somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভাষ্কর্য অপসারণ বিতর্ক- ৩

২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিষয়ঃ থেমিসের ভাষ্কর মৃণাল হক এবং এদের চেনা মুখ।

কথা কি,জাহিলিয়াত যুগের মত এরা কিন্তু স্পষ্ট করে বলে দিবে না, যে সে ইসলাম ঘৃণা করে। যুগ এখন পাল্টেছে। সরাসরি বললে অভিজিৎ রায়ের মত শেষ পরিণাম হতে পারে আপনার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিনাত হুদার ভাষা শুনুন, তিনি বললেন, হজ পালন করেছেন এত সালে, উমরা এত সালে। কিন্তু সেখান থেকে কী শিক্ষা নিলেন? সেখানে মূর্তি বিক্রি হয়, মদিনায় ভাষ্কর্য রাখা আছে।

আসলে ইসলাম মানে যে কোনো স্থান- কাল- পাত্র না- এটা তারা বোঝেন। ইসলাম মানে কোরান, সুন্নাহ- এটাও তারা বোঝেন। আপনি ওদের কথা শুনলে, আচরণ দেখলে মনে করবেন সাক্ষাৎ ফেরেশতা। ইসলামের জন্য জান যায়!

এই তো সেদিন থেমিসের ভাষ্কর মৃণাল হক বললেন, একজন মুসলমান যদি সত্যিই নামাজে থাকেন, তবে তার আশপাশে কী আছে না আছে, সেদিকে খেয়াল করার দরকার নেই তো! কোথায় ভাষ্কর্য, কোথায় ঈদ্গাহ!

আসলে এরা ইসলামটাকে খৃষ্টধর্মের মত বানিয়ে ফেলেছে। খৃষ্টানদের অধঃপতনের গোড়ায় হাত দিন, তারা ইবাদতকে শুধু মসজিদে আর দৈনন্দিন কার্যক্রমকে মনে করত ধর্ম থেকে আলাদা। ধর্মে এর কোনই সমাধান নেই।

এরাও ঠিক তাই। মনে করছে, নামাজটাই শুধু ইবাদত। মানুষের চেতনাবোধ, আদর্শ-ঐতিহ্যবোধ- এগুলোর পরিশুদ্ধিটা ধর্মের বাইরে। মনে করছে, ধর্ম বোঝে শুধু আসমানের উপর এবং জমিনের নিচেরটা। এ দুয়ের মধ্যখানে ধর্ম উধাও। অথচ, বাস্তবতা দেখুন, আপনার কাজের মধ্যে যদি ধর্ম মানেন তবেই না আপনি মুসলিম। ধর্মের কোথায় আছে আপনাকে বৈরাগী হতে হবে? দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কোলে যদি আমরা একটা মূর্তি পালতে থাকি, এগুলো কি মিডিয়ায় ভাইরাল হতো না?

এরপর বলুন, কোন মুখ নিয়ে আমরা বলতে পারতামযে, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। সে দেশে আবার বৃহত্তম ইজতিমাও হয়। বিশ্বের লক্ষ কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলিম সেখানে আসেন। এসব কি ভাবার ফুরসত নেই আমাদের?
সবকিছুর পরও এসব সেকুলারদের দেখবেন, যদি আপনি ওদের কথার কোন ক্লু ধরে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, তিনি ইসলাম নিয়ে বিষোদ্গার করছে, তারা এমন ভাবখানা দেখাবে, যেন ওদের উপর এখনি ওহি নাযিল হচ্ছে। ঠিক এই পয়েন্টাতে এসে কিন্তু ওরা সাম্প্রদায়িক হয়ে যায়, যদিও ওরা ‘অসাম্প্রদায়িক’!


সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×