তাদেরকেই বলছি। অপরাধবোধ দুর করা সাজানো সংখ্যাতত্বের ভিত্তিতে সম্ভব নয়, কুলাঙ্গারের দল! এই বোধ বারবারই আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে, কুরে কুরে শেষ করবে প্রতিনিয়ত। একমাত্র নিজেদের দোষ, নিজেদের ইতিহাসের দোষ নতজানু হয়ে স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেই প্রশমিত হবে সে অপরাধবোধ। জামাত আজ অবধি একবারও তা করে নি।
কিছু কিছু ইতরের দল সে এই ধর্ষনের কথা তুললেই স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক ধর্ষনের কথা তোলে। সে ইতরদেরকেই বলছি, যে কোন ধর্ষন অমার্জনীয় অপরাধ। প্রতিক্ষেত্রেই অপরাধীদের কঠিন সাজা হওয়া দরকার। কিন্তু একটা ইস্যু নিয়ে যখন কথা হয়, তখন অন্য ইস্যু নিয়ে প্রথম ইস্যুকে অবদমন করার মতো কুকর্ম তারাই করে, যাদের ভেতরে আলোচিত প্রথম ইস্যুর প্রতি কোন সমর্থন নেই। এই ফাঁকি আর শঠতা টের পাই প্রতিদিন, অথচ এরাই নিজেদের ধার্মিক বলে দাবী করে! ধিক! সহস্ত্রবার ধিক এই ইতরদের!
খবরটি অনুবাদ করে প্রকাশ করলাম। মূল খবরটিও ছবি হিসেবে দেয়া হলো সাথে।
খ্রীষ্টান গীর্জা সংস্থা পরিচালিত একজন রিলিফ কর্মকর্তা জানান যে, প্রায় যে ২০০০০০ বাংলাদেশী মহিলা পকিস্তানী সেন্যদের দ্বারা ধর্ষিত হয়েছেন ও তারা সমাজে পূনর্বাসনের কোন পথ খুঁজে পাচ্ছেন না।
খ্রীষ্টান গীর্জার সংস্থা রিলিফ সোসাইটির এশিয়ান অঞ্চলের কর্মকর্তা রেভারেন্ড কেনাত্রো বুমা এক সাক্ষাতকারে জানান যে, সামাজিক নিয়মের কারনেই কোন মুসলমান স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে চাননা, যদি তার স্ত্রী অন্য কোন পুরুষের হাতে স্পর্শিত (এক্ষত্রে ধর্ষন) হন। যদি স্ত্রীর উপর জোর খাটানো হয়, তাহলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
বাংলাদেশের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীরা এই ধারাকে দুর করার জন্যে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মি: বুমা। তারা এই মহিলাদের স্বামীদের বীরাঙ্গনার সন্মান দিয়ে ফিরিয়ে নেবার অনুরোধ জানিয়েছেন। কেউ কেউ তাদের স্ত্রীদের ফিরে নিয়েছেন, কিন্তু তাদের সংখ্যা নিতান্তই কম।
সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনায় এই মহিলাদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যে খ্রীষ্টান গীর্জার সংস্থা সামনের সপ্তাহে আবার আলোচনায় বসার পরিকল্পনা করেছে।
New York Times
Published January 18, 1972
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৫৪