somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিজয়ীদের লেখা ইতিহাসে যারা ঘৃণিত, তাদের কিছু ভালো কাজ

২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আজ পৃথিবীতে এমন ব্যাক্তি খুঁজে পাওয়া খুব কস্টকর হবে ,যারা হিটলার বা তার নাৎসি পার্টিকে ঘৃণা করেন না। ২য় বিশ্বযুদ্ধের কারন হিসেবে বেশীরভাগ মানুষই হিটলারকে দায়ী করবে। তবে আমার ব্যাক্তিগত মতামত হলো ২য় বিশ্বযুদ্ধের মূলকারণ ছিলো অসম ভার্সাই চুক্তি, মূলত ভার্সাই চুক্তির মধ্যেই রোপিত হয়েছিলো ২য় বিশ্বযুদ্ধের বীজ। পরাজিতদের কথা কেউ মনে রাখেনা , ভুলে যায় এবং সেই সাথে ভুলে যায় তাদের সব ভালো কাজের কথা। আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো নাৎসিদের কিছু ভালো কাজ।

জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ : নাৎসি জার্মানরা সবসময়ই জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের ব্যাপারে সচেতন ছিলো । তারাই প্রথম বৈজ্ঞানিক কাজে পশুহত্যা(vivisection) বন্ধ করেছিলো । গোয়েরিং ,হিমলার , এবং হিটলার নিজেও জৈববৈচিত্র সংরক্ষণের ব্যাপারে সচেতন ছিলেন


ধূমপান বিরোধী আন্দলোনঃ ১৯৩০ থেকে ১৯৪০ সালের মধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ধূমপান বিরোধী আন্দোলন শুরু হলেও একমাত্র জার্মানিতেই এই আন্দোলন কিছুটা হলেও সফল হয়। নাৎসিরাই সর্বপ্রথম অফিস এবং অন্যান্য পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করেন। হিটলার যেখানে থাকতো সেখানে কেউ ধূমপান করতে পারতো না।


সমাজকল্যাণ এবং পারিবারিক মূল্যবোধ বৃদ্ধি: এখন পর্যন্ত সবথেকে বড় জনকল্যাণ মূলক কাজ নাৎসিদের দ্বারাই পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ছিলো শীতকালীন ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচী যেখানে উচ্চপদস্থ নাৎসি কর্মকর্তা এবং সাধারণ মানুষরা পথে নেমে এসে দরিদ্র মানুষদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করতো ।
এবং ঐতিহ্যগতভাবে পারিবারিক মূল্যবোধ রক্ষা করা ছিলো নাৎসিদের অন্যতম মূলনীতি।


সড়ক পথ নির্মানঃ হাইওয়ে নির্মাণের মূল ধারনা কিন্তু জার্মানদের কাছ থেকে এসেছে , হিটলার অন্যতম স্বপ্ন ছিলো সমগ্র জার্মান জুড়ে সড়ক পথ নির্মাণ করা , যাতে সহজেই সব জায়গায় পৌঁছানো যায়।


আধুনিক মোটরযানের পথিকৃতঃ মূলত নাৎসি জার্মানরাই ছিলো আধুনিক মোটরযানের পথিকৃৎ । হিটলারই সর্বপ্রথম এমন একটি গাড়ির পরিকল্পনা করেছিলেন যেখানে পরিবারের সবাই থাকতে পারে। যেই পরিকল্পনার ফসল ছিলো Volkswagen



আধুনিক রকেট বিজ্ঞানের জনক: নাৎসিরাই ছিলো আধুনিক রকেট জনক । ভন ব্রাউন নামের একজন নাৎসি বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম আধুনিক রকেট তৈরি করে । তার তৈরিকৃত v2 রকেটই ছিলো আধুনিক মিসাইলের দিকনির্দেশক। ভন ব্রাউন ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে আমেরিকার হয়ে কাজ করেছিলেন এবং আমেরিকার মহাকাশ মিশনে ব্যবহৃত রকেটগুলোর মূল কারিগর তিনিই ছিলেন । এ পি জে আব্দুল কালাম (ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি) তার লেখে বই wings of fire এ পড়েছিলাম যে ভারতের হাতে বর্তমানে যেসব আধুনিক মিসাইল আছে যেমন অগ্নি ,ত্রিশুল ,পৃথ্বী ইত্যাদি মিসাইল তৈরীতেও ভন ব্রাউন সাহায্য করেছিলেন


চলচিত্রে অবদানঃনাৎসি জার্মানরাই ছিলো আধুনিক চলচিত্রের পথিকৃৎ । চলচিত্রের জন্য ম্যাগনেটিক ট্যাপ রেকর্ডিং সর্বপ্রথম ব্যবহৃত হয় Leini Riefenstah (নিচের ছবি) এর পরিচালিত একটি প্রোপাগান্ডা চলচিত্র Triumph of the Will এ।



চিকিৎসা বিজ্ঞানে অবদানঃ নাৎসিরা চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনেক আধুনিক ছিলো ,তারা অনেক গবেষণা করেছিলো যা প্রকাশ পায় নি কারন তাদের এই গবেষনা বেশীরভাগই চালিত হতো ইহুদী ক্যাম্প গুলোতে



আরো কিছু জানতে নিচে রিফাত হোসেনের মন্তব্যে লিঙ্ক গুলো পড়তে পারেন

এইরকম আরো অনেক কারন আছে যা বলে শেষ করা যাবেনা , অন্তত এইসব কারনগুলোর জন্য হলেও হিটলারকে সবার শ্রদ্ধা করা উচিত ।

একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত জাতিকে এত দ্রুততার সাথে সুপার পাওয়ারে পরিনত করা একজন সাধারন নেতার পক্ষে সম্ভব না ।
আমি মনে করি আমাদের দেশের যে অবস্থা , হিটলারের মত একজন নেতা আমাদের খুব দরকার

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:২১
৪৪টি মন্তব্য ৪৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×