
গরুর মাংস রপ্তানিতে ২০১৭ সালে শীর্ষ ৩ দেশ হল
১)ভারত,
২)ব্রাজিল,
৩)অস্ট্রেলিয়া।
তন্মধ্যে ভারত ও ব্রাজিল ২০১৬ সালের পরিসংখান অনুযায়ী সমান ১৯.৬০% এক্সপোর্ট করেছে ইউরোপ, মিডল ইস্ট ও চীনে। এখানে ভারতের বেশিরভাগ ক্রেতা হল মধ্যপ্রাচ্য, পশ্চিম আর দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার দেশ গুলো(ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, মিসর, সৌদি আরব আর চীন)। ভারত($3240 per tonne) ব্রাজিলের($4515 per tonne) তুলনায় চুলনামূলক সস্তায় রপ্তানি করেছে। আর উপদন্তুর তার রপ্তানীর পরিমাণ বাড়ছে।

According to IndianExpress "Lower prices, along with the proximity to key consuming markets in Southeast Asia and West Asia, has imparted a huge competitive edge to Indian buffalo meat exports in recent years.
Between 2009 and 2014, India’s beef exports more than trebled from around 0.6 million tonnes to over 2 million tonnes in carcass weight equivalent terms. In value terms, shipments more than quadrupled from $ 1,163.54 million in 2009-10 (April-March) to $ 4,781.18 million in 2014-15. In the process, beef also become India’s No. 1 agri-export item, ahead of basmati rice ($ 4,518.25 million).
" অর্থাৎ ক্রমবর্ধমান হারে গরুর মাংস ভারতের ১নং রপ্তানী পন্য হতে চলেছে, যার সিংহভাগ রপ্তানী কারক প্রতিষ্ঠানের মালিক হিন্দু!!!"

তার পাশাপাশি বাড়ছে গরু রক্ষার নামে নামে মুসলিম নিধন!!!
""ভারতে আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে মুসলিমদের উপর হামলা। বিজেপির ছত্রছায়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার করা হচ্ছে হিন্দুতভা বা উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদের আদর্শ। মুসলিমবিদ্বেষ এই আদর্শের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রশাসনিক ভাবে, মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারিত হওয়া এই ঘৃণার বহিঃপ্রকাশের বাহন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে গরু। আর এই বাহনকে ব্যবহার করে হিন্দু সন্ত্রাসীরা আক্রমন করছে মুসলিমদের।
.
গত ৮ বছরে গরুকেন্দ্রিক সহিংসতার ঘটনাগুলোর ৮৬% -ই সংঘটিত হয়েছে মুসলিমদের বিরুদ্ধে। এসব আক্রমনের ৯৭% এর বেশি সংঘটিত হয়েছে গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর। ২০১৬ তে এধরনের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ২৭টি। এ বছরে ছয় মাসেই ঘটেছে ২০টির বেশি ঘটনা। এধরনের আক্রমনের মাত্র ২১% পুলিশের রিপোর্টে বা মিডিয়াতে উঠে এসেছে। উত্তরপ্রদেশে চরমপন্থী যোগি আদিত্যনাথ মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হবার পর সহিংসতার ঘটনা আরো বেড়ে গেছে। প্রকাশ্যে রাস্তায় স্লোগান দেওয়া হচ্ছে 'ইউপি কো গুজরাট বানানা হ্যায়।'
.
কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে বাজারে গরু বিক্রি নিষিদ্ধ করে আগুনে ঘি ঢালা হয়েছে। প্রশাসন, ক্ষমতাসীন মিডিয়া এবং ট্রাম্প যুগের বিশ্ব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট দ্বারা বলীয়ান হয়ে জায়গায় জায়গায় গড়ে উঠছে গো-রক্ষকসহ আরো নানা নামের হিন্দু জঙ্গি বাহিনী। বাড়ছে কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভয়াবহ অপরাধ। বাড়ছে ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদদের ইসলামবিদ্বেষী বক্তব্য। উগ্র থেকে উগ্রতর হচ্ছে আদিত্যনাথ ও সমগোত্রীয়দের স্লোগান। প্রকাশ্যে চলছে হিন্দু জঙ্গি বাহিনীদের সামরিক ট্রেনিং...
.
সবচেয়ে উদ্বেগজনক ব্যাপার হল সাধারন হিন্দুদের দিক থেকে এই চরমপন্থার উত্থানের বিরুদ্ধে কোন অবস্থান তো নেওয়াই হচ্ছে না, বরং তাদের নীরব সমর্থন দেওয়া হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে ক্রমশ বাড়তে থাকা ইসলামবিদ্বেষের এই ব্যাধির বাস্তবতাকে স্বীকার করে নেওয়া পরিবর্তে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা মুসলিম হত্যার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হিন্দুদের নীরবতা। বস্তুত এই নীরবতা এই ব্যাপারে অধিকাংশ হিন্দুর প্রকৃত মনোভাবের পরিচায়ক। সাধারন হিন্দুরা এই ভয়ঙ্কর অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উচ্চকণ্ঠ হবার বদলে হয় ইচ্ছাকৃতভাবে বাস্তবতার ব্যাপারে অজ্ঞ থাকাকে বেছে নিচ্ছে, এসব হত্যার যৌক্তিকতা অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে, অথবা অনেক ক্ষেত্রেই এই অপরাধে সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে। এমনকি অনেক হিন্দুই অবলীলায় বলছে, ‘এটাই মুসলিমদের প্রাপ্য’।""
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




