ধর্ম ব্যবসার বড়ই অকাল চলতেছে আজকাল। আর স্বল্প সময়ের ব্যবধানেই সেটা লাটে ওঠার প্রতিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধ আর ধর্মনিরপেক্ষতা ব্যবসায়ীরা মাথা খেকে লেজ পর্যন্ত সবকিছু চাড়া দিয়েই মাঠে নেমে গেছে এখন। ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাছে তাদের আনুগত্য গ্রহণ আর শহীদ হতে পারাটা ছিল মুনাফা হিসেবে বেহেশ্ত লাভের শর্টকাট রাস্তা। অপরদিকে মুক্তিযুদ্ধ আর ধর্মনিরপেক্ষতা ব্যবসায়ীদেরও বেশ শর্টকাট একটা মোনাফার রাস্তা আছে । তা হলো, একাত্তরের নৃশংস ঘটনার দায়ে প্রকৃত অপরাধীদের ছেড়ে দিয়ে কয়েকজন নিরীহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঝুলিয়ে দিয়েই ৩০ লক্ষ শহীদের ঋণ শোধ করা, ব্যাপারটা মন্দ নয়।
কিন্তু ইতিহাস যে সরল রেখায় চলে না। বর্তমান প্রজন্ম ৭১ দেখেনি, তাই বলে তাদের কাছে কিন্তু 'জিঘাংসা, খুন, ধর্ষণ, লুটতরাজ আর নৃশংসতা' শুধুই আভিধানিক শব্দাকৃতি নয়। ১৭ ডিসেম্বর'৭১ খেকে আজকের বিশ্বজিৎ হত্যা পর্যন্ত সব অপরাধেরই প্রত্যক্ষ অনুস্বাক্ষী তারা। মুক্তিযুদ্ধ আর ধর্ম নিরপেক্ষতা ব্যবসায়ীদের বিভৎস আর দানবিক রূপ দেখে বেড়ে উঠা আজকের প্রজন্মের কাছে তাই এ দু'টি শব্দ এখন ব্যবসায়িক মুলধন মাত্র। তবে খুব শীঘ্রই এই বাংলাদেশ সত্যিকার অথেই গণপ্রজাতন্ত্রী হয়ে ওঠবে। সেদিন নতুন করে একচল্লিশ বছরের সব ভয়ানক অপরাধীদের ঝুলিয়ে দেয়ার জোরালো দাবি আসবে। তখন ধর্ম, ধর্মনিরপেক্ষতা, মুক্তিযুদ্ধ, চেতনা, ক্ষমতা, পিতৃ আর পতিত্বের কৃতিত্ব, সাংবাদিক, সুশীল, মলভি, মোল্লা , প্রগতি কিম্বা মৌলবাদ কোন মুখোশ দিয়েই কাউকে রক্ষা করা যাবে না। যাদের চুল-দাড়িঁ সাদা হয়ে গেছে তাদের কাছে ঐদিনটির কথা দূরের বাদ্য বা স্বপ্ন হতে পারে, তবে বাস্তববাদী প্রতিটি মানুষদের চোখে সে স্বপ্ন আর বাস্তবতার মাঝখানের ফাঁকটা ক্রমেই মিলিয়ে যাচ্ছে । তাই বলব- 'বেপারীসাহেবগণ! সামানা গোটাও'
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




