলা না বলেন তো??? কারন আইএস আই এস আর স্থানীয় সন্ত্রাসী সংঘটন - যেমন আল নুসরা, আল কায়েদা সহ বিভিন্ন সংঘটনের সন্ত্রাসী হামলার ভয়!
তাছাড়া একবার মূল জনগোষ্ঠীর সাথে মিশে গেলে তাদের আলাদা করা প্রায় অসম্ভব হবে! এমনিতে ৭০ এর দশক হতে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা এইদেশে প্রবেশ করেছে, যার বর্ত্তমান সংখ্যা প্রায় দুই মিলিয়ন ছাড়িয়েছে! আর এর প্রমাণ - কক্সবাজারে স্থানীয় বাঙ্গালির চেয়ে রোহিঙ্গার সংখ্যা বেশি! আর এটা মানব জাতির ইতিহাস- কোন যায়গায় যে জাতি বেশি, সে জায়গার দখলদারিত্ব তারা দাবি করে বসে!
উদাহরণ - ব্রিটিশ আমলে চায়ের বাগানে কাজ করতে আসা তামিলরা শ্রীলংকার জাফনায় এবং গোর্খারা ভারতের নর্থ ইস্টে, ইহুদিরা ইস্রায়েলে, তুর্কিরা সাইপ্রিয়টে!
অনেকে রোহিঙ্গা ARSA মিলিটারির মিয়ানমার সামরিক চৌকিতে হামলাকে সঠিক মনে করছে, আর একে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সাথে মিলিয়ে নিচ্ছে! -- গ্রেট মিসটেক!'
আমাদের ২৪ বছরের দীর্ঘ সংগ্রাম ছিলো! শেখ মুজিবুরের মতো নেতা নেতৃত্ব ছিলো যিনি দীর্ঘ ১২ বছরের অধিক জেল খেটেছিলেন! যার ফলে ৭০ এর জাতিয় নির্বাচনে নিরুঙ্কুশ বিজয়ী হয়ে ছিলাম! নেতা হতে হবে নেলসন মেন্ডেলা অথবা ইয়াসির আরাফাতের মতো! '
বন্ধুক হাতে চোরাগোপ্তা হামলাকারী পাকিস্তানে ট্রেনিং প্রাপ্ত জুন্নুন বা জাফর কাওয়ালির মতো না!'
মোদ্দাকথা, আমরাও চাই রোহিঙ্গা সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান হোক! কিন্তু তা কখনোই আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে না!
কারেন খ্রিস্টান দের হত্যার কারনে আমেরিকা পর্যন্ত চেয়েছিলো সামরিক অভিযান চালাতে, কিন্তু চীনের অসহযোগীতায় তা কখনো পূরণ হয়নি!
আর বাংলাদেশের কোন যৌক্তিকতা নেই সামরিক অভিযান চালানোর! এটা পৃথিবীর কোন দেশই করবে না! অযথা যুদ্ধে লিপ্ত হলে আমেরিকা এই সুযোগে ঘাটি ঘেড়ে বসবে! আর সামরিক শক্তির দিক থেকেও মায়ানমার অনেক শক্তিশালী!
মোদ্দাকথা, যুদ্ধে জড়ানো মানেই বাংলাদেশ সিরিয়া লিবিয়া বা সোমালিয়া হয়ে যাওয়া-- এই ফাঁকে জঙ্গিগ্রুপ গুলো মাথা চাড়া দিবে!
তখন আমাদের পাশে কেউ দাঁড়াবে না, কারন আমাদের তেল স্বর্ণ কিছুই নেই।
পাকিস্তান চীনের ইশারায় নাচবে, ভারত মুখ ফিরিয়ে নেবে! ওয়েক আপ বাংলাদেশ!
পানিতে ভাসা একটা ছোট্ট মেয়ের মৃত ছবি ভাসতেছে অনলাইনে। ছবিটার সোর্স কি? এর সাথে রোহিঙ্গার সম্পর্ক কি?
মনে আছে সিরিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার সময় নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া সিরিয়ান শিশু আইনাল কুর্দির কথা?
রিফিউজিরা যখন অবাধে ইউরোপে ঢুকতে পারছিলো না অথবা ধনিক আরব রাষ্ট্রগুলো যখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলো- তখন সাগরের পাড়ে শুয়ে থাকা মৃত শিশুর ছবি বিশ্ব বিবেক নাড়া দিয়েছিলো!
ফলে ইউরোপীয়রা বর্ডার উন্মুক্ত করে দিয়েছিলো- কিন্তু বছর না ঘুরতেই রিটার্ন পেতে শুরু করে জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, রাশিয়া, তুর্কি এবং সাম্প্রতিক স্পেন!
স্টেডিয়ামে বোমা হামলা, ক্রিস্টমাসের অনুষ্ঠানে বোমা, গাড়ি বা লড়ি নিয়ে পথচারী দের উপর হামলা, রাস্তাঘাটে এখানে সেখানে ছুরিকাঘাত, যৌন হয়রানি চলতেই থাকে!
ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই তারা শরণার্থী ধরে ধরে ফেরত পাঠাচ্ছে!
পানিতে ডুবা বা ভাসমান রোহিঙ্গা মেয়ের ছবির মধ্যে সম্পর্ক বুঝাটা খুব কঠিন নয়। এটা সাইকো-ওয়ারফেয়ারের অংশ মাত্র।
এই ছবির পটভূমি আপনার আমার অবচেতন মনে কিসের ব্যাখ্যা নিয়ে আসছে খেয়াল করুন একবার।
রোহিঙ্গারা ভারত পালাচ্ছেনা?
অবশ্যই পালাচ্ছে ; কিন্তু এই টাইপের পার্টিকুলার ছবি দেখলে অবচেতন মনে ভূগোল মিলছে কাদের বর্ডারের সাথে?
ছবিটি দেখলেই মনে হবে আমাদের এবং বার্মার বর্ডারের কাছে এসেই যেন এদের মেরে নাফ নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে।
যদিও আমি হলফ করে বলতে পারি এরা সিট্বয়ি (Sittwe) হতে জেলেবোটে বোটে চড়ে মালয় অথবা ইন্দোনেশীয় দ্বীপ পারি দিতে গিয়ে মারা যায়, নিজেদের স্বগোত্রীয় রোহিঙ্গা আদম ব্যবসায়ীদের হাতেই। এমন অহরহ সংবাদ ইন্টারনেট ঘাটলেই পাবেন।
এটা জ্যাস্ট আমাদের দেশেই ব্যবহৃত হচ্ছে কারন, ছবি দেখে মানসিক চাপে পড়ে পাবলিক অবচেতন মনে নিজেই অপরাধ প্রবণতায় ভুগছে বলে।
আসুন এইবার রোহিঙ্গাদের ইতিহাস দেখি:-
৬২ সালে আইয়ুব খানের পলিসি অনুযায়ী কক্সবাজার ও টেকনাফে রোহিঙ্গা চাল স্ম্যাগলিং গ্যাং এর নেতাদের দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী ক্যাম্প করা হয় বার্মাকে প্রেশারে রাখতে। যেমন, পার্বত্য চট্টগ্রামে মিজো বিদ্রোহীদের ১২টা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ছিলো, ভারত কে প্রেশারে রাখতে।
মুক্তিযুদ্ধ ৭১ আমাদের ভুলতে দেয়না, কক্সবাজার টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জানোয়ার গুলো পাইক্যাদের তুষ্ট করতে কিভাবে বাঙ্গালীদের জবাই করে খালে ভাসিয়ে লাল করেছিলো।
চট্টগ্রামের আমিন জুট মিল এর পার্শ্ববর্তী এলাকা বার্মাইয়া পাড়ার ওসমান মাঝী নামের জল্লাদ বাহিনীর জন্যে বাঙ্গালীদের হত্যা করে বধ্যভূমি ছিলো পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের খাদ গুলো।
বিহারীদের হাতে "শহীদ জহির রায়হান" হত্যার কারনে বইপত্র ঘেঁটে আজ আমরা অনেকেই জানি বিহারীদের নিরস্ত্রীকরণ করতে ৭২সালের মাঝামাঝি লেগেছিলো কিন্তু জানেন কি রোহিঙ্গাদের নিরস্ত্রীকরণ করতে টাস্কফোর্স গঠন করতে হয়েছিলো, যা ৭৩ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কার্যকরী ছিলো?
৮০ এর দশক এর মাঝামাঝি হতে বার্মিজ চালের আড়ালে আসা হেরোইন এবং ২০০৪-৫ সাল হতে শুরু হওয়া ইয়াবা নামক মরন মাদকের ছোবল এই রোহিঙ্গাদের মাধ্যমেই চালু এবং নিয়ন্ত্রিত হয়।
রোহিঙ্গা শরণার্থী কর্তৃক কক্সবাজার অঞ্চলে পুলিশ -আনসার ক্যাম্পের রাইফেল লুণ্ঠন কিংবা হালের ভুজপুরে রোহিঙ্গা ভাড়াটে খুনিদের হাতে আমার দেশের ভবিষ্যৎ শিক্ষিত প্রজন্ম নিরস্ত্র ছাত্রদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর সময় রোহিঙ্গা খুনিদের তোলা ভিডিওতে পৈশাচিকরূপে উল্লাসিত রোহিঙ্গাদের মুখগুলির কথা ভুলি কি করে?
তারপর ও মানবিক কারনে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দেয়া যেতো, যদি না তারা সশস্ত্র জিহাদে আহবান না করতো!
আতাউল্লাহ জুন্নুন নামের ARSA লিডার সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের এবং জিহাদে অংশগ্রহণ করতে উদাত্ত আহবান জানিয়েছে! সেই সাথে মুসলিম উম্মাহর সাহায্য কামনা করেছে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং টিভি চ্যানেলে!
বন্ধুক হাতে মিলিটারি ড্রেস পরা জিহাদির ছবি ইতিমধ্যে ইন্টারনেটের কল্যাণে ভাইরাল হয়ে গেছে!
ইতিমধ্যে দেশের অভ্যন্তরেও অনেকে জিহাদের ডাক দিয়েছেন! ---- চোখটা বন্ধ করে ভাবেন তো কি হতে যাচ্ছে?
একটা শান্তিপূর্ণ দেশ অশান্ত হতে যাচ্ছে! হাজার হাজার জিহাদি বন্ধুক গ্রেনেড হাতে চষে বেড়াবে, যখন যাকে খুশি হুমকি দিবে-- আর তার অডিও ভিডিও বার্তা বিশ্বের মিডিয়া প্রচার করবে!
বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পরবে! এনজিও, দাতা সংস্থা, কূটনীতিক অফিস, বিদেশি কোম্পানি গুলো দেশ ছেড়ে পালাবে!
একটা স্বাধীন দেশে যখন এই রকম মিলিটারি এক্সারসাইজ চলে, তখন সেই দেশ হয় অচল! আর যার ইচ্ছে হলো, সেই জিহাদে যোগ দিবে! ফলাফল --- আরেকটা আফগানিস্তান বা সোমালিয়া!
অনেকে ৭১ এ ভারতের উদাহরণ দিয়ে থাকে; ভুল!
আমরা ভারতে গিয়ে ইয়াবা ব্যবসা করিনি, তাদের মিলিটারি ক্যাম্পে হামলা করে অস্ত্র লুট করিনি!
আর তারা জিহাদের আহবান জানিয়ে বাংলাদেশকে বহির্বিশ্ব তে সন্ত্রাসী রাষ্টের ট্যাগ দিবে!
বাংলাদেশ হিন্দু রাষ্ট্র ভারত না, একটা মুসলিম দেশের অভ্যন্তরে আরেকটা মুসলিম দেশের মিলিটারি বা জঙ্গি প্রশিক্ষণ হলে সেটা জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হয়! উদাহরণ - পাকিস্তান!
অনেক রক্ত আর সংগ্রামের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীনতা আমরা ভূলুণ্ঠিত হতে দিতে পারি না কিছু স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আর পাকিস্তানী প্রেতাত্মা দের হাতে!
( Al Bakky Al myzan ভাইয়ে ফেসবুক পোষ্ট থেকে সংগৃহীত করা সম্পূর্ণ পোষ্ট। আমার ভালো লাগায় আমার ব্লগে রেখে দিলাম অনুমিত হয়ে)
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৭