পঁচিশটি বছর পেরিয়ে আবারো শৈশবে ফিরলাম
কয়েক ঘণ্টার নৌবিহারে,
শুরুটা হল তীরবিহীণ ইট আর আবর্জনা দিয়,
রূপে- রসে যেন শ্রীহিন কোন বৃদ্ধনারী
যার কোঠরে গেছে ডাগর দুটি চোখ
মাংসে ধরেছে বলির ভাঁজ।
সেই বুড়িগংগা, সেই যৌবতী নারী
আমার পুরনু দিন ,সেই শৈশব।
বিশাল তীর ----
জাহাজ ডকের টুংটাং অগণিত শব্দরাজি
পেরিয়ে কিছু দূর আসা,
খেয়া তৈরীতে ব্যস্ত কিছু মিস্ত্রি--
কিছু দূর পায়ে হেটে----
তারপর খেয়ায় উঠা,
শীতল পানিতে দুহাত ভিঁজিয়ে মুখ ছোঁয়া
বাবার গুণগুণিয়ে বেসুরে 'সোনার বাংলা' গাওয়া
মায়ের দুধ পানে ব্যাস্ত শাবক নিয়ে শুশুকের ডুবা-উঠা
কুঁতকুঁতে কাল তেলতেলে গায়,
পানিতে ভেসেভেস আকাশে নিজেকে খোঁজা,
আবার তাকে ক্যানভাস ভেবে অজস্র ছবি আঁকা,
স্বচ্ছ পানির আয়নায় নিজের প্রতিচ্ছবি দেখা ,
পারের ধনচে ক্ষেতে লুকোচুরি খেলা........
আমার পুরনু দিন, সেই শৈশব।
আজ বিষাক্ত গায়ে তার দগদগে ঘা
হাত দিতে ভয়, ঘেন্যা দুটই,
পঁচিশ পেরিয়ে ফিরে তাকাতেই
তফাতের বিশালতা ছুঁয়ে গেল আমাতে
গহীনে থাকা স্মৃতির অ্যালভামটি
বিষাদের মলিনতায় ম্লান হল,
নৌবিহারে সুখ খোঁজতে আসা
জাহাজের সব আয়োজন
কষ্টের একটি পাতা যুক্তিতে
সমাপ্তি ঘটল।।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ১২:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



