কলঙ্কিত হয়ে যাওয়া ক্রিকেট নিয়ে কিছু লিখতে চাইনা। তারপরও 'আবেগে কাইন্দালছি'-র মতো করে আজকের বাংলাদেশ-উইন্ডিজের ২য় টেস্ট ম্যাচটি দেখছিলাম। অাধা ঘণ্টার ব্যবধােন পরপর চারটি প্রাপ্তি যোগ হলো। তামিম মুমনিুলের ফিফটি, বাংলাদেশের ১৫০ এবং তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০০। বিড়বিড় করে বললাম- আল্লাহ না করুক একটা পরলে না জানি সব কয়টা পইরা যায়, এরা যেন না পরে। যেই ভাবা, সেই তামিম অার মুমিনুল। ফিফটি করার পর হঠাৎ ওদের মনে হলো- 'শালার খেলুমতো টি-টুয়েন্টি, টেস্ট খেলতাছি ক্যারে?'
এরপরই সবাই আপন মনে পাপন মিয়ার শেখানো অচরণ করা শুরু করলো। বাকী ৮ট গেল ৩৮ রানে।
৫ম দিনের মুখ আর দেখা লাগলো না। দিনটােত সবাই আচরণ ঠিক করার ট্রেনিং নিতে পারবেন আশা করি।
একটু পুরানো কথা বিল। এক সময় ছিল, যখন আমরা নিয়মিত হারতাম।
তবু দল হেরে গেলে খেলোয়াড়েরা লজ্জা পেতেন, আর আমরা তাদের শান্তনা দিতাম অার সম্মানজনক হারেই খুশি থাকতাম।
আস্তে আস্তে বাংলাদেশ দলের জেতার এবিলিটি তৈরী হলো, প্রত্যাশাও বেড়ে গেল। দিন, মাস বছর গেল। দিন বদলের তালে তালে খেলোয়াড়দের আচরণও বদলে গেল।
এখন বাংলাদেশ দল অন্যদের জিতিয়ে দিয়েই খুশি থাকে। এতে দল হেরে গেলেও খেলোয়াড়েরা লজ্জা পান না, লজ্জা পাই শুধু আমরা।
এক চাচা দু:খ করে বলছিলেন, ভাতিজারে! আগেতো সবাই খেলতো ক্রিকেট, কিন্তু এখন যে এরা খেলে প্রাপেট (পাপন+ক্রিকেট), এই খেলায় কোনও দেশপ্রেম অার লাজ-লজ্জার বালাই নেই, শুধু অাচরণ ঠিক থাকলেই হয়।