বিষয়ঃ থেমিসের ভাষ্কর মৃণাল হক এবং এদের চেনা মুখ।
কথা কি,জাহিলিয়াত যুগের মত এরা কিন্তু স্পষ্ট করে বলে দিবে না, যে সে ইসলাম ঘৃণা করে। যুগ এখন পাল্টেছে। সরাসরি বললে অভিজিৎ রায়ের মত শেষ পরিণাম হতে পারে আপনার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিনাত হুদার ভাষা শুনুন, তিনি বললেন, হজ পালন করেছেন এত সালে, উমরা এত সালে। কিন্তু সেখান থেকে কী শিক্ষা নিলেন? সেখানে মূর্তি বিক্রি হয়, মদিনায় ভাষ্কর্য রাখা আছে।
আসলে ইসলাম মানে যে কোনো স্থান- কাল- পাত্র না- এটা তারা বোঝেন। ইসলাম মানে কোরান, সুন্নাহ- এটাও তারা বোঝেন। আপনি ওদের কথা শুনলে, আচরণ দেখলে মনে করবেন সাক্ষাৎ ফেরেশতা। ইসলামের জন্য জান যায়!
এই তো সেদিন থেমিসের ভাষ্কর মৃণাল হক বললেন, একজন মুসলমান যদি সত্যিই নামাজে থাকেন, তবে তার আশপাশে কী আছে না আছে, সেদিকে খেয়াল করার দরকার নেই তো! কোথায় ভাষ্কর্য, কোথায় ঈদ্গাহ!
আসলে এরা ইসলামটাকে খৃষ্টধর্মের মত বানিয়ে ফেলেছে। খৃষ্টানদের অধঃপতনের গোড়ায় হাত দিন, তারা ইবাদতকে শুধু মসজিদে আর দৈনন্দিন কার্যক্রমকে মনে করত ধর্ম থেকে আলাদা। ধর্মে এর কোনই সমাধান নেই।
এরাও ঠিক তাই। মনে করছে, নামাজটাই শুধু ইবাদত। মানুষের চেতনাবোধ, আদর্শ-ঐতিহ্যবোধ- এগুলোর পরিশুদ্ধিটা ধর্মের বাইরে। মনে করছে, ধর্ম বোঝে শুধু আসমানের উপর এবং জমিনের নিচেরটা। এ দুয়ের মধ্যখানে ধর্ম উধাও। অথচ, বাস্তবতা দেখুন, আপনার কাজের মধ্যে যদি ধর্ম মানেন তবেই না আপনি মুসলিম। ধর্মের কোথায় আছে আপনাকে বৈরাগী হতে হবে? দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কোলে যদি আমরা একটা মূর্তি পালতে থাকি, এগুলো কি মিডিয়ায় ভাইরাল হতো না?
এরপর বলুন, কোন মুখ নিয়ে আমরা বলতে পারতামযে, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। সে দেশে আবার বৃহত্তম ইজতিমাও হয়। বিশ্বের লক্ষ কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলিম সেখানে আসেন। এসব কি ভাবার ফুরসত নেই আমাদের?
সবকিছুর পরও এসব সেকুলারদের দেখবেন, যদি আপনি ওদের কথার কোন ক্লু ধরে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, তিনি ইসলাম নিয়ে বিষোদ্গার করছে, তারা এমন ভাবখানা দেখাবে, যেন ওদের উপর এখনি ওহি নাযিল হচ্ছে। ঠিক এই পয়েন্টাতে এসে কিন্তু ওরা সাম্প্রদায়িক হয়ে যায়, যদিও ওরা ‘অসাম্প্রদায়িক’!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১