যে দেশে ইমরান হাসমী কিংবা কেটরিনা কাইফ এর মতো হিরো হিরোইন এর আবিস্কার হয় সেই দেশেই গণ ধর্ষকের জন্ম হয় । এটা এখন ভারতীয় কালচার হয়ে গেছে তাদের সিনেমা থেকে শুরু করে জনজীবন পর্যন্ত।
হিন্দি সিনেমা দেখা ছেড়ে দিয়েছি অনেক আগে থেকেই । তার কারণ হচ্ছে যখনই কোন হিন্দি চ্যানেল ঘুরায় তখনই দেখি পুজিবাদী ও ভোগবাদী সমাজের তৈরী করা ইমরান হাসমী নামক এক হিরো তার ঠোট আর জিব্হা দিয়ে কোন না কোন নায়িকা নামক ভোগবাদী বস্তুর শরীর পরিস্কার করছে। এখন হিরো মানেই আইডল যাকে পুরো পাবলিক সমাজ ফলো করে, আর তাই ভারতের পুরো সমাজে নেমে এসেছে মেয়েদের জন্য নরকের দুনিয়া। যার খেসারৎ দিতে হচ্ছে পুরো ভারতবাসীকে ।
আমি বুঝে উঠতে পারি না যে হিরো নামক এই বিয়াদবের রুচিবোদ বলে কিছু আছে কি-না ? ইমরান হাসমী এমন এক হিরো যাকে ভারতবাসী আদর করে উপাধি দিয়েছে kissing boy যার অর্থ এবং কর্ম সহজেই অনুমেয়। এখন ভোগবাদী সমাজ যদি কোন আইডল তৈরী করে এবং তার কর্ম যদি সমাজে তার ভক্তরা প্রচলন করে তাতে দোষের কি আছে ? ইমরান হাসমীর বেশীর ভাগ ছবিই কিন্তু নগ্ন এবং ব্যবসা সফল। তার মানে তরুণ সমাজই তো এই সমস্ত সিনেমা গুলো দেখে যেগুলো কোন দিন ও পরিবার নিয়ে দেখা সম্ভব নয়।
আর যদি কেটরিনা কাইফ এর কথা ধরি তাহলে বলতে হয ওর জন্য কাপড় তৈরী করা ও বাতুল পর্যায়ে পরে। বাদ বাকী ব্যাপার গুলো আর উল্লেখ করছি না।
সেই হিসেবে আমাদের বাংলাদেশী দর্শকরা সাধু বাদ পাওয়ার য়োগ্য কারণ ভোগবাদী আর পুজিবাদী সমাজ এখানে মাথাচারা দিয়ে উঠতে চেয়ে ও পারে নি দর্শকেরা রিফিউস করেছে বলে কারণ আমরা অশ্লিলকে প্রসয় দেবো না।
এখন বাংলাদেশী দর্শকদের আরো একটা কাজ বাকী আছে সেটা হচ্ছে ভারতীয অপসংস্কৃতিকে সরাসরি না বলা এবং সেটা এখনই উপযুক্ত সময় যে "সবাই একই শুরে একই সাথে ভারতীয় অপসংস্কৃতিকে না" দেশ ও জাতির কল্যেণে..........।