পবিত্র কুরআন বলে,
"নিরপরাধ একজন মানুষকে হত্যা করা সমগ্র মানবমন্ডলীকেই হত্যার শামিল।"
একজন মানুষকে হত্যা করার অপরাধ কতটা গুরুতর এখানে তাই বুঝানো হয়েছে।
ধর্ষন করার পর একজন মানুষকে হত্যা করাও তদ্রুপ সমগ্র মানবমন্ডলীকে ধর্ষন করে হত্যা করার মতই অপরাধ।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, কুরআনের এসব কথার মর্ম আমরা এযুগের মানুষরা অনুধাবন করতে পারি নাই।
অনুধাবন করেছেন প্রিয় নবীর সাহাবা কেরামগগণ, তাইতো ফোরাত কূলে একটি কুকুর মারা গেলেও
তার জন্য খলিফাকে জবাবদিহী করতে হতো।
আমরা যদি সেসব অনুধাবন করতে পারতাম, তাহলে কোন ধর্ষক, নরপিচাশ খুনীকে ধরে বের করতে দেরী হতনা।
পবিত্র কুরআন বলে,
কেউ যদি নিরপরাধ কোন ব্যক্তিকে হত্যা করে তার আর বেঁচে থাকার অধিকার নেই, তাকে জনসম্মুখে কতল করে দাও।
কারন সেতো কেবল একজন মানুষকেই হত্যা করেনি, সে হত্যা করেছে সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে।
তাকে কতল করা না হলে সমগ্র মানবগোষ্ঠীই তার কাছে হেরে যাবে!
আফসোস! কুরআনের বিধান কার্যকর নাই এই সমাজে, বরং কেউ কেউ আবার বলে উঠে ইসলাম এতই নিষ্ঠুর? জনসম্মুখে কতল???
আমি বলব, ইসলামই একমাত্র রাইট! আমি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম।
নিন চ্যালেঞ্জ!!
আমার বোন তনুকে যে নরপিচাশরা হত্যা করেছে তাদেরকে কোন মহাসড়কে কিংবা কোন স্টেডিয়ামে লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে
প্রকাশ্যে কতল করা হোক!!
এরপর জরিপ চালিয়ে দেখুন কুমিল্লা অঞ্চলে বছরে গড়ে যতটা খুন-ধর্ষনের ঘটনা ঘটত তার পরের বছর
তার দশ ভাগের একভাগে আসে কিনা! যদি তা না হয় মুসলিম নাম পাল্টিয়ে ফেলবো!!
এটা হলো সাইকোলজিক্যাল ইফেক্ট! ভয় দেখিয়ে মানুষকে অন্যায় থেকে দূরে রাখার চেষ্টা। এটাই আল্লাহর বিধান।
আমাদের সমাজে প্রতিদিনই খুন-ধর্ষনের ঘটনা একটির পর একটি ঘটেই যাচ্ছে।
অনেক অপরাধী ধরাও পড়ছে এটাও সত্য। কিন্তু আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে অধিকাংশ অপরাধীই পার পেয়ে যাচ্ছে।
কিছু অপরাধীকে আজীবন কারাদন্ড বা মৃত্যুদন্ড দিলেও তা হচ্ছে কারা অন্তরালে!
বিচারিক এপদ্ধতিতে কেয়ামত পর্যন্তও খুন-ধর্ষন সমাজ থেকে দূর করা সম্ভব নয়!
আসতে হবে কুরআনের কাছেই।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬